ভোরবেলার বৃহস্পতি
তারিখঃ ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১০:২৬
একটি ভোরবেলার বৃহস্পতি
২৫/০৭/১৯
গত রাত ১০ টায় আমার ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঐতিহ্যবাহি তিতাস কমিউনিটর ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়া।ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি হিসাবে রাত ১০.৩০ মি.ঘুমিয়ে যায়। কারণ ভোরবেলা ওঠতে হবে,
ভোর ৪ টা বাজে মোবাইলের এর্লামে ঘুম ভেঙে যায়, বাসা থেকে বের হয়ে কোনো রিক্সা বা অটো না পাওয়ায় বাদ্ধ হয়ে হেটে ষ্টেশনে যাওয়া। যদিও ভোরবেলা হাটা আমার অনেক ভালো লাগার কয়েকটি কাজের মধ্যে একটি।সকালে হাটলে মনে অনুভব হয় যেনো মহান মনিব আমাদের কে ঘুমানোর জন্য কি এক শীতল বাতাস চড়িয়ে দিচ্ছেন তার রহমতে যেনো আমার দেহ,মন আত্মাকে প্রশান্তি দিচ্ছে। কবির সেই বিখ্যাত ইসলামি সংগীত টি মৃদু সুরে গাইতে ইচ্ছে করে '' তুমার সৃষ্টি যদি হয় এতো সুন্দর,না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর''। পরক্ষনেই ষ্টেশন মসজিদে ফজর নামাজ জামাতে আদায় করে নিলাম। যখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম তখন থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে কিযে ভালোলাগা, আর গ্রামে বাড়ি হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই যেনো বৃষ্টির সাথে বন্ধুত্ব। আর এই বৃষ্টি সেই ছেলেবেলা থেকেই আমার ভালো লাগে যখন বৃষ্টি হতো সবাই মিলে ফুটবল খেলতে যেতাম ইচ্ছেমতো সবাই মিলে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলে পুকুরে সাতার কেটে তারপর বাড়ি ফিরতাম। গ্রামের এটা একটা ঐতিহ্য ও চিরচেনা দৃশ্য বৃষ্টি হলে ফুটবল খেলা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই ট্রেন চলে আসে ট্রেনে ওঠে আমি আমার সিটে বসে আছি আবারও টিপটিপ বৃষ্টি, জানালার পাশে সিট হওয়ার কারণে হালকা বৃষ্টি এসে মাঝে মাঝে আমার উপর এসে পড়তেছে সেএক অসাধারণ অনুভূতি মনে হচ্ছিলো প্রতিটি বৃষ্টির ফোটা যেনো আল্লাহর রহমত। যারা তিতাস ট্রেন দিয়ে সকালে ভ্রমণ করেন সেটা কমবেশ সবারই জানা ও চেনাদৃশ্য। ট্রেনের জানালা দিয়ে মৃদু বাতাসে আমার দেহ যেনো সেএক অদৃশ্য ছোয়া অনুভূতি পাচ্ছে। বর্ষা ঋতু হওয়ায় খালে শাপলা ও পদ্ধ ফুল ফুটেছে জানালা দিয়ে পাশের ঝিল ও খালে শাপলা ফুল দেখতে পাচ্ছিলাম মনে হচ্ছিল এমন ভাবে যেনো কোনো সময় আমাদের জাতীয় ফুল টাকে দেখা হয়নি। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় জেলেরা জমিতে মাছ ধরতেছিল কিছু মানুষ বৃষ্টি বিজে সবজি নিয়ে যাচ্ছিলো বাজারে বিক্রি করার জন্য। ততক্ষনে আমি নরসিংদী থেকে ৯ কি,মি দূরে পৌঁছে গেছি। অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশের পরিশ্রমি কৃষক ভাইয়েরা তাদের জমি থেকে পাট সংগ্রহে ব্যাস্ত ছিলো রেললাইনের পাশে বড় ছোট শিমুল গাছ গুলো তাদের সুন্দর্যের পশরা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। মানুষের মতো সাদাসাদা বক ও পাখিগুলো তার রিজিকের অনুসনদ্ধানে দিকবেদিক ছুটে যাচ্ছিলো। ৮.৫৫ মিনিট ঢাকা পৌঁছে গেছি,, অফিস টাইম হওয়ার কারণে সবাই যারযার অফিসে যাচ্ছে মনে হচ্ছে একেকজন একেকটা টাইম মেশিন সবাই দ্রুত হটে চলছে যেনো কেউ কারো দিকে থাকানোর সময় নেই।
মন্তব্য: ০