Alapon

যদি সফল হতে চান তাহলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন!


মাঝে মাঝে আমার প্রিয় রাষ্ট্রনায়কদের জীবনী ঘাটাঘাটি করি জীবনে উৎসাহ পাওয়ার জন্য।প্রসঙ্গক্রমে সেদিন আমার অন্যতম প্রিয় রাষ্ট্রনায়ক তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জীবনী পড়ে জানতে পারলাম যে, তিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে টানা এখন পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন এবং ব্যাপক জনপ্রিয় একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা। তারপর হঠাৎ ভাবোদয় হলো যে, সম্ভবত বিশ্বের প্রায় সকল প্রভাবশালী ও সফল রাষ্ট্রপ্রধানগণ তাড়াতাড়িই বিয়ে করেছেন! যে-ই ভাবা সেই কাজ। শুরু করে দিলাম রাষ্ট্রনায়কদের ব্যাপারে ঘাটাঘাটি। গুগল,উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যা তথ্য পেলাম তাতে তো আমার ধারণা প্রায় পুরোপুরি বাস্তবে দেখা গেল।
এবার দেখা নেয়া যাক ১৮ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ২জন (আপনাদের বিরক্তির উৎপাদন হতে পারে ভেবে তালিকাটা আর বড় করিনি) বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তির বিয়ের বয়স সম্পর্কিত তথ্য-
১.বাংলাদশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-১৮,
২.সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান- ২৪,
৩.সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ- ২৬,
৪.সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া- ১৫,
৫.মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ২০,
৬.ভারত বিজেতা মুহাম্মদ বিন কাসিম-১৭,
৭.ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন 'হামাস'র প্রতিষ্ঠাতা ও আধ্যাত্মিক নেতা শহীদ শায়খ আহমদ ইয়াসিন- ২২,
৮.বিশ্ববরেণ্য মহাকবি ও পাকিস্তানের জাতীয় কবি ব্যারিষ্টার আল্লামা ড. মুহাম্মদ ইকবাল-১৮,
৯.তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান-২৩,
১০.ইরানের সাবেক ব্যাপক জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আহমেদিনেজাদ-২৪,
১১.পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি-২৬,
১২.ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-১৮,
১৩. সৌদি যুবরাজ ও ভবিষ্যত বাদশা মুহাম্মদ বিন সালমান- ২৪,
১৪. মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মদ মুরসি-২৭,
১৫. ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি-২০,
১৬.আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি-২৫,
১৭. ফিলিস্তিনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাঈল হানিয়া-২৫,
১৮.উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন-২৬,
১৯. কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি-২৪,
২০.ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ- ২৪।

আপনারা হয়তো বলতে পারেন যে, তারা তো অঢেল টাকা-পয়সার মালিক ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি, সেজন্যই তাদের বিয়ে এতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়েছে! নাহ, আপনার ধারণা ভুল। উল্লেখিত তালিকার অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধানরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান ছিলেন। বিয়ের সময় প্রায় অর্ধেক সংখ্যক ব্যতীত কেউই উল্লেখ করার মতো অবস্থানে ছিলেন না। বাকি অর্ধেক সংখ্যক তাড়াতাড়ি বিয়ে না করে বরং নারী-মদ নিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করতে পারতেন এবং দেরিতে বিয়ে করতে পারতেন। তারা তা না করে বরং বিয়ে করেছেন দৈহিক ও আত্মিক প্রশান্তির জন্য এবং মানসিক সাপোর্টসহ নিংসঙ্গতা দূর করে একনিষ্ঠ মনে ক্যারিয়ার গড়েছেন।
এরকম অকৃত্রিম উপাদানগুলো আপনি গার্লফ্রেন্ড বা পতিতার মাঝে পাবেন না।বউয়ের ভালোবাসা-মাখা উৎসাহে আপনি হিমালয়সম সমস্যা সমাধান করতে পারেন কিন্তু গার্লফ্রেন্ড বা পতিতার কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।
সর্বশেষ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে চাই-
"বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।"
তাই সফল হতে চাইলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন।

পঠিত : ৮৮২ বার

মন্তব্য: ০