Alapon

শহীদ প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসি এবং কিছু কথা...


কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিংবা ধর্মীয় আবেগে নয়, ব্যক্তি মুরসি যেমন ছিলেন ।
এ মানুষটাকে নিয়ে লেখার যোগ্যতা বা সামর্থ কোনোটাই আমার নেই। গামাল আবদেল নাসের, আনোয়ার সাদাত, হোসনি মুবারক এর ৩০ বছরের শাসনের কথা আমাদের মনে আছে ।

১৯৭০ সালে নাসেরের আকস্মিক মৃত্যুর পর আনোয়ার সাদাত মিশরের প্রেসিডেন্ট হন । ১৯৭৮ সালে তিনি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মধ্যস্ততায় ইসরাইলের সঙ্গে " ক্যাম্প ডেভিড" চুক্তি করেন । যাতে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় মিশরের সিনাই এলাকা ইসরাইল দখল করে নিয়েছিলো । ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে আনোয়ার সাদাত সিনাইয়ের বেশিরভাগ জায়গা ইসরাইলকে দিয়ে দেন । এর ফলশ্রুতিতে ১৯৮১ সালে এক সামরিক কুজকাওয়াজে স্যালুট গ্রহন করার সময় সাদাতকে হত্যা করা হয় । তখন মিশরীয় বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন হোসনি মোবারক ।

সাদতের মৃত্যুর পর সেই ১৯৮১ সালে মোবারক প্রেসিডেন্ট হন । ক্ষমতায় ছিলেন ২০১২ সাল পর্যন্ত । ৩০ বছর। ২০১২ সালে আরব বসন্তে হোসনি মোবারক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন । এরপর মিশরে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । মিশরের ইতিহাসে একমাত্র নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন মোহাম্মদ মুরসি । গতকাল তিনি জেল থেকে আদালতে যান শুনানিতে অংশগ্রহন করতে । কাঠ গড়ায় তিনি পরে যান । তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়নি এবং তিনি আদালতেই মৃত্যু বরণ করেন । জেল খানায় তাকে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ দেয়া হতো না । তাকে নিয়ে বিশ্বখ্যাত প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ কাহিনীও ছেপেছিলো তার জীবদ্দশায় ।

তিনি একাধারে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, (তিনি ছিলেন ডক্টর (পিএইচডি), তিনি ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক ছিলেন ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে তিনি নাসায় কাজ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি আমেরিকার চাকরি ছেড়ে মিশর ফিরে আসেন এবং যাগাজিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হেড অফ দি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে অধ্যাপক হিসেবে জয়েন করেন।

While living in the United States, Morsi became an assistant professor at California State University, Northridge from 1982 to 1985. Morsi, an expert on precision metal surfaces, also worked with NASA in the early 1980s, helping to develop Space Shuttle engines.
In 1985, Morsi quit his job at CSUN and returned to Egypt, becoming a professor at Zagazig University, where he was appointed head of the engineering department.)

তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ,
তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান,
তিনি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীল নেতা,
তিনি ছিলেন ফ্রিডম এন্ড জাসটিস পার্টির চেয়ারম্যান,
তিনি ছিলেন মিশরের ইতিহাসে একমাত্র নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

ভদ্রলোক অনেক সৎ লোক ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর মুরসি বলেছিলেন, আমি ভাড়া বাসা থেকে সরকারি ভবনে এসেছি, আমার পকেটে কোনো পয়সা নাই। আমি যখন চলে যাবো তোমরা তখন আমাকে পরীক্ষা করে দেখবে এর চেয়ে বেশি কিছু আমার কাছে পাও কি না। যদি পাও তবে ভেবো আমি খেয়ানত করেছি ।
তিনি ক্ষমতায় এসে মিশরকে উন্নত কারার বেশ কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেন। যেগুলো শত্রুদের চোখে ছিলো মারাত্মক 'ভুল'। সেজন্যই তাকে আজ এভাবেই শাহাদাতবরণ করতে হলো। সেই পদক্ষেপগুলো ছিলোঃ

