Alapon

ভেনিজুয়েলায় দিন দিন পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেনিজুয়েলা থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য রাশিয়াকে চাপ দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। এখন চীন আসায় সে ঝামেলা আরো জটিল হয়ে উঠেছে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেয়ার বার্তা প্রচার করা হলেও তা করা হয়নি। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারভ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগে পূর্ণ করুক’।

এদিকে ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট, জোয়ান গুয়াইদোকে লক্ষ করে তিনি আরো জানান, ভেনিজুয়েলার সাথে ২০০১ সালের সামরিক সহায়তা চুক্তি অনুসারে সেনা পাঠানো হয়েছে সে দেশে। তজ্জন্য ভেনিজুয়েলার সংসদের অনুমোদন দরকার পড়বে না।’ কারাকাসে রাশিয়ার আগমন ট্রাম্প সইতে পারছেন না। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়াকে বের করে দেয়ার জন্য ‘সব বিকল্প টেবিলে রয়েছে’। উত্তর কোরিয়া ও ইরানের জন্যও তিনি এই শব্দমালা ব্যবহার করেছেন।

নিকোলাস মাদুরো ২০১৩ সালে অতি সামান্য ভোটের ব্যবধানে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবারো জিতেছেন। ‘ব্যাপক কারচুপি’ হয়েছে- এমন অভিযাগ তুলে বিরোধীরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন। এ বছরের জানুয়ারিতে মাদুরো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেখানে বিরোধী দলের প্রাধান্য থাকায় সংসদ বিরোধী দলের নেতা গুয়াইদোকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করে। মাদুরো বামপন্থী ও গুয়াইদো ডানপন্থী। একাধিক বৃহৎ শক্তি ডান ও বামের সহায়তায় ভেনিজুয়েলায় ঢুুকে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগ মাদুরোকে সমর্থন দিয়েছে।

ওয়াশিংটন বলেছে, লাতিন আমেরিকার আমেরিকাবিরোধী কোনো সরকারকে সহায়তা করার অধিকার চীনের নেই। যুক্তরাষ্ট্র সমাজতন্ত্রী নেতা প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়েছে এবং বিরোধী দলের জুয়ান গুয়াইদোকে সমর্থন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের সমর্থন পেলেও রাশিয়া ও চীন মাদুরোকে সহায়তা দিচ্ছে। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোল্টন পশ্চিম গোলার্ধে কোনো বিদেশী সেনাশক্তিকে বরদাশত করা হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন।

আসলে বোল্টন ‘মনরো ডকট্রিনে’র কথা আওড়িয়েছেন মাত্র। যার সার কথা হলো- ডান্ডা পেটা করা। মাইক পম্পেউ একই সুরে কথা বলেছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জেন শোয়াং বলেন, ‘লাতিন আমেরিকার দেশগুলো সার্বভৌম রাষ্ট্র, তারা স্বাধীনভাবে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করার অধিকারী।’ তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলার জনগণ যা চাইবে, সেভাবে সমস্যার সমাধান হবে। ভেনিজুয়েলায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়নের ব্যাপারে চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে চায়। তার কথা, ‘লাতিন আমেরিকার দেশগুলো কারো বাড়ির আঙ্গিনা নয়’।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক এই সমস্যা অর্থনৈতিক সঙ্কট, মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ ঘাটতি থেকে সৃষ্ট। আর এই সবই হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০১৭ সালে অবরোধ আরোপের কারণে। অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে কত দ্রুত একটি দেশ সঙ্কটাপন্ন হতে পারে ভেনিজুয়েলা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। চীন ও রাশিয়া এবার অবরোধ উপেক্ষা করে সরকারের সাথে সম্পর্ক আরো বাড়িয়েছে। মস্কো তেল রফতানি করবে আর চীন দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে।

আইডিবি, ইন্টার আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক চীনের চেংদুতে মাদুরোর বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছে; কিন্তু সে দেশে গুয়াইদোকে কূটনৈতিক ভিসা দিতে চীন অস্বীকৃতি জানায়। চীনের সাফ জবাব, তিনি রাষ্ট্রের প্রধান নন।’ এরপর ওই সভা পণ্ড হয়ে যায়। চীন আরো বলেছে, ব্যাংকের কাজ হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ব্যাংক রাজনীতির খেলা থেকে দূরে থাকবে।’

