Alapon

চমকপ্রদ গল্প লিখার মন্ত্র বলি

অনেকেই গল্প লিখতে চায়। মাথায় গল্প আছে কিন্তু সাজাতে গিয়ে ভজঘট হয়ে যায়। গল্পটা কেমন হবে? অল্প কথায়, নাকি বেশি কথায়, নাকি সহজ বুননে নাকি শব্দের মায়াজালে? কেমন হলে পাঠক পড়তে আগ্রহবোধ করে? সেটা সম্পূর্ণ করে বলা মুস্কিল। পাঠকের কথা বিবেচনা করে লিখতে চাইলে। গল্প লেখার ধরনে বা বুননে নতুনত্ব আনতে হবে। হয়তো সেইসব গল্পগুলো কালজয়ী হয়না তবে পাঠক সেই সব গল্পগুলোকে অনেকদিন ধরে যত্ন করে পড়ে। 

যারা একেবারে নতুন এবং সাধারণ পাঠকের জন্য সহজ বুননে বা সহজ শব্দ, দৃশ্যপট দিয়ে গল্প লিখতে চান তারা আমার গল্প লিখবার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আর যারা কালজয়ী গল্প লিখতে চান বা শব্দের মায়াজালে নিজের অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে চান বা সাধারণ পাঠকের জন্য গল্প লিখেন না, বিনীত চিত্তে বলতে চাই তাহারা আমার গল্প লেখা শেখানোর পদ্ধতি অবলম্বন না করলেই বেশ ভালো হবে।

প্রারম্ভ: 
কিভাবে লিখবো বা কিভাবে খুব সহজে গল্প লিখে শেষ করা যায়? এইসব নিয়ে আমার লেখার ডায়েরিতে অনেক আঁকি-বুকি করা হয়েছিল। আজ সেসবের খানিকটা তুলে দিচ্ছি অনেকটা অগোছালো ভাবেই। গল্প নিয়ে গল্পামী করার আগে নিচে একটি গল্প রচনা করবার সাময়িক ধারনা দেয়া হলো। যেখানে গল্পে মুল চরিত্রে একজন রয়েছে ক্রমান্বয়ে তাতে চরিত্র যোগ হবে। এ গল্পটি মুলত গল্প বলবার ভঙ্গিতে লেখা। এখানে যিনি গল্প লিখবেন তিনি নিজেই গল্পের মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন।

গল্প সূত্র:
আমি ষ্টেশনে দাড়িয়ে আছি। ভর দুপুর।
মাটি ফাটা রোদ্দুর আজ ছড়িয়ে আছে সবখানে।
হাওর এক্সপ্রেস থামতেই পায়ের ছাপে ভরে উঠেছে পুরো প্লাটফর্ম। আমার চারপাশ ঘিরে আছে হকাররা। আমার দাড়িয়ে থাকা আজ ক্লান্তিতে পৌছাচ্ছে না, তারচেয়ে বরং ভালো লাগছে এই সব ব্যস্ততা দেখতে।
দুপুর রোদে আমার মতো যারা ঘুরছে ট্রেনে উঠবে বলে তাদের কিন্তু বিরক্তি বাড়ছেই। কিছুক্ষণ কাটবার পর সেই বিরক্তি গুলো হাওয়ায় মিশে এক হয়ে চলে গেলে ট্রেনের তথ্যসেবা নেবার কামরায়। কণ্ঠ গুলো দরজায় উঁকি দিয়ে বলছে, আচ্ছা বলুন তো কখন আসবে ট্রেন?

মোটা ফ্রেমের চশমায় চোখ বাঁকিয়ে ভেতরের লোকটি বললো, আসবে কিছুক্ষণ পর। আর কতক্ষণ বসে থাকা যায়। এইসব ভেবে সবাই ভীড় কমিয়ে চারপাশে ছড়িয়ে গেল। আমার কিন্তু বেশ ভালোই লাগছে।
আমি মোহনগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরছি, এসেছিলাম বিশেষ কিছু কাজ নিয়ে। আমার কাজ সম্পন্ন হয় নি। তবুও বাড়ি ফিরছি ।

দৈনিক পত্রিকা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছি ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে । কিছু দুরে পঙ্গপালের এক দল খুব সম্ভবত ওরা এক পরিবার কিংবা যৌথ পরিবারের কতক সদস্য একসাথে দাড়িয়ে আছে একপাশে। সে পাশটায় আবার একটা ভাঙ্গা বেহালা নিয়ে গান গাইছে এক কিশোর। কন্ঠ মধুর মতো না হলে কি হবে, বেহালা সুরের মাঝে একটা নেশা আছে। বোধকরি সে নেশাতেই অনেকে জমে আছে।

