Alapon

মাইকেল এঞ্জেলোঃ চিত্রকলার এক রেনেসাঁর নাম

ফ্রেস্কো



চিত্রকলায় যাদের আগ্রহ আছে ফ্রেস্কো সম্পর্কে নিশ্চয় জানেন তাঁরা। যারা জানেননা তাঁদের জন্য বলছি ফ্রেস্কো একধরনের চিত্র যা দেয়ালের উপর আঁকা হয়। অতীতে মূলত দুধরনের ফ্রেস্কোর প্রচলন ছিল। কেউ কেউ শুকনো দেয়ালে ছবি আঁকতেন আবার কেউবা দেয়ালে আলাদা প্লাস্টারের প্রলেপ দিয়ে সেই ভেজা প্লাস্টারের উপর। বিশেষ বিশেষ কিছু রঙ এর ক্ষেত্রে দুধরনের পদ্ধ্বতিই মিলিত ভাবে ব্যবহার করা হতো।

ফ্রেস্কো আদি চিত্রকলা, আদিম মানুষ গুহার দেয়ালে যেসব ছবি আঁকত সেসব একধরনের ফ্রেস্কো। আমাদের এ অঞ্চলে খৃষ্টের জন্মের দুই তিনশ বছর আগের ফ্রেস্কো আবিস্কৃত হয়েছে অজন্তার মূর্তির গায়ে। ইউরোপে প্রাচীন গ্রীসে কিছু ফ্রেস্কোর সন্ধান পাওয়া যায়, পাশাপাশি রোমান সাম্রাজ্যেও ফ্রেস্কোর প্রচলন ছিল।

ভুমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পাই নগরীতে তেমন কিছু ফ্রেস্কো পাওয়া গেছে, এছাড়া ইতালীর দক্ষিনাঞ্চলে গ্রীক কলোনী হিসাবে খ্যাত এলাকাগুলোতেও এর চল ছিল। ধারনা করা হয় গ্রীস থেকেই রোমে এ পদ্ধ্বতির আগমন ঘটেছে।
সাধারনত পিগ্‌মেন্ট টাইপের রঙ পানিতে গুলে দেয়ালে ছবি আঁকতেন শিল্পীরা, দেয়ালে রঙ যাতে ছড়িয়ে না যায় সেজন্য ডিম কিংবা বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করতেন মাধ্যম হিসাবে।

সিস্টিন চ্যাপেল



বাইবেলে বর্নিত সোলেমানের মন্দিরের আদলে তৈরী লাল ইটের চারকোনা সিস্টিন চ্যাপল সাধারন ভাবে পোপের বাসস্থান হিসাবে পরিচিত। ইতালীতে জন্ম নেয়া পোপ চতূর্থ সিক্সতাস (১৪১৪) যিনি পোপ দ্বিতীয় পল এর মৃত্যুর পর ১৪৭১ সালে এ পদে আসীন হন (১৪৭১-৮৪) তাঁর নামানুসারেই সিস্টিন চ্যাপলের নামকরন। তাঁর সময়থেকেই পোপদের আবাসন হিসাবে সিস্টিন চ্যাপল পাকাপাকি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

স্টিফানো ইনফেসোরা নামে এক ইতালীয়ান (১৪৪০-১৫০০) তৎকালীন রোমের বেশ কিছু ঘটনা এবং রটনা তার ডায়রী ভুক্ত করেছিলেন তার ধারনানুযায়ী আমাদের এ পোপ সিক্সতাস-৪ উভকামী ছিলেন। আমি সেই বিতর্কে না যেয়ে সিস্টিন চ্যাপেলে ফিরে আসি। পোপরা যেহেতু সেসময় সমস্ত দন্ডমুন্ড আর অর্থের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিলেন তাই তাঁদের বাড়ীঘরও ছিল তেমন। ইতালীর সেরা সব চিত্রকরগণ সেসময় তাঁদের বাসস্থান কে সমৃদ্ধ্ব করেছেন তাঁদের মেধা আর শ্রম দিয়ে।

রেঁনেসা যুগের বিখ্যাত সব চিত্রকর আর ভাস্করগণ বিশেষ করে রাফায়েল, বার্নিনি, বাত্তিচলি, মাইকেল এঞ্জেলো্র সেরা কর্ম দিয়ে সাজানো এই সিস্টিন চ্যাপলের স্বর্ণযুগের সুরুটা করেছিলেন পোপ জুলিয়াস-২ যিনি ১৫০৩ সালে পোপের ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একটানা ১০ বছর পোপ ছিলেন। পোপ জুলিয়াস-২ বিখ্যাত ছিলেন তাঁর বিদেশ নীতি, বিশাল স্থাপনা তৈরীর উৎসাহ দাতা এবং চিত্রকলার প্রতি আগ্রহের জন্য। তাঁর মৃত্যুর পর পরবর্তি পোপ দশম লিও পূর্বধারা থেকে বিচ্যূত না হয়ে আরো কিছু স্থাপনা অলংকরনে কাজে লোক নিয়োজিত করেন এর মাঝে সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা অন্যতম।

