Alapon

এবং তোমার প্রেম (৮ পর্ব )

(ফ্ল্যাশব্যাক)
ছাদ খোলা  খাবারের দোকানে বসে সোহান, নাদিয়ার  সাথে  কথা ঝগরা   সাথে।
সোহান:আমি মেয়েদের সাথে Fun করে বেড়াই, আমার এটা habbit,কারণ কলেজ পড়বার সময়ে, আমি প্রত্যাশা নামে একটি মেয়েকে, পছন্দ করতাম,  মেয়েটির আমার  love proposal  গ্রহণ করেনি, পরে আমি ওর সাথে, আর কোনো যোগাযোগ রাখিনি,আমি চাইছিলাম, এই কথাটা তোমাকে খুলে বলতে কিন্তু পারছিলাম না,তোমার প্রতি আমার  মায়া হয়েছিল ।
 নাদিয়া:তুমি যা বলছো, সব মিথ্যা, বললো,তুমি মিথ্যা বলছো  আমাকে পরীক্ষা করছো,তুমি আমাকে দেখছো, যে আমি তোমাকে ভালোবাসি কি না ? তোমাকে আমি আমার নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি,তুমি আমাকে ছেড়ে  যাও না ।  নাদিয়া সোহানের হাত ধরলো  ।
সোহান নাদিয়ার হাতটি বেশ জোরে নিজের হাতের উপর থেকে  সরিয়ে দিলো,
সোহান: Please don’t touch me. আমার এসব নেক্কা কান্না ভালো লাগে না, আমি তোমাকে ভালবাসিনি,ভালোবাসি না,তোমাকে  কতবার বলবো  ? তুমি কেন বুঝতে পারছো না,আমার  জীবনে অনেক মেয়ে এসেছে, আমি কোনো মেয়েকে আমার জীবনে  সিরিয়াসলি  নেইনি আর তোমার বেলায় different হবে কেন তুমিও অন্যদের মতো আমার কাছে । Yes,Recently সত্যি, আমার  একটা মেয়েকে খুব
মনে ধরেছে  ।  শ্রাবন্তী, আমার Batch mate.
নাদিয়া কাঁদছে ,তার  চোখের পানি গাল  বেয়ে  পড়ছে , মুখমন্ডল লাল হয়ে গেছে, বুক ফেটে যাচ্ছে কষ্টে, চিৎকার করে এই মুহূর্তে  বোকা, দিতে ইচ্ছে করেছে সোহানকে,নাদিয়া ভিতরে ভিতরে ভাষাহীন
হয়ে পড়েছে ।
নাদিয়া : তাহলে,তোমার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কটা উপরই মিথ্যে,ছি ছি ।
সোহান: কি করবে, বললো আমার স্বভাবটা  যে এমন,  তুমি কি ভাবতে পারলে,  তোমার মতো unsmart মেয়েকে, আমি আমার life partner বানাবো OMG ! তুমি এতো বোকা কেন ? তুমি যে এতটা stupid তা
আমার জানা ছিল না ।
নাদিয়া উঠে দাঁড়িয়ে ,সোহানের  এক গালে  কোষে  চড় লাগিয়ে দিলো ।
খাবারের দোকানে  কিছু লোক  অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো, তাদের দুইজনের দিকে ।
নাদিয়া রাগান্বিত চোখে এক দৃষ্টিতে,  তাকিয়ে থাকলো সোহানের দিকে ।
নাদিয়া :তুমি এই চড়  খাবার যোগ্য, আমার সাথে তুমি যা করেছে তা রীতি মতো অন্যায়ে । তুমি, যদি আমার জায়গাতে থাকতে, তাহলে বুঝতে, আমার কত কষ্ট হচ্ছে ।
সোহান: ইউ বাস্টার্ড, তোমাকে, আমি  কি করতে পারি ?
নাদিয়া :You ShitUp.
