Alapon

তুরস্কের কোনিয়া: ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এক আধ্যাত্মিক শহর



তুরস্ক, সুপ্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সুবিশাল এক দেশ। যেখানে মিলন ঘটেছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের, এশিয়ার সাথে ইউরোপের। বাইজান্টাইন, ইষ্টার্ন রোমান, সেলজুক ও অটোমান সাম্রাজ্যের দেশ এই তুরস্ক। উসমানীয় সাম্রাজ্যের (১২৯৯-১৯২৩) ছয়শত বছরের শাসনের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি দেশ। আজকের প্রায় ৪২ টি দেশ বা দেশের অংশবিশেষ মিলিয়ে ছিলো উসমানীয় সাম্রাজ্য, যাকে 'অটোমান এম্পায়ার' বলা হয়ে থাকে। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহর ছিল উসমানীয় শাসনের মূলকেন্দ্র। মূলত: উসমান শব্দটিকে বিকৃতরুপে অটোমান বলা হয়ে থাকে।

এশিয়া ও ইউরোপ এবং ইসলাম ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মিলনস্থল এই দেশ। আয়তনের দিক দিয়ে তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে পাঁচগুন বড়। জনসংখ্যার বিচারে বলা যায় তুরস্কের জনসংখ্যা বাংলাদেশের অর্ধেক। আধুনিক গবেষণায় জানা যায়, পৃথিবীর প্রথম মানব বসতি হিসেবে তুরস্কের কোনিয়া অঞ্চলের ‘চাতেলহিউক’ নামক স্থানটিকে চিহ্নিত করা হয়। সেখানে সাড়ে নয় হাজার বছরের প্রাচীন গ্রাম বা শহর অর্থাৎ মানব বসতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এর থেকে প্রাচীন মানব বসতি আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

মজার ব্যাপার হলো, সাড়ে নয় হাজার বছর আগের এ মানব বসতির ঘরগুলোতে কোন দরজা ছিলো না। সিঁড়ি বেয়ে ঘরের ছাদে উঠে ছাদে থাকা ছিদ্র দিয়ে দড়ি/রশির তৈরী সিঁড়ি বেয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা ছিলো। সম্ভবত তখনও দরজা আবিষ্কারই হয়নি। এ থেকেই তুরস্কের প্রাচীনত্বের ব্যাপারে ধারনা মিলে। আমার সৌভাগ্য হয়েছে সে ঐতিহাসিক জায়গায় ভ্রমণ করার এবং সংরক্ষিত ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার।

আজ পুরো তুর্কির গল্প নয়, কেবল সেই প্রাচীন শহরটির গল্প বলবো। হ্যাঁ, আমি তুরস্কের সবচেয়ে বড়, প্রাচীন ও রক্ষণশীল আধ্যাত্মিক শহর কোনিয়াকে নিয়ে লিখতে বসেছি।

জাতি হিসেবে তুর্কীরা বেশ প্রাচীন এবং সংখ্যায় বিশাল। সেই মধ্য এশিয়ার (চীনের পার্শ্ববর্তী) মঙ্গোলিয়া থেকে শুরু করে কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চীনের উইঘুর, ইরান, সিরিয়া, রাশিয়াসহ ইত্যাদি দেশসমূহে অসংখ্য তুর্কী জনগোষ্ঠির বাস। উল্লিখিত অঞ্চল বা দেশ সমূহ থেকেই এক পর্যায়ে বর্তমান তুরস্কে চলে আসে তদেরই একটি অংশ। এদের আগমনের আগে এখানে স্থানীয় স্বল্পসংখ্যক আদিবাসীরা বসবাস করতো। তুর্কীদের জীবনযাপনে আজও যাযাবর জীবনের অস্তিত্ব বিদ্যমান। খাদ্যাভ্যাস, পোষাক পরিচ্ছদ, হস্তশিল্প ও সূচীকর্ম ইত্যাদিতে এর সুস্পষ্ট পরিচয় রয়েছে। যাযাবর জীবনের জন্য সহজলভ্য খাবার ফলমূল, ঘি, পনির, তুরস্কের খাবার তালিকায় আজও প্রাধান্য পায়।

কোনিয়াকে বলা হয় শান্তির শহর, এটি তুর্কীর আনাতোলিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত। এই শহরটি আধ্যাত্মিক দরবেশ, সুফী সাধক এবং সেলজুক সাম্রাজ্যের অসাধারণ আকির্টেকচার নিদর্শনগুলোর জন্য সুপরিচিত। বিশেষ করে সুফী সম্রাট ও আধ্যাত্মিক কবি আল্লামা জালাল উদ্দিন রুমীর শহর হিসেবে কোনিয়া বেশ সুপরিচিত। মসনবি রচয়িতার এ বিশ্ব বিখ্যাত সুফী সাধক ১৩ শতকের পার্সিয়ান সুন্নী মুসলিম কবি, বিচারক, ইসলামিক পন্ডিত এবং আধ্যাত্মিক সুফী সাধক ছিলেন। আমাদের দেশেও তার নাম জানে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সুফী সাধক ও মসনবি রচয়িতা হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। এমন মহামানবের স্মৃতি বিজড়িত শহরে পদার্পণ করে আমি খুবই ভাবাবেগে আপ্লুত ছিলাম।

