Alapon

বুক রিভিউঃ সানজাক ই উসমান-অটোমানদের দুনিয়ায়

বইঃ সানজাক ই উসমান-অটোমানদের দুনিয়ায় 
লেখকঃ প্রিন্স মুহাম্মদ সজল
প্রকাশনীঃ গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
মূল্যঃ ইসলামী বই মেলায় ৪০% ছাড়ে ৩০০/-



১০/১৫ বছর আগে উসমানী খেলাফত এর ব্যাপারে টুকটাক পড়াশুনা করেছিলাম তবে মনোযোগ আকর্ষণের মত ছিল না। এরদোয়ান এর নেতৃত্বে আধুনিক তুরস্কের উত্থানের পর মনোযোগ আকর্ষণ করে সবার । দিলিরিস আরতোরুল টিভি সিররিয়াল দিয়েই মূলত অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস জানার দিকে মনোযোগ ধাবিত হয়। নেটে সার্চ দিয়ে যা পাওয়া যায় কিছুটা পড়ে ফেলি। এই সময়েই গার্ডিয়ান প্রকাশনীর হাত ধরে বাজারে হাসে সানজাক ই উসমান।

আমার যা লেখার দক্ষতা আছে তাতে এই বই এর ব্যাপারে রিভিউ লেখার যোগ্যতা আমার নেই। আমি শুধু যেটুকু করতে পারি সেটা হল বই পাঠ করার পর আমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে।

*** বইটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের এক অমূল্য দলিল হতে পারে। তবে লেখক ইতিহাসের গ্রন্থসমূহের প্রচলিত পদ্ধতিতে জাননি। ইতিহাস গ্রন্থগুলো সাধারনত কাটখোট্টা টাপের হয় অপরদিকে ঐতিহাসিক উপন্যাসে রংচং এর ভিড়ে ইতিহাস হারিয়ে যায় নয়তো বিকৃত হয়ে যাবার উপক্রম হয়। লেখক এখানে ভিন্নপথে হেঁটেছেন। সাল তারিখ এর উপরে জোর না দিয়ে যা ঘটেছে সেই ঘটনার বর্ননার উপরে জোর দিয়েছেন। ফলে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ঠিক যা যা ঘটেছে তার নিখুত ছবি ফুটে উঠেছে। লেখকের শব্দচয়ন আমার নজড় কেড়েছে। শব্দচয়নের কারনেই মনে হয়েছে এটা ইতিহাস গ্রন্থ নয় এটা এক কালজয়ী ঐতিহাসিক উপন্যাস। ঐতিহাসিক উপন্যাসের মত অতিরিক্ত রঙ চং না এনেও যা যা ইতিহাসে বিদ্যমান ছিল সেটাকেই রঙিন করে উপস্থাপন করে সত্যি এক অপূর্ব ছবি আঁকতে সমর্থ হয়েছেন নিঃসন্দেহে। কোন কিশোর থ্রিলার সিরিজ যেভাবে কিশোর বয়সীদের নেশার মত ডুবিয়ে রাখে এই বইটিও সেভাবে নেশা ধরিয়ে দেবার মত করেই উপস্থাপন করতে পেরেছেন লেখক। লেখকের ভাষায়ঃ

“ইতিহাস হল শব্দের ক্যানভাসে সময়ের ছবি আঁকা। ----- আমি এখানে নতুন ক্যানভাসে নতুন রঙ তুলি ব্যবহার করে ভিন্ন এক ছবি আঁকার পথে হেঁটেছি”।

আমার দৃষ্টিতে লেখক এখানে ভিন্ন পথে সেই ছবি আঁকতে পুরোপুরি সফল হয়েছেন।

*** বইটিতে সাতটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়ে মঙ্গলদের চিত্র তুলে ধরেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে মঙ্গলদের প্রতিরোধে মামলুকদের চিত্র। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়ই মূলত বই এর মূল আলোচিত অধ্যায়। উসমানীদের চিত্র। শেষ দুটি অধ্যায় সংশ্লিষ্ট কিছু পর্যালোচনা।