পত্রিকা ভাঁজ করে আমিও সেই নেশা নিতে গেলাম। কিশোর গান গেয়ে চলছে চোখ বন্ধ করে। আমার মতো বেশ ক’জন সুরের নেশা নিচ্ছে তা থেকে। আমি তন্ময় হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ পঙ্গপালের একজন এসে বললো আপনার দৈনিকটা একটু দেখতে পারি কি? এ মুহুর্তে অন্য ছেলেগুলো হলে আকাশ থেকে পড়বার ভান ধরতো বিশেষ করে কোন মেয়ে যখন পত্রিকা চাইছে। কিন্তু আমি আকাশ থেকে পড়লাম না, কোন কথা না বলে দিয়ে দিলাম পত্রিকা।

এর কিছুক্ষণ পর ট্রেন চলে এলো। গিয়ে বসলাম। ট্রেনের কামরায় আমার বসে থাকা জানালার ধারে বাতাস আসে কখনো-সখনো জোরে ডানা ঝাপটায় আমার মাথার চুল কপাল ছুয়ে যায়। আমি তাকিয়ে চারপাশে সময় কাটতে দেখি সবুজের ভুবন;দেখি পথচলা মানুষের পথ মাখানো রুপ। সেই রুপ দেখার মাঝেই, পত্রিকাটা নিয়ে আমার আসনের পাশে দাড়ায় তরুনীটি একটা ছোট্ট ধন্যবাদ দিয়েই চলে যায়। তরুনীর বাংলা বলা দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি কারণ আমি নিজেও পুরোনো ধাঁচের পশ্চিমা বাংলা বলতে পারিনা। এখানে আসার পর তো আঞ্চলিক ভাষাতেই মিশে গেছি। তাছাড়া বাংলার পথে যতদিন ঘুড়ে বেড়িয়েছি সেখানে বাংলা শুদ্ধ করে শেখা হয়নি। আমি পাতা উল্টাতে গিয়ে থেমে যাই পাশের বেঞ্চে ওদের দিকে আমার চোখ পড়ে সাথে থাকা মলিন মুখের ছোট্ট মেয়েটির দিকে তাকিয়ে। আমি এগিয়ে যাইনা কিন্তু হাত ইশারায় তাকে ডাক দেই।

গল্প কি?
যদিও যারা লেখালেখি করেন তাদেরকে এ বিষয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। পূর্বের সাহিত্যবিশারদের মতো দীর্ঘ কথায় না গিয়ে কম কথায় বলি- আমাদের চারপাশে যা ঘটছে তাই গল্প। জীবন কথা, স্বপ্নকথা, স্মৃতিকথা এসবই গল্প। সাহিত্যের ভাষায় এর ব্যাখা দিতে গেলে কয়েক পাতা হয়ে যাবে তাই এই নতুনদের কাছে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে গল্প নিয়ে গল্পামি করবো।

গল্প কয় প্রকার বা কয়টা ধরন?
সাহিত্যে কয়েক ধরনের গল্প হয়। বড় গল্প, ছোটগল্প,অনুগল্প। তবে বর্তমানে কাব্যগল্প, অসমাপ্ত গল্প, যুগল গল্প লেখা হচ্ছে। পূর্বের লেখকরা ছোট গল্পই বেশি লিখতেন। এখন বড় গল্প বেশি দেখা যায়না তার জায়গা দখল করে নিয়েছে অনুগল্প। বর্তমানে অনুগল্প আর ছোটগল্পই মুলত লেখা হচ্ছে। অনেক তরুন লেখক গল্পের মুল ধারাটাকে একটু বদলে সৃষ্টি করেছেন কাব্যগল্প (অনেকটা কবিতার মতো করে বলা গল্প)। বর্তমানে অসমাপ্ত গল্প লেখা হচ্ছে কয়েকজন লেখকের সমন্বয়ে একজন গল্পটা শুরু করছেন বেশ কয়েকজন সেটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। অসমাপ্ত গল্পের মতোই আরেকটি হচ্ছে যুগল গল্প । দু’জন গল্পকার মিলে একটা গল্প ভাগাভাগি বা এপিঠ-ওপিঠ লেখা করে লিখা।

