Alapon

"জ্ঞান" সভ্যতার পুনর্জাগরণের একমাত্র দাবীঃ



জ্ঞান ও সভ্যতা একে অপরের পরিপূরক। একটি সভ্যতা মূলত জ্ঞানের উপরই প্রতিষ্ঠিত হয়। সভ্যতা হচ্ছে জ্ঞানের প্রায়োগিক একটি ক্ষেত্র। গ্রীক বলেন, মিশরীয় সভ্যতা বলেন অথবা আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূরীভূতকারী ইসলামী সভ্যতা বলেন প্রত্যেক সভ্যতা তখনই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যখন সে জ্ঞানের নতুন এক দিক উন্মোচিত করেছে।
জ্ঞান কী?? প্রশ্ন করলে অনেক উত্তর পাওয়া যাবে। তার্কিশে জ্ঞানের জন্য আপাত দৃষ্টিতে দুটি শব্দ বিদ্যমান।
- ইলিম (জ্ঞান)
- বিলিম (বিজ্ঞান)
অবশ্য এটা শুধু একটা ভাষায় ক্ষেত্রে নয়, সকল ভাষাতেই এই বিভাজন হয়েছে। অবশ্য পূর্বে জ্ঞান এবং বিজ্ঞান বলে আলাদা কোন শব্দ ছিল না। বরং এ দুটিকে সামগ্রিকভাবেই জ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করা হতো। যদিও ১৮ শতাব্দীর পর থেকে জ্ঞানকে এই দুটি শব্দের মাধ্যমে আলাদা দুটি জ্ঞানের শাখা হিসেবে বিভাজন করা শুরু হয়।

মুসলিম সভ্যতায় জ্ঞানের কদর ছিল আকাশছোঁয়া। প্রথম দেড়শ হিজরী পর্যন্ত জ্ঞানের যে বৈচিত্র্যতা দেখা যায় আমাদের মুসলিম সভ্যতায় তার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোথাও খুজে পাওয়া সম্ভব না। এই স্বাধীনতা আকাঈদ থেকে ফিকহ, তাসাউফ থেকে ইলমুল কালাম, পদার্থ, রসায়ন, ভাষাতত্ত্ব, জীববিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান সকল ক্ষেত্রে বিরাজমান ছিল।
একটি সভ্যতা ১০০০ বছর পুরো পৃথিবীতে প্রচন্ড প্রতাপের সাথে শাসন করেছে, সাম্য ও ন্যায়ের পতাকা উড্ডীন করেছে। এর পেছনে মূল শক্তি কী ছিল??? একবারও কী সেই প্রশ্ন নিজেদের জিজ্ঞেস করেছি??
আমরা তারিক বিন যিয়াদ, মূসা বিন নুসাইয়িরের যুদ্ধের ইতিহাস পড়ি, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর বাংলা বিজয়ের ইতিহাস পড়ি। যখন সেই ইতিহাস অবলোকন করা হয় মনে হয় যেন যুদ্ধ ও অস্ত্রের ঝনঝনানি। আসলেই কী তাই??
অবশ্যই তাদের মাধ্যমে অঞ্চল পূর্ণ শাসনাধীনে এসেছে তবে তাদের জন্য অন্য কিছু মানুষ উপযুক্ত জমিন তৈরী করেছিলেন। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশ অঞ্চল বিজয়ের পেছনের পটভূমি শুধু যুদ্ধ ছিল না বরং স্পেন থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিশাল একটি সভ্যতার পটভূমি রচনা করেছিলেন তৎকালীন উন্নত আখলাকের অধিকারী জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ। দুনিয়ার জমিনকে তারা উপযুক্ত করেছিলেন মূসা, তারিক ও বখতিয়ারদের আগমণকে মসৃণ করার লক্ষ্যে। তারা পর্দার আড়ালের কারিগর। যাদেরকে তেমন দেখা যায় না প্রকাশ্যে। কিন্তু তাদের প্রভাব ছিল পৃথিবী ব্যাপী।

