Alapon

এরশাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও কে হতে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির উওরসূরি?

জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জন্মগ্রহণ করেন রংপুরে তাঁর নানার বাড়িতে ১৯৩০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা-মা এবং ভাই বোন বা কাছের আত্নীয়রা তাঁকে পেয়ারা নামে ডাকতেন, এটা তাঁর ডাক নাম।

তবে তাঁর শৈশব এবং স্কুলজীবন কেটেছে বাবা মা'র সাথে ভারতের কুচবিহারের দিনহাটায়।সেখান থেকেই তিনি এসএসসি পাস করেছেন। স্কুল শেষ করে তিনি রংপুরে কারমাইল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন।

জেনারেল এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির নেত্রী এবং গত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। নানা গুঞ্জনের প্রেক্ষাপটে ২০০০ সালে জেনারেল এরশাদ একজন ফ্যাশন ডিজাইনার বিদিশা ইসলামকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর এই নারী বিদিশা এরশাদ নামে পরিচিত হন। তবে সেই ঘর বেশি দিন টেকেনি।

বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে জেনারেল এরশাদের নয় বছরের শাসনের পতন হলেও তিনি রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছেন। তিনি সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখলের পর জাতীয় পার্টি নামে দল গঠন করেন।

জেনারেল এরশাদের শাসনের সময় ১৯৮৮ সালে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী আনা হয়। তখন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-প্রধান দুই দলই এর বিরোধীতা করেছিল। কিন্তু পরে কোন দলই আর এর পরিবর্তন করেনি।

জেনারেল এরশাদের ঘনিষ্ট ছিলেন এমন একজন রাজনীতিক , যিনি পরে অন্য দলে গেছেন, তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আন্দোলনের মুখে জেনারেল এরশাদকে যখন ক্ষমতা ছাড়তে হয়, তখন তাঁকে বিদেশে চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি জেলে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেলেন। এটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ছিল বলে ঐ রাজনীতিক মনে করেন। "জেনারেল এরশাদ বিদেশে না গিয়ে দেশে ছিলেন বলেই পরে রাজনীতিতে টিকে গেছেন।"

জেনারেল এরশাদ তাঁর অনুপস্থিতিতে ছোট ভাই জি এম কাদেরকে জাতীয় পার্টির দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। তিনি উত্তরসূরি নির্ধারণ করতে গিয়েও কয়েকবার সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। ২০১৯ সালের শুরুতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সময় জি এম কাদেরকে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন।

মাসখানেক পর চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে জেনারেল এরশাদ তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদকে তাঁর পরবর্তী অবস্থানে নিয়ে আসেন। অল্প কিছুদিন পরই মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মধ্যরাতে জেনারেল এরশাদ হুইল চেয়ারে করে অসুস্থাবস্থায় সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে হাজির হন। তখন তিনি আবার জিএম কাদেরকে তাঁর উত্তসূরি হিসেবে ঘোষণা করেন।

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৭টা ৪৫ মিনিটে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

সংগৃহিত

পঠিত : ৭৮৪ বার

মন্তব্য: ০