কোনিয়ার গল্প বলার আগে আল্লামা জালালুদ্দিন রুমীর সম্পর্কে কিছু বলা জরুরী মনে করছি। তিনি ৩০ শে সেপ্টেম্বর ১২০৭ সালে বালখে (যা বর্তমানে আফগানিস্তান) একটি ধর্মপ্রাণ সুফী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সময়ে মঙ্গলীয়রা যখন এশিয়ার মধ্যে আক্রমণ করে তখন তার বাবা পরিবার ও শিষ্যদেরসহ বাগদাদ, দামেস্ক এবং অন্যান্য মুসলিম দেশ অতিক্রম করে অবশেষে মক্কা শরীফে হজ পালন করে কোনিয়ায় স্থায়ী হন। মাওলানা রুমী তার বাবার অন্যতম শিষ্য বুরহান উদ্দীন মুহাবকিব তিরমিযীর শিষ্য ছিলেন। তাঁরই তত্ত্বাবধানে তিনি আধ্যাত্মিক সাধক হোন। প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেন।

তাঁর বাবা বাহাউদ্দীনের মৃত্যু পর ১২৩১ খ্রিষ্টাব্দে রুমী বাবার স্থলাভিষিক্ত হন এবং একজন নামকরা ধর্মগুরু হয়ে উঠেন। তিনি কোনিয়ার মসজিদে ধর্ম প্রচার করতেন। তাঁর ২৪ বছর বয়সে তিনি ধর্ম বিজ্ঞানের উপর একজন অপ্রতিরোধ্য পন্ডিত হয়ে উঠেন। তাঁর পরম নিকটতম বন্ধু আরেক সুফী দরবেশ শামসুদ্দিন এর হত্যাকাণ্ডে তিনি খুবই মমার্হত হন এবং তাঁর শোককে তিনি গান, নাচ এবং কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি এ সময় গজল রচনা করেন যা দিওয়ান-ই-কবির বা দিওয়ান-ই-শামস্‌ নামে সুপরিচিত। তিনি তাঁর জীবনের পরবর্তী সময় আনাতোলিয়ায় কাটান এবং ছয় খন্ডের তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি মসনবী রচনা করেন।

তাঁর বইগুলো পুরো পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষায় যথা রাশিয়ান, জার্মানি, উর্দু, তুর্কী, আরবি, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ এবং বাংলা ভাষায় অনুদিত হয়। এই সুফী সাধক ১৭ই ডিসেম্বর ১২৭৩ খ্রিষ্টাব্দ সেলজুক সাম্রাজ্যের সময়কালে ইন্তেকাল করেন। তাঁর পিতার পাশেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর স্মরণে ও শ্রদ্ধায় মেভলানা মুসলিয়াম নামে একটি মাজার কোনিয়ায় নির্মাণ করা হয়।

আমি আংকারা থেকে ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে কোনিয়ায় পৌঁছে যাই। কোনিয়ায় প্রথমে আল্লামা রুমীর সেই মেভলানা মারকাযে যাই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁর ভক্তরা এখানে এসে ভীড় করেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সেদিন মাওলানার ভক্তদের ভীড় একটু বেশিই ছিলো। ভীড় ঠেলে আমি ঘুরে ঘুরে এই মহান সাধকের মারকাযের সবকিছু দেখায় মনোনিবেশ করলাম। মূল হলঘরে (সবুজ গম্বুজ) দরবেশদের সমাধি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন শিল্পকর্মের মাধ্যমে ইসলামিক বাণী এবং মূর্তি। আল্লামা রুমীর পিতার কবরের নিকটেই তাঁর কবর যা ধারাবাহিক ভাবে পিতার প্রতি সম্মানের নিদর্শন। আর এভাবে গুরুশিষ্য সম্মান অনুসারে অন্যান্য আধ্যাত্মিক সাধকদেরও কবর আছে সেখানে। মূল ঘরের দুইপাশে বর্ধিত অংশকে সেমিহেন বলে। বতর্মানে এ ঘরগুলো মাওলানা রুমীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র দিয়ে যাদুঘর হিসেবে সাজানো হয়েছে।