প্রতি বছর খৃষ্ট ধর্মের মোট ৫০টি অনুষ্ঠানের মধ্যে ২৭টি অনুষ্ঠিত হয় এই সিস্টিন চ্যাপেলে, এছাড়া নুতন পোপকে বরন অনুষ্ঠানের আয়োজনও এখানে হয়। ৮টি বৃহৎ অনুষ্ঠান যার মাঝে বড়দিন আর ইস্টারের অনুষ্ঠান অন্যতম অনুষ্ঠিত হয় সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়। সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার একটু পেছনে ডানদিকে এই সিস্টিন চ্যাপল। কারো কারো হয়ত মনে থাকবে ২০০৫সালের সেই দৃশ্যের কথা, পোপ দ্বিতীয় জন পলের অসুস্থতার সময়কার ঘটনাবলী, সে সময়কার প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেল সারাদিন সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার চত্বরে বসে থাকতো কখন পোপের মৃত্যু সংবাদের ঘোষনা আসে, একদিন হঠাৎ দেখা গেলো সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার পেছনে একটা বাড়ীর ছাদের উপরে পাইপ দিয়ে ধোঁয়া বেড়ুচ্ছে অর্থাৎ পোপ দেহত্যাগ করেছেন। সেই বাড়িটিই আমার লেখার সিস্টিন চ্যাপেল।

মাইকেল এঞ্জেলো



এঞ্জেলোর কথা প্রথম শুনি ছোটবেলার সেই শিক্ষিকার কাছে। একটু বড় হলে রেঁনেসা যুগের সব মনীষিদের জীবনী পড়েছিলাম ছোট আকারে। ছবি আঁকায় মন না থাকলেও চিত্রকলার প্রতি আগ্রহ বরাবরই ছিল। সেইসাথে এসবের সাথে জড়িত মানুষজনের প্রতি। ১৪৭৫ সালে ইতালীর তুস্কান অঞ্চলে এঞ্জেলোর জন্ম, বাবা ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রশাসনের কর্মচারী। খুব ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর পালক মাতার গৃহে স্থানান্তরিত হন এঞ্জেলো, ঐ পরিবারের ছিল মুর্তি বানানোর ঐতিহ্য, ধারনা করা হয় সেখান থেকেই হাতুড়ি বাটালের প্রতি আগ্রহ জন্মে এঞ্জেলোর।

স্কুলে ভর্তি হলেও লেখাপড়ার চাইতে গির্জা আর বিভিন্ন মন্দিরের ছবি কপি করতেই আনন্দ পেতেন, এসব দেখে তার বাবা তাকে সেসময়ের অন্যতম এক চিত্রকর ডমেনিক গ্রিলান্দোর কাছে প্রেরণ করেন এবং শিক্ষানবীশ হিসাবে রাখার অনুরোধ করেন। এর কিছুদিন পর ফ্লোরেন্সের শাসনকর্তা গ্রিলান্দোকে তার সেরা দুজন ছাত্রকে পাঠাতে বলেন কয়েকটি গির্জার অলংকরনের জন্য। গ্রিলান্দো সেই দুজন ছাত্রের একজন ছিলেন এঞ্জেলো। ফ্লোরেন্সের সেই শাসনকর্তার মৃত্যুর পর কিছুদিন ভেনিস আর বলগোনায় কাটিয়ে এঞ্জেলো যখন রোমে আসেন তাঁর বয়স তখন মাত্র একুশ।

রোমের আসার পরপরই রাফায়েল নামেরএক কার্ডিনাল তাঁকে রোমান ওয়াইনের দেবতা বাক্কাসের মুর্তি বানানোর কাজ দেন, কিন্ত আশ্চর্য হলেও সত্য অসম্ভব সুন্দর সেই কাজ শেষ পর্যন্ত কার্ডিনালের পছন্দ হয়নি (এটি এখন ফ্লোরেন্সের এক মিউজিয়ামে আছে)। ইতালীয়ানরা প্রথমে না চিনলেও রোমে অবস্থান রত ফ্রান্সের প্রতিনিধি এঞ্জেলোকে চিনতে ভুল করেননি মোটেই, তারই অনুরোধে এঞ্জেলো তৈরী করেন তার জীবনের সেরা দুটি কাজের একটি “পিতা”।