একটি সভ্যতা হুট করে এমনিতেই দাঁড়িয়ে যায় না। পুরাতন একটি সভ্যতাকে পরাজিত করতে হলে সেই সভ্যতার জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতে হয়, তার সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করতে হয়। উন্নত ও আধুনিক একটি সংস্কৃতি মানুষের সামনে দাড় করাতে হয়, নিজের সেই উন্নত সংস্কৃতিকে প্রমোট করার জন্য পূর্ববর্তী সভ্যতা ও সংস্কৃতির ফিলোসোফিকাল যে ভিত্তি রয়েছে সেই ভিত্তিমূলে আঘাত করে ভুল প্রমাণ করার পর, উন্নত আধুনিক ও আখলাকসম্পন্ন নতুন ফিলোসোফি উপস্থাপন করতে হয়, যার মাধ্যমে যুগ জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার সাথে সাথে সমসাময়িক সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব হয়।

ইমামে আযম, ইমাম আবু ইউসুফ, ইবনে সিনা, ইমাম গাজ্জালী, ইমাম সারাখসী, আতা বিন ওয়াসেল, ইমাম জুয়াইনী, ইমাম শাতিবী, ইবনে রুশদ, জাবির ইবনে হাইয়ান, আল খাওয়ারিজমী, আল বাত্তানী ইসমাইলী, ফাতিমা আল ফিরহী, ইমাম ইবনুল কাইয়্যুম, ইবনে খালদুন এই নামগুলো হচ্ছে আমাদের সভ্যতার আকাশের একেকটি শক্তিশালী উল্কা ও তারকামন্ডলী।
উনাদেরকে পুরো পৃথিবী বরণ করে নিয়েছিল। পদার্থ বিজ্ঞান থেকে শুরু করে Anatomy, মানতিক থেকে Sociology, গণিত থেকে যাত্রা শুরু করে মেটাফিজিক্স পর্যন্ত সর্বস্তরে ছিল তাদের রাজত্ব।

আপনি তৎকালীন সময়ের কোন প্রশ্নের জবাব চান??
গণিত?? সমাজব্যবস্থার থিওরী?? ভূগোল?? অর্থনীতি?? ফিলোসোফি?? কালাম শাস্ত্র?? অপটিক্স?? কোন বিষয়ে জানতে চান?? উত্তরের জন্য উপরের তারকাদের কাছেই আসতে হতো।
তারা ছিলেন তাদের জ্ঞানের জগতের নক্ষত্র। তাদের মাধ্যমেই জ্ঞান ভিন্ন এক ডাইমেনশন পেয়েছিল, সেকারণেই মুসলিম সভ্যতা পৃথিবীর সকল সভ্যতাকে পরাজিত করে ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজব্যবস্থা উপহার দিতে পেরেছিল।

কিন্তু আমাদের সভ্যতার ইতিহাসে জ্ঞান যখন মৃত্যুবরণ(যুগ-জিজ্ঞাসার জবাব দিতে ব্যর্থ) করল তখন থেকেই কেবল গ্লানি বয়ে বেড়াচ্ছে এই উম্মাহ। যখন নিউটন এসে ইবনে সিনার পদার্থবিজ্ঞানকে ভুল প্রমাণ করলো আমরা তখন শুধুমাত্র ফিকহী দ্বন্দ্ব নিয়ে তর্ক করছিলাম।
যখন রেনে দেকার্তে সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দু কী হবে? তার উত্তরে স্রষ্টার পরিবর্তে মানুষকে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছিল তখন আমরা ঠুনকো বিষয় নিয়ে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত ছিলাম। তারা যখন পাশ্চাত্য সভ্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চিন্তার ও গবেষণার সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিচ্ছিল আমরা তখন এমন সব ফতোয়া তালাশে ব্যস্ত যার তালুক খুজে পেতে পেতে আজও হয়রান সকলে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জ্ঞানগত অবস্থাকে যদি বিগত ৩-৪ শ বছরের জ্ঞানগত অবস্থার সাথে তুলনা করা হয় তাহলে নিজেদের হীনমন্যতা, দীনতা, নির্বুদ্ধিতা ও অসহায়ত্ব খুব সহজেই অবলোকন করা যায়। জ্ঞানের ক্ষেত্রে এক বিন্দু পরিমাণ সামনে এগিয়েছে কিনা সন্দেহ!!! এরকম চিন্তা-ফিকিরকে যতদিন আকড়ে ধরে থাকবে বিবেকবান মানুষেরা ততদিন সভ্যতা দূরে থাক, সামান্য এক দেশ বাংলাদেশ, সেটার উন্নতিও বহূত দূরের কল্পনা।