গল্পের বিষয়বস্তু বা গল্প বিভাগঃ
বাংলা সাহিত্যে সবচে’ বেশি লেখা হয়েছে রোমান্টিক গল্প বা প্রেমের গল্প এ গল্প গুলো আদি যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্তও লেখা হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক, পুরানিক, ঐতিহাসিক, রুপকথা, শিশু-কিশোর, রম্য, স্মৃতিমুলক বা আত্মজীবনী গল্পগুলো সমান ভাবে চলে আসছে। সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক, রহস্য, গোয়েন্দা কাহিনী ভিত্তিক গল্পগুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। এইসব গল্পের ভীড়ে আগামী দিনের ঠাঁই করে নেবে কবিতা ও গল্পের সমন্বয়ে লেখা মুক্তগদ্য। অনেকে এটাকে অনুগল্প মনে করে থাকেন আবার অনেকে মনে করেন এটা কাব্যগল্প তবে যারা শব্দ নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন তারা বলেন এটা মুক্তগদ্য যা পড়তে গেলে মনে হবে গল্প পড়ছি যদিও গল্পের ভেতরে যে গল্পটা থাকে সেটা মুক্তগদ্যে খুব কম লক্ষ করা যায়। যাদের আধো আধো গল্প আসে তারা মুক্তগদ্য লিখতে পারেন।

গল্প কি, কয় প্রকার, কয়টা বিষয় নিয়ে লেখা যায়, তা যখন জানা হলো তাহলে এবার গল্প লেখার জন্য গল্প খোঁজা শুরু করুন। পেয়ে গেলে কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়ুন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে গল্প কোথায় খুজবো?

কোথায় খুজবো গল্পঃ
নিজের জীবন থেকেই প্রথমে খোঁজা শুরু হোক গল্প। আপনার শৈশব নিয়ে লিখে ফেলতে পারেন স্মৃতিকথার গল্প। ছেলেবেলাকার মজার ঘটনা নিয়ে লেখা যেতে পারে শিশু-কিশোর গল্প। এরপর লেখা যেতে পারে নিজের জীবনের প্রেমের ঘটনা নিয়ে গল্প। বন্ধুদের প্রেমের কথা নিয়ে গল্প। জীবনে প্রথমবার হারানোর গল্প। ছোটবেলায় দাদীর মুখে শোনা ভুতের গল্পের সাথে কিছু কল্পনা মিশিয়ে লেখা যেতে পারে ভৌতিক গল্প। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষপট নিয়ে লিখতে পারেন রাজনৈতিক গল্প। এভাবে খুব সহজেই নিজের এবং চারপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েই রচনা করা যায় সুন্দর সব গল্প।

তবুও যখন মাথায় গল্প আসেনাঃ
ভালো গল্প লেখার আইডিয়ার জন্য খ্যাতনামা কিছু বাংলা কথা সাহিত্যিকদের বই পড়তে পারেন এতে করে মাথা থেকে গল্প বেড়িয়ে আসবে। যারা একেবারে নতুন অবস্থায় গল্প লিখতে চান কারো গল্প অনুসরন করতে পারেন। সামাজিক গল্পের জন্য কবিগুরুর গল্পগুচ্ছ, ঘটনা বিহীন চমকপদ গল্পের আইডিয়ার জন্য পড়তে পারেন হুমাযুন আহম্মেদ এর শীত ও অন্যান্য গল্প বইটি। সমরেশ মজুমদারের ১০১ বইটি পড়তে পাড়ের বিভিন্ন গল্পের আইডিয়া মাথায় এসে যাবে। গোয়েন্দা বা রহস্য গল্পের জন্য পড়তে পারেন সত্যজিৎ রায়ের বাছাই বারো বইটি পড়তে পারেন। সাধারণ গল্পের আইডিয়া থেকে বেড়িয়ে এসে অন্যরকম কিছু গল্পের ধারনা পাবার জন্য পড়তে পারেন জহিরুল হক, আক্তারুজ্জমান ইলিয়াছ এর গল্প সমগ্র।
 
যারা এই সকল বই সংগ্রহ করতে পারছেন না বা আলস্যের কারনে সংগ্রহ কার সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তারা ব্লগে লিখে এমন কিছু দুর্দান্ত সৃজনশীল লেখকদের লেখা পড়তে পারেন। বেশ ক’বছর ধরে ভালো গল্প লিখে এমন ক’জন ব্লগ লেখক; ইমন জুবায়ের, মাহবুব মোর্শেদ, নৈর্ঝর নৈশব্দ্য, মেঘ অদিতি, হাসান মাহবুব, মামুন ম. আজিজ, জুলিয়ান সিদ্দীকি, রোডায়া, ভাঙ্গন, মাভেরিক।