একই থিমের উপর আরো অনেক মূর্তি পরবর্তিতে এঞ্জেলো তৈরী করলেও প্রথমটার ধারে কাছেও আসতে পারেনি সেসব। রোম থেকে এঞ্জেলো আবার ফিরে যান ফ্লোরেন্সে। ফ্লোরেন্স তখন স্বাধীন রাজ্য, আর এর স্বাধীনতার প্রতীক “ডেভিডের” মূর্তি গড়ার দায়িত্ব পড়ে এঞ্জেলোর উপর। ডেভিড যখন তৈরী হয় চার বছর পেরিয়ে গেছে, এঞ্জেলোর বয়স তখন ঊনত্রিশ। এই ঊনত্রিশ বছরে তৈরী ডেভিডের আজ পর্যন্ত কয়েক হাজার প্রতিমূর্তি তৈরী হয়েছে, সমালোচকরা বলেন রেঁনেসা যুগের সেরা কাজ এটি, আর এঞ্জেলোর সেরা দুটি কাজের আরেকটি।

ইতিমধ্যে পোপ দ্বিতীয় জুলিয়াস ক্ষমতায়, খবর পাঠালেন এঞ্জেলোকে, তাঁরই আমন্ত্রণে ১৫০৫ সালে এঞ্জেলো আবার ফিরে যান রোমে। ফিরে এসেই দায়িত্ব পান সিস্টিন চ্যাপলের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজের, পূর্ন স্বাধীনতা দেয়া হয় তাঁকে। একটানা চল্লিশ বছর কাজ করেন তিনি এই সিস্টিন চ্যাপলকে ঘিরে। এক পোপ মারা যায়, আরেক পোপ আসে কিন্তু এঞ্জেলো থেকেই যান, একমনে কাজ করতে থাকেন সিস্টিন চ্যাপল নিয়ে, পরবর্তীতে সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা তৈরী হলে সেটার মূল গম্বুজের অলঙ্করনের কাজও শুরু করেছিলেন তিনি কিন্তু শেষ করার আগেই ১৫৬৪ সালে ৮৮ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন এঞ্জেলো।

এবারে গল্প

আমি যখন রোমে যাই সেসময় এঞ্জেলো আমার মাথায়, কোথায় তাঁর কোন কর্ম রক্ষিত আছে সবই নখদর্পনে, ভ্রমনসূচীও এমন ভাবে তৈরী ছিল যাতে এঞ্জেলোর সেরা কাজ গুলোর কয়েকটা অন্তত দেখতে পারি। তার প্রথমটা ছিল অবশ্যই “পিতা”, মাতা মেরীর কোলে যিশুর মৃত দেহ। আগেই বলেছি এটা তৈরী করা হয়েছিলো একজনের কবরের উপর স্থাপন করার জন্য।

এরপর সেই কবরখানা ভেঙ্গে পাশের গীর্জা নুতন করে তৈরী করার সময় একবার সরানো হয় এটা, সেসময় মেরির আঙ্গুলের কিছুটা ভেঙ্গে যায়, পরে আবারো কয়েকবার জায়গা বদল হওয়ার পর স্থায়ীভাবে এখন সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়। ভ্যাটিকানের সিকিউরিটি পেরিয়ে মূল চত্বর দিয়ে গাইড যখন আশপাশের বিবরন দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো আমাদের তখন তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করলাম “পিতা” ঠিক কোন জায়গাটায়? গাইড কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে, হয়তো ভাবছিলো আমার অতি আগ্রহের কারন, একটু পর বললো সোজা ঢুকে যাও, ভেতরে হোলি ডোর আর সেইন্ট সেবাস্তিয়ানের ছাদের মাঝামাঝি পাবে ‘পিতা’কে। যেয়ে দেখো আর ছবি তোলো, আমি বাকিদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসি, যদি পরে আমাদের খুঁজে না পাও তাহলে ঠিক চল্লিশ মিনিট পর এই সেইন্ট পিটার্স এর মূর্তির নীচে চলে এসো।

