Alapon

আমরা কোন তাফসির গ্রন্থ পড়ব...?


এই প্রশ্নটি বহুবার আসে। অনেকে ফেসবুকে পোষ্ট দেন। কেউ তার প্রিয় তাফসিরের নাম বলে পরামর্শ দেন। কেউ আবার বলে দেন যে, নিজে নিজে তাফসির পড়লে সঠিক জ্ঞান পাওয়া যাবেনা, তাই চাই উপযুক্ত মুরুব্বী এবং তারই যথাযথ তত্ত্বাবধানে কোরআনের জ্ঞান শিক্ষা নিতে হবে। ফলে যারা নিজ উদ্যোগে তাফসির পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে চায়, তারা এত ধরনের উত্তর পেয়ে ঘাবড়ে যায় এই ভয়ে যে, কিছু না জেনে আপাতত ইসলামের উপরে আছি, ভালই আছি। বেশী জানতে গিয়ে উল্টো পথভ্রষ্ট হবার ঝুঁকি নেবার দরকার নেই। অথচ কোরআনে বলা হয়েছে, "আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্যে অতএব কোন চিন্তাশীল আছে কি? সুরা কামার:১৭" এই কথার সহজ অর্থ দাঁড়ায়, কোরআন বুঝতে অতিমানবীয় কোন গুণের প্রয়োজন নেই। তাই আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এই পোষ্টটি সাজানো হয়েছে, আমরা কোন তাফসির পড়ব? এটা নিতান্ত আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ, আগ্রহী কারো কাজে লেগে যেতে পারে কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারে।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে সারা বিশ্বে প্রায় নয় শতাধিক সংকলন রয়েছে, যে গুলোতে কোরআনের তাফসির রয়েছে। অর্থাৎ নয় শতাধিক মহান ব্যক্তিরা তাঁদের জ্ঞান, মেধা, মননকে এই কাজে লাগিয়েছে। এ প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। বিশ্লেষণ করে তাফসির লিখতে দীর্ঘ বছর লাগে। ফলে অনেকের জীবদ্দশায় এই কাজটি শেষ করে যেতে পারেন নি। তারপরও স্থান, দেশ, কাল, সময় ভেদে কিছু তাফসির সারা জাগিয়েছে বিশ্বময়। একজন ব্যক্তির পক্ষে সবগুলো তাফসির পড়া সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে যে কয়টি তাফসির বেশী পঠিত তা নিম্নরূপ,

১. তাফসিরে ইবনে কাসির

২. তাফসিরে জালালাইন

৩. মা-আরেফুল কোরআন

৪. ফি-যিলালিল কোরআন

৫. তাফহিমুল কোরআন

উপরোক্ত তাফসির গুলো বাংলাদেশে বেশী প্রসিদ্ধ। এই মহান তাফসির কারকেরা কেউ বাংলাদেশের কিংবা বাংলা ভাষাভাষী মানুষ নন। কিন্তু বাংলাভাষায় অনুবাদ হয়েছে বলে এগুলো নাগালের মধ্যে পাওয়া যায়। বাংলাভাষায় অনুবাদ হয়েছে এমন আরো বেশ কিছু তাফসির আছে, যেগুলো উপরের তালিকার তাফসির গুলোর মত অত প্রসিদ্ধি পায়নি!

তাফসিরে হাক্কানি ও নূর-ই-কোরআন লিখিত হয়েছিল যথাক্রমে মাওলানা শামশুল হক ফরিদপুরী ও মাওলানা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের (রহ) হাত দিয়ে। এ'দুটি তাফসির সরাসরি বাংলায় অনুদিত। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ হয়ত এই তাফসিরের ব্যাপারে অবগত নন। কারণ হিসেবে উত্তর একটিই, এই মহান ব্যক্তিরা জীবনের একটি বিশাল সময় ব্যয় করে এসব তাফসির লিখেছেন, সে জন্য তাঁরা আল্লাহর কাছে বিরাট প্রতিদান পাবেন কিন্তু যে কোন কারণেই হোক তা মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়নি। তাই দেশের মানুষও নিজ দেশের জ্ঞানী আলেম দ্বারা রচিত, এই তাফসিরের খবর জানেনা। ওনারা দু'জন বাংলাদেশী ছিলেন বলেই, আলাদা করে বুঝার জন্য, স্বতন্ত্র প্যারাগ্রাফে তথ্য উপস্থাপন করলাম। কেননা তাঁরাও বাংলাভাষা ভাষিদের জন্য গৌরব।

