Alapon

সময় এখন মতবাদ রক্ষার নয়, সময় এখন ঈমান রক্ষা করার।


শেফুদা যখন প্রধানমন্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করলো, ইউটিউবে সেই গালাগালি শুনে অনেকেই বলতেন পাক্কা একটা মর্দে মুজাহিদ। সুদূর প্রবাস থেকে পাঠানো তার শব্দ বোমা কান ভরে শুনে মন ভরে তৃপ্তি পেতেন অনেকেই।

শেফুদা যখন ইসলামের বিরুদ্ধে সেই বোমা দাগাতে শুরু করলেন, বাংলার ইসলামী বিপ্লবীরা বুঝতে পারলেন ভুল জায়গায় প্রেম করেছেন। কিন্তু ততদিনে প্রেম পরিণত হয়ে গেছে। কি আর করার, তাকে নাস্তিক মুর‍তাদ আখ্যা দিয়ে ফেসবুক বিপ্লবীরা ঈমানি দায়িত্ব পালন করে ঘুমাতে গেলেন।

অথচ শেফুদার অশ্লীল বক্তব্যকে সাপোর্ট না দেয়াই উচিত ছিল। গালাগালি সকল অবস্থায়ই খারাপ।

তারও আগে আহলে হাদীস ভাইদের মধ্যে যারা এসি লাগানো শীতল স্টুডিও তে বসে সহীহ হাদীসের নামে মসজিদে মসজিদে গন্ডগোল বাধাতেন তাদেরকে আমাদের ইসলামপন্থী অনেক বন্ধুরা পিঠ চাপড়ে বাহবা দিতেন। সমর্থন জানাতেন। ভাবতেন এই লোকগুলো এদেশের ইলমি শুন্যস্থান পূরণ করবেন।

কিন্তু ইনারা যখন সাঈদী সাহেব হাদীস পড়তে পারেননা বলে চ্যালেঞ্জ জানালেন, ইসলামী রাজনীতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিতে শুরু করলেন তখন নড়ে উঠলো টনক। তারপর কি হলো সবাই জানেন। এখন জামাতি কওমি সবাই বয়ানে উঠে প্রথম ত্রিশ মিনিট আহলে হাদীস ভাইদের বিরুদ্ধে বরাদ্দ করেন। কেউ কেউ আহলে হাদীসের বিরুদ্ধে এত অশ্লীল ভাবে বলেন শুনে বিব্রত হতে হয়।

মুফাসসিল ইসলামের কথা ... থাক বাদ দিলাম।

আমেরিকা প্রবাসী এক সাংবাদিক ইসকনের বিরুদ্ধে, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পনেরো মিনিটের অনুষ্ঠান প্রচার কর‍তে লাগলেন। তিনি আল্লামা বাবুনগরী হুজুর ওমাওলানা মামুনুল হককে নিয়েও বলতে শুরু করলেন। একটি বিপ্লবের আভাস পেতে শুরু করলাম আমরা। সম্প্রতি তিনি হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ডকুমেন্টারি সহ একটি অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হবেন বলে জানালেন।

কুয়াকাটার সিদ্দিকী সাহেব মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বিরুদ্ধে বলায় খুব স্বাভাবিকভাবেই জামায়াতের সমর্থকরা কষ্ট পেয়েছেন । আমি নিজেও তার ওরে বাটপার শুনে ব্যাথিত হয়েছি। কওমির বেশিরভাগ লোক ব্যাথিত হয়েছেন।

ভালকথা কারও এমন কোন রহস্য থাকলে ফাস করার দায়িত্ব তো সাংবাদিকদের। কিন্তু আমাদের উনাকে নিয়ে নতুন বিপ্লবের স্বপ্ন দেখা কি ঠিক হচ্ছে? অনেকে কিন্তু ওই সাংবাদিকের সিদ্দিকী বিরোধী উদ্যোগ জেনে খুশী হয়ে স্ট্যাটাসও দিচ্ছেন।

এই সাংবাদিক কয়েকদিন পর শেফুদার মত, মুফাসসিলের মত, সহীহ ভাইদের মত বন্দুকের নল ঘুরাবেননা তার কী নিশ্চয়তা আছে? ইউটার্ণ যেকোনো সময় হতে পারে।

ভাই ও বোনেরা! আল্লামা ববদিউজ্জামান নুরুসীর ভাষায় বলতে চাই, সময় এখন মতবাদ রক্ষার নয়। সময় এখন ঈমান রক্ষা করার। আমাদের যুদ্ধ তো একে অন্যকে ঠেঙানো নয়, ঈমান রক্ষার জন্যই হওয়া উচিত ছিলো।

সাইমুম সাদী

পঠিত : ৬৭৩ বার

মন্তব্য: ০