আরেকটা কথা ভেতরে কথাবলবে আস্তে আর দৌড়াবা না। না দৌড়ে জোড়ে হেঁটে ভেতরে ঢুকলাম, খুঁজে পেতে কোনই অসুবিধা হলোনা আমার। সামনে যেয়ে দাঁড়ালাম, একটা বেদীর উপর এঞ্জেলোর অমর সৃষ্টি মাতার কোলে যিশু বুলেট প্রুফ কাঁচ দিয়ে ঘেরাও দেয়া। সম্ভবত ১৯৭২ সালে একলোক নিজেকে যিশু দাবী করে হাতুড়ি দিয়ে এটা ভাঙ্গার চেষ্টা করার পর থেকেই এ ব্যবস্থা। প্রায় সাড়েপাঁচ-ছয় ফুট উঁচু এ মূর্তি, সাদা মার্বেল পাথরে তৈরী, কিছু কিছু জায়গায় লালের ছোঁয়া, সম্ভবত পুরনো বলে এমন রঙ হয়েছে। মেরী নিমলীত চোখে তাকিয়ে আছে কোলে শোয়ানো যিশুর দিকে, ভাবনায় সম্ভবত ভবিষ্যত।মে

রীর বয়স যিশুর থেকে কম, এঞ্জেলোর সার্থকতা সম্ভবত এখানেই, এ নিয়ে বিশাল বিশাল গবেষণা আছে, সেসব ভাববার সময় নেই। চোখে পড়লো মেরীর জামার কিনার ধরে রোমান হরফে খোদাই লেখাটার দিকে যার অর্থ ফ্লোরেন্সের মাইকেলেঞ্জেলো এটা বানিয়েছে। সেসময় কোন শিল্পকর্মের উপর শিল্পীর নাম দেয়ার প্রচলন ছিলোনা, এঞ্জেলো খ্যাপাটে ছিলেন, পিতা বানানোর পর লোকজন বলাবলি করছিলো এটা অমুক বানিয়েছে, তমুক বানিয়েছে, রাগ করে তাই একদিন রাতে এঞ্জেলো এখানে তার নাম খোদাই করে যান। শোনা কথা ডেভিড যখন বানিয়েছিলেন সেসময় বানানোর পর নিজেই হাতুড়ি দিয়ে এর হাঁটুতে বাড়ি দিচ্ছিলেন আর বলছিলেন “কথা বল্‌, কথা বল্‌”, সাথের লোকজন সেসময় তাকে না ফেরালে হয়তো আজ ডেভিডের কোন অস্তিত্বই থাকতোনা।মানু

ষের ভীরে দাঁড়ানো যাচ্ছেনা, জায়গাটাও অন্ধকার প্রায়, ছবি তুলতে গেলে স্থির ভাবে দাঁড়াতে হবে কিংবা স্ট্যান্ডের উপর রাখতে হবে ক্যামেরা, কোনটাই মানুষের ভীরে সম্ভব না এখন, ঝটপট কয়েকটা ক্লিক করলাম। কয়েকজন কথা বলছে শুনলাম আজ সিস্টিন চ্যাপেলের মূল হল দর্শনার্থীদের খোলা আছে, চমকে উঠলাম। এমনটা কি হবার কথা? এ হলটা তো বন্ধ থাকে। এঞ্জেলোর সেরা কিছু পেইন্টিং আছে সেখানকার দেয়ালের গায়। সেইন্ট পিটার্স ব্যসিলিকার বাম দিকদিয়ে ঘুরে সিস্টিন চ্যাপেলের কাছে চলে এলাম, আসলেই খোলা, অল্প কিছু দর্শনার্থী সেখানে, ওদের সাথে ঢুকলাম, সিকিউরিটি জিজ্ঞেস করলো কোত্থেকে এসেছি, বললাম বাংলাদেশ, উত্তর দিলো ওকে তুমি ভাগ্যবান মাত্র পাঁচ মিনিট থাকবে।তথাস্থ 

বলে ভেতরে ঢুকেই চোখ ছানাবড়া, কি রেখে আর কি দেখবো, ধাঁধিয়ে যাচ্ছে চোখ সামনে তাকিয়েই, বিশ্বের সব নামকরা চিত্রকর্ম একই জায়গায়। খালি চোখে দেখতে পাচ্ছি সব, এটাও কি সম্ভব? বিস্তারিত দেখাতো দূরের কথা ধাতস্থ হবার আগেই পেরিয়ে গেলো পাঁচ মিনিট, আমি দাঁড়িয়ে আছি যেখানদিয়ে ঢুকেছি ঠিক সেখানেই, সামনে যা দেখা যায় তার কিছু ছবিতুলে বেরিয়ে এলাম।

ঢাকায় ফিরে যখন ছবি গুলো দেখছিলাম দেখলাম এর মাঝে এঞ্জেলোর দূটো অসম্ভব সুন্দর কাজ আছে, একটা সিস্টিন চ্যাপলের ছাঁদ আর অন্যটা আমার জানামতে সিস্টিন চ্যাপলে এঞ্জেলোর শেষ কাজ “দ্যা লাস্ট জাজ্‌মেন্ট”।

পঠিত : ১৯৯২ বার

মন্তব্য: ০