Alapon

কোভিড১৯ কান্ট্রি অফ ইন্টারেস্টঃ ইরান...


এই পর্যন্ত অফিসিয়াল আক্রান্তের সংখ্যাঃ ১৬,১৬৯ (এপি নিউজ)
এই পর্যন্ত অফিসিয়াল মৃতের সংখ্যাঃ ৯৮৮ (এপি নিউজ)


গত ২৪ ঘন্টায় নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১,১৭৮, যা এই পর্যন্ত প্রাপ্ত দৈনিক সংখ্যার মধ্যে সবচেয়ে বড়। গতকাল বোথ ইরান আর স্পেনে নাম্বার স্পাইক করেছে। কোথাও সংখ্যা কমার লক্ষন নাই।


আনফিসিয়াল অফিসিয়াল সংখ্যা এর চাইতে অনেক বেশি।


ইরানের কোভিড১৯ সিচুয়েশান এখনও কন্ট্রোলে আসে নাই, যদিও নিকট অতীতে অফিশিয়ালি তারা নাম্বার কম দেখিয়ে কন্ট্রোল প্রমাণ করতে চেয়েছে।


এখন ওয়ার্নিং দিয়েছে যে আগামি কিছুদিনে তাদের সিচুয়েশান কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাবে যেহেতু ইরানীরা সরকার প্রদত্ত ট্র্যাভেল রেস্ট্রিকশান মানছে না। ইরান থেকে ভাইরাস পার্শ্ববর্তী ইরাক, সিরিয়া, আর লেবাননে ছড়াচ্ছে। এখন খুব স্ট্রিকটলি মানুষের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, ইটস টু লেইট।


ফাইনালি তারা করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার কম শহরের মাজারকে পালিকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই মাজারকে আরো অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল। ইরানি সরকারের অনেক গাফলতির কারনে ইরানীরা আজ ভুগছে। তবে এখন সীমান্ত ক্লোজ, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ, সেই সাথে নন এসেনশিয়াল ব্যবসাবানিজ্যের গতি কমানো হয়েছে। এগেইন ইটস টু লেইট।


তবে ইরান একটা পদক্ষেপ নিয়েছে যা বাকিদের এখনও নিতে শুনি নাই, তা হচ্ছে তারা করোনা স্প্রেড রোধে তাদের ৮৫,০০০ কারাবন্দীকে সাময়িক ভাবে ছেড়ে দিয়েছে। এই খবর এসেছে তাদের অফিশিয়াল তাসনিম নিউজ এজেন্সি থেকে। ইরান করোনায় মৃতদের গন ভাবে দাফন করছে।


ইরানের উপর যে মার্কিন স্যাঙ্কশান আছে তার কারনেও ইরানের অবস্থা শোচনীয়। তারা ভেন্টিলেটার কিনতে পারছে না, হাসপাতালের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে পারছে না। এমনকি গুগলে তাদের করোনা আক্রান্ত এরিয়ার ট্র্যাকিং এপ পর্যন্ত বসাতে পারছে না। এই এপ সিঙ্গাপুরের সেলফ কয়ারাণ্টাইনে বিশাল ভুমিকা রেখেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারনে গুগল তাদের এলাঊ করে নাই।


ইরানের সরকার মেডিক্যাল ইমারজেন্সি রিজনে মার্কিন সরকারকে চাপ দিচ্ছে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের, যদিও ইরাকে ঠিকই মার্কিন সেনা অবস্থানকারী তাজি ঘাটিত কিছুদিন আগেই তাদের সমর্থিত ইরাকি শিয়া কাসাইব হেজবোল্লাহরা মিসাইল নিক্ষেপ করে ২ মার্কিন সেনা আর এক ব্রিটিশ সেনা কে হত্যা করেছে, আর আমেরিকাও পালটা আক্রমনে বেশ কিছু শিয়া মিলিশিয়া মেরেছে।


যুদ্ধক্ষেত্রে যাই চলুক না কেন, তার কারনে সাধারন ইরানিদের এই মুহূর্তে পানিশ করার কোন মানে নাই। আর হিম্যানেটেরিয়ান গ্রাউন্ডে আমেরিকার উচিৎ ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া।


করোনা আউটব্রেকে ইরানের অবস্থা আসলেই শোচনীয়। এই প্রথম ইরান আইএমএফ থেকে করোনা মোকাবেলার জন্য ঋণ চেয়েছে।


যেইসব দেশ ইরানকে সাহায্য করছে তাদের মধ্যে চীন আর তুরস্ক অন্যতম। চীন কিছুদিন ধরেই তাদের সাহায্য করে চলেছে। আজ তুরস্ক ইরানে ১০০০ কোভিড১৯ টেস্টিং কিট, ৪৭১৫ কাভারল, ২০,০০০ এপ্রোন, ৭৮,০০০ মাস্ক, ২,৪০০ গগলস, আর ৪,০০০ এন৯৫ মাস্ক পাঠিয়েছে।


সিরিয়া নিয়ে তুরস্ক আর ইরানের অনেক বিরোধ আছে, এলেপ্পো নিয়ে তো রীতিমত যুদ্ধাবস্থা। কিন্তু এই বিপদে তুরস্ক ইরানের পাশে এসে দাড়িয়েছে। বিপদ মানুষকে কেবল দূরে ঠেলে দেয় না, কাছেও টানে।


কাজের কাজ হতো যদি আমেরিকা আর ইরান অতীতের সব যুদ্ধ বিগ্রহ কিছুদিনের জন্য ছুড়ে ফেলে একে অপরকে কিছুদিনের জন্য শ্রদ্ধা ভরে একসাথে কাজ করত।


আপডেট: এখন ওমান, কুয়েত , কাতার, আর আরব আমিরাতও ইরানকে সাহায্য প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছে।

@Sabina

পঠিত : ১০৮০ বার

মন্তব্য: ০