** ক্ষমতায় এসেই মুরসী অনেকগুলো দেশ ভ্রমন করেছিলেন। একমাত্র উদ্দেশ্যে ছিল ঐ দেশগুলো মিশরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। তিনি চীন দিয়ে শুরু করেছিলেন, এরপরে যান রাশিয়ায়। তৃতীয়বারে যান ব্রাজিল। তারপর পাকিস্থান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

গেলেন সৌদি, কাতার ও আরব আমিরাত। কিন্তু ভুলেও তিনি আমেরিকার দিকে তাঁকাননি । এমনকি যে আমেরিকার টাকা মিশরের সেনাবাহিনীকে আনোয়ার সাদাত থেকে শুরু করে পেট মোটা করতে সাহায্য করলো, সেই আমেরিকার প্রতি খুব উঁচু নজরেও কয়েকবার তাঁকিয়েছেন তিনি। যার জন্য তাকে আমেরিকা বিশ্বাস করতে পারেনি।

** ২০১২ নভেম্বর সালে গাজাতে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ জোর করে অভিবাসনের চেষ্টা করে। ফিলিস্তিন আন্দোলনকারী যোদ্ধারা হামাসের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে এবং এক অসম যুদ্ধ শুরু হয়। এর নাম ছিলো “হিজারাতুস সিজ্জিল”। যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ইসরাইলের কলজে ঝলসে যাওয়া শুরু হয় মুরসীর জন্য। সিংহের মত হুংকার ছুড়েন মুরসী- "মনে রেখো ফিলাস্তিনিরা একা নয়”।

তিনি খুব দ্রুত তেল আবিব থেকে মিশরীয় দূতাবাস প্রত্যাহার করে নেন। তার প্রধানমন্ত্রী কিনদীলকে গাজাতে পাঠালেন সাহায্যের চিহ্ন স্বরূপ। যিনি হামাসের সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে পরিপূর্ণ ঐকমত্য ঘোষণা করে আসেন। খুলে দেন রাফাহ সুড়ংগ। এবং দ্রুত যুদ্ধ বিরতিতে বাধ্য করেন ইসরাইয়েলকে।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি আরব বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতার মর্যদায় উন্নীত হলেন, আর অন্যান্য নেতাদের মনে ঢেলে দিলেন হিংসার আগুন। আমেরিকার কয়েকটি জার্নালে তখন মুরসীকে আরবের একমাত্র ইসলামি নেতা হিসেবে উল্লেখ করে, টাইম ম্যাগাজিন তাকে পৃথিবীর প্রথম ১০০ নেতার মর্যাদায় ভুষিত করে।

**সুয়েজ খালের উন্নয়নের জন্য তিনি বিরাট অংকের বাজেট নির্ধারণ করেন। এতে অর্থনীতিবিদরা মনে করলো আগামি ২০২২ সালের মধ্যেই এখান থেকে মিশরের আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তাই যদি হয়, মিশর পৃথিবীর উন্নত দেশ সমূহের কাতারে দাঁড়িয়ে যাবে। আর এটা হলে আরব দেশগুলোতে আমেরিকার মাতাব্বরীতে আসবে মারাত্মক বাঁধা। এ ছাড়া ইসরাইলের সিনাই পরিকল্পনাও ভেস্তে যাবে।
আমেরিকার খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী নোয়াম চমস্কি কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এক সেমিনারে বলেন, মুরসীর সুয়েজ খালের ডেভলপমেন্ট প্লান বাস্তবায়ন হলে আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে, বিশেষ করে দুবাইয়ে, মারাত্মক ধ্বস নেমে আসবে। কারন দুবাই ও আবুধাবী সী পোর্টগুলো তখন মূল্য হারিয়ে ফেলবে। ফলে আমেরিকার অর্থনীতিতে দুবাই থেকে আসা সুবিধা লুপ্ত হবে। টানাটানিতে পড়বে সবাই। কী মারাত্মক পরিকল্পনা ছিলো মুরসী সাহেবের!!