বই, ইম্যাগ, লিটল ম্যাগ ছাড়াও গল্পের আইডিয়ার জন্য ভালো চিত্রনাট্য সম্বলিত নাটক, সিনেমা, আর্ট ফিল্ম দেখা ও সাহিত্য বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহন করা যেতে পারে তাহলে গল্প চলে আসবে মাথায়। গল্প মাথায় চলে আসার পর বা মাথায় গল্পের থীম থাকলে কিভাবে সেই থীমটাকে কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর গল্প আকারে প্রকাশ করা যায় সেই বিষয়ে সম্ভাব্য ধারনা থাকলে ভালো হয়। এখানে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো আপনি কি অল্পকথায় গল্প লিখবেন? নাকি বেশিকথায় গল্প গাঁথবেন? 
অল্প কথায় গল্প লেখা অনেকটা ছোট গল্প এবং অনুগল্প লেখার মতো। প্রথমে অনুগল্প নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

অনুগল্প কিভাবে লিখবঃ
গল্পের মুল বিষয়টা গল্পের মাঝে রেখে, গল্পের সংলাপ, বর্ণনা যতখানি সম্ভব কম প্রসারিত করে প্রকাশ করাটাই অনুগল্পের কাজ। অনুগল্পে সাধারণত গল্পের মুল ভাবের একটা ইঙ্গিত দেয়া থাকে। খুব কম চরিত্র দিয়ে গল্পটি গাঁথতে হয়। অনুগল্পের ভাব সবসময় সবার মাথায় ঢুকে না তবুও একটু চেষ্টা করলে সেটা বুঝা সম্ভব। আমি একাট ধারনা দিলাম: সম্পর্ক নামক বিষয়টি দিয়ে অনুগল্প লেখা খুব সহজ সে জন্য সম্পর্ক বিষয়টা নিয়ে ৫ মিনিট ভাবুন তারপর কল্পনায় সাজিয়ে তুলুন দুটি চরিত্র, নারী-পুরুষ, দুজনার দাম্পত্য জীবনের সামান্য ভুল বোঝাবুঝি শেষে দুজনার আলাদা হয়ে যাওয়া। ব্যাস এটুকু দিয়েই অনুগল্পটি লেখা সম্ভব।

নিচে তেমনি একটি অনুগল্প দেয়া হলো:

।। ।। অনুগল্প: প্রেমালিঙ্গম ।। ।।

আঁচল উঠিয়ে নিল কান্তা! দীর্ঘ সময় পাড়ি দেয়া প্রেমরূপ আজ অদৃশ্য হবে।

-এবেলা তবে পথ ছাড়ি; নিবাস তুমি বাটিতে যাও
চোখ দু’খানা তারা করে দিয়ে রইল দাড়ায়ে নিবাস; মনঘরে তখনও পাকানো ঢেউ; কেন তবে মিছি মিছি ভালোবাসা! কেন তবে কাছে আসা। অন্ধের মতো পাথরকে বন্ধু ভাবতে যদিও দোষের কিছু নেই তবুও কি আর পাথরকে গলায় বাধা যায়?

গল্পটার শুরু নাইবা হলো জানা; কেননা এ কাহিনীর নেই যতি চিহ্নের ঠিক-ঠিকানা।
নিবাস; বনগাঁয়ে যার বাস। দিন কেটে হেলায়-ফেলায়, রাতটা কাটে ভাবনার বাসে চড়ে; প্রহর শেষে একটু থামে সেই ভাবনারা। একটু ঘুমোয়, একটু জিরোয়; সকাল হতেই আবার তার যাত্রা শুরু।
কাটছিল দিন এভাবেই।

কান্তা।
নিধিরাম এর পোষ্য কন্যা। হোক সে পোষ্য। যেন প্রান। যেন প্রকৃতির দান। নিধিরাম কান্তা বলতে অজ্ঞান!
বয়সের নায়ে ভেসে ভেসে শেষে কুড়ি পেড়িয়ে তেইশে রাখলে পা। গা ছমছম করা দুপুরে একদিন ভোমর কানে কানে বলে গেল এইবার তবে মন মেশাও আর কারো মনের সাগরে। কান্তা অতশত ভাবে না; এটুকু বুঝে যায় সে, একদিন কারো হাত ধরতে হবে কারো ঘরে যেতে হবে, না হলে সে আর মেয়ে কেন?
একদিন বর্ষা পেড়িয়ে গেলে বাংলা একাডেমী থেকে ফেরার পথে নিবাসের সাথে দেখা। সে দেখাটা অবশ্যি একটা ছাতাকে কেন্দ্র করেই। হঠাৎ বৃষ্টিতে আধভেজা নিবাস দাড়িয়ে ছিল গেটের পাশেই ছাতার জন্য বাড়ি যেতে পারছে না। পকেটে টাকা নেই তাই কোন চক্রযানেই সে উঠতে পারছেনা। কান্তা’র সই নিশি এসে বললো কান্তা তোর নীল ছাতাটা দে,তো-
তারপর সেই ছাতা নিয়েই নিবাসের বাড়ি ফেরা।

