Alapon

আবরার হত্যাকাণ্ডে পর পরবর্তি টার্গেট কে...?


‘একটা একটা শিবির ধর
ধইরা ধইরা জবাই কর’

শাহবাগে গণজাগরন মঞ্জে বসে এক্স বুয়েটিয়ান চমক হাসানরা এই স্লোগানই দিয়েছিল। কারণ, তাদের চোখে শিবির হত্যা করা কোনো অপরাধ নয়।

আবরার যদি সত্যিই শিবিরের কেউ হতো, তাহলে কি চমক হাসানরা প্রতিবাদ করতো? মনে হয়, করতো না!

কারণ, এই বুয়েটেই বিগত সময়ে সালাম দেওয়ার অপরাধে এক শিক্ষার্থীর হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দিনশেষে বলা হয়েছিল, সে শিবির! অতএব, তার হাত ভেঙ্গে দেওয়া বৈধ।

বিগত কয়েক বছরে সারাদেশে বহু শিবিরের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। খুব সম্ভবত, হত্যা করার জন্য প্রকৃত শিবিরদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হত্যা করার জন্য আবরারদের মত প্রতিবাদি ছেলেদের বাছাই করা হচ্ছে। তাহলে এরপর কাকে হত্যা করা হবে?

সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে বিখ্যাত কবি নাইমোলারের কবিতা ‘ওরা এসেছিলো...’ কবিতাটি একটু পড়ে দেখুন। আশা করি উত্তর খুঁজে পাবেন।

প্রথমে ওরা এসেছিলো কমিউনিস্টদের ধরতে,
আমি প্রতিবাদ করিনি।
কারণ, আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না ।

তারপর ওরা এসেছিলো সোস্যালিস্টদের ধরতে,
আমি প্রতিবাদ করিনি।
কারণ, আমি সোস্যালিস্ট ছিলাম না ।

তারপর তারা এসেছিলো ইহুদিদের ধরতে,
আমি প্রতিবাদ করিনি।
কারণ, আমি ইহুদি ছিলাম না ।

তারপর ওরা এলো আমাকে ধরতে
তখন আর আমার হয়ে
প্রতিবাদ করার কেউ ছিল না ।"

অতএব বুঝতেই পারছেন। পরবর্তি টার্গেট কিন্তু আপনি। তখন আপনার হয়ে প্রতিবাদ করার আর কেউ থাকবে না।

তাই হত্যাকান্ডকে ক্ল্যাসিফিকেশন করতে যাবেন না। হত্যা হত্যাই। সকল হত্যার বিচার হওয়া উচিত। সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। এবং সেই প্রতিবাদ একযোগে সকলেরই করা উচিত।

আজ আমরা প্রতিবাদি হলে আগামীকাল হয়তো নতুন কোনো আবরাকে জীবন দিতে হবে না। আবরারের মায়ের মত কোনো মায়ের বুক খালি হবে না। আসুন প্রতিবাদি হই।

পঠিত : ১৫৮৫ বার

মন্তব্য: ০