Alapon

বাঙাল জাতি, তবে করোনায়া আক্রান্ত হয়ে মরার জন্য রেডি হন...


সপ্তাহ দুয়েক আগেও মালয়েশিয়াতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল অল্প সংখ্যক। জনজীবনও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে মালয়েশিয়াতে তাবলীগ জামায়াতের দুটি বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুটি সমাবেশে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়।

এ দুটি সমাবেশের পরপরই মালয়েশিয়াতে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কয়েকহাজার ছাড়িয়ে গেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। অনেকটা জরুরী অবস্থা বিরাজ করছে।

অন্যদিকে প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। কিন্তু ইরানের সরকার প্রথম থেকে ব্যাপারটাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছিল না। কারণ, তারা যদি প্রথম থেকেই ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নিতো তবে আর ব্যাপকভাবে ইসলামি বিপ্লব দিবস পালন করা সম্ভব হতো না। ফলে ১৬ জানুয়ারী সর্বত্র ইরানজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে ইসলামি বিপ্লব দিবস পালন করা হয়। .

এরপরই ইরানে করোনা আসল রূপে আর্বিভূত হতে থাকে। ইরানে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যুবরণ করেছে ৯৮৮ জন।

উপরের দুটো ঘটনা বললাম, কারণ আমাদের দেশের সরকার এগুলো থেকে শিক্ষা নিতে পারতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারও ইরানের সরকারের মত ঘাড় ত্যাড়ামো করে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে, জনসমাগম ঘটিয়ে জাতির আব্বুর জন্মদিন উদযাপন করল।

আর বাঙ্গাল জাতিটাও এমন ব্যাকুব জাতি, মুখে মাস্ক পরে পাঞ্জাবির উপর মুজিব কোর্ট ঝুলিয়ে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আসছে জন্মদিন উদযাপন করতে। আর নারী জাতি স্নো, পাউডার মেখে জামার সাথে ম্যাচিং করে মুখে মাস্ক করে জন্মদিন পালন করতে টিএসসিতে হাজির হয়েছে।

এতো আয়োজন করে জাতির আব্বুর জন্মদিন পালন করার পর আজই পত্রিকায় সংবাদ পেলাম- করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে ব্যাপস সংক্রমণ ঘটিয়েছে। এই সংবাদ পড়ে আমি অবাক হইনি। অবাক হয়েছি একদল হুজুরের কান্ড দেখে।

যেখানে সৌদি আরবের শরিয়া কাউন্সিল কাবা ঘর তাওয়াফ বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানকার মসজিদগুলো বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে লক্ষিপুরে একদল আলেম গণজামায়াত ঘটিয়ে আল্লাহর কাছে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দু’ আ করছেন! আরে এই দু’আ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি মেলা তো দূরের কথা, বরঞ্জ এর মাধ্যমে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে- তা নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়।

আমি বরাবরই বলি- আমরা বাঙালি জাতি হলাম পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি। ছোটলোক জাতি। করোনা ভাইরাস যেন সংক্রমণ ঘটাতে না পারে সে জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হল। আর গর্ধবরা বাপ,মা বাচ্চা মিলে সব কক্সবাজারে পিকনিক করতে গেছে!

এই যে গোটা বিশ্বে মোটামুটি কারফিউ জারি হয়ে গেছে, কিন্তু তারপরও কিন্তু বাঙালের কোনো হুশ হয়নি। আমাদের সরকার বেহুশ সরকার তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। কিন্তু আমাদের গোটা জাতিটাই একটা বেহুশ জাতি। যতক্ষণ না পাইকারীহারে মানুষ মরা পড়তেছে- ততক্ষণ আক্কেল হবে বলে মনে হচ্ছে না।

তবে মরার জন্য রেডি হন...

পঠিত : ৫১৭ বার

মন্তব্য: ০