Alapon

মিমার সিনান পাশাঃ 'তাজমহল' নির্মাণের শিক্ষক যিনি

শিরোনামের আলোচনায় পরে আসছি। আগে মিমার সিনান পাশার প্রেমে কীভাবে পড়লাম এবং তাকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করে কী জানলাম তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই।

স্থাপত্য বা স্থাপত্যের ইতিহাস দুই বিষয়ই আমি মহা মূর্খ। এক বইতে পড়ছিলাম অটোমান সুলতান সুলায়মানের কন্যা মিহরিমাহ সুলতানের কথা। তার অসংখ্য অনুরাগীদের মধ্যে একজন ছিলেন বিখ্যাত স্থপতি – মিমার সিনান পাশা! খাজা মিমার- The Great Architect! তখনো সিনান পাশাকে নিয়ে আমার আগ্রহ তৈরি হয় নাই।

দীর্ঘ জীবনে সিনান নির্মাণ করেছেন অবিস্মরণীয় সব স্থাপনা। বলা হয়ে থাকে, তুর্কী স্থাপত্যের রেনেসাঁর মূল কারিগর ছিলেন সিনান। তার সমসাময়িক মিকেলেঞ্জেলোর সাথে তাকে তুলনা করা হত। মিমার সিনানকে নিয়ে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিলও এই তুলনা থেকে। কিন্তু তার অসংখ্য কীর্তির মাঝেও আমাকে সবচেয়ে মুগ্ধ করেছে মিহরিমাহ মসজিদ। মিহরিমাহর প্রতি তার অনুরাগের পুরোটাই পাওয়া এই মসজিদের স্থাপত্যে!

কে ছিলেন এই সিনান?


ছবিঃ সিনান ও তার ড্রয়িং করা মসজিদ

সিনানের জন্ম হয়েছিল তুর্কি আনাতোলিয়ায় একটি খ্রিস্টান পরিবারে। সে সময়ের প্রচলিত নিয়মে অটোমান সেনাবাহিনীর সবচেয়ে এলিট অংশ এবং সুলতানের ব্যক্তিগত বাহিনী ইয়ানিসারি গঠিত হত অমুসলিমদের দিয়ে। যদিও আইনগতভাবে ইয়ানিসারিরা সুলতানের দাস ছিল, বাস্তবে এরা ছিল সালতানাতের অধীনে সুলতানের পরিবারের বাইরে সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত অংশ।

ইয়ানিসারিতে যুক্ত হওয়ার পর তাদের ধর্মান্তরিত করা হত। তাদের দেয়া হত সে সময়ের সবচেয়ে সেরা শিক্ষা। অটোমানদের সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য অংশই আসত এই ইয়ানিসারি বাহিনী থেকে। সিনানকে ইয়ানিসারিতে নেওয়া হয় তার কৈশোরে। তখন সুলতান সুলায়মানের পিতা সেলিমের শাসনকাল।

ইয়ানিসারি স্কুলের পড়া শেষে সিনান যুক্ত হোন সামরিক প্রকোশলী বিভাগে। সুলায়মানের সাথে অধিকাংশ অভিযানেই ইয়ানিসারি বাহিনীর সাথে সিনানও অংশ নিয়েছিলেন। এসব অভিযানে গিয়ে সিনান বিভিন্ন স্থাপত্য রীতি আর কৌশলের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন। যেমন বলা যায়- হাঙেরি, ভিয়েনা আর বলকানের অভিযানগুলোর কথা। পূর্ব ইউরোপিয়ান চার্চের স্থাপত্য রীতি সিনানকে প্রভাবিত করেছিল দারুণভাবে। একই রকমভাবে সিরিয়া, বাগদাদ, পারস্যের স্থাপত্যও তাকে প্রভাবিত করেছিল।

সুলায়মানের সাথে বিভিন্ন অভিযানে সিনানের কাজ ছিল মূলত সামরিক প্রকৌশলী হিসাবে। রাস্তা, ব্রিজ আর দুর্গ নির্মাণ। এভাবে এক অভিযানেই সিনান প্রথমে সুলায়মানের নজরে পড়েন। সুলায়মানের প্রথম বাগদাদ অভিযানের সময়। সুলতানের বাহিনী এবং যুদ্ধ-সরঞ্জাম দ্রুত পারাপারের জন্য বিশাল ভান হ্রদের উপর দিয়ে জাহাজ দিয়েই সেতু নির্মাণ করেন সিনান! পুরস্কার হিসেবে সিনানকে খাজা মিমার বা প্রধান স্থপতি করা হয়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাব্দী সিনান এই পদে ছিলেন।

