রিং ফেরত
তারিখঃ ১১ মার্চ, ২০১৯, ১২:২৭
হ্যালো…হ্যালো…হ্যালো…
কি হলো…
শুনতে পাচ্ছো না তুমি ?
ওরা আমাকে আজ দেখতে আসবে…
অনেক কষ্ট করে নীতার ফোন থেকে ফোন করছি
কি হলো…
শুনতে পাচ্ছোনা… তুমি…
কিছু একটা তো বলো…
স্তম্ভিত হওয়া ছাড়া সোহানের কিছুই করার ছিলো না ।ফোনটা যে কখন হাত থেকে পড়ে গিয়েছে টেরই পায়নি সে।
আবার যখন সেতু ফোন করলো,তখন সোহান ঘোর থেকে ফিরে এলো।সে এবার ফোনটা ধরে বললো,দেখো একেবারই টেনশান করবে না ,আমি দেখছি কি করা যায়।তারা যদি আজ রিং পড়িয়ে দিয়ে যায়,তাও তুমি স্বাভাবিক থেকো।না হলে তোমার বাবা আবার স্ট্রোক করবে।এই বলে সোহান ফোনটা কেটে দিলো।
সে তো কথা দিলো সেতুকে।কিন্তু সে এখন কি করবে !
প্রায় দুই ঘন্টা পর সেতুর ফোন! তারা আমাকে তো পছন্দ করেছেই,সাথে বিয়ের দিন তারিখও ঠিক করে গেছে।এখন আমি কি করবো বলো?
ওরা বের হইছে কতোক্ষণ হলো ?
প্রায় পাঁচ মিনিট…
আচ্ছা পরে ফোন দিচ্ছি…
ফোনটা কেটে দিয়ে সোহান দ্রুত ঘর থেকে বের হলো।হাতে একটা লাঠি নিয়ে।
যে ছেলেটা দেখতে আসছে,তার ছবি দেখিয়েছে আগেই সেতু।
রাস্তার মোড়ে এসেই গাড়ি খুঁজতেছিলো ছেলেটা।পিছে বয়স্ক দম্পতি আর সবুজ শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।বোধহয় ছেলেটার বাবা-মা আর ছোট বোন হবে।হাসিমুখে তারা আলাপচারিতায় ব্যস্ত!হয়তো বিয়ে নিয়েই…
ছেলেটা সিএনজি ঠিক করে ফেলেছে! মা আর মেয়ে উঠে বসেছে সবে।ঠিক তখনি সোহান হাতে থাকা লাঠিটা বসিয়ে দিয়েছে বয়স্ক লোকটার মাথায়!
ছেলেটা তার বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে! মা নামতে যাবে,সোহান চিৎকার করে বললো,তোর মা নামলে তোর মাকেও শেষ করে দিবো!
শাড়ি পড়া মেয়েটা চিৎকারর করে যাচ্ছিলো,এ কথা শুনে সেও চুপ করে গেলো।
সোহান বললো আমার কথা শুনলে,তোর বাপকে হাসপাতালে নিতে পারবি আর না হলে এখানেই রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যাবে।
ভাই আমার বাপ আগে,আপনি সব নিয়া যান,যা আছে!
হেসেই বললাম,আমার প্রেমিকা সেতুকে বিয়া করবি না! দেখবো কেমনে করস!এটা প্রাথমিক ডোজ দিলাম,যা এখন ভাগ…
সিএনজিটা রাহাত মামার।ওনার সিএনজি করেই সোহান সেতুকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়।
মামা সব বুঝে চুপ করে গেলো!
ঠিক এক ঘন্টা পর সেতুর ফোন।বললো তারা রিং ফেরত চায়…
মন্তব্য: ০