এতে অটোম্যান ও সেলজুক সম্রাটদের বিবিধ জিনিসপত্রও প্রদশর্নীর জন্য রাখা হয়েছে। এতে আছে ১৩ শতকে সোনা দিয়ে লিখিত কুরআন, মূল্যবান সিল্ক কার্পেটের জায়নামাজ দ্যা মেগনিফিসেন্ট সুলতান সুলেমানের আমলে মাজারের ডানপাশে সুলতানের পত্নী হুররাম সুলতানের সমাধি এবং দরবেশদের জন্য ব্যবহ্নত রান্নাঘর। রান্নাঘরের একাংশ শিষ্যদের দীক্ষা দেবার জন্য এবং সামা শিক্ষা দেবার জন্য ব্যবহৃত হতো। মাজার প্রাঙ্গনে (মধ্যর্বতী স্থানে) একটি সুন্দর ফোয়ারা আছে। এটি সুলতান সেলিম নির্মাণ করে দেন। সুলতান সুলেমানের সময় সেমিহেন সংলগ্ন ছোট মসজিদও বানানো হয়। এই হলে দরবেশরা তাদের বিভিন্ন বাদ্য যন্ত্রের সুরের তালে তালে সামা নৃত্য পরিবেশন করতেন।

বর্তমানে এগুলোর সবই প্রর্দশনীর জন্য সেখানে রাখা আছে। প্রতিটি রুমে কি করা হতো তা বিভিন্ন প্রতিমূর্তি বানিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বস্তুতঃ মসজিদ ও কবর সংলগ্ন এলাকায় এভাবে বানানো প্রতিমূর্তি দেখে আমি কিছুটা অস্বস্তিবোধ করি। তবে ইতিহাসিকে আকর্ষণীয় করার জন্য পবিত্র মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন যাদুঘরে ডামিরুপী মূর্তিগুলোর অবস্থান বেদনাদায়ক হলেও ইতিহাসকে জীবন্তরুপে দেখা যায়। একদম তরতাজা মনে হয়।

এছাড়াও একটি রুমে মাওলানা রুমীর রচিত ১৩৬৬ সালের দিওয়ানই কেবির এবং মসনভীর (১২৭৮ ও ১৩৭১ সালের) কপি রয়েছে। কবর সংলগ্ন লাগানো মসজিদের ঘরটিতে বহু পুরানো এবং বিভিন্ন সময়ের কুরআনের কপি, মূল্যবান জায়নামাজ প্রদর্শনীর জন্য রয়েছে। এতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু ছিল একটি ছোট গ্লাসের বাক্সে হযরত নূরে মুহাম্মদ (সাsmile এর দাঁড়ি মুবারক রাখার বাক্স, যার চার কোনায় ছোট চারটি ফুটা আছে।

যাইহোক, সুফী সম্রাট আল্লামা রুমী (রঃ) মাজার জিয়ারত শেষে কোনিয়া প্যানরমায় গিয়ে (মিউজিয়াম) মনে হচ্ছিলো আমি হাজার বছর পেছনে ফিরে গেছি। তার্কি জাতির আবির্ভাব থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিবর্তনকে এত সুন্দর করে চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছে, যা যে কারো মন কাড়বে। মজার বিষয় হলো তুর্কির টেলিভিশন সিরিজ 'দিরিলিস আর্তুরুল' যারা দেখেছে তাদের কাছে মনে হবে একদম তার সামনে সব শুটিং, প্রতিটা স্লট এতই জীবন্ত করে তৈরি করা হয়েছে। এই গল্পের রাজ্যে ইস্তাম্বুল ও আনাতোলিয়ার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলো যেমন: হাজিয়া সোফিয়া, দোলমাবাগচী প্যালেস, তোপকাপি প্যালেস, ইজমির টাওয়ার, রুমেলী র্ফোটেস প্রভৃতির জমি অত্যন্ত নিখুতঁ ও সূক্ষভাবে বানানো হয়েছে। এছাড়া এখানে কাপডোকিয়ার ফেইরী চিমনী, মাওলানা রুমীর মাজার, সেখানকার নাম করা মাদ্রাসা, আতাতুর্কের মাজার এরূপ অগণিত স্থাপনা এবং সুলতান ও বিশেষ ব্যক্তিদের মূর্তি স্থান পেয়েছে।

মিউজিয়াম পরিদর্শন শেষে কাছাকাছি সুলতান আলাউদ্দিনের পার্ক গেলে আরও কিছু ইতিহাস চোখের সামনে ভেসে উঠে। বিশাল পার্কে নানারকমের রঙ বাহারের গোলাপ এবং অন্যান্য ফুলে ভরা পার্ক। মাঝে মাঝে সুন্দর বসার চেয়ার এবং ফোয়ারা রয়েছে। ছায়ায় আবৃত, নিরিবিলি ছবির মতো সাজানো পার্ক। পার্কের কাছে রয়েছে আলাউদ্দিন মসজিদ। এটি শহরের উঁচু স্থানে নির্মিত বলে একে মনুমেন্ট হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও এতে বিভিন্ন সময়ের সম্রাটদের সমাধিস্থলও রয়েছে। এটি ১২ ও ১৩ শতকের মাঝামাঝি নির্মিত হয় এবং সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের নাম অনুসারে এর নামকরণ করা হয়।

