Alapon

ভোলায় মুসলিম হত্যার ঘটনা কিসের আলামত?


প্রথমে মনে রাখুন, ভারতে এ মাসেই বাবরী মসজিদ মামলার রায় ঘোষিত হওয়ার কথা।

এরপর ভাবুন, ভোলার একটা হিন্দু ছেলে তার ফেসবুক থেকে আল্লা ও নবীজীকে অবমাননা করে মেসেজ দেবে তার বন্ধুদের কাছে, যারা আবার এই মেসেজ ভাইরাল করবে?

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলছেন, “বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। আমরা হ্যাকিংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আটক করেছি।”

ইতোমধ্যে বিপ্লব চন্দ্র থানায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে৷

পুলিশ আরো বলছে, বিক্ষোভ মিছিলটি না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে তারা অনুরোধ জানায় এবং সাধারণ মানুষ আসার আগে বিক্ষোভটি বন্ধ ঘোষণা করতে বলে। তাদের অনুরোধে এ দুই ইমাম সকাল ১০টার দিকেই যেসব লোক এসেছিল, তাদের নিয়ে দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত করেন। কিন্তু ততক্ষণে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার লোক এসে ঈদগাহে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা ওই দুই ইমামের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং সেখানে থাকা পুলিশের ওপর চড়াও হয়।

এই হাজার হাজার মানুষ কারা আনলো এবং ক্ষেপিয়ে তুললো? আরেকটা তথ্য জানুন, ভোলা হলো সেই জেলা, যেখানের এক এমপি যুবলীগ নেতৃত্বের বস বলে কথিত, যে যুবলীগের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা এখন অভিযান চালাচ্ছেন।

“আজকে যখন এনারসি প্রতারণা নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা লেজেগোবরে, বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত রায় আসন্ন, আজকে যখন ভারতীয় অর্থনীতি মোদির ভ্রান্ত নীতিতে পর্যদুস্ত তখন তারা পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরির চক্রান্ত শুরু করেছে, আরাকান থেকে কাশ্মীরে, বাংলার পশ্চিম থেকে পূর্বে। এরা ঘৃণাবাদী রাজনীতির পুরানো খেলা শুরু করে দিয়েছে ভারতের সব রাজ্যে।”

তারই আজ্ঞাবহ রাতের ভোটে নির্বাচিত হাসিনা সরকার উগ্র হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট মোদীর অনুগ্রহভাজন হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে এখানকার জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী ঘৃণাকে আরো উস্কে দিচ্ছে, যাতে তা মোদী সরকারের জন্য শাপেবর হয়।

কারণ মুসলিম ধর্মভিত্তিক ভারত বিরোধী রাজনীতি এইখানে যত শক্তিশালী, যত ক্রিয়াশীল, যত দৃশ্যমান হবে, ভারতীয় রাজনীতিতে মোদীর রাজনীতির গ্রহণযোগ্যতা তত মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে।

আজ বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সত্যিকারের দেশপ্রেমিক মানবতাবাদী গণক্ষমতাতান্ত্রিক শক্তিকে এই শাখের করাতের মুখে থেকেই এই দেশের, দেশের মানুষের, প্রাণ-প্রকৃতির রাজনীতি বের করে আনার কঠিনের সাধনা করতে হবে।

নিজের নিরাপত্তার জন্য, নিজের টাকায় কিনে দেয়া বন্দুকের গুলিতে, নিজেদের টাকায় বেতন দিয়ে নিযুক্ত সন্তানের মতো, ভাইয়ের মতো পুলিশের হাতে জীবন দেয়া মানুষেরা আমাদেরকে সেই শাখের করাতের উপর দিয়ে হাঁটার রক্তাক্ত আহ্বানই জানায়ে গেলো।

এদেশের সংখ্যাগুরু মুসলমানদের প্রতি সেই আহবান: আমরা যেন তেমন আচরণ না করি, যেই আচরণে ভারতের হিন্দ্ববাদী-জঙ্গী মোদী সরকার আর তার এ দেশীয় এজেণ্ট শেখ হাসিনা সরকার লাভবান হয়। সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করে আমরা যেন ওদের চক্রান্তের জবাব দিই।

রাখাল রাহা’র পোস্ট থেকে কপি।

পঠিত : ১৫০৬ বার

মন্তব্য: ০