** তিনি ক্ষমতায় যেতে না যেতেই সিনাই এ উন্নয়ন কাজ শুরু করে দেন। সিনাই এ আছে মিশরের ৩১% ভূমি। এর কোন উন্নয়ন এতদিন হয়নি। এই ভূখন্ড উন্নত হলে মিশরে ইনকাম চলে যাবে দ্বিগুণে। চাকুরির সুযোগ পাবে হাজার হাজার বেকার। ফলে তিনি চার দশমিক চার বিলিয়ন ডলার বাজেট করেন ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে। মিশরের সেনা বাহিনীকেও এ এলাকার উন্নয়নে শরিক রাখতে দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাজেটের ঘোষণা দেন।

‘ফাইরুয মিলিয়ন সিটি’ নামে এখানে বসবাসের সমস্ত সুযোগসহ উন্নত ও বিশাল শহর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সিনাই এর উত্তর ও দক্ষিণে দুইটি ইউনিভার্সিটি তৈরি করার জন্য অফিসিয়াল কাজও শুরু করেন তিনি। ঘোষণা দেন, ছাত্র রিক্রুটিং এর জন্য দারুন স্কলারশিপের। এটা ছিলো ইসরাইলের সিনাই দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এক ধরণের যুদ্ধ ঘোষণা। এতো বড় কাজ তার আগে আজ পর্যন্ত কেউ মিশরে করার সাহস দেখাতে পারেনি।

** মুরসীর চিন্তা ছিল মিশরে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়া। কাজেই ক্ষমতায় যেয়ে দেরী না করেই নতুন খাদ্য গুদাম বানানো শুরু করেন তিনি। তিনি কৃষকদেরকে চাষ কাজে উৎসাহিত করার জন্য বহু রকম সহযোগিতা ও ঋণ দান কর্মসূচি গ্রহন করেন। মনে রাখা দরকার মিশর আরব বিশ্বের সবচেয়ে বেশী খাদ্য আমদানি করা রাস্ট্র। ২০০৯ সাল থেকে মিশর শিকাগো থেকে দশ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম আমদানি করে।

খাদ্য আমদানির সাড়ে চুয়াল্লিশ ভাগ আমেরিকা থেকে, বাইশ দশমিক সাত ভাগ অস্ট্রেলিয়া থেকে, বার দশমিক সাত ভাগ ইউরোপ থেকে, তিন দশমিক ছয় ভাগ কানাডা থেকে এসে থাকে। এই দেশগুলো এক সাথেই আইএমএফকে মিশরে কোন ধরণের অর্থ দিতে নিষেধ করে। সমস্ত আরব রাস্ট্রগুলোকেও নির্দেশ দেয়া হয় মিশরকে যেন এক পয়সাও ঋণ সাহায্য না দেয়া হয়। মুরসীর এ্তোবড় পদক্ষেপ তারা সহ্য করতে পারেনি।

** শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার জন্য তিনি প্রাথমিক, সেকেন্ডারি এবং হাইয়ার সেকেন্ডারি লেভেলগুলোতে পাশ্চত্য সিলেবাস বাতিল করার পদক্ষেপ নেন। শুধু তাই নয় পাশ্চত্যের মানের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থার নির্দেশ দেন তিনি। যাতে মিশরের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রাধান্য থাকতো বেশি। এটা বাস্তবায়ন করলে দেখা যেতো ওখানে নিয়োজিত হাজারো আমেরিকান ও পশ্চিমা শিক্ষক ও উপদেষ্টাদের ছাঁটাই করতে হতো। এটা মারাত্মক পদক্ষেপ যা বিদেশি বেনিয়াদের ক্ষেপিয়ে তোলে। বাইরের লোকদের কাছে না পড়লে পড়াশুনা হয় ?

** তিনি এরদোগানের হাতে হাত রেখে মুসলিম বিশ্বের ‘জি-এইট’কে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান। এরই ফলোশ্রুতিতে তূর্কির সাথে এক চুক্তি সম্পাদিত হয়। এতে করে মিশরের বাজার তুর্কির জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং তুর্কির সাথে মালায়েশিয়ার বড় বড় ইনভেস্টমেন্টের দরজা খুলে যেতে থাকে। মিশরকে উন্নত পর্যায়ে নিতে তার এই পদক্ষেপ ওরা কেউ মানতে পারেনি।