ফেরত ছাতার কথা ধরে এভাবেই পরিচয় পর্ব। এরপর রমনা কালিমন্দিরের গেটের পাশে বসে ভালোবাসাবাসি শুরু। নিবাস কিংবা কান্তা দুটো প্রাণীই যেন এক ছাঁচে গড়া। বিশ্বাস ওদের সুউচ্চ শিখরে যেন গেছে পৌছে, শুধু নির্মল বিশুদ্ধ ভালোবাসা দুজনে দুজনায় গায়ে চাদরের মতো যেন লেপ্টে থাকে। কিন্তু ঈশ্বরের খেলা সে যে এক মস্ত বড় ঘোরপাক নদী।
নির্মল ভালোবাসাকে টিকিয়ে রাখতে তার কি ঠেকা পড়েছে? তাই কিভাবে সেটা মিশে যাবে সামাজিক যাতাকলে তারই একটা আয়োজন যেন চলে গোপনে গোপনে।

চাল-চুলোহীন নিবাস তার যে নেই আবাস। যে পথে পড়েনা ফুল সে পথেই তার বাস। কোনক্রমে স্নাতকোত্তর শেষ হলো কিন্তু কর্মখালী কোন প্রতিষ্ঠানে সে ঠায় পায়নি এখনও। প্রশ্ন চারপাশে, কেন তবে ভালোবাসলি? জানিস নে এ ভালোবাসার ভবিষ্যত যে অন্ধকার। ঘর ছেড়ে কি কান্তা তোর সাথে তবে গাছতলায় কাটাবে? এত কিছু ভেবে ভালোবাসলে তো আর কামহীন প্রেম হবেনা তাহলে তো হিসেব কষে শরীরবৃত্তেই ঘুড়ে শেষে থেমে যাবে ভালোবাসার কাঠি। তবুও এ ছন্নছাড়া জীবনে প্রেম চলে না। মস্ত বড় বোকা না হলে কি আর সোনার জীবন ধ্বংসের জন্য মাতে প্রেমালিঙ্গমে।

দিন যেন ফুরায় সময়কে কাল স্বাক্ষী করে। শেষ দেখায় কান্তা বললো নিবাস,
আগুনে একবার হাত দিয়ে ফেলেছো, পুরোপুরো পুড়ে যাওয়া না পর্যন্ত হাত সরিয়ে নিও না তাহলে সারাজীবন সেই যন্ত্রণায় জ্বলে যাবে তার’চে ভেবে নাও প্রেম মরে যাচ্ছে না সেটা জ্বলছে প্রদীপের মতো। তুমি যেন অন্ধ এক অনুভূতি শূণ্য মানুষ। আজ হতে সব কিছুতেই তোমার সহ্য ক্ষমতা বেড়ে যাক। মুখের ভাষা থাকার চেয়ে যদি না থাকতো তবে উন্মাদ হয়ে ঘুড়ে বেড়ানো যেত নিবিঘ্নে তাতে দহনটা সাতকাহনের জন্ম দিতো না। নিবাস সানাইয়ের প্রিয় সুর সোনার আগেই পা তুলে নিল।

এরপর কেটে গেল একযুগ………….

এখনো পতি দেবতাটির বুকে মাথা রেখে কান্তা চোখ ভরে জল ফেলে নিবাসের জন্য। আহ প্রেম!
এত যন্ত্রনা।
এতো সুখের মাঝেও কোথায় যেন কিসের কমতি।
কেথায় সে মুখ নিবাসের।
আর ওদিকে একযুগ ধরেই নিবাস যে কোথায় হারিয়েছে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো ফুলহীন পথে। নয়তো ভাষাহীন রথে এমনি কোথাও হয়তো আজ নিবাসের বাস হয়েছে?

ছোট ও বড় গল্প লেখা:
ছোট গল্পে একাধিক চরিত্রে বেশ পাকাপোক্ত হয়। অধিকাংশ মানুষই ছোট গল্প পড়তে বেশ আনন্দ পায়। ছোট গল্প নিয়ে অনেক সজ্ঞা রয়েছে সেসব সংজ্ঞায় না গিয়ে সরল পন্থা নিয়ে কয়েকটি কথা বলি। গল্প লেখার আগে গল্পের প্লট বা থিম মাথায় সাজিয়ে নিতে পারলে ভালো, যাদের এ বিষয়টা মাথায় আসে না তারা কাগজ কলম নিয়ে গল্প লিখতে বসে যান তারপর লিখতে শুরু করুন, থেমে থেমে লিখুন প্রয়োজন পরলে পুরো লেখা শেষ করে লেখাটিকে পুনরায় সম্পাদনা করুন।

