Alapon

কাবা শরিফ দখল ও সৌদিদের ইসলামপন্থী হওয়ার ইতিহাস



আজ হতে ৪০ বছর পূর্বে এই দিনে স্থম্ভিত হয়ে গিয়েছিল মুসলিম জাহান। পুরো ২ সপ্তাহ বেদখল অবস্থায় ছিল কাবাঘর। ২০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর ক্বাবাঘরে তাওয়াফ হয়নি, মসজিদুল হারামে আজান ও জামাত বন্ধ ছিল।

১৯৭৯ সালের ২০শে নভেম্বর। ইসলামী বর্ষপঞ্জীতে এই দিনটির একটা প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে।

একটা নতুন শতাব্দীর শুরু সেদিন, হিজরী ১৪০০ সালের প্রথম দিন। পবিত্র মক্কা নগরীর মসজিদ আল হারাম, বা হারাম শরিফ সেদিন হাজার হাজার মানুষে পরিপূর্ণ।

সারা পৃথিবীতে থেকে আসা মুসলিমরা সেদিনের ফজরের নামাজে যোগ দেয়ার অপেক্ষায়। মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে চতুস্কোণ কাবা-কে ঘিরে। এটি হচ্ছে ইসলামের পবিত্রতম স্থান।

ফজরের নামাজ মাত্র শেষ হতে চলেছে। হঠাৎ সাদা কাপড় পরা প্রায় শ'দুয়েক লোকজন অস্ত্র হাতে বেরিয়ে এলো নামাজীদের মধ্য থেকে। এই অস্ত্র তারা আগেই সেখানে পাচার করে নিয়ে এসেছিল।

কয়েকজন অস্ত্রধারী গিয়ে অবস্থান নিল ইমামের চারপাশে। ইমাম যখন তার নামাজ শেষ করলেন, অস্ত্রধারীরা মাইক্রোফোনের নিয়ন্ত্রণ নিল। তারপর তারা মাইকে এমন এক ঘোষণা দিল, যা শুনে হতবাক হয়ে গেল সবাই।

অস্ত্রধারীদের একজন মাইকে বলছিল, "আমরা আজ ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঘোষণা করছি। তিনি বিশ্বে ন্যায় বিচার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। যে বিশ্ব এখন অন্যায়-অত্যাচার এবং অশান্তিতে ভরে গেছে।"

ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, ইমাম মাহদী বিশ্বে আবির্ভূত হবেন ইসলামকে পুনরুদ্ধার করতে। কেয়ামতের আগে দাজ্জালের শাসনকে উৎখাত করে ইমাম মাহদী বিশ্বে ইসলামকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন। কেয়ামতের পূর্বে বিশ্ব ধ্বংস হওয়ার আগে ঘটবে এই ঘটনা।

সেদিন মক্কায় এই ঘোষণা যারা শুনছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন এক মাদ্রাসা ছাত্র, যিনি মাত্রই তার হজ্জ্ব শেষ করেছেন।

"আমরা খুব অবাক হয়েছিলাম যখন নামাজের পর পরই কিছু লোক হারাম শরিফে মানুষের উদ্দেশে কথা বলার জন্য মাইক্রোফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিল। তারা বলছিলে, মাহদী পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষ খুশি হয়েছিল যে, যিনি পৃথিবীকে বাঁচাবেন, সেই ত্রাতা, তিনি আত্মপ্রকাশ করেছেন।"

"মানুষ ছিল খুবই উৎফুল্ল। তারা জোরে 'আল্লাহু আকবর' ধ্বনি দিচ্ছিল।"

যে সশস্ত্র গ্রুপটি সেদিন কাবা এবং হারাম শরিফের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, তারা ছিল সালাফিপন্থী একটি কট্টর সুন্নী গোষ্ঠী। তাদের নেতা ছিলেন এক বেদুইন, জোহাইমান আল ওতাইবি।

মসজিদের মাইকে জোহাইমান আল ওতাইবি ঘোষণা দিলেন, ইমাম মাহদি সেখানে তাদের মাঝেই আছেন।