*** বইটি আমার কাছে মনে হয়েছে একটা মুভি। এটা নিঃসন্দেহে লেখকের কৃতৃত্ব। যে অধ্যায়টাই পড়া শুরু করেছি মনে হয়েছে মুভি দেখছি। পুরো ছবিটাই মনের মাঝে গেঁথে যাওয়ার মত উপস্থাপনা। আর শুরুতেই মঙ্গলদের পরিচয় উপস্থাপন যেন এমন মুভির ভিলেন কে পরিচয় করিয়ে দেবার পর আসে নায়কের পরিচয়, নায়কের পার্ট। ঠিক তেমনটাই। সারা দুনিয়া কাঁপানো মুসলিমদের কেন জঙলী মঙ্গলরা দাসের জাতিতে পরিণত করতে পেরেছিল তার নিখুঁত বিবরণ ফুটে উঠেছে। চেঙ্গিস খানের অবহেলিত ছোটবেলার জীবন তাকে করেছিল নিষ্ঠুর। তেমনি শারীরিক শক্তি এবং নিজের ভেতরে থাকা নেতৃত্বের গুনই তাকে তার যাযাবর  বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর প্রধান বানিয়েছে। সেই সাথেই কিছু অপরিহার্য গুন তার বাহিনীকেও অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত করেছিল। যাদের আনুগত্য, শৃঙ্খলা, দক্ষতা আর বিশ্বস্বতা হিটলারের নাজি বাহিনীকেও ছাড়িয়ে গেছিল। কেউ নেতার সাথে মিথ্যে বলতে পারত না, মিথ্যের শাস্তি একটাই- মৃত্যু। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কেউ পালালে সেই দল থেকে একজন পালাবে ঐ দলের বাকি সবাইকে জবাই করা হবে। এমন কঠোর  আনুগত্য, শৃঙ্খলা, দক্ষতা আর বিশ্বস্বতাই চেঙ্গিস খানের বাহিনীকে করেছিল অপরাজেয়। আর এজন্যেই তারা বইয়ে দিয়েছিল  রক্তের  সমুদ্র। চার কোটি মানুষের রক্তে গোসল করে উল্লাস করতে পেরেছিল চেঙ্গিস এর দল।

*** মঙ্গলদের ইয়াজুজ মাজুজ মনে করে ভয়ে কম্পমান মুসলিম বিশ্ব যখন বিনা প্রতিরোধে খুন হচ্ছিল তখনই মঙ্গলদের সামনে আতংক হিসেবে উপস্থিত হলেন মামলুকরা। সুলতান বাইবার্স এর নেতৃত্বে মামলুকরা মুসলিমদের মন থেকে ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন ইয়াজুজ মাজুজ ভীতি। প্রতিটা অধ্যায়ের বর্ণনাই এক একটা জীবন্ত ছবি অথবা মুভির মত করেই উপস্থাপণ করেছেন লেখক। সুলতান বাইবার্স এই মঙ্গলদের হাতেই দাস হিসেবে জীবণ শুরু করেছিলেন। পরে আইয়ুবী সুলতানের দেহরক্ষী হিসেবে জীবন শুরু হয়। এদের বলা হত বাহরী মামলুক। শারীরিক শক্তিতে এরা মঙ্গলদের ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দশ কেজি ওজনের বর্ম, সাড়ে চার কেজি ওজনের দুটি তলোয়ার, ছয় কেজি ওজনের বর্শা, তীর ধনুক মিলে চল্লিশ কেজি নিয়ে আনায়াসেই এরা ছুটতে পারত এবং এক ঘোড়ার  পিঠ থেকে অন্য ঘোড়ার পিঠে চড়তে পারত এবং নিখুঁত তীর চালাতে পারত। এদের হাত ধরেই মঙ্গলদের হাতে নিঃশ্বেষ হতে যাওয়া মুসলিম বিশ্ব আবার ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছিল। সুলতান বাইবার্স মঙ্গলদের জবাব দিয়েছিলেন ঠিক সেই মঙ্গলদের নিষ্ঠুরতার মাধ্যমেই। এই অধ্যায়ে দেখা যায় নিষ্ঠুর মঙ্গলদের পতনের দিক।

*** এর পরেই মূলত বই এর মূল আলোচনা শুরু। গাজী আরতুরুল এর ছেলে গাজী উসমানের হাত ধরে শুরু । উসমানের ছেলে ওরহান গাজী, ওরহান গাজীর ছেলে সোলায়মান পাশা ও মুরাদ গাজী, মুরাদ গাজীর ছেলে বায়েজিদ দ্য থান্ডারবোল্ট। মূলত মুরাদ গাজীর হাতেই অটোমান সাম্রাজ্যের ভীত মজবুত হয়। এর পর বায়েজিদের হাতে তা প্রসারিত হয়। কিন্ত সেই বায়েজীদের হাতেই তা আবার ৫০ বছরের জন্য পিছিয়ে যায়। বায়েজিদ এর হঠকারীতায় তৈমুর লং এর সাথে যুদ্ধে শেষ হয়ে যায় অটোমানের ভিত ।

