Alapon

অরন্যে গোয়েন্দাবাস -২


প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদীদের ধরে ধরে জীবন্ত কবর দিত যে উপত্যকায় তার পাশেই ছিল এই জংগলটি।মনে হয় উপত্যকা থেকে ইহুদীদের সেই প্রেতাত্মা এখনো জংগলের দিকে ধেবে আসে।কিন্ত একজন সনাতনী যোদ্ধা কিভাবে এখানে গোয়েন্দা ক্যাম্প স্থাপন করবে তা কারো বুঝে আসলোনা।তবে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণেরর জন্য এটা আদর্শ একটা জায়গা।সরকার নুতন করে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ঐ এলাকায় কাজ শুরু করলো।চারিদিকে কাটাতারের ব্যাড়া, জনমানব তেi দূরের কথা সাধারণ সৈন্যরাও জানতনা ওখানে কি হতে যাচ্ছে।আর্মির কিছু নীতি নির্ধারক এবং পাবলিক কিছু নীতি নির্ধারক ব্যতিত দেশের আর কেউ জানতনা। চতুরদিকে বড় করে প্রাচীর দেয়া হলো।দেশীয় মিস্ত্রী নিয়োগ দেয়া হলো এই শর্তে যে,বৌ বাচছা সব নিয়ে এখানে
থাকতে হবে খাবার সরকারী,বেতন সরকারী,কোথাও যাওয়া যাবেনা।ভিতরে এখন কি হবে?কেউ জানেনা।
হিলারীর ছবি দিয়েই শুরু করতে হচ্ছে গোয়েন্দাবাসের ৪র্থ পর্ব।বৃদ্ধ অত্যান্ত চালাক সার্ভিলেন্স প্রকৃতির মানুষ।প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরিত্যাক্ত যত লাশ সবই এই উপত্যকায় ফেলা হতো।শকুন,কুকুর,শিয়ালেরা এখানে এসে পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারতো।ইতিহাসে বোম জাতীদের কুকুর খাওয়ার প্রমান পাওয়া যায়।কিন্ত বৃদ্ধের পদক্ষেপ দিন দিন নুতন নুতন তথ্যের দিকে আমাদের নিয়ে যাচ্ছে।বৃদ্ধ সব সময় ৫জনের খাবার বেশি আনতে বলে।সামরিক বাহিনীর খাবার কিন্ত হিসাবের।দু একদিন হইত দু একজনের বেশি নিলে সমস্যা নেই কিন্ত বৃদ্ধ প্রতিদিন ৫জনের খাবার বেশি আনবেই। আবার সবার খাবার শেষে বাকি খাবার গুলো নিয়ে দূরে জংগলের দিকে যায়।কোথায় যায়? কাকে খাবার গুলো দেই? বড়ই কৌতুহল জাগলো দেখার জন্য।বৃদ্ধ খুব চালাক,কারো সাথে নেইনা।অবশেষে জানা গেল জংগলের কুকুর গুলোকে এই খাবার গুলো দেই।

পঠিত : ৯১৩ বার

মন্তব্য: ০