মূলত সকল তাফসিরই মানুষের জন্য উপকারী। তবে পড়ার শর্ত একটাই, সেটা হল অন্তরের স্বচ্ছতা। অধিক জানার আগ্রহ ও নিজেকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে তাফসির পড়তে হবে। তাফসিরের ভুল বের করার নিয়তে যদি কেউ তাফসির পড়া শুরু করে, তাহলে সর্বদা সে নিজেকেই পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে দেখতে পাবে, আর সারা বিশ্বের তাবৎ তাফসিরের মাঝে ভুল দেখতে পাবে। এ ধরনের মানুষ সঠিক ও সত্য জ্ঞান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। মোহাম্মদ (সা) জগতের শ্রেষ্ঠতম পুত পবিত্র চরিত্রবান মানুষ কিন্তু ওতবা, শাইবা, রাবিয়ার দৃষ্টিতে তিনি আপাদমস্তক ভুলে ভরা মানুষ! সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গি কার কেমন সেটার উপর নির্ভর করে সঠিক জ্ঞান পাবার সম্ভাবনা কার কেমন!

১. তাফসিরে ইবনে কাসির:

আবুল ফিদা ইসমাইল ইবনে ওমর ইবনে কাসির (রহ) ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এই তাফসির রচনা করেন (জন্ম বর্তমান সিরিয়ার বশরা শহরে)। তিনি ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিস, ফকিহ, মুফাসসির ও ইতিহাসবিদ। তখন ভারতে সুলতানি আমলের জমানা এবং সিরিয়ায় মামলুকি শাসন চলছিল। জ্ঞান বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ যুগ, ইসলামী ঐতিহ্যের ভরা যৌবন। আবার তিনি দেখেছেন মুসলমানদের চরম দুর্দিন। তাতারদের ধ্বংসযজ্ঞ, দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি। মুসলমানেরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্তি এবং ক্রুসেডারদের সম্মিলিত শক্তির আগ্রাসন। সঙ্গত কারণে সময়কালীন ত্রয়োদশ শতাব্দীর বিষয় বস্তুর প্রভাব তাঁর তাফসিরে আছে। এই তাফসির গ্রন্থে প্রচুর উপমা, ঘটনার বিবরণ, বিশ্লেষণ পাওয়া যায় যা মানুষকে প্রভাবিত করে। তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে ভরা এই তাফসির। ইবনে কাসিরের ওস্তাদ জগত বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ইমাম ইবনে তাইমিয়ার চিন্তা ও দর্শন এই তাফসিরে প্রভাব সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীতে বহু ইসলামী পণ্ডিতের সৃষ্টি হয়েছে এই তাফসির গ্রন্থ পড়ার মাধ্যমে। সারা দুনিয়াতে এটি বহুল সমাদৃত গ্রন্থ।

২. তাফসিরে জালালাইন: জালাল আল দ্বীন আল মহল্লী (রহ) ১৪৫৯ সালে এই তাফসির লিখা শুরু করেন মাঝপথে তিনি ইন্তেকাল করলে এটির কার্যক্রম থেমে যায়। অতঃপর আল্লামা জালাল আল দ্বীন আল সূয়তী (রহ) একই ধাঁচে লিখে এটার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন ১৫০৫ সালে শেষ করেন। এটা একটা বিরল কৃতিত্ব বটে। আল্লামা সুয়তি একাধারে হাফেজ, মুহাদ্দিস, ফকিহ, মুফাসসির, দার্শনিক। তিনি চমৎকার রকমের বহু গ্রন্থের প্রণেতা! মিশরে জন্ম নেওয়া এই মহান পুরুষ দু'জনের নামই 'জালাল'। আরবিতে দ্বিবচন বুঝাতে জালাল থেকে 'জালালাইন' অর্থাৎ দুই জালালের সম্পৃক্ততার ঘোষণা প্রকাশ করে। ফলে এটি তাফসিরে জালালাইন হিসেবে সমাদৃত। পরবর্তীতে এই তাফসিরের ব্যাখ্যা লিখেন ইতিহাসের বিখ্যাত সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। আরবি বাক্য তো বটেই শব্দকে পর্যন্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে প্রতি ধাপে। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই কিতাবটি বাছাই করা হয়। দুটো উপকার তাতে। এক, তাফসির জানা দুই, আরবি ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন। প্রচুর উপমা ও ঘটনার বর্ণনা রয়েছে এই কিতাবে। সারা দুনিয়াতে সমাদৃত গ্রন্থ।

