Alapon

“বাংলাদেশ ব্যাংকে চায়ের কেটলি আবিস্কার”

 


বিদেশে ভিসা হলো আসল জীবন। আর এটার জন্য ইমেগ্রেশনে যে সময় ব্যয় হয় তাদিয়ে আর একটা বউ পালন করা যায়। এর মধ্যে প্রতি মাসে মাসে রুলস পরির্বতন হয়। একদিন ইমেগ্রেশন অফিসার কে জিজ্ঞাস করলাম যে তোমরা বার বার রুলস পরির্বতন কর কেন? সে বললো তোমাদের জন্য। তোমরা বাঙ্গালিরা পাটপারের বিজ্ঞানী। আমরা একটা আইন করলে তোমরা একটা ফাক বের করে ফেলো। পৃথিবীর সবার সাথা পারলেও তোমাদের সাথে আমরা পারি না। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত প্রতি মাসেই রুলস পরিবর্তন করা।


বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ঢাকা) সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কথা শুনে সেটাই মনে হলো যে বাংলাদেশ পাটপারের বিজ্ঞানীর দেশ। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে “চায়ের কেটলি” আবিস্কার করেছেন।


আমি ২০১১ সালে এই বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে গেছিলাম। আমাদের সরি বলে আপ্যায়ন করেছেন। ব্যাংকের রুলসে এখানে কোন নাস্তা করানোর নিয়ম নাই । আমরাও সেটা হাসি মুখে গ্রহন করি। আর আজ আগুন লাগার পর চায়ের কেটলি আবিস্কার হলো। বাংলাদেশে ব্যাংকে চায়ের কেটলি হাসবো না কান্না করবো?


আজকের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে,  বৈদ্যুতিক চায়ের কেটলি শর্টসার্কিট হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কক্ষে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি। গতকাল শনিবার দুপুরে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ঢাকা) সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।


আচ্ছা ধরে নিলাম যে, বৈদ্যুতিক চায়ের কেটলি শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে কিন্তু চায়ের কেটলির নিকট কম্পিউটার পুড়ে কি করে? অথচ  তদন্ত কমিটির প্রধান সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন কোন ক্ষতি হয়নি ।


প্রতিবেদন বলা হয়েছে “ তিনি আরও বলেন, ‘আগুনে তেমন কোনও ক্ষতিই হয়নি। একটি কম্পিউটার ছাড়া অন্যকিছু তেমন পোড়েনি”।


অপর দিকে প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে ক্ষতির পরিমান ৮০ লাখ টাঁকা।


“বাংলাদেশ ব্যাংকে ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দাপ্তরিক কোনো নথি পোড়েনি। তবে এ ঘটনায় ৮০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে”।  


আচ্ছা ৮০ লাখ টাকা কি টাঁকা না?


বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘বিকেলে গভর্নরের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির সদস্যরা। ’ প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই কিছু বলার সুযোগ নেই। যদি জানানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অথবা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে জানানো হবে।


সে পরে অনুষ্ঠান করে জানাবেন। জানান আমরা ওয়েট করবো।   


আমাদের আইন মন্ত্রী বলেন এটা নিছক দুর্ঘটনা। তিনি রিজার্ভ ফেরত আনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে বৃহস্পতিবার রাতে যে আগুন লেগেছিল, তা নিছক দুর্ঘটনা। তিনি বলেছেন, শর্ট সার্কিট থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন মানে বাংলাদেশে আগুন। নিরাপদে আর থাকলো কি ? ব্যাংক হ্যাক, রিজার্ভ চুরি এগুলো এখন সাধারন  ব্যাপার । আজ যদি বাংলাদেশ অন্যরা দখল করে নেয় এটা এদের কাছে সাধারন ব্যাপার হবে। কারন তাদের তো এই দেশে থাকতে হবে না। উড়াল দেয়ার অবস্থা তো তৈরি করে নিয়েছেন । দাপ্তরিক নথি পোড়েনি ক্ষতি ৮০ লাখ টাকার। আপনাদের হাজার হাজার কোটি টাকাই তো টাঁকা না আর মাত্র ৮০ লাখ।


 


তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন কোনও ক্ষতিই হয়নি। এমনকি কক্ষের চেয়ারে থাকা তোয়ালেও অক্ষত রয়েছে। খলি কম্পিউটার ও ৮০ লাখের মতো ক্ষতি। রিপোর্ট-“আগুনে তেমন কোনও ক্ষতিই হয়নি। একটি কম্পিউটার ছাড়া অন্যকিছু তেমন পোড়েনি। এমনকি কক্ষের চেয়ারে থাকা তোয়ালেও অক্ষত রয়েছে। কক্ষটিতে ধোঁয়া আটকে যাওয়ায় হঠাৎ করে অনেক ধোঁয়া হয়েছিলো। আগুন তেমন বড় ছিলো না।’ পাঁচদিনের আগেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ফায়ার সার্ভিসের এই উপ পরিচালক”।


কিছু বলা যাবে না তদন্ত কমিটির প্রধানসমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।


 


 


 

পঠিত : ৪৫৬৮০৯ বার

মন্তব্য: ০