বাংলাদেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদের থাবা...
তারিখঃ ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:২৩
ইসকন ( আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) সংগঠনটি ১৯৬৬ সালে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এরা কৃষ্ণভক্তির মাহাত্ম্য প্রচারের কথা বলে। এরা প্রথমেই সহজ সরল হিন্দু সমাজকে বোকা বানিয়ে মন্দিরগুলো তাদের করায়ত্ত করে এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী কার্যকলাপে ইন্দন দিতে থাকে। মূলত এরা হিন্দুত্ববাদী একটি চরমপন্থী সংগঠন। এসব নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সমাজের সাথে ইসকনী উগ্রবাদীদের সংঘর্ষও হয়েছে।
তবে ইসকনীরা আলোচনায় আসে ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি ঘটনায়। ওখানে ইসকনী মন্দিরে ঢোল, তবলা সহকারে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তারা আসর বসায়। এমনকি আজান জামায়াতের সময়েও তারা এসব বন্ধ করেনি। ওখানের লোকজন বারবার আজান জামায়াতের সময় তাদের আসর বন্ধ করতে অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। ফলে ওখানের জনগণের সাথে ইসকনীদের ছোটোখাটো একটা সংঘর্ষও হয়েছিলো। আর এটাই মনে হয় ইসকনীরা চেয়েছে। হিন্দু মুসলমান ভুয়া দাঙ্গার কথা প্রচার করে একদিকে যেমন তাদের বিদেশী প্রভুদের থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে। তেমনি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহাবস্থানের পরিবেশটাকেও নষ্ট করতে পারবে। পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেটা কোনোরকম সামাল দেয়া হয়।
তবে এতেও এই ইসকনী গুণ্ডারা দমেনি একটুও। ২-১ দিন আগে চট্টগ্রামে তাদের হিন্দুত্ববাদের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটে। খাবারের লোভ দেখিয়ে স্কুলের ছোটো ছোটো বাচ্চাদের কৃষ্ণ কৃষ্ণ কীর্তন গাইতে বাধ্য করে এবং তা ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। স্বাভাবিকভাবেই মুসলিমরা এসব মেনে নিবেনা। তারা অবশ্যই এর প্রতিবাদ জানাবে। এই সুযোগে হয়তো দু একটি ইসকনী মন্দিরে অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা ঘটবে। ফলে একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এদেশের জনগণকে নিয়ে নতুন নতুন গল্প তৈরী করে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে দিবে। সাম্রাজ্যবাদীদের নীল নকশা বাস্তবায়ন হবে।
যে সময় লাখ লাখ রোহিঙ্গার চাপে আমরা পিষ্ট। আসামে ৪০ লাখ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশী বলে নাগরিকত্ব হরণ। পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরার মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে ভারতের বিজেপি-আরএসএস সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। সে সময়ে আমাদের দেশে ইসকনী জঙ্গিদের এসমস্ত অপতৎপরতা আগুনে ঘি ঢালার কাজটিই করবে।
আমরা এদেশে হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থানে বাস করতে চাই। কিন্তু ইসকনীরা ভারতের হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সংগঠন আরএসএসের মতো এখানেও তাদের গুণ্ডামি করবে, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করবে। এহেন হিন্দুত্ববাদী, গেরুয়া বসনধারী টিকলীওয়ালাদের গুণ্ডামি আমরা এদেশে কখনোই মেনে নেবোনা।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
সংগৃহিত...
মন্তব্য: ০