তার এই ঘোষণার পর সশস্ত্র গ্রুপটির মধ্য থেকে একজন সামনে এগিয়ে এলেন। তিনি জোহাইমানের সম্পর্কিত ভাই। তাঁর নাম মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল কাহতানি। জোহাইমান দাবি করলেন, এই মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল কাহতানিই হচ্ছেন ইমাম মাহদী। যিনি আসবেন বলে ইসলামে আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।

তারপর যোহাইমান সামনে এগিয়ে আসলো এবং ইমাম মাহদীর প্রতি তাঁর আনুগত্য ঘোষণা করলো। সে লোকজনকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হলো যে, ইনিই হচ্ছেন মাহদী। তখন সবাই মাহদীর সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের আনুগত্য প্রকাশ করতে শুরু করলো।

সেদিন ঘটনার সময় মসজিদের ঠিক বাইরে ছিলেন আরেক মাদ্রাসা ছাত্র আবদুল মোনায়েম সুলতান। কী ঘটছে তা জানতে তিনি মসজিদের ভেতরে ঢুকলেন।

"হারাম শরিফের ভেতর সশস্ত্র লোকজন দেখে লোকজন খুব অবাক হয়ে গেল। সেখানে এরকম দৃশ্য দেখতে তারা অভ্যস্ত নয়। কোন সন্দেহ নেই যে, এই দৃশ্য দেখে সবাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। এটা ছিল খুবই আপত্তিকর একটি ঘটনা।"

বিদ্রোহীদের নেতা জোহাইমান পবিত্র কাবাকে ঘিরে একটি অবরোধ তৈরির নির্দেশ দিলেন। মসজিদের মিনারগুলিতে জোহাইমান বন্দুকধারীদের অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিলেন, যাতে কেউ হামলা করলে তাদের প্রতিরোধ করা যায়।

সৌদি পুলিশ বাহিনীর একটি দল প্রথম এগিয়ে এলো কী ঘটছে দেখতে। বন্দুকধারীদের দৃষ্টিতে সৌদি শাসকগোষ্ঠী হচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্থ, নৈতিকভাবে দেউলিয়া এবং পাশ্চাত্য দ্বারা কলুষিত। কাজেই সৌদি পুলিশকে দেখা মাত্র তারা গুলি চালাতে শুরু করলো। অনেকেই নিহত হলো। শুরু হলো কাবা এবং হারাম শরিফকে ঘিরে অবরোধ।


মার্ক হেমলি তখন সৌদি আরবের মার্কিন দূতাবাসে একজন 'পলিটিক্যাল অফিসার' হিসেবে কাজ করেন। তার দফতর ছিল জেদ্দায়। ঘটনার পরই সৌদি সরকার এই খবর প্রচারের উপর পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। খুব কম লোকই জানতো কারা কী কারণে মসজিদ দখল করেছে। একজন মার্কিন হেলিকপ্টার পাইলটের কাছ থেকে ঘটনার প্রতি মূহুর্তের বিবরণ পাচ্ছিলেন হেমলি। হেলিকপ্টারটি মক্কার আকাশে চক্কর দিচ্ছিল। এতে ছিল সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা।

"যে বন্দুকধারীরা গুলি করছিল, তাদের হাতে খুবই ভালো অস্ত্র ছিল। বেশ ভালো ক্যালিবারের বন্দুক। তারা বেশ কিছু লোককে গুলি করে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়।"

"বন্দুকধারীদের মোকাবেলায় প্রথম চেষ্টাটা ছিল খুবই কাঁচা। অল্প সংখ্যাক ন্যাশনাল গার্ড এবং সামরিক বাহিনীর সদস্য প্রথম সেখানে গিয়েছিল। তারা বেশ সাহসী প্রচেষ্টা চালায়, কিন্তু তাদের সাথে সাথেই গুলি করে মেরে ফেলা হয়।"

সৌদি সরকার এরপর সেখানে হাজার হাজার সৈন্য এবং কমান্ডো পাঠায় মসজিদ পুনর্দখলের জন্য। পাঠানো হয় সাঁজোয়া যান। মক্কার আকাশে উড়তে থাকে যুদ্ধ বিমান।