জ্ঞান ও বিজ্ঞান হচ্ছে গতিশীল একটি জিনিস। এখানে কোন বিষয়ই সর্বদা স্থির থাকবে না। এরিস্টটলের পদার্থবিজ্ঞানকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইবনে সিনা। সেই ইবনে সিনাকে খন্ডন করতে পেরেছে নিউটন। এরপর নিউটনের সেই তত্ত্বকে নাড়িয়ে দিল আইন্সটাইন। সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বসে নিউটনের অভিকর্ষ ও মহাকর্ষ সংক্রান্ত ল' কে। এটা অতি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। জাবির ইবনে হাইয়ানের কেমিস্ট্রি পরিবর্তিত হয়েছে, ডাল্টনের থিওরী ভূল প্রমাণিত হয়েছে, রাদারফোর্ডের থিওরীও ভূল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাদের সময়ে তারা রসায়নের সর্বোচ্চ থিওরীর মাধ্যমে একপ্রকার সমাধান দিয়েছে।

একইভাবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে যুগ-জিজ্ঞাসার জবাব পালটে যায়। তাই একটি সভ্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করে রাখতে হলে তার প্রত্যেকটি জিনিসের ফিলোসোফিকাল সমালোচনা প্রয়োজন এবং একই সাথে সময়ের আলোকে ভিন্ন ডাইমেনশন আনাও অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মুসলিম সভ্যতায় সেই ডাইমেনশনের অভাব মূলত ১৫ শতাব্দীর পর থেকে শুরু হয়েছে।
সেসময় থেকে বর্তমান সময় অব্দি প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান আমরা ইমাম সারাখসী থেকে পেতে চাই, ইমাম জুয়াইনী থেকে পেতে চাই, ইবনে খালদুন থেকে পেতে চাই। নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার জন্য, পূর্বের দার্শনিক ভিত্তিকে গুড়িয়ে দিতে এখনো গাজ্জালীকে সমাধানের জন্য নিয়ে আসি, ইবনে সিনাকে নিয়ে আসি। অথচ তারা তাদের যুগের সমাধান দিয়ে দিয়েছেন।

আমরা বর্তমানের সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে কোন কাজই করছি না। এড়িয়ে যাচ্ছি প্রতিটি ক্ষেত্রেই। সকলের বোধগম্য হয় এরকম কোন অর্থনৈতিক সমাধান দিতে পারছি না। রাষ্ট্রব্যবস্থার সঠিক রূপরেখা কেউ দেখাতে পারছে না। সমাজব্যবস্থা ও শাসনব্যবস্থার কাঠামো তুলে ধরতে পারছি না।
প্রতিদ্বন্দ্বী সভ্যতাকে দোষারোপ করে কোন ফায়দা হবে না। ওদেরকে দোষারোপ করা শুধুমাত্র নিজের দায়িত্বে প্রতি অবহেলা মাত্র। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে-
"শীতপ্রধান এক অঞ্চল যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে থাকে সেখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন দুটোই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তাই পানি গরমের জন্য যে মেশিন রয়েছে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গ্যাসের অভাবে আগুনেরও ব্যবস্থা নেই। নামাযের জন্য অযুর প্রয়োজন। মুসল্লিরা গিয়ে ধরেছে ইমাম সাহেবকে যেন তিনি সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে ব্যাপারটা ঠিক করার পদক্ষেপ নেন।
ইমাম সাহেব প্রতিউত্তরে সকলকে বললেন যে- ঠান্ডা পানি দিয়ে অযু করা বেশী সওয়াবের কাজ।"
ইমাম সাহেবের কথা অনেকের মনে ধরলো। অনেকে মেনেও নিল।
এখানে কিন্তু মূল সমস্যার তো কোন সমাধান হলো না।
আমরা ঠিক এভাবেই বর্তমান যুগের প্রশ্নসমূহের উত্তর দেয়ার পরিবর্তে এসব বলেই স্বান্তনা দিচ্ছি ও আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি।