চীনের এই বক্তব্যকে অন্যান্য সদস্যও সমর্থন দিয়েছে। একটি বিষয় হলো- লাতিন আমেরিকার বলিভিয়া, নিকারাগুয়া, কিউবা মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিরিয়া ও তুরস্ক- এরাও তাকে সহযোগিতা করছে। গুয়াইদোকে সমর্থন দিচ্ছে আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, লাতিন আমেরিকার কিছু দেশ এবং জর্জিয়া, ইসরাইল, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।

গত পয়লা এপ্রিল ১৫০ জনের একটি চীনা সেনাদল ভেনিজুয়েলার মার্গারিটা দ্বীপে অবতরণ করেছে। কারাকাস ও বেইজিংয়ের পারস্পরিক সহযোগিতা কর্মসূচির অধীনে এই সৈন্য প্রেরণ করা হয়েছে। সৈন্যরা মানবিক সহায়তা প্রদান করলেও বহু সামরিক সরঞ্জাম দ্বীপে জমা করেছে। এর মাত্র কয়েকদিন আগে রাশিয়া হেলিকপ্টার ঘাঁটি তৈরি করে সে দেশে যেকোনো হামলা ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মাদুরো নিরাপত্তার জন্য কিউবা ও রাশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছিল। তারও আগে মার্কিন প্রশাসনের অন্যতম কণ্ডারি মাইক পম্পেউ টুইটার বার্তায় ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায়’ ভেনিজুয়েলার জনগণকে ডাক দিয়েছিলেন।

বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের ভেনিজুয়েলায় সৈন্য প্রেরণ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি। মানবিক সহায়তা দেয়ার পর চীনা সেনাদের ভেনিজুয়েলা সামরিক বাহিনীর সাথে কাজ করার কথা। ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত চীন থেকে ভেনিজুয়েলা ৩৪৯ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র আমদানি করেছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে উন্নতমানের রাডার, যুদ্ধবিমান, সাঁজোয়া যান, সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদ, পোশাক ও পদাতিক বাহিনীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে।

ভেনিজুয়েলার ব্যাপারে রাশিয়া ও চীন একই পররাষ্ট্রনীতি ও সমন্বিত কৌশল অবলম্বন করছে। এসব ছাড়াও চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৬২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে যা তেল রফতানির মাধ্যমে কারাকাস পরিশোধ করবে। রাশিয়াও ১৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে ও বিনিয়োগ করেছে। গত বছর রাাশিয়া ভেনিজুয়েলাতে তেল ও সোনা খাতে ছয় বিলিয়ন বিনিয়োগ করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সে দেশে রাশিয়ার পর চীনের সেনা পাঠানোর তিক্ত বড়ি গলাধঃকরণ করতে ওয়াশিংটনের খুব কষ্ট হচ্ছে। চীন বলেছে, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর উন্নয়নে আমরাও আছি।

এদিকে রাশিয়া সিরিয়ায় পাকাপোক্ত ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। সিরিয়ার সরকারের সাথে মিলে ‘বিদ্রোহীদের’ দমনের চেষ্টা করছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়ায় সেনা প্রেরণ, গোলান দখল নিয়ে রাশিয়া উৎকণ্ঠিত। যদি যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর কর্তৃত্ব ছেড়ে দেয়, তবে হয়তো ভেনিজুয়েলা থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করে সমঝোতায় আসতে পারে। এমন সমঝোতায় চীন রাশিয়ার পক্ষেই থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন করার মতো বিপজ্জনক কাজ করছে। জানুয়ারিতে গুয়াইদো নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট তাকে সহায়তা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে ইরানে সরকার পরিবর্তন করতে চেয়েছে যা এখনো চলমান। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকেও হটিয়ে নতুন প্রশাসন বসানোর চেষ্টা চালিয়েছিল, আফগানিস্তানে কারজাইকে সরিয়ে আশরাফ গণিকে বসিয়েছে।

তুরস্কে ক্যু-এর মাধ্যমে এরদোগানকে হটিয়ে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন নেত্রী বেনজির ভুট্টো তার বই ‘ডটার অব দ্য ইস্ট’-এ লিখেছিলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আমেরিকার নির্দেশে চলে। আমেরিকার অনুমোদন ছাড়া পাকিস্তানে এক ঘণ্টাও ক্ষমতায় থাকা যায় না’।