কাবা এবং হারাম শরিফের ভেতরে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য সৌদি রাজপরিবার দেশটির ধর্মীয় নেতাদের কাছে অনুমতি চাইলেন। পরবর্তী কয়েকদিনে সেখানে তীব্র লড়াই শুরু হলো। সৌদি সরকারি বাহিনী একের পর এক হামলা চালাতে লাগলো। মসজিদের একটি অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলো।

আবদুল মোনায়েম সুলতান বর্ণনা দিচ্ছিলেন সেই লড়াইয়ের।

"সারা রাত ধরেই গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরদিন ভোর পর্যন্ত এভাবে গোলাগুলি চললো। হারাম শরিফের মিনার লক্ষ্য করে গোলা ছোঁড়ার দৃশ্যও আমি দেখেছি। মক্কার আকাশে সার্বক্ষণিকভাবে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখেছি।"

মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল কাহতানি এই লড়াইয়ের পুরোভাগে ছিলেন। নিজের চোখে তা দেখেছেন আবদুল মোনায়েম সুলতান।

"আমি মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল কাহতানিকে দৌড়াদৌড়ি করে নিহত সেনাদের অস্ত্র কুড়িয়ে নিতে দেখেছি। এসব অস্ত্র তিনি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন, যারা তাদের অস্ত্র হারিয়েছে। বা যাদের গুলি ফুরিয়ে গেছে।"

"দ্বিতীয় দিন আমি তার চোখের নীচে দুটি ছোট আঘাতে চিহ্ন দেখলাম। তার পরনের জোব্বায় গুলি লেগে যেন ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল। তার বিশ্বাস ছিল, তিনি নিজেকে যে কোন বিপদের সামনে দাঁড় করাতে পারেন, কারণ তিনি নাকি অমর। কারণ তিনি হচ্ছেন মাহদী।"

আবদুল মান্নান সুলতান সেই লড়াইয়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের নেতা জোহাইমেনকেও কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান:

"আত্মরক্ষার জন্য আমরা কাবা'র পেছনে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। কারণ ঐ জায়গাটা অনেক বেশি নিরাপদ ছিল। তিনি সেখানে বড়জোর আধঘন্টা বা ৪৫ মিনিটের মতো ঘুমালেন। তার মাথা ছিল আমার পায়ের ওপর। তাঁর স্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সারাক্ষণই পাশে ছিলেন, এক মূহুর্তের জন্যও তাকে ছেড়ে যাননি। কিন্তু লড়াই যখন তীব্র হয়ে উঠছিল, তখন গোলাগুলির প্রচন্ড শব্দে তিনি জেগে উঠেন। তাকে ডাকছিল তার সহযোদ্ধারা। তিনি অস্ত্র নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে গেলেন।"

সৌদিরা এর মধ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল মসজিদ পুনর্দখলের। বলছিলেন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা মার্ক হেমলি।

"সৌদি বাহিনীর কিছু এপিসি মূল মসজিদ চত্ত্বরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল। তারা ঢুকতেও পেরেছিল। কিন্তু জোহাইমানের লোকজন বেশ ভালো কৌশল নিয়েছিল। তাদের কাছে মলোটভ ককটেল ছিল। তারা মলোটভ ককটেল ছুঁড়ে পারে এই এপিসির ওপর।"

শেষ পর্যন্ত সৌদি বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি মসজিদ চত্বরে ঢুকলো। তারা মসজিদের দ্বিতীয় তলার গ্যালারিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিল। বেশিরভাগ বন্দুকধারী জঙ্গী তখন মসজিদের ভুগর্ভের করিডোরে গিয়ে আশ্রয় নিল। সেই অন্ধকার জায়গা থেকেই তারা পরবর্তী কয়েকদিন ধরে লড়াই করে গেল।

লড়াই আরও তীব্র হয়ে উঠলো। সৌদি সরকারি বাহিনী তীব্র গোলা বর্ষণ শুরু করলো। এই প্রচন্ড গুলির মুখে সবাই ভূগর্ভস্থ কামরায় গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হলো।

কিন্তু তারপরই খবর আসলো, এই কথিত ইমাম মাহদী নিজেই গুলিবিদ্ধ এবং মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। অথচ তিনি যদি সত্যিই মাহদী হন, এমনটি হওয়া অসম্ভব!

