Alapon

প্রেসক্রিপশন ফর করোনা প্রিভেনশান নিউট্রিয়েন্ট প্যাকেজ...


ভিটামিন সিঃ
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যঃ ৩ গ্রাম/দিন
১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্যঃ ১.২৫ গ্রাম/দিন
২ বছরের বেশি-৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্যঃ ৫০০ মিলিগ্রাম/দিন
মা ও দুগ্ধপোষ্য শিশুদের ডোজঃ
২ বছরের কমবয়সী শিশুদের কোন প্রকার সাপ্লিমেন্টেশনের প্রয়োজন নেই। তারা মায়ের দুধ পান করবে।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দেয়া ডোজ ফলো করাই যথেষ্ট। যেসব মায়েরা বাচ্চাদের দুধ পান করাচ্ছেন তারা ভিটামিন সির ৩ গ্রাম ডোজের সাথে ৫০০ আইইউ ভিটামিন ই গ্রহন করবেন, এটা বাচ্চাকে সুরক্ষা দেবে ইনশা আল্লাহ।
ব্যবহারঃ ১ গ্রাম ভিটামিন সি পাউডার ১/২ কাপ পানিতে গুলে ৫ মিনিট রেখে দেবেন। তারপর সেটার অর্ধেক খেয়ে ফেলবেন এক ডোজ হিসাবে। প্রতি ১ ঘন্টায় এরকম এক ডোজ করে খেতে হবে।
এভাবে খেলে দিনে ভিটামিন সির শরবত আপনাকে খেতে হবে মোট দেড় কাপ। অর্থাৎ আপনাকে একটা ছোট পানির বোতলে এই শরবতটা সাথে রাখতে হবে যদি আপনি বাড়ির বাইরে থাকেন।
শিশুদের জন্য শরবতটা লোভনীয় করে তুলতে তাতে পরিমানমত মধু মিশিয়ে দিতে পারেন, এই মধুমিশ্রিত ভিটামিন সির শরবত ডায়বেটিক প্যাশেন্ট ছাড়া যে কেউ খেতে পারবেন। এছাড়াও একই পরিমান লেমন জুস বা অরেঞ্জ জুসের সাথে ভিটামিন সি পাউডার মিশিয়ে খাওয়া যাবে।

সতর্কতাঃ
যদি কারো ডায়রিয়া দেখা দেয় তবে ভিটামিন সির ডোজ যা খাচ্ছিলেন তার অর্ধেক করে ফেলতে হবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যাদের আছে তারা ভিটামিন সির শরবত বানাবার সময় এক চিমটি লবন/খাবার সোডা মিশিয়ে দিলে কোন রকম গ্যাস ফর্ম হবে না ইনশা আল্লাহ।
হৃদরোগীদের জন্য ভিটামিন সি মেগাডোজ কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না, ডায়বেটিক রোগী, লিভার ও কিডনির সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীদের জন্যও ওপরে বর্নিত ডোজ গ্রহনযোগ্য। তবে কারো একিউট রেনাল ফেইলিউর থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বাধ্যতামূলক।
এই ডোজে ভিটামিন সি গ্রহন করলে হৃদরোগীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন ইনশা আল্লাহ।

ম্যাগনেসিয়ামঃ
বড়দের জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম ডোজে কোন রকম টক্সিসিটির সম্ভাবনা নেই, নিশ্চিন্তে গ্রহন করতে পারেন।
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ডোজঃ ২০০ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম খেতে হবে দুই ভাগে, দুপুরে ও রাতে খাবার পর।
গর্ভবতী মা ও দুধপান করাচ্ছেন এমন মায়েদের জন্যেও বড়দের জন্য দেয়া ডোজ প্রযোজ্য।
ভিটামিন ডি থ্রি/কোলিক্যালসিফেরলঃ
প্রাপ্তবয়স্করা দুপুরে খাবার পর ২০০০ আইইউয়ের মেগাডোজ নেবেন।
অনেকে হাইপারভিটামিনোসিসের ভয় পান, বাস্তবে ১০০০০ আইইউয়ের নিচে ভিটামিন ডি হাইপারভিটামিনোসিস হবার সম্ভাবনা নাই।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য ৪০০০ আইইউয়ের ডোজ যে নিরাপদ তা ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত।
১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ১০০০ আইইউ এবং ২-৫ বছর বয়সীদের জন্য ৫০০ আইইউ যথেষ্ট।
২ বছরের কম বয়সীদের জন্য মায়ের দুধ যথেষ্ট যদি মা ওপরোক্ত নিউট্রিয়েন্ট নিয়ে থাকেন।
সতর্কতাঃ কিডনি রোগীরা ভিটামিন ডি থ্রি মেগাডোজ নেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। যারা ৫০০ মিলিগ্রাম/দিন এর বেশি ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন তারাও এব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

জিঙ্কঃ
বড়দের জন্য- দুপুরে খাবার পর ২০ মিলিগ্রাম/দিন
১০ বছরের কম বয়সী শিশু-৮-১০ মিলিগ্রাম/দিন
২-৫ বছরের শিশুঃ ৫ মিলিগ্রাম/দিন
২ বছরের কম বয়সীদের জন্য জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন নেই যদি মা সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করেন।
এই ডোজের জিঙ্ক থেকে কোন সাইড ইফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এই প্রেসক্রিপশান ISOM এর রেকমেন্ডেড ডোজকে অনুসরন করছে।
সবাই যার যার জায়গা থেকে সতর্ক থাকুন। প্রেসক্রিপশানটি জনস্বার্থে শেয়ার করুন।

@Sajal

পঠিত : ১০২৬ বার

মন্তব্য: ০