Alapon

এ কেমন অবিচার

#পিরিয়ড 
পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইল ❤

পিরিয়ড হলে আজও সেই মেয়েটিকে ছেলেদের কাছে শুনতে হয় ন্যাপকিনকে "পাউরুটি", রক্তকে "জেলি" এবং মেয়েটিকে সেই জেলি-পাউরুটির "দোকানদার"।

পিরিয়ড হলে আজও সেই মেয়েটি দাগ লাগা অংশটি সমাজের থেকে লুকোয়।

পিরিয়ড হলে মেডিকেল শপে গিয়ে আজও সেই মেয়েটি মুখ ফুটে বলতে পারে না কি কিনবে, টাকা নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়েই থাকে।

কেন সমাজ আজও মানতে পারে না একটা সাধারণ বিষয়কে? মলমুত্র ত্যাগের মতন এটিও যে একটি অত্যন্ত সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া? আলাদা তো কিছু নেই এখানে যা নিয়ে ব্যাঙ্গার্থক কোনো বিষয় থাকবে বা খিল্লি করতে হবে!

স্কুলে ক্লাস চলাকালিন সেই বিরক্তিকর বিব্রতকর পরিস্থিতি, অসহায় বাচ্চা মেয়েটি বুঝে ওঠে তখন যখন পিছনের বেঞ্চ থেকে রঙিন জামা দেখে হাসির শব্দ আসে।

বাড়িতে কোনো বিয়ে-থা লাগছে, কিংবা কারো মুখেভাত, হয়তো বা দুগ্গা পূজো, তখন মেয়েটি সবার আগে ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টাতে শুরু করে। আগত অনুষ্ঠানের সাথে যদি তার পিরিয়ডের ডেট মিলে যায় ব্যাস মুখ চুপসে যায় তার।

একটি মেয়ের কতটা ধৈর্য্যশক্তি থাকলে এরকম পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে তা কয়েকটি লেখার মাধ্যমে বোঝানো সম্ভব নয়। তা জানতে গেলে আপনাকে একটি মেয়ে হয়েই জন্ম নিতে হবে।

কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজে নিজে সহ্য করার এক অবিশ্বাস্য শক্তি নিয়ে জন্মায় প্রত্যেকটি মেয়ে।

পুতুলখেলার বয়েস থেকেই লড়াই ও সহ্যশক্তির প্রথম অধ্যায় শুরু হয়ে যায় প্রত্যেকটি মেয়ের।

যাষ্ট একবার ভাবুন তো একটি মেয়ের দিনের পর দিন টিউশন ব্যাচের ইম্পরটেন্ট পড়া কামাই করছে শুধুমাত্র অসহ্য যন্ত্রনার কারণে।
বন্ধুরা যখন একসাথে ফার্স্টফুড খাচ্ছে তখন সে লোভ সংবরন করে সেইখান থেকে দলছুট হচ্ছে।
টোটো বা রিক্সাটা যখনই রাস্তার হাম্প ক্রশ করেছে সে এক হাতে তলপেটটা অন্য হাতে রিক্সার হাতলটি শক্ত করে ধরেছে। ছোটখাটো সামান্য একটি ঝাঁকুনিও তার প্রত্যেকটি হাড়ের রিড অবদি ভিতর থেকে নড়িয়ে দিচ্ছে।

এতো কিছু শোনার পরও নিতান্তই মানুষের বাচ্ছা না হলে মেয়েদের অসম্মান করাটা কঠিন ব্যাপার। কিছুজন কমেন্টে সহমত প্রকাশ করে আবার আড়ালে খিল্লি শুরু করবে, তারা বদলাবে না।

পঠিত : ১৬৮৫ বার

মন্তব্য: ০