সেই সময়ের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন আবদুল মোনায়েম সুলতান।

"মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ তখন দ্বিতীয় তলায়। যখন তার গায়ে গুলি লাগে, তখন লোকজন চিৎকার করে বলতে থাকে, ইমাম মাহদী আহত হয়েছেন! ইমাম মাহদী আহত হয়েছেন! কেউ কেউ তাঁর দিকে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাঁকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু প্রচন্ড গোলাগুলির জন্য কেউ আগাতে পারছিল না। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের পিছু হটতে হয়। কিছু লোক নিচে যায় জোহেইমানকে দেখতে। আমি তাকে জানালাম, ইমাম মাহদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু জোহেইমান সবাইকে বললেন, লোকের কথা বিশ্বাস করো না। ওরা আসলে দলত্যাগী বিশ্বাসঘাতক!"

মক্কাকে ঘিরে এই অবরোধের অবসানের জন্য সৌদিরা তখন ফরাসী সামরিক অধিনায়কদের সঙ্গে শলাপরামর্শ শুরু করলো। ফরাসী বিশেষ বাহিনীর এই অধিনায়কদের গোপনে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। তারা পরামর্শ এবং অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছিল। এরা মসজিদের ভুগর্ভে যেখানে জঙ্গীরা লুকিয়ে আছে, সেখানে বিপুল পরিমাণ সিএস গ্যাস ছাড়ার পরামর্শ দিল।

আবদুল মোনায়েম সুলতান নিজেও তখন সেই গ্যাস হামলার শিকার হন।

"সেখানে বাতাসে তীব্র কটু গন্ধ পাচ্ছিলাম আমরা, সেখানে থাকাটা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। হয়তো পোড়া টায়ারের গন্ধ, কিংবা যারা মারা গেছে, তাদের দেহের পচা গন্ধ ভাসছিল সেখানে। সেই সঙ্গে সেখানে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আমরা বুঝতে পারছিলাম, আমরা মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছেছি। গ্যাসে আমাদের শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসছিল। আমি জানিনা, কিভাবে আমি সেখান থেকে বেঁচে গেলাম।"

শেষ পর্যন্ত যে জঙ্গীরা বেঁচে ছিল, তারা আত্মসমর্পণ করলো। এই অবরোধ চলেছিল দুই সপ্তাহ ধরে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ নিহত তথাকথিত ইমাম মাহদী লাশের একটি ছবি প্রকাশ করে। শত শত মানুষ ঐ যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল প্রায় এক হাজার। হারাম শরিফের বড় একটি অংশই এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে পবিত্রতম অংশ, কাবা অক্ষত ছিল।

"লড়াইয়ের পর মসজিদের অবস্থা দেখে আমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে হচ্ছিল, যেন আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ইসলামের এই পবিত্রতম মসজিদে কেমন করে এটা ঘটতে পারলো। এরকম একটা মসজিদকে কিভাবে তারা যুদ্ধক্ষেত্র পরিণত করতে পারলো। আর সবচেয়ে বেশি যেটা খারাপ লাগছিল, যে মসজিদে এত লোক আসতো, সেটা এখন একেবারে ফাঁকা!"



এই ঘটনার পর সৌদি রাজপরিবার অতিমাত্রায় কট্টর রক্ষণশীল ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তারা সব ধরণের সংস্কার বন্ধ করে দেয়। জিহাদে উৎসাহ যোগাতে শুরু করে।

প্রসঙ্গতঁ ওই অভিযানে দখলদার মারা যায় ২৫৫ জন, আর আহত হয় ৫৬০ জন। মিলিটারি থেকে মারা যান ১২৭ জন, আর আহত হন ৪৫১ জন। কথিত ইমাম মাহদি গুলিতে নিহত হয়। মাস্টারমাইন্ড জুহাইমান ৬৭ জন ফলোয়ারসহ এরেস্ট হয়। তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

পঠিত : ১৬৪৫ বার

মন্তব্য: ০