সুলতান সুলায়মান, ২য় সেলিম, ৩য় মুরাদ- এই তিনজনের দীর্ঘ শাসনকালে সিনান অসংখ্য মহান সৃষ্টিকর্মের সাথে যুক্ত ছিলেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, সরাইখানা, হাসপাতাল, পাবলিক কিচেন, হাম্মামখানা, ফোয়ারা আর ঝর্না, সেতু – কত কীই না নির্মাণ করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য কীর্তির মধ্যে মিহরিমাহ মসজিদ, সুলায়মানিয়া মসজিদ, রুস্তম পাশা মসজিদ, খুররাম (হুররেম) সুলতান হাম্মামখানা এবং হাসপাতাল, সেলিমিয়া মসজিদ উল্লেখযোগ্য। তার নিজের জন্য যে ছোট সমাধি নির্মাণ করেছেন তাও খুব দৃষ্টিনন্দন।


ছবিঃ সিনানের নির্মিত মসজিদের বর্তমান দৃশ্য

যদিও মিমার সিনান নিজে তার কীর্তির মধ্যে সেলিমিয়া মসজিদকেই এগিয়ে রাখতেন, কিন্তু তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ সুলায়মানিয়া মসজিদ। সিনানের স্থাপত্যের অথবা অটোমান স্থাপত্যের একটা বৈশিষ্ট্য বিশালাকৃতির ডোম। যদিও এই ডোমাকৃতির স্থাপত্যের ইতিহাস অনেক পুরনো। জেরুসালেমের ডোম অভ রক বা দামাস্কাসের উমাইয়া মসজিদের গম্বুজ-এর সবই এসেছে বাইজান্টাইন চার্চের আর্কেটেকচার থেকে।

এই জাতীয় ডোম আর্কিটেকচারের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল কন্সটান্টিনোপলের আয়া সোফিয়া চার্চ। সুলতান ফাতিহ মেহমেদ ইস্তাম্বুল জয় করলে এই চার্চকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। এই আয়া সোফিয়ার বিখ্যাত ডোমই সিনানের জন্য অনুপ্রেরণা এবং বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে। সিনান সার্থকভাবেই বাইজান্টাইন আর্কিটেকচারের সাথে ইসলামি আর্কিটেকচারের এক অসাধারণ ফিউশন করেছেন। তারই এক চমৎকার উদাহরণ এই সুলায়মানিয়া মসজিদ।

তুর্কি সিরিয়াল মুহতেশেম ইউযয়িল-এ এই মসজিদ বিষয়ে একটা চমৎকার ঘটনা দেখানো হয়।

কী ছিলো সেই এপিসোডেঃ


ছবিঃ সেই সিরিয়ালের দৃশ্যটি

সুলায়মান তার উজিরে আজম সকোল্লু মেহমেদ পাশা সহ তার মসজিদের নির্মাণকাজ দেখতে এসেছেন। নির্মাণে দীর্ঘসময় লাগায় তিনি বেশ বিরক্ত। সকোল্লু সুলায়মানকে বলছেন, তিনি সিনানকে বারবার তাড়া দেওয়ার পরও সিনান তার কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং সিনানের ভাষ্যমতে সুলায়মানিয়া মসজিদকে তার নামের উপযোগী হতে হলে সময় দিতে হবে। এইসব বলতে বলতে তারা মসজিদ চত্ত্বরে এসে উপস্থিত হোন।

কিন্তু তাদের স্বাগত জানাতে সিনান সেখানে ছিলেন না। বস্তুত সুলতানের আগমন সম্পর্কে সিনান জানতেনই না। তিনি ছিলেন মসজিদের ভিতর। হাঁটু গেঁড়ে বসে হাতে একটা ছোট ড্রাম হাতে নিয়ে বাজাচ্ছিলেন। মসজিদের ভিতর সিনানকে এভাবে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে দেখে সুলতান ক্ষেপে যান। এসময় সকোল্লু দৌড়ে ভিতরে গিয়ে সিনানকে সুলতানের সামনে হাজির করেন।

সিনানঃ হুনকারিম!