গত মার্চে গুয়াইদো ‘অপারেশন ফ্রিডম’ ঘোষণা করেছেন। তিনি ধারণা করেছিলেন, সেনাবাহিনী মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। এই অপারেশন প্লান প্রস্তুত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ল্যাব। এটি ইউএসএইডের একটি প্রকল্প। কিভাবে এই অপারেশন কাজ করবে তার উপর ৭৫ পাতার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। প্রয়োজনে সিআইএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সকে যুক্ত করার ক্লজ রাখা হয়। এদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ- উভয় পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

এই ম্যানুয়েল তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এক নিরাপত্তা ঠিকাদার ফ্রন্টিয়ার ডিজাইন গ্রুপকে ইউএসএইড দায়িত্ব প্রদান করেছে দেশে অভ্যুত্থান, সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, গৃহযুদ্ধ এসব বিষয় নিয়ে এরা অপারেশনের খুঁটিনাটি লিপিবদ্ধ করেছে। আরো উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, গুয়াইদোকে ফান্ড সরবরাহ করেছে ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাসি’। এটি ইউএসএইডের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনে অনধিকার চর্চা করে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।

কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে কোনো বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ জাতিসঙ্ঘের সনদে নিষিদ্ধ। চার্টার অব অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের সনদেও কোনো রাষ্ট্রের বা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারাকাসের বিষয়ে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ৪০টি সংস্থা, যেমনÑ আমেরিকান ফ্রেন্ডস সার্ভিস কমিটি, পিস অ্যাকশন, জাস্ট ফরেন পলিসি প্রভৃতি ভেনিজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ না করার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

জানুয়ারিতে অবরোধ আরোপের পর ভেনিজুয়েলার অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন প্রতিদিন ১৪২ হাজার ব্যারেল কমে যায়। অর্থাৎ, ট্রাম্পের অবরোধ বিরাট প্রভাব ফেলে। তেলের আয় থেকেই দেশটি ওষুধপাতি, খাবার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য জরুরি উপকরণ কিনে থাকে। সেন্টার ফর ইকোনমিক ও পলিসি রিসার্চ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তেলের উৎপাদন এভাবে কমে গেলে আগামী অর্থবছরে ২.৫ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে ভেনিজুয়েলা।

ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা প্রদান করতে চাইলেও প্রেসিডেন্ট মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি মিডিয়ায় জানান, অবরোধ দেয়ার পর সহায়তা প্রদান করা মুনাফেকি মাত্র। তা ছাড়া এই সহায়তার সময় বিভিন্ন উপকরণের সাথে অস্ত্র এসে তা বিরোধীদের হাতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে গুয়াইদোর এমন বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল যে, এই সহায়তাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে।’

হিসাবটা ছিল- অবরোধের কারণে দুর্দশাগ্রস্ত ভেনিজুয়েলার মানুষ মাদুরোর বিরুদ্ধে ফুঁঁসে উঠবে। তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অবsmile আইজেনহাওয়ারও ১৯৫৯ সালে কিউবা বিপ্লবের সময় এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই সহায়তাকে মাদুরো ‘বিষবৃক্ষের ফল’ বলে প্রচার করেছেন।

সহায়তার জন্য জাতিসঙ্ঘ, রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারত ও কিউবার কাছে আবেদন জানিয়েছে ভেনিজুয়েলা। ৩ এপ্রিল, ক্ষমতা পরিবতর্নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনেটর মার্কো রুবিও সিনেটে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের জন্য আবেদন করেছেন। ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীতে ভাঙন ধরাতে প্রচুর খরচের বিষয়টিও উঠে আসে। রাশিয়া, চীন, কিউবা ও ইরানের যৌথ সহায়তা মোকাবেলার বিষয়ও তুলে ধরা হয়।

গুয়াইদো ৩০ এপ্রিল এক মিলিটারি বেজে গিয়ে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর দিন শেষ বলে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা গ্রহণের আহ্বান জানান। তবে তাকে কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সমর্থন দেননি। শ’ খানেক লোক তার সাথে ছিল। তারা বাঁশি ফুঁঁকে ও ‘ক্যু’ হোক বলে চিৎকার করে।

এখন দেখা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর মাত্র ছোট্ট এক অংশ গুয়াইদোর পক্ষ নিয়েছে। সরকার এখন তাদের শনাক্ত করছে। এ মুহূর্তে ভেনিজুয়েলায় বিদেশী সৈন্য অপেক্ষমাণ। এ রকম উত্তপ্ত অবস্থায় পরিস্থিতি যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর মোড় নিতে পারে।

পঠিত : ৭৬৭ বার

মন্তব্য: ০