প্রতিটি অধ্যায় এর নিখুঁত বর্ননা আমি খুব কম বইতেই  দেখেছি। প্রতিটি ঘটনাকে জীবন্ত করে তুলতে লেখক এর প্রচেষ্টা চোখে পড়বে যে কোন পাঠকের।
তৈমুর লং এর সাথে যুদ্ধে হারার আগ মুহুর্ত বায়েজিদ তার ছেলেদের পালাতে দিতে পেরেছিল। ফলে বেচে যায় অটোমানের বীজ।

খ্রীস্টান ঐতিহাসিকরা প্রায়শই ইতিহাস লিখতে গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন মুলক কান্ড করে বসতেন। তবে লেখক এখানে গুনকে গুণ এবং দোষকে দোষ হিসেবেই উল্লেখ করতে পেরেছেন। অটোমান শাহাজাদারা একে অপরকে খুন করে গদি দখল করেছিলেন এবং সেই সাথে যেসব দোষ গুলো তাদের মান কে ক্ষুন্ন করে ছিল পুরোটাই ফুটে উঠেছে লেখকের তুলিতে। অটোমান গৃহযুদ্ধের ছবিও ফুটে উঠেছে এখানে।

বায়েজিদের ছেলেদের অন্তর্কলহের  পর পঞ্চম অটোমান সুলতান হিসেবে সিংহাসনে বসলেন সুলতান মুহাম্মদ। তাকে বলা হয় অটোমান সালতানাতের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা।
 পুরো কাহিনীকে সম্পূর্ণ করার জন্য যে যে চরিত্র প্রয়োজন তাদের প্রতিটি চরিত্র আলদা আলাদা ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। খ্রীস্টান ক্রুসেডারদের মধ্যে যেসব জেনারেল এর সাথে অটোমানদের লড়াই হয়েছে প্রত্যেক চরিত্রকে জীবন্ত রূপদানের চেষ্টা করেছেন।

*** পুরো বই এর মূল ফোকাস ছিল সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ এর হাতে কনস্টান্টিনোপল বিজয় এর ঘটনার দিকে  যিনি ছিলেন সুলতান ২য় মুরাদের ছেলে। পুরো বই এর মূল ফোকাস  কনস্টান্টিনোপল বিজয় কেন হল তার একটা বর্ননা এসেছে এখানে। রাসূল সাঃ এর ভবিষ্যতবানীর সূত্র ধরে সাহাবীরাও চেষ্টা চালিয়েছেন একের পর এক। সবগুলো চেষ্টাই ছিল ব্যর্থ। রাসূল সাঃ বলেছেনঃ “আমার উম্মতের  এক সেনাদল কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করবে। কতই না মুবারক সেই দল, কতই না মোবারক সেই সেনাপতি”।  তিনি আরো বলেছিলেন, যে সেনাদল প্রথম কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে”। এই ঘোষনার সূত্র ধরেই কনস্ট্যান্টিনোপল জয় এর উদ্দেশ্য যারা মার্চ করেছিলেন তাদের মাঝে ছিলেন ৮০ বছর বয়সী হযরত আইয়ুব আল আনসারী রাঃ। কনস্ট্যান্টিনোপল এর কাছে গিয়ে তার  মৃত্যু হয়।

সুলতান মুহাম্মদ কে কৈশরে অযোগ্য ভাবা হত। ছিলেন একগুয়ে। শাইখুল ইসলাম আঁকা শামসুদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে কালক্রমে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন আধ্যাত্মিক গুন সহ নানা গুনের অধিকারী। তুখোড় রাজনীতিবিদ, যুদ্ধবিদ্যার ইতিহাসে মাস্টারমাইন্ড টেকটিশিয়ান। তিনি সাতটি ভাষা অনর্গল বলতে পারতেন। ছিলেন একজন দক্ষ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।

 কনস্ট্যান্টিনোপল জয় এর কাহিনীর বর্ননা এতটাই সাবলিল যে মনেই হবে মুভি দেখছি। মনের মাঝে গেঁথে যাওয়ার মত। হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মত বর্ননা। চোখের সামনে ই যেন ঘটনা ঘটছে মনে হবে। এটাই লেখকের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য।