সুলতানঃ সিনান আগা! এইসব কী দেখছি আমি? এখন আমি বুঝতে পারছি কেন আমার এই মসজিদ বছরের পর বছরেও শেষ হচ্ছে না।

সিনানঃ গোস্তাখি মাফ, জাহাঁপনা! কিন্তু আপনি এই অধীনকে বিনা দোষে দোষী করছেন। আমার একমাত্র চিন্তা কীভাবে এই মসজিদকে আরো সুন্দর বানানো যায়। আমি দিন-রাত কাজ করছি।

সুলতানঃ আমি দেখছি কোন কাজই এখনো শেষ হয় নাই। আর তাছাড়া আপনি একটা পবিত্র জায়গায় বসে ড্রাম বাজাচ্ছেন! কী দুঃসাহস!

সিনানঃ হুনকারিম! আমাকে বুঝিয়ে বলার সুযোগ দিন! আমি এটা করছিলাম কীভাবে মসজিদের ভিতর আওয়াজকে ঠিক ভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় তা বোঝার জন্য। আমি চাচ্ছিলাম যেন একজন শেষ কাতারে দাঁড়ানো নামাজিও প্রথম কাতারের ইমামের তিলওয়াত শুনতে পান। এখন মসজিদের ভিতর কেউ গুণগুণ করে ইবাদত করলেও তা ভালোভাবেই শোনা যাবে।

সিনান ব্যাখ্যা করতে থাকেন…

… আমি খালি গম্বুজের ভিতর ২৫৬টি বড় খালি বয়াম রেখেছি। মসজিদের মশাল থেকে যে ধোঁয়াকুন্ডুলির ঝুল বের হবে তা এখানে এসে জমা পড়বে। এতে পোর্সিলিনের মোটিফ, ক্যালিগ্রাফিগুলো নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। আবার এইসব ঝুল থেকেই আমরা কালি বানাবো। মশালদানিগুলোর ভিতরে দিয়েছি উটপাখির ডিম, এটা পোকামাকড়কে দূরে রাখবে।

সুলতানঃ হু, আমি শুনেছি আপনি খুব নিপুণতা আর ধৈর্য্যসহ কাজ করেন। কিন্তু এভাবে তো চলতে পারেনা সিনান। আর কতদিন লাগবে? ছয় মাস? এক বছর?

সিনানঃ আল্লাহ চায় তো, খুব শিগগিরই শেষ হবে! আরো একবার লজ্জাবনত হয়ে আপনার সামনে হাজির হতে চাই না।

[তুর্কি সাবটাইটেল থেকে আমি এই অনুবাদ করেছি। ভুল হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক!]

এই পোষ্টের শুরুতে বলেছিলাম- সিনান আমাকে সবচেয়ে মুগ্ধ করেছে মিহরিমাহ মসজিদ দিয়েই। এই মসজিদের স্থাপত্য নিয়ে অসাধারণ গল্প প্রচলিত আছে।

গল্পটি হচ্ছে এমনঃ

Sinan was commissioned by the Palace, to build a Mihrimah mosque in Üsküdar (on the Asian side of Istanbul). When finished, the mosque looked like a woman with her hair reaching down below.

After a while, still in love, Sinan started building this time on his own (without being commissioned) on the European side of Istanbul on a high hill a small mosque, also named Mihrimah.

When finished, this mosque equally looked like a woman whose hair reached her ankles. There was another particularity: on 21 March, the birthday of Mihrimah (happens to be also when the day and night are equal), one can see that when the sun is setting behind the minarette of the Mihrimah mosque on the European side, the moon is coming out behind the Mihrimah mosque on the Asian side. The sun and the moon: Mihrimah… what a love, what a man devoting his art and mastery of skill to his unacquainted love….

(যারা জানেন না, মিহরিমাহ ফার্সি শব্দ- অর্থ চাঁদ এবং সূর্য)। যেহেতু সিনানের এই গল্পটা বললাম আরো কিছুও বলা যায়।

সিনান ও রেনেসাঁঃ
সিনান ছিলেন রেনেসাঁ সময়কালের মানুষ। ভেনিসের সাথে অটোমান ইস্তাম্বুলের সম্পর্কের ইতিহাস অনেক পুরনো। বিখ্যাত রেনেসাঁ শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সাথে ইস্তাম্বুলের যোগাযোগ ছিল ঘনিষ্ট। লিওনার্দো ইস্তাম্বুলের গোল্ডন হর্নের উপর একটি প্রস্তাবিত সেতুর ডিজাইনও দিয়েছিলেন সুলতান বায়েজিদের দরবারে।