ছোট গল্প লেখার সময় কয়েকটি দিক খেয়াল রাখতে হয়: 
# প্রতিটি চরিত্রকে অত্যাধিক প্রসারিত করার প্রয়োজন নেই। মুল চরিত্র নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ভালো।
# প্রতিটি গল্প লেখার পরপরই প্রকাশ না করে লেখাটিকে জমিয়ে রাখতে হবে এবং কিছুদিন পর লেখাটি পাঠ করলে এর ভেতরের ভুল গুলো বেড়িয়ে আসবে।
# বড় গল্প লেখার সময় সব গুলো চরিত্রকে সমান ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়।
# বড় গল্পে মুল কাহিনীর চেয়ে বর্ণনা বেশি থাকে যে কারনে যিনি গল্পটি লিখবেন তার শব্দ বুননে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। 
যাদের একেবারেই শব্দ বুননে দক্ষতা নেই বলে ভাবছেন তারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। পড়তে পারেন লিও টলষ্টয়ের গল্প সমগ্র বইটি। নতুন গল্প লেখকদের জন্য উত্তম। এই লেখকের প্রতিটি গল্পই বেশ গুছিয়ে আর পরিমিত ভাষায় লেখা। লেখার আগে নিচের কয়েকটা বিষয় মনে রাখলে একটি সহজ গল্প রচনা অতি সহজেই সম্ভব।

# গল্পে কখনও এক ঘেয়েমি রাখতে নেই তাতে করে পাঠক আগ্রহ হারায়।
# ছোট গল্পে অতিরিক্ত বর্ননা অনেক সময় গল্পের মুল কাহিনীকে ম্লান করে দেয়।
# প্রতিটি গল্পের নামকরণ যথার্থ হওয়া প্রয়োজন।
# আকর্ষনীয় নামকরণের সাথে সাথে গল্পের শুরুটা আকর্ষন রাখতে পারলে বেশ হয়।
# বড় গল্পে বর্ণনা প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে একই বর্ণনা যেন দু’বার না হয়।
# বড় গল্প (সামাজিক) পর্যায়ে মুল কাহিনীর সাথে ছোট ছোট দৃশ্যপট যোগ করলে গল্পটা আকর্ষনীয় হয়।

:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::

যারা গল্প লিখবেন বা নতুন যারা লিখছেন তাদের গল্প লেখায় নতুনত্ব বা গল্প লেখার ষ্টাইল জানা অবশ্যই জরুরী। ষ্টাইল জানা থাকলে খুব সহজেই পাঠকের দৃষ্টিতে আসা যায়। এখন পরিবর্তনের সময়, তাই গল্প লেখায় সনাতনী পদ্ধতি সহ আরো বেশ কিছু ষ্টাইল জানা থাকলে আপনার লেখা গল্পটি হয়ে উঠতে পারে আকর্ষনীয় একটি গল্প। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ষ্টাইলে গল্প লেখা যায় আমি সেগুলো থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করবো। বিষয় ভিত্তিক গল্প লেখার ধরন বদলায়, সব বিষয়ে এক ষ্টাইল দিলে গল্প জগা-খিচুরী হয়ে যাবে।

গল্প লেখার ষ্টাইল বা সনাতন পদ্ধতি:
গল্প লেখার খুব পরিচিত দুটো পদ্ধতি আছে তা হলো-

১। গল্পের চরিত্র নিজে অংকন করা।
২। নিজে গল্পের চরিত্রে অংকিত হওয়া।

গল্পের চরিত্র নিজে অংকন করা:
অনেকেই বিষয়টি ধরতে পারছেন না হয়তো। আরো একটু সহজ করে বলি। কিছু গল্প আছে যে গুলো পড়লে মনে হয় লেখক গল্পের দৃশ্যপটে চরিত্র তৈরি করে দিয়েছেন যেমন:

আলো ফুটাবার আগেই সারা গাঁয়ের কাকগুলো আজ তীব্র স্বরে ডাকতে শুরু করে দিয়েছে।
কাকের স্বরেও একটা করুন সুরের আবেশ রয়েছে; যেন ঘটে গেছে অবাঞ্চিত কোন কিছু। ঘটনা থেকে দুর্ঘটনার আরম্ভ যেখানে; আজ সেখানে এই ভোরবেলাতেই আকাশটা গোমট ভাব ধরে আছে।