১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল সুলতান মুহাম্মদ এর বাহিনী কনস্ট্যান্টিনোপল অবরোধ করে। এই কনস্ট্যান্টিনোপল হাজার বছর ধরে খ্রীস্টানদের বিজয়ের প্রতীক হিসেবে মাথা উচু করে ছিল। এর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল দুর্ভেদ্য এবং অজেয়। এক মাস ধরে হাজারো উপায়ে চেষ্টা করেও কোন উপায় হচ্ছিল না অথচ অটোমান হাজার হাজার সৈনিক শহীদ হয়ে যাচ্ছিলেন।
২৪ মে সুলতান মুহাম্মদ এর আধ্যাত্মিক গুরু শাইখুল ইসলাম আঁকা শামসুদ্দিন তার সাথে দেখা করতে এলেন। তিনি বললেনঃ আমি পর পর সাত দিন হযরত  আইয়ুব আনসারি  রাঃ এর কবর  স্বপ্নে দেখছি। বিজয় হবে কি হবে না তা আল্লাহ জানেন আসো  আগে আইয়ুব রাঃ এর কবর খুজে বের  করি। ২৫ মে কবর  পাওয়া গেলে কফিন খোলা হল। হযরতের হাতে একটা কাগজে লেখা ছিলঃ
“তোমরা যদি কোনদিন কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করতে  পারো, তাহলে শহরের একটু মাটি আমার হাতে দিও”। সুলতান কাঁদতে কাঁদতে তাবুতে চলে  গেলেন।বের হয়েই ঘোষণা দিলেনঃ হয় বিজয় নয় মৃত্যু এর বিকল্প নেই।

অবশেষে এলো কাঙ্খিত বিজয়। সত্য হল রাসূল  সাঃ এর ভবিষ্যতবানী ঠিক তার ইন্তেকালের ৮২১ বছর পর। কনস্ট্যান্টিনোপল এর নাম করা হল ‘ইসলামবুল’ অর্থাৎ ইসলামের ঘর।

এই কাহিনীর পরে অটোমান প্রশাসনের বিশাল এক ছবি আঁকার সাথে সাথেই মূলত বই এর পরিসমাপ্তি হয়। সাথে প্রাসঙ্গিক অনেক গুলো ছবি আঁকা হয়েছে। যেমনঃ ইউরোপের প্লেগ রোগে ছয় থেকে আট কোটি লোকের মৃত্যুর কারন সেই ব্লাক ডেথ কাহিনি, অটোমানদের হাতে পিচাশ ড্রাকুলার মৃত্যু, হেরেমের বর্ণনা, ক্রুসেডারদের সাথে নানা যুদ্ধের বর্ণনা, মঙ্গলদের শেষ উত্তরাধিকারীকেও পরাজিত করা,  স্পেনে মুসলিমদের পতন ও অটোমানদের স্পেনের মুসলিমদের সাহায্য করার ঘটনা। এভাবেই বইটি শেষ হয়।

শেষের দৃশ্যে এসে মনে হয় শেষ হয়েও হইলো না শেষ। কারন সুলতান মুহাম্মদ এর পরেও অটোমানদের বিশাল সময় রয়ে যায়। এর অর্থ এটাই মনে হয় যেঃ লেখক এই বই এর দ্বিতীয় কিস্তি বের করার  একটা ইংগিত রেখে গেলেন।

বইটির প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে রেফারেন্স । তাই এটি প্রথাগত ঐতিহাসিক গ্রন্থের নিয়ম ভঙ করে নি। তবে প্রতিটি অধ্যায় এর শুরুতে ও শেষে লেখকের নিজস্ব কিছু মতামত সন্নিবেশিত করা হয়েছে। নিজস্ব বর্ননা ভঙ্গি ও মৌলিক কিছু বিশ্লেষণ এরকারনেই বইটি হয়তো অন্যান্য ইতিহাস গ্রন্থের থেকে আলাদা এক মর্যাদা পাবে। আজ হতে শত বর্ষ পরে হয়তো আমরা লিখতে পারব, ঐতিহাসিক প্রিন্স মুহাম্মদ সজল তার বিখ্যাত গ্রন্থ “সানজাক ই উসমান” গ্রন্থে ঠিক এভাবে লিখেছেনঃ “”।

একটা পরামর্শ থাকবেঃ ঘটনা প্রধান বর্ণনা হওয়াতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা পাঠকের পক্ষে কঠিন হতে পারে। তাই শেষে এক নজরে সুলতানদের বংশানুক্রমিক তালিকা দেয়া যেতে পারে। বা মঙ্গলদের বংশানুক্রমিক তালিকা। আর দ্রুতই দ্বিতিয় বই বের করার পরিকল্পনা মাথায় রাখা আল্লাহ লেখককে এই কাজের জন্য দুনিয়া আখেরাতে উত্তম জাজাহ দান করুন। মেধা বৃদ্ধি করে দিন।

পঠিত : ৩৪৯৭ বার

মন্তব্য: ০