ইমামে আযম, ইমাম গাজ্জালী, ইবনে সিনা, ইবনে খালদুন, আল্লামা ইকবাল এরা কেউ ওয়ায়েজীন ছিলেন না। তারা ছিলেন চিন্তাবীদ-উসূলবীদ, তারা ছিলেন উদ্ভাবক, যুগের সমস্যার সমাধানকারী, জ্ঞানের উন্নতি সাধনকারী। বিবেকবান ও চিন্তাশীল যুবুদেরকে তাই সেভাবেই গড়ে উঠতে হবে। নতুন চিন্তাকে স্বাগত জানাতে হবে, সেই সাথে সেই চিন্তাকে খন্ডন করে সমাজের জন্য উপকারী ভিন্ন জিনিসের দিকে ধাবিত হতে হবে।

একবিংশ শতাব্দীতে এখন যুগের সাথে সাথে চিন্তা ও জ্ঞানের পরিবর্তন হচ্ছে, প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে। পূর্বে কোন চিন্তা বা ফিকিরের স্থায়িত্ব থাকত ১০০ বছর ব্যাপী, কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। প্রতি দশকে দশকে অর্থনীতির পলিসি চেঞ্জ হচ্ছে, রাজনীতির নিয়ম পাল্টে যাচ্ছে, সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তির হচ্ছে, ফিলোসোফির ধারণা বদলাচ্ছে। সময় যেন আলোর বেগের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটছে।
আমাদেরকে তাই সেভাবেই পাল্লা দিতে হবে। ইমামে আযমের মতো ভবিষতে কী সমস্যার উদ্ভব হতে পারে তা নিরূপন করে তার সমাধান বের করে যেতে হবে, প্রিন্সিপাল দাড় করিয়ে রেখে যেতে হবে, যেন তা হাজার বছর পরেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও গ্রহণযোগ্য থাকে। আল্লামা ইকবালের মতো সুদূর প্রসারী চিন্তার কান্ডারী হতে হবে যেন ১০০ বছর পরও তার কৃতকর্মকে অধ্যয়ন করতে বিশ্ব বাধ্য থাকে।

জ্ঞান হচ্ছে সেই জিনিস যা যুগের সমস্যা সমাধানের উপায় দেখিয়ে দেয়। জ্ঞান আমাকে আপনাকে একটি সুনির্দিষ্ট জবাবের রাস্তা বাতলে দেয়। জ্ঞান সামগ্রিক তাই তাকে সামগ্রিকভাবেই বিবেচনা করতে হবে। শুধু একটি অংশ নিয়ে পড়ে থাকলে নতুন সভ্যতা বিনির্মানের জন্য ক্ষুদ্র কন্ট্রিবিউশনও আমাদের দ্বারা সম্ভব হবে না।

"যেখানে জ্ঞানের উন্নতি হয় না সেখানে সভ্যতারও উন্নতি হয় না। সভ্যতা পরিবর্তনের জন্য যেমন জ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব প্রয়োজন তেমনিভাবে জ্ঞানের উন্নতির জন্য সভ্যতাকে বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এরা একে অপরের পরিপূরক।"

বাংলাদেশের তরুণদের তাই চিন্তার ক্ষেত্রে ভিন্নতা আনতে হবে। সমস্যার সমাধানের জন্য, বর্তমান পুজিবাদী সভ্যতাকে পরাজিত করার জন্য চিন্তাকে সম্প্রসারিত করতে হবে। জ্ঞানকে শুধু ফিকহী কিতাবের মধ্যে বন্দী করে না রেখে মানুষের অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এযুগের মুসলিম যুবকদের জন্য তাই উদ্ভাবনী শক্তিকে শানিত করে সভ্যতার তারকাদের অনুপ্রেরণা নিয়ে নিত্য নতুন উদ্ভাবনের চিন্তা-ফিকির করা এখন সময়ের দাবী।

আবারও শেষ প্রশ্ন করতে হয়- আমরা কী আমাদের যুগ জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার জন্য কোন তৎপরতা চলাচ্ছি?
সেটা না করে বর্তমান সময়ে এসেও রেনে দেকার্তের, কান্ট-রুশো-ভলতেয়ার-ফ্রয়েড, নী'চের জবাব দেয়ার বিপরীতে যদি গাজ্জালী ও ইবনে সিনাকে নিয়ে আসি তবে তা আমদের নিতান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক দৈনতা ছাড়া আর কিছুই নয়? এভাবে শুধু সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়াটাই শেখা হবে, প্রকৃতপক্ষে কোন সমস্যার সমাধান দেয়া কখনোই সম্ভব হবে না।

পঠিত : ১১২১ বার

মন্তব্য: ০