প্রভাত আলোর সাথে সাথেই অচিনপুরের গ্রামবাসী জেনে গেল রাতের শেষ প্রহরে নিপেন রায়ের কন্যা শ্রীলক্ষী ইহধাম ত্যাগ করেছে।
গাঁয়ের একটা শ্রীলক্ষী মরে গেছে তাতে যেমন দেশের এক কোনা ক্ষয়ে যায়নি, তেমনি শ্রী লক্ষীর জন্য এপাড়ার চক্রবর্তী বাড়ির কারোর মাথাব্যাথা বা হাহাকার জাগেনি বিন্দু মাত্র। প্রতিটা দিনের মতো তাদের সকালের শুরুটা হয়েছে বরাবরের মতই।

রোজ যেমন করে দাশ পাড়ার ছেলেরা ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমে যায় আজ হয়তো ওরা নেমে যেত মাঠে কিন্তু নিপেন রায়ের বাড়ি থেকে ভেসে আসা কান্নার করুন সুরের কাছে ওদের ইচ্ছেটা থমকে গেছে। রঘুনাথের চায়ের চুলো আজ জ্বলেনি; ঝাঁপি খোলেনি দ্বীপশিখার বাবাও। বোবা মেয়েকে নিয়ে রোজ সকালে পুজো দিতে যেত অবিনাশ সেও আজ মাঝ পথে থ” মেরে গেছে; এ-সবই ব্যতিক্রমের মাঝে গড়াগড়ি খেলেও; শুধু বদলে যায়নি চক্রবর্তী বাড়ির দৃশ্যপট।

সেই সকালে আরেক দৃশ্যের সুত্রপাত ঘটতে চলেছে তখন কাঙ্খিত চক্রবর্তী বাড়িতে। পাশের গাঁয়ের খালেক পাঠান চক্রবর্তী বাড়ির আঙ্গিনার মাঝ বরাবর দাড়িয়ে চেচাচ্ছিল। হরিপদ’র তখনও খাওয়া হয়ে উঠেনি। অফিস যাবার তাড়াহুড়োতেই শ্যামল চক্রবর্তী গলায় টাই বাধছে, আর ওদিকে পরমা দেবী ঠাকুর ঘরে ঘন্টা বাজাতে শুরু করে দিয়েছে। চক্রবর্তী বাড়ির প্রতিদিনকার সকালটা এভাবেই শুরু হয় তার ব্যতিক্রম ঘটানো মুশকিল। এ-গাঁয়ে চক্রবর্তীদের কে সবাই যথেষ্ঠ সমীহ করে চলে। একেতে গাঁয়ে পুরোহিত বলতে একমাত্র ওরাই তার উপর ঠকুর দেবতার পায়ে পরম পূজনীয় হিসেবেই গাঁয়ের লোক ওদের মানে।

শ্যামল চক্রবর্তি বিয়ে করেননি তাতে কি ! কিপটেমিতে এ গাঁয়ের সেরা। হরিপদ’র বউ পরমাদেবী যাকে গায়ের লোক দেবী বলেই মনে করে; তার কিন্তু গ্রামের কায়স্থদের প্রতি ভারী রাগ। কোন কম্মিনকালে যে তিনি ঠকে ছিলেন এক কায়স্থের হাতে সেই,থেকেই শুরু।
-শ্রীহীন কাহন
……………………………………………………………………………………
এখানে লেখক গল্পের প্রয়োজনে চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। গল্পটা পড়বার সময় মনে হয় কেউ যেন গল্পটা বলে যাচ্ছে আর আমরা কান পেতে শুনছি। এখানে লেখকের দৃশ্যপট রচনটাই গল্পের মুল দক্ষতা। এই পদ্ধতির গল্পে আপনি ইচ্ছে মতো চরিত্র ও দৃশ্যপট সৃষ্টি করতে পারবেন।
আরো সহজ করে বলি, ছোট বেলায় নিশ্চই মা বা দাদীর মুখে ভুত বা টুনোটুনির গল্প শুনেছেন। তখন আপনি ছিলেন শ্রোতা। এই পদ্ধতিটা ঠিক তেমনই আপনি গল্পটা বলার ভঙ্গিতে লিখবেন আর পাঠক তখন থাকবে শ্রোতা এখানে গল্পটাকে আপনি অংকিত করছেন।

নিজে গল্পের চরিত্রে অংকিত হওয়া-

এই পদ্ধতি নিয়ে খুব সহজ করে বলি। এই পদ্ধতির গল্পগুলো আত্মজীবনীর মতো লেখা। এখানে লেখক নিজেকে গল্পের ভেতরে নিয়ে যায়। সে নিজেই মুল চরিত্রে থাকে।আমরা যারা নতুন গল্প লিখতে শিখি তখন এই পদ্ধতিটা সহজ মনে হয়। এখানে গল্পের শুরু হয় নিজেকে দিয়ে গল্পে থাকে আমি, তুমি, সে, ওরা। আমি তেমনি একটা গল্প তুলে দিলাম-