চারদিকে পাহাড়ঘেরা মাঝখানে সমতল চিমচাম সাজানো গোছানো শহর ছেড়ে এবার একটু বাহিরে যাওয়া যাক। শহর থেকে অদূরে পাহাড়িয়া একটি দৃষ্টিনন্দন এলাকা সিললে। সিললে সুকামি কোনিয়া শহরের নিকটে একটি ছোট গ্রাম। সেখানে আয়া এলিনা চার্চ ও যাদুঘর এবং নিকটেই সুবিশাল পার্ক, লেক ও ডেভিল ব্রীজ রয়েছে। প্রায় চারশো মিলিয়ন লিরা খরচ করে নির্মিত এই মনোরম সুশোভিত পার্ক দেখে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে। ১৯২২ সাল পর্যন্ত এখানকার লোকেরা কাপাডোকিয়া গ্রীক ভাষায় কথা বলতো।

সেলজুক সময়ের পাথুরে রাস্তা ধরে বেয়ে গেলে সেখানকার প্রসিদ্ধ আয়া এলিনা চার্চের পাশে পাহাড়ের গায়ে অনেক গুহার দেখা মেলে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রোম সাম্রাজ্যের সময় শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে গুহার ভিতরে মানুষ বসবাস করতো, খ্রিষ্টান আর মুসলিমরা একই গুহায় থাকতো। পাহাড়ের উঁচু স্থানে প্রাচীন আকর্ষনীয় চার্চটি অবস্থিত। এটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ।

শত শত বছর পূর্বে রোম সাম্রাজ্যকালে বাইজেন্টাইনের রাজা কনস্টেনটাইন এর মা হেলেনা তাদের পবিত্র স্থান জেরুজালেমে যান। এই লম্বা সফরের পথিমধ্যে তিনি কোনিয়া অবস্থান করেন। এখানে প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের বিভিন্ন নিদর্শন, সুন্দর সুন্দর মন্দির, গীর্জা প্রভৃতি দেখে তিনি আয়া এলিনা চার্চ নিমার্ণ করতে বলেন। বিশেষ করে মিলান আর্কহেন কোলোস এর জন্য যিনি বাইবেল অনুসারে খ্রীষ্টানদের চার্চ বিরোধী ছিলেন। পরর্বতীতে নানা সংস্করণ এবং সংযোজনের মাধ্যমে বর্তমানের আয়া এলিনা চার্চ। বর্তমানে এটি মিউজিয়াম হিসেবে সংরক্ষিত এবং প্রচুর পর্যটক প্রাচীনতম এই নিদর্শন দেখতে আসে।

চার্চের ভিতরে গ্রীক হরফে এর সম্পর্কে তথ্য, ইতিহাস লেখা আছে। চার্চটি মসৃন সিল্লে পাথর দিয়ে বানানো। এর দেয়ালগুলো ভার্জিন মেরী, জিসাস ক্রাইস্ট এবং তার অনুসারীদের ছবি সম্বলিত। চার্চের আশে পাশে পাথুরে পাহাড় ঘেরা। এখানে অনেক পাথুরে বাড়ী দেখতে পাওয়া যায়। পাথুরে পাহাড়ের মাঝেই দেখা মিলে কথিত শয়তানের ব্রীজ বা ডেভিল ব্রীজ।

কোনিয়ার সৌন্দর্য নিয়ে এভাবে বলতে গেলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে, আজকাল তো মানুষ আবার বড় ফিচার পড়তে চায় না। কোনিয়ার মানুষদের সম্পর্কে এক লাইনে এতটুকু বলা যায়- তুরস্কের নাম শুনলে আপনার মানসপটে যে দৃশ্য ভেসে উঠে তার প্রায় অনেকটাই কোনিয়ার চিত্র।

এখানের মানুষের বেশভূষা, চালচলন, আচার-ব্যবহার তুরস্কের অপরাপর শহরগুলো থেকে কিছুটা আলাদা। একটু রক্ষণশীল, ইসলামে ছাঁচে ঢালা, ভালো লাগার মতো একটা পরিবেশ। মনের দিক থেকে চমৎকার। আমি বার বার আসতে চাই কোনিয়ায়।

পঠিত : ১৪৮৮ বার

মন্তব্য: ০