সিনানের সমসাময়িক একজন বিখ্যাত ইতালিয়ান স্থপতি ছিলেন আন্দ্রেয়া পাল্লাদিও। স্থাপত্যের ইতিহাসে আন্দ্রেয়ার সাথে তুলনীয় প্রভাবশালী কোন ব্যাক্তিত্ব নাই। তার পৃষ্ঠপোষক এবং গুণগ্রাহী মার্কান্তনিও বারবারো অটোমান দরবারে ভেনিসের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তার মাধ্যমে সিনান এবং আন্দ্রেয়ার নিয়মিত যোগাযোগ হত। দুই মহান স্থপতি যে নিজেদের এই যোগাযোগে নিজেদের আইডিয়া এবং ডিজাইনও বিনিময় করেছন তা ধরে নেওয়া যায়। আন্দ্রেয়ার বিখ্যাত কীর্তি সান জর্জো মাগিওরে চার্চের স্থাপত্যে এই ছাপ দেখা যায়।

সিনানের সময়কার আরেকজন বিখ্যাত স্থপতি মিকেলেঞ্জেলো। দুইজনই নিজেদের কাজ দ্বারা পরস্পর প্রভাবিত হয়েছেন। অনেকেই মনে করেন মিকেলেঞ্জেলোর অসামান্য কীর্তি সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার স্থাপত্যে মিমার সিনানের প্রভাব রয়েছে। ব্যাসিলিকার ডোমের ডিজাইন নিঃসন্দেহে সিনানের সুলায়মানিয়া মসজিদ থেকে অনুপ্রাণিত।

তাজমহলঃ
শেষ আরেকটা কথা না বললেই না। যারা খেয়াল করে মিহরিমাহ সুলতান মসজিদ বা সুলায়মানিয়া মসজিদ দেখবেন তারা বিখ্যাত মুঘল স্থাপত্য তাজমহলের সাথে এর কিছু মিল খুঁজে পাবেন। তাজমহলের স্থাপত্য সত্যিকার অর্থে পার্সিয়ান স্থাপত্যের সাথে অটোমান স্থাপত্য আর ভারতীয় স্থাপত্যের এক অসাধারণ মেলবন্ধন। এর পেছনের ইতিহাসটাও তাহলে বলতে হয়।

যদিও বাবর যখন ভারত আক্রমণ করেন তখন সুলতান সুলায়মানের পিতা সেলিম তাকে কামান, বারুদ আর গোলন্দাজ বাহিনী দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। অটোমানদের সাথে মুঘলদের ভালো সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় নাই। রাজ্যহারা হুমায়ূন অটোমানদের শত্রু সাফাভিদের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এমনকি আকবরের সময়ও ইরানী এলিটরাই মুঘলদের নিয়ন্ত্রণ করতেন। বৈরাম খাঁয়ের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করেও আকবর কখনো অটোমানদের সাথে সুসম্পর্ক করতে পারেন নাই।

এমনকি নিজের পরিবার পরিজনদের হজ্বে পাঠানোর সময় অটোমান উজিরে আজম মেহমেদ সকোল্লু পাশার পাঠানো ভারত মহাসাগরে, আরব সাগরে অটোমান জাহাজ দিয়ে নিরাপত্তার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন। আকবর বরং নৌ নিরাপত্তার জন্য নির্ভর করেছেন পর্তুগীজ জলদস্যুদের উপর। শোনা যায়-সে দস্যুদের মধ্যে ভাস্কো দ্য গামার পুত্রও ছিলেন।

যাই হোক, ধান ভানতে শিবের গীত গাইলাম! শাহজাহানের সময় এসে শেষপর্যন্ত অটোমানদের সাথে মুঘলদের একটা সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সম্পর্কের একটা উল্লেখযোগ্য দিকই ছিল সাংস্কৃতিক বিনিময়। এই সময় কয়েকজন অটোমান আর্কিটেক্ট এসেছিলেন শাহজাহানের দরবারে। এরা ছিলেন বিখ্যাত মিমার সিনানের ছাত্র। যারা কিছুদিন পর তাজমহলের নির্মাণ শুরু করেন!

সুত্রঃ
১। Gülru Necipoglu, The Age of Sinan, Reaktion Press, 2005
২। https://en.wikipedia.org/wiki/Mimar_Sinan
৩। http://greatsinan.com/crono.php
৪। Deborah Howard, Venice and the East. The Impact of the Islamic World on Venetian Architecture 1100-1500, Yale University Press, 2000
৫। Godfrey Goodwin, A History of Ottoman Architecture, Thames & Hudson; Reissue edition (May 2003)
৬। http://news.bbc.co.uk/…/from_our_own_correspond…/8512512.stm

পঠিত : ১৫৭৫ বার

মন্তব্য: ০