জ্যৈষ্ঠের এক নিরব সন্ধ্যায় কান্তনগরের মাটিতে পা রাখলাম। এখানকার ট্রেন আমায় দ্যুম্ করে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। এই শহর অচেনা নয়-তবুও বহু বছর বাদে পা পড়লো এই শহরে। ষ্টেশনে নেমেই আমি একটু শূন্যতা অনুভব করলাম- কেউ আসেনি আমায় এগিয়ে নিতে। অনেকটা চুপচাপ চাদর গায়ে মেখেই এসে গেলাম।

এর আগে যখন ছোট্টটি ছিলাম তখন মার কোল থেকে নেমে এ ষ্টেশনে পা ফেলতেই চারপাশটা কেমন যেন গুমগুম করতো; ভীড় তখন এতো ছিলনা, যাত্রী নামার তাড়া ছিলনা কিন্তু ভীড় ছিলো আড্ডা দেবার মানুষের। আমি কিংবা আমার সঙ্গীরা তখন নতুন নতুন কলকব্জা দেখার নেশায় মত্ত থাকতাম। বেলা বেড়ে গেলে মামা আমায় কাধে করে নিয়ে বাড়ি ফিরতো।
সেইসব দিন গেছে কিন্তু রয়ে গেছে কান্তনগর রেলষ্টেশন।

রেল লাইন দেখলেই মনে পড়ে যায় তোমার কথা। তুমি হাত ধরে হাটতে চাইতে। যেন নদীর এপাড় আর ওপাড়ে দু’জন রয়েছি মাঝখানে সমান্তরাল। কত সকালকে ঝেড়ে ফেলে আমরা দুপুরকে চাইতাম; পড়ার তাড়া থাকতো বলে, কতদুপুর আমাদের পায়ের নিচে বিকেল হয়েছিল তার ইয়াত্বা নেই।

দুপাশের রেল লাইন ধরে আমরা সবাই বহুদুর চলে যেতাম। রোজ ভাবতাম পথের শেষপ্রান্তে যাবো; কোন দিন যাওয়া হয়ে উঠেনি! -আমরা মাঝ পথেইে থেমে গেছি ব্যাটারি হীন ঘড়ির মতো।

তখন তোমার বয়স দশেরঘর পাড় করেনি, আমি তের পার করেছি। সেই বয়সে একদিন তুমি বলেছিলে – পকেটে অনেক টাকা যেদিন হবে সেদিন রেল লাইন পথের শেষপ্রান্তে যাবো? -আমার সঙ্গে যাবে তুমি? সেদিন কিছু বলা হয়নি আমার; আমি তোমার মার্বেল চোখে তাকিয়ে ছিলাম সেখানে তোমার ইচ্ছেরা ছোটাছুটি করছিলো আমি তোমার ইচ্ছের আস্ফালন দেখতে পাচ্ছিলাম।
-অনিলা তুমি ভালো নেই
……………………………………………………………………………………
গল্পটা পড়লেই বুঝা যায় লেখক এখানে নিজের কথা বলছেন। এখানে নিজেকে গল্পের প্রয়োজনে অংকন করছেন। সেই গল্পের সাথে তিনি যাদের চরিত্র এনেছেন সেটাও নিজ মুখেই গল্পে প্রকাশ করছেন। এবার নিশ্চই খুব সহজেই আপনারা গল্প লেখার দুটো সনাতন পদ্ধতি বুঝতে পেরেছেন। গল্প লেখার আরো অনেক ষ্টাইল আছে। প্রত্যেক লেখকের মধ্যেই সুপ্ত কলা-কৌশল রয়েছে; সেটার প্রকাশ ঘটাতে পারলেই সাধারণ সব গল্প লেখা সম্ভব।

যারা এই পোষ্ট অনুসরন করবেন বা করছেন তাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই বলবেন। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারেন আপনারা কেন আমার দেয়া পদ্ধতি অবলোকন করবেন? আমি কি কোন গল্পবিদ বা সাহিত্যবিদ? না এর কোনটাই আমি নই। আমি নিজেও সাধারণ গল্প পাঠক ও লেখক। যারা খুব সহজে গল্প লিখতে ও শিখতে আগ্রহী শুধুমাত্র তাদের জন্য আমার জমাকৃত সাধারণ জ্ঞান দিয়ে সহযোগীতা করছি।

পঠিত : ৪২১১ বার

মন্তব্য: ০