Alapon

মঙ্গল শোভাযাত্রা: ২৮ বছরের পুরাতন হাজার বছরের ঐতিহ্য !

মঙ্গল শোভাযাত্রাছবিঃ মঙ্গল শোভাযাত্রা


বাংলা নববর্ষ। বাঙ্গালীর বর্ষবরণ উৎসব। এবছর  বর্ষবরণের আয়োজনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন দেশের সব শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আড়ম্বরের সঙ্গে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  গত ১৬ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।  কারন হিসেবে বলা হয়েছে , ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্বঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করায় বিষয়টি । [ লিঙ্ক ]


কিন্তু এমন একটি বিতর্কিত বিষয়ে নির্দেশ জারী করায়, অসন্তুষ্ট অনেকেই ।


অনেকেই এটিকে বাঙ্গালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে দাবি করেন । কিন্তু সত্য হচ্ছে,  ১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখে চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মত 'বাঙালীর এই হাজার বছরের ঐতিহ্য' মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এই ২৮ বছরের পুরাতন এই হাজার বছরের ঐতিহ্য ইউনেস্কোর 'বিশ্বঐতিহ্য' হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আর তার প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে ফরমান জারি করা হয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখে বাধ্যতামূলকভাবে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' করতে হবে।


শুকরের মাংস যেমন জোড় করে মুসলিমদের খাওয়াইতে পারা যাবেনা তেমনি মুর্তি নিয়ে দানব যাত্রা কোন ঈমানদার মুসলিমকে বাধ্য করতে পারা যাবেনা। কোন দানব মঙ্গল বয়ে আনতে পারেনা, মঙ্গল দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ্‌ সুবহানু তায়ালা। তাই এবারেও সকল মুসলিম ভাই বোনেরা শিরকী কালচার "মঙ্গল শোভাযাত্রাকে" না বলুন।



ইউনেস্কোর 'বিশ্বঐতিহ্য' তালিকাভুক্ত সুন্দরবন ধ্বংশ করে ফেলা যাবে, সেটা রক্ষায় মাউশি'র কোন পরিবেশ সচেতনতামূলক পদক্ষেপও নেই। আসলে উনারা বুদ্ধিমান। জ্যান্ত বাঘের তো কোন ভরসা নেই, কখন আবার কামড়ে দেয়! তারচেয়ে বাঘের মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করাই উত্তম।


 

পঠিত : ৯১৪ বার

মন্তব্য: ০