৩. মা-আরিফুল কোরআন: উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফী (রহ) কর্তৃক অনুদিত তাফসিরে মা-আরিফুল কোরআন। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এই মহান ব্যক্তিকে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার অনুরোধ করেন রেডিও পাকিস্তানে একটি ইসলাম বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচারে। মুফতি মোহাম্মদ শফি বিনা টাকায় এই অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী হন। ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ১০ বছরর ধারাবাহিক ভাবে মা-আরিফুল কোরআন তথা "পবিত্র কোরানের জ্ঞান" নামে এই প্রোগ্রাম তিনি পরিচালনা করতে থাকেন। সুরা ইব্রাহীম পর্যন্ত প্রচার করতে পেরেছিলেন, তখনই সরকার এই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়। যেহেতু রেডিওর প্রোগ্রাম তাই জীবন ঘনিষ্ঠ বিষয়ের উপর জোড় পড়ত বেশী, ফলে এই বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থে অন্যান্য বিষয়াবলীর সাথে সাথে মাসয়ালা-মাসায়েল সংক্রান্ত বিষয় বেশী প্রাধান্য পায়। মানুষও বেজায় উপকৃত হয়, এমনকি এই অনুষ্ঠানটি একটি জাতীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। রেডিও অনুষ্ঠান বন্ধ হলেও শ্রোতা ও মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে, অসুস্থ আলেম ১৯৬৯ সালের দিকে বিছানায় শুয়েই এই তাফসির সমাপ্ত করেন। পাকিস্তান রেডিওর মাধ্যমে শোনা স্রোতাদের মাধ্যমেই এই তাফসিরের প্রচার-প্রচারণা সারা ভারত বর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এটিও সারা দুনিয়াতে সমাদৃত গ্রন্থ। বর্তমান পাকিস্তানের আলোচিত বরেণ্য ব্যক্তি, ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা ত্বকি ওসমানী তাঁরই সুযোগ্য সন্তান।

৪. ফি-যিলালিল কুরআন: মিশরের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ সাইয়্যেদ কুতুব এই তাফসিরের প্রণেতা। মিশরীয় এই ইসলামী চিন্তাবিদ একাধারে কুরআন হাফেজ, আলেম, শিক্ষক, অধ্যাপক, স্কুল ইন্সপেক্টর ছিলেন। উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের জন্য আমেরিকায় গেলে সেখানকার বস্তুবাদী জীবনের পরিণতি নিজ চক্ষে দেখতে পান। তিনি বুঝতে পারেন, আমেরিকান সংস্কৃতি বস্তুবাদী চিন্তা নিয়ে সারা দুনিয়ায় যেভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তা রোধ করতে পারে একমাত্র ইসলাম। তাই তিনি দেশে ফিরে আসলে পরে ১৯৫২ সালের দিকে পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে লিখা শুরু করেন ফী-যিলালিল কুরআন তথা "কোরআনের ছায়াতলে" নামক তাফসির। সাইয়্যেদ কুতুব ছিলেন পত্রিকার সম্পাদক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জেল জীবন মোকাবেলা করে ফাঁসির দড়িতে প্রাণ দেওয়া মানুষ। জেল থেকে বের হয়ে ১৯৬৪ সালের দিকে ফী-যিলালিল কুরআনের তাফসির শেষ করেন। মূলত তার এই তাফসির টি তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত তাফসির। তিনি চেয়েছিলেন ব্যাখা আরো প্রশস্ত করবেন কিন্তু ফাঁসি মঞ্চের রসি সে সুযোগ দেয়নি। এটাকে আধুনিক তাফসির বলা হয়। কেননা এর পরতে পরতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও সভ্যতার সাথে ইসলামের চিরন্তন দ্বন্ধ ও বৈপরীত্বকে তুলে ধরা হয়েছে এবং এর মোকাবেলায় কি কি টেকনিক অবলম্বন করা যায় তার বিস্তারিত দর্শন উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এই তাফসির টি পাশ্চাত্যে বিশ্বে বেশী সমাদৃত হয়েছে কেননা সেখানকার দর্শনের বিপরীতে এতে রয়েছে নানাবিধ পরামর্শ ও উত্তর।