চিৎকার করো না, তোমার চিৎকার আমার, কোনো আসে যাবে না,বরং এখানে স্ক্রিন ক্রিটে হচ্ছে,
তোমার সন্মান আরো নষ্ট হবে, কি করবে  আমাকে? তুমি বড় জোর, আমার নামে গুজব ছড়াবে, তাই তো  যাও ছড়াও,তোমাকে, আমি ভয় পাই না । কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি ।সত্যিকারের ভালোবাসা কোনোদিন বৃথা যায় না,আমার জীবন নিয়ে খেলা করাটা, তোমার একধরণের তামাশা, ভালোবাসা,তার বিশ্বাস নিয়ে তামাশা করাটা, যে বিরাট অপরাধ, তুমি এক সময়ে ঠিকই বুঝতে পারবে,  তুমি একদিন, আমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকবে । কারো life নিয়ে খেলা করবার, শাস্তি আল্লাহপাক তোমাকে  দিবে ।   
নাদিয়া ব্যাগ থেকে টিসু বের করে চোখের পানি মূৰ্ছলো    ।
নাদিয়া:  আজ, আমি এখানে দাঁড়িয়ে, চোখের পানি  ফেলছি, একদিন তুমিও আমার মত, এই ভাবে  কষ্ট পাবে,এই  বলে কাঁদতে, কাঁদতে বের হয়ে, চলে গেলো ।
সোহান:Damm shit I don't care all this ! যতসব ।
(বর্তমান)
সোহান চোখ খুললো,বিছানায় উঠে বসলো,জানালার দিকে তাকালো, দেখলো  তখন ভোর হয়ে গেছে ।  ভোরের আলোর ঘরের মেজেতে পড়েছে,সোহানের আজ সকালের নামাজটা মিস গেলো ।
বিছানার পাশে সাইড টেবিলের, উপরে রাখা তার মানি ব্যাগ,মানি ব্যাগ থেকে নাদিয়ার ছবিটি, বের করে হাতে নিলো,সোহানের চোখে দুই ফোটা পানি চলে এসেছে ।  আমি শাস্তি পেয়ে গেছি, তুমি জিতে গেছো,আমি হেরে গেছি,হেরে গেছি, তোমার ভালোবাসার কাছে, অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার নাদিয়া, কি করে বলবো,তোমাকে  ।   নামাজ পরে আল্লাহ পাকের কাছে, আমি ক্ষমা চাই,আর তোমাকে ফিরে পাবার জন্য ফরিয়াদ করি, তুমি যেখানে থাকো ভালো থেকো  ।  
খুব সকাল,ছুটির দিন রাস্তা দুপাশের ফুটপাথ দিয়ে লোকজন  দিয়ে চলাফেরা করছে ।
সোহান রাস্তা দিয়ে হাঁটছে তার কানে,এয়ারফোন। মোবাইলে সে, নাদিয়ার  প্রিয় গানগুলো save করে রেখেছে তা শুনছে, হঠাৎ একটা  ফোন এলো । একটি মেয়ের কণ্ঠ,সোহান ভাইয়া, আমি চৈতি, নাদিয়া বোন,  আমাকে আপনি চিনতে পেরেছেন ? কথা বলেন, নাদিয়া আপুর সাথে,  সোহান  নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে
পড়লো  এক পাশে ।
নাদিয়া ফোনের ওপাশে থেকে  বললো  "হ্যালো" সোহানের মুখের হাসিটা  মনে হচ্ছিলো

যেন আকাশের গায়ে কালো মেঘে সরে  যেয়ে  সূর্যের আলোর বিকিরণ ছড়িয়ে পড়েছে, খুশিতে তখন সে আত্মহারা দুনিয়ার সব আনন্দ যেন সেই মুহূর্তে ফিরে পেয়েছে  । সোহান বললো হ্যালো  ।


(চলবে )

পঠিত : ৩১৯৬ বার

মন্তব্য: ০