** তিনি মিশরে বেশ কিছু পরিবর্তন খুব দ্রুততার সাথে করতে চেয়েছিলেন। সেনাবাহিনীতে তিনি ছাঁটাই শুরু করেছিলেন। বিচার বিভাগের প্রতি শ্যেন দৃষ্টি রেখেছিলেন। পুলিশ বাহিনীর দূর্নীতি তিনি রাতারাতি শেষ করতে ব্যপৃত হয়ে পড়েন। মিডিয়ার প্রতি ছিলো তার খুব রাগ। এগুলোর পরিবর্তনে তিনি এতোই সচেষ্ট হন যে, সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ না করলে দেশটা অন্য কিছুতে পরিণত হতে যাচ্ছিল। এই "অপরাধ" ক্ষমা করার মতো মন কারোরই ছিলো না।

** মিশরে চলে আসছিলো কিবতিদের রাজা ফিরাউনের শাসন। এই শাসন শুরু হয় জামাল নাসের থেকে। ষাট সত্তর বছরের এই শাসনকে তিনি প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই পরিবর্তন করে নতুন এক সংবিধান প্রনয়ন করেন এবং একে “শারইয়্যাহ” নাম দিয়ে জনগনের ভোটে পাস করিয়ে নেন। সংবিধানটা পড়লে পাগলেও বুঝতে পারবে যে ওটা ছিলো “কুরআন ও সুন্নাহ” এর সরাসরি প্রতিবিম্ব।

** হোসনি মুবারকের কিংবা তার আগের সরকারদের আমলেও সরকারি সকল অফিস আদালতে সরকার প্রধানের ছবি ঝুলানো বাধ্যতামুলক ছিলো, কিন্তু তিনি কোথাও নিজের ছবি ঝুলাননি, বরং সকলকে নিষেধ করে দিয়েছিলেন।
মুহাম্মদ মুরসির সরলতা ছিলো অবিশ্বাস্য। নির্বাচিত হবার পর যখন সরকারি প্রটোকল তাকে বাসা থেকে আনতে গেলো তিনি সরল মনে বলে ফেললেন,
বাসার সামনে সব সময় এক সাথে বেশি পুলিশ দেখলে মনে হয় আমাকে জেলে নিতে আসছে ।

সত্যি বলতে কি, এই 'অপরাধ' ক্ষমা করতে মিশরের সেনাবাহিনি, পুলিশ, মিডিয়া বা বিচার বিভাগ-কেউই রাজী ছিলো না। আরো রূঢ় সত্য হলো তার এই "ভুলগুলো" প্রাচ্য ও পাশ্চত্যের কোনো রাজা মহারাজা, কিংবা বুদ্ধিজীবী বা বুদ্ধিহীন মেনে নিতে পারেনি। তাকে সরিয়ে দিতে সৌদি ঢেলেছে অর্থ, দুবাই ঢেলেছে সোনা, আর আমেরিকা-ইসরাইল সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে দিয়ে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে এক বছরের মাথায় মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে গ্রেফতার করে। জেনারেল সিসি মূলত ইসরাইলের দালাল।
এখানে ব্যক্তি মুহাম্মদ মুরসির কথা বলেছি, প্লিজ কেউ রাজনীতি বা ধর্মীয় বিষয় টেনে আনবেন না।

তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন পত্রিকা, ফেসবুক ।
জন্মের তারিখ এবং স্থান: ২০ আগস্ট, ১৯৫১, Al Idwah, মিশর
মরার তারিখ এবং স্থান: ১৭ জুন, ২০১৯, কায়রো, মিশর
স্বামী বা স্ত্রী: নাজলা মাহমুদ (বিবাহ. ১৯৭৮–২০১৯)
প্রধানমন্ত্রী: Kamal Ganzouri; Hesham Qandil
আগের অফিস: মিশরের রাষ্ট্রপতি (২০১২–২০১৩), Member of the People's Assembly (২০০০–২০০৫)
শিক্ষা: ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (১৯৮২), Cairo University (১৯৭৮), Cairo University (১৯৭৫), Cairo University
শিশু: আব্দুল্লাহ মুরসি, ওসামা মুরসি, Shaima Morsi, আহমেদ মুরসি, ওমর মুরসি

সংগৃহিত...

পঠিত : ১৭৫৯ বার

মন্তব্য: ০