৫. তাফহীমুল কুরআন: আল্লামা মওদূদী (রহ) এই তাফসিরের প্রণেতা। জন্ম বর্তমান ভারতের আওরঙ্গবাদ, মহারাষ্ট্র। ১৯৪২ সালে শুরু করে দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অধ্যয়নের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে এটি শেষ করেন। তিনি ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, লেখক, সম্পাদক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাফহীমুল কোরআন তথা "কোরআন বুঝা" তাফসিরটি বিভিন্ন উপায়ে ঐতিহ্যগত তাফসীর থেকে একটু ভিন্ন। এটি আধুনিক চিন্তাধারার মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এই তাফসিরে অর্থনীতি, সমাজনীতি, ইতিহাস, রাষ্ট্রনীতি, রাজনীতি সম্পর্কিত দিক নির্দেশনা রয়েছে। পৃথিবীর সকল মন্ত্র ব্যর্থ একমাত্র ইসলামই সঠিক ও বিজয়ী, এটার চিত্র তিনি দক্ষতার সাথে আকতে পেঁরেছেন। পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মগুলোর ব্যর্থতা ও বর্তমানে তার পরিণতি; অন্যান্য জাতির অধঃপতন ও বর্তমান মুসলমানদের দুর্গতির কারণ গুলো পয়েন্ট আকারে যুক্তি ও বিশ্লেষণ করে বুঝিয়েছে যে, ইসলাম ও কোরআনের নির্দেশনা এই পৃথিবীর সকল দেশ ও জাতীর যাবতীয় সমস্যা সমাধানে পারঙ্গম। এই তাফসিরের বিষয়বস্তু আধুনিক বিষয়াবলীর সাথে খাপ খায়, তাই আধুনিক শিক্ষিতরা তাদের পড়া বিষয়টির যে আরেকটি ভিন্ন দিক রয়েছে, তা দিনের মত পরিষ্কার দেখতে পায়। কোরআনের দিকে আধুনিক চিন্তার মানুষকে আকর্ষণ করতে পারার, এটিই এই তাফসিরের অন্যতম ভিন্ন দিক। এটিও সারা বিশ্বে সমাদৃত এবং অনলাইনে বেশী পঠিত তাফসির গ্রন্থ।

উপরোক্ত পাঁচটি তাফসির নিয়ে আমার ক্ষুদ্র মূল্যায়ন শেষ করলাম। যদিও ওঁদের নিয়ে লিখতে গিয়ে বড় ভলিউমের পুস্তকের সৃষ্টি হবে। আশা করি পাঠকেরা এই বিশ্লেষণ থেকে বের করে নিতে পারবেন তাদের পছন্দের তাফসির গ্রন্থটি। তাফসিরের ব্যাখ্যা দিতে গেলে অগণিত হাদিসের যোগ সূত্র সৃষ্টি হয়। তাই সকল তাফসিরেই হাদিসের ব্যাপক উপস্থিতি আছে। এই পৃথিবীতে যে ব্যক্তি সঠিক-বেঠিক চিনতে পারে, সত্য-মিথ্যা বুঝতে পারে, পচা-বাসির তফাৎ বুঝে, চীন-আমেরিকার পৃথক বুঝে, নিজের ভাল কোনটা সেটা ধরতে পারে; সে ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে কোরআন হাদিস পড়লেও কারো সাহায্য ব্যতিরেকে তা অবশ্যই বুঝতে পারবে। এভাবে বুঝার জন্যই যুগে যুগে কোরআনের তাফসির সৃষ্টি হয়েছে, সামনেও হবে। আবার বিতর্কিত তাফসির কারক বলে কাউকে চিহ্নিত করার সুযোগ নেই, উচিতও নয়। কেননা উপরের এদের পিছন থেকেও বিতর্ক থামেনি। পৃথিবীর কোন মানুষ এটা থেকে মুক্ত নয় কিন্তু নিজের বিবেক বুদ্ধি, জ্ঞানের সামর্থতা দিয়েই হাশরের ময়দানে সবাইকে প্রশ্ন করবে। তাই এক মুহূর্ত দেরী নয়। পৃথিবীতে যতদিন কোরআন-হাদিস উপস্থিত থাকবে ততদিন মানুষ পথহারা হবেনা কেননা সঠিক রাস্তা পাবার এগুলোই একমাত্র মাধ্যম। আর সে মাধ্যম নিজ দায়িত্বে খুঁজে নিতে হয়।

Nazrul Islam Tipu

পঠিত : ৪২১১ বার

মন্তব্য: ০