Alapon

তবে কি পুরো মধ্যপ্রাচ্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে?


COVID-19 (নভেল করোনা ভাইরাস) এখন ইরানে পৌঁছে গেছে। এর আগে আরব আমিরাতে ভাইরাস আক্রান্ত নতুন করে দুইজন যাদের একজন সম্প্রতি ইরান ফেরত।
ডেঞ্জার হচ্ছে ইরান কিভাবে ভাইরাস কে পুরাপুরি কোয়ারান্টাইন করবে তার উপরে আস্থা নাই।

ইরানের নিউজ মিডিয়া হেভিলি সরকার নিয়ন্ত্রিত, তাই সঠিক খবর পাওয়ার উপায় নাই। এরপর ইরান থেকে ইরাক, ইরাক থেকে সিরিয়া, তারপর বাদবাকি দেশে করোনার যাত্রা সহজ হয়ে পরবে। ইরাক আর সিরিয়া হচ্ছে যুদ্ধাবস্থার দেশ, বিশেষ করে সিরিয়া। একবার সিরিয়ায় করোনা পৌছালে সিরিয়ানদের আর শেষ রক্ষা হবে না। এক আল্লাহ ব্যতিত কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না।

আপাতত ইরান ইরাকের সাথে তার ল্যান্ড বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে। কেউ ইরান থেকে ইরাকে যেতে পারবে না। ওদিকে কাতার ইরানে তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইরানের সেই শহরের স্কুল কলেজ আপাতত বন্ধ রেখেছে, সেই সাথে বন্ধ সকল পাবলিক ইভেন্টস। ইরানের যেইসব শহরে স্কুল কলেজ তার মাঝে তেহরান অন্যতম।

করোনা একবার মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছান মানে এশিয়া আর আফ্রিকার খুব সহজে ছড়িয়ে পরবে।
চীনের টাকা আছে, দেশের মানুষকে সরকারি কোয়ারান্টাইন এর ভিতর বাধ্য করার রাষ্ট্রীয় কাঠামো আছে, তারা দরকার হলে পুরা একবছর মানুষকে গৃহবন্দী করে রাখতে পারবে। চীন এখন তাদের কারেন্সীকে পর্যন্ত ভাইরাস মুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। যাতে টাকাপয়সা হস্তান্তরেও এই ভাইরাস না ছড়ায়। বাংলাদেশের মতন দেশগুলোর এসব করার ক্ষমতা বা সমন্বয় নাই। তাই সেখানে প্রথম থেকেই করোন আবিরোধি পদক্ষেপ না নিলে, একবার ভাইরাস পৌছালে তা কন্ট্রোল করা একেবারে অসম্ভব হবে।

ব্যাড নিউজ হছে, করোনা মানুষ টু মানুষ খুব দ্রুত ছড়ায়, মানুষ খুব দ্রুত অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ে, দুর্বল আর এক্সস্টেড মানুষের দ্রুত মৃত্যু হয়। গুড নিউজ হচ্ছে সবল আর গুড ইমিউন্ড মানুষ এই ভাইরা্সে আক্রান্ত হলে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হচ্ছে। ব্যাড নিউজ হচ্ছে বাংলাদেশের মতন দেশ এই উপযুক্ত চিকিৎসা এফোর্ড করতে পারবে না। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সাহায্য আর সহযোগিতা লাগবে।

চীনে এখন প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা কমছে, তার মানে তাদের কোয়ারান্টাইন সিস্টেম এফেকটিভ। লেটস প্রে এন্ড হোপ যে এই ভাইরাসের সঙ্ক্রমন থেকে বাদবাকি দেশগুল বেচে যাক। এটা প্যান্ডেমিকে না পৌঁছাক। যদিও এখন পর্যন্ত চীনের বাইরে প্রায় ২৪টি দেশে এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগির খবর পাওয়া গেছে, এমনকি তাদের মৃত্যুর খবর পর্যন্ত। তবে এদের সবাই সম্প্রতি চীন ফেরত।

কোভিড-১৯ এর কারনে ইতালির দশটি শহর এখন ভার্চুয়ালি লকডডাউন। যেসব শহরে মোট জনসংখ্যা ৫০ হাজার। আপাতত যেই পদক্ষেপ ইতালি নিয়েছে তা হচ্ছেঃ

- বাসিন্দারা ১ সপ্তাহ বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ
- সমস্ত পাবলিক ইভেন্ট স্থগিশেদ
- অফিস আদালত এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ
- বিনোদনমূলক সকল কার্যক্রম বন্ধ
- সমস্ত স্কুল বন্ধ
- তবে এই অঞ্চলগুলিতে গণপরিবহন বন্ধ হবে না

ইতালির মিলানে একজন রোগির খবর পাওয়া গেছে। এটা খুব হট টুরিস্ট ডেস্টিনেশান।
ইতালিতে প্রচুর বাংলাদেশী। তাদের সাথেও এই ভাইরাস বাংলাদেশে পৌছাতে পারে। সরকার কি প্রস্তুত চীন ইতালির মতন পদক্ষেপ গ্রহন করে কোভীড-১৯ এর মোকাবেলা করার?

মেইন খবর হচ্ছে চীনে কভিড-১৯ এর সঙ্ক্রমন কমছে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার জন্য, কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এর সমক্রমন বাড়ছে।

@Sabina Ahmed

পঠিত : ৬০২ বার

মন্তব্য: ০