Alapon

মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী সমীপে...


যুগটা বড়ই ফেতনার যুগ। এ যুগে আপন ভাই তার স্বার্থের জন্য ভাইকে ফাসাঁতে কুন্ঠাবোধ করেনা। একজন আলেম আরেকজন আলেমের পেছনে লাগতে এক সেকেন্ডও ভাবে না। সমালোচনা করার যেসব শরয়ী হুকুম আহকাম আর নীতি নৈতিকতা ধারণ করা দরকার, এগুলো বহু শায়েখের ভিতরে দেখা যায় না, সেখানে মুকাল্লিদদের থেকে আর কী আশা করা যায়।

একটি চক্র শুরু থেকেই সংগঠনের সহযোগী যে কোন আলেমকে বিতর্কিত করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত আছে। বিদেশী টাকায় পরিচালিত বিভিন্ন দাওয়া সেন্টার থেকে ইসলামী আন্দোলন, সংগঠনের সহযোগী, সমর্থক আলেম ওলামাদের হেয় করার নিয়তে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা অব্যহত আছে। দেশের ভিতরে বাতিল শ্রেনীর সহযাগীতায় দ্বীনের কথিত খেদমতে লিপ্ত কতিপয় গ্রুপ একটি বিষয়ে নিজেরা ঐক্যমতে পৌছেছে যে, জামায়াত ঘেষা কোন আলেমকে মাঠে দাড়াতে দেবে না।

ফলে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের কৃপায় পালিত কিছু খামাখা আল্লামারাও এখন মিথ্যাচার আর বিভ্রান্তীকর প্রচারণায় কাপর খুলে রাস্তায় নেমেছে। তাদের প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বিতর্কিত, ইখতেলাফী সেনসিটিব ইস্যূকে পুজি করে সাধারণ মুসলিমদের মনে সংগঠণের প্রতি সহানূভূতিশীল ওলামাদের প্রতি এক ধরনের কুধারণা প্রবেশ করানো। এটা আন্তজার্তিক চক্রান্তের একটি পদ্ধতি মাত্র। এই পন্থাতেই দেশ বরণ্যে, খ্যাতিমান মুফাস্সির আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব সম্পর্কে ঐ মহলটি বিভিন্ন সময় মিথ্যা তোহমদ দিয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের পথ চলতে হবে বুঝে শুনে।

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিনঃ
গভীর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডা জাকির নায়েককে একটি গোষ্টি ইখতেলাফী মাসয়ালার মুখোমুখি করেছিলো। যারা এসব করেছিলো তারা এখন জাকির নায়েকের বিপদে তার পাশে নেই। ঐসব প্রশ্নত্তোর পর্বকে পুজি করে এদেশের একটি বক ধার্মিক গোষ্টি ডা জাকের নায়েককে কাফের ফতোয়া দিতে ইতস্ত করেনি। যদিও তিনি তার বক্তব্যের স্বপক্ষে বহু দলিল আদিল্লা পেশ করতেন। তথাপীও পাবলিক সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে অন্ধ মুকাল্লিদদের হাতে জাকির বিরোধী প্লেকার্ড তুলে দিয়েছিলো ঐ গোষ্ঠীরা।

এ কাজে তারা কিছুটা সফলও হয়েছিলো তার নমুনা হলো আজকের জাকির নায়েকের দাওয়াতী কার্যক্রম সম্পুর্ণরূপে বন্ধ হয়ে আছে। যে গোষ্টিটি ডা জাকির নায়েকের ইখতেলাফী আলোচনাকে পুজি করে তার বিরুদ্ধে মুশরিকদের লেলিয়ে দিয়েছিলো তারাই আজকে আপনার বিরুদ্ধেও মিথ্যা তোহমদ, আর আপনার মুল বক্তব্যকে কাটছাট করার মিশনে নেমেছে যাতে তাদের এদেশীয় প্রভূদের দিয়ে কিছু ফায়দা নিতে পারে। ওরা কোরআনের আসল বয়ানকে ততটাই ভয় পায় যতটা শয়তান কোরআনকে পায়।

আমি আশঙ্কা করছি, ডা জাকির নায়েকের পথেই আপনাকেও বিতর্কিত করার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আল্লামা সাঈদীর পরে গণজোয়ার বিচার করলে আপনার মাহফিলগুলোই সবার নজর কারে। এ অবস্থায় সেই গ্রুপটি নতুন করে সক্রিয় হয়েছে। ফলে পুর্বের পন্থা অনুসারে তারা আপনাকে ফিকহী বিতর্ক, ইখতেলাফী মাসয়ালার ঝামেলায় ফেলে সাধারণ মানুষের মন থেকে দুরে সরাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

আমার পরামর্শ থাকবে, ডা জাকির নায়েক থেকে শিক্ষা নিন। যে কোন ধরনের প্রশ্নোত্তর পর্ব বয়কট করুন। যদি একান্ত করতেই হয় যেসব বিষয়ে বিতর্ক বা ইখতেলাফ নেই বললেই চলে সেগুলো নিয়ে কথা বলুন। পাশাপাশি ভিন্ন মতের ব্যক্তিদের উদ্ধৃতিও সম্মানের সাথে তুলে ধরুণ। ফিকহী রায় চাইলে স্ব স্ব এলাকার মুফতিদের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিন। নিজের ফোকাস কেবল মাত্র কোরআনের গবেষান, কোরআনের আহ্বানকে মানুষের কাছে সহজ সরল ভঙ্গিতে তুলে ধরার দিকে নিবন্ধিত করুন। বেশি বেশি অধ্যায়ন করুন। নবী রাসুল, আসহাবে আজমাইন, পুর্ববর্তি ইমাম মুজাহিদদের নাম, আলোচনা করার সময় তাদের সম্মানের হক আদায়ে ভুল করবেন না।

আল্লাহর কালাম মানুষের কাছে কী দাবি করেককক তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার দিকেই নজর দিন। কেবল মাত্র দাওয়াতী মুডে থাকুন। নিশ্চিত থাকুন, একটু বুঝে শুনে পা ফেলতে পারলে ঐসব কুচক্রিদের পরিকল্পনা অর্ধেক ভন্ডুল হয়ে যাবে। বাকি অর্ধেকের ভন্ডুল করার জন্য আল্লাহই যথেস্ট। আল্লাহর ওপর ভরশা করুন। সরকার বিরোধী কোন বক্তব্য, তৎপরতায় কখনোই নিজেকে জড়াবেন না। আমরা কোরআনের মাঠে দাঈ আযহারীকে দেখতে চাই, মুফতি আযহারীকে নয়।

Apu Ahmed

পঠিত : ৬৩০ বার

মন্তব্য: ০