Alapon

সিরিয়া যুদ্ধ দ্রুত ইদলিব-আলেপ্পোর বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে।


দফায় দফায় রাশান বিমান হামলার পরেও শক্তিশালী তুর্কী আর্টিলারির সামনে টিকে থাকতে ব্যর্থ হচ্ছে আসাদ বাহিনী। গতকাল এম ফোর ওএম ফাইভ হাইওয়ের সংযোগস্থলে থাকা সারাকিবের নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নায়রেব শহরটি তুর্কী সেনাবাহিনীর সহায়তায় জয় করে নিয়েছে আসাদবিরোধী সুন্নী বিদ্রোহীরা। কাল গভীর রাতে তীব্র সংঘর্ষের পর আস সালিহিয়্যাহ ও মারাত উল আমর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় আসাদের সিরিয়ান আরব আর্মি।
ইদলিবে বোমাবর্ষণ করার জন্য লাতাকিয়ার হেমেইম এয়ারবেস থেকে কাল ২৫ বারের বেশি টেইক অফ করেছে রাশান ফাইটার।

ইদলিবের দক্ষিণ ও পূর্বে আসাদ বাহিনী একের পর এক গ্রাম দখল করে যাচ্ছে, কিন্তু পশ্চিম ও উত্তরে বারবার তারা মার খাচ্ছে।
তুর্কী সেনাবাহিনী আলেপ্পো ও হামায় অভিযান চালাচ্ছে, ইতোমধ্যেই আলেপ্পোতে প্রবেশ করেছে তুর্কী সেনাবাহিনী সমর্থিত ফায়লাক আল মাজদ বাহিনীর তৃতীয় ব্যাচ।

ইস্টার্ন ফ্রন্টের আইন আল আরব তথা কোবানিতে তুর্কী-রাশিয়া জয়েন্ট প্যাট্রোলিং শুরু করেছে। আলেপ্পোর অদুরে কাফর নায়া, তেল রিফাত সহ বিভিন্ন অঞ্চলে কমিউনিস্ট এসডিএফের বিরুদ্ধে শেলিং শুরু করেছে তুর্কী সেনাবাহিনী-সুন্নী আরব বিদ্রোহীরা। এর বিপরীতে এসডিএফ জারাবলুস, আলেপ্পো ও আফরিনের বিভিন্ন গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।

তুর্কী বাহিনী সম্পুর্ন নতুন এক মুভ নিয়েছে রাক্কার দিকে, যা আসন্ন বলে আমি কয়েকদিন আগে আমি মন্তব্য করেছিলাম। দক্ষিণমুখী এই মুভে তুর্কী বাহিনী রাক্কার উত্তর দিকে এসডিএফের অবস্থানগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে।

ক্যাজুয়ালটি সম্পর্কে বিভিন্ন পক্ষ বিভিন্ন দাবী করছে। এখন পর্যন্ত জানা গেছে সিরিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় তিনজন তুর্কী সৈনিক, প্রায় দু ডজন বিদ্রোহী টিএফএসএ সৈনিক, দুইজন রাশান অফিসারসহ শতাধিক আসাদ বাহিনী সৈনিক এবং পাচজন এসডিএফ(ওয়াইপিজি/পিকেকে) সৈনিক নিহত হয়েছে। তবে এসবের সত্যতা শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

@Muhammad Sajal

পঠিত : ৪৮৭ বার

মন্তব্য: ০