Alapon

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যেতে পারে



যে রিপোর্টটি শেয়ার করেছি, তাতে কোন গোপন তথ্য নেই।এটা স্ট্যান্ডার্ড একাডেমিক জিনিষ। এই রিপোর্টে বাংলাদেশের বর্তমানে প্রকৃত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কত, আগামীতে সংখ্যাটি কিভাবে বাড়তে পারে এবং কতজন রোগীর মৃত্যু হতে পারে তার ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে।

এই রিপোর্টট ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশানে সাবমিট করা হয়েছে।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে করোনা মহামারীতে মোট ৮৯, ১২০,১৬১ ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। যার মাঝে ৩,৩০৭,৩৯৩ জন রোগীর হসপিটাল ট্রিটমেন্ট লাগতে পারে। ৬৯৬,৫৯৫ জন রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগতে পারে। এবং ৫০৭,৪৪২ জন রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

এইটা কোন দৈববাণী নয়। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের কভিড-১৯ রেসপন্স টিমের সাম্প্রতিক কালের খুবই ইনফ্লুয়েন্সাল একটা রিপোর্টের মডেল ও বাংলাদেশের জনমিতির তথ্য ব্যবহার করে এই ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডনের যে রিসার্চের ভিত্তিতে রিপোর্টটি করা হয়েছে তা পাশ্চাত্যের অনেক গুলো দেশে ব্যবহার হয়েছে। এই রিপোর্টের পরে বরিস জনসন হেরড ইমিউনিটি তত্ত্ব থেকে ১৮০ ডিগ্রি উলটে গ্যাছে। এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক করোনা নিয়ে, ১৮০ ডিগ্রি উলটা ঘোরাতে এই রিপোর্ট টি ভূমিকা রেখেছে।

ফলে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ গৃহীতারা এই রিপোর্ট এবং মডেলটিকে সিরিয়াসলি নেবেন নাকি তারা জনপদে একটা ভয়ংকর দুর্যোগের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করে থাকবেন। চয়েস তাদের। একাডেমিশিয়ানরা তাদের দায়িত্ব সেরেছে।

এই রিপোর্টটা খুবই স্ট্যান্ডার্ড একাডেমিক জিনিষ। এখানে গোপনীয় কিছু নেই। ইতোপূর্বের এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ নিয়ে যে ভিডিও করেছিলাম , এইটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন আসতে পারে যে সরকার যেখানে ১০ জন ১২ জন রোগীর কথা স্বীকার করতেছে, এই মডেল অনুসারে একাডেমিশিয়ানরা কিভাবে বলতেছেন, ২১ মার্চ পর্যন্ত ১২ হাজার রোগী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এইটাই এই রিপোর্টে বলা আছে।
তারা বলছেন,
" As the number of cases identified on the 8th of March 2020, can be an underestimate,"
যেহেতু আটই মার্চ পর্যন্ত যে পরিমাণ রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে তা সম্ভবত, কমিয়ে বলা হতে পারে, ।
"we wanted to find an answer to this question. Therefore, we relied on the date of the first death reported in Bangladesh, which was 18 th of March 2020.
তাই, আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করেছি। ফলে, আমরা ১৮ মার্চে করোনায় মৃত্যুর সরকারের ঘোষণার উপরে নির্ভর করে খোজার চেষ্টা করেছি, সংক্রমণটা কত দূর ছড়তে পারে।

( আমার মন্তব্য: করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যু বরন করার আগে, ভাইরাসটি অনেক দিন শরীরে থাকে। এবং এই সময়ে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করে এবং তার ভিত্তিতে এপিডেমওলজিস্টরা মডেল করে বলতে পারে, উক্ত রোগী কবে সংক্রমিত হয়েছেন। এবং এর মধ্যে তিনি কয় জনকে সংক্রমণ ঘটিয়েছেন, করোনার একজন ব্যক্তির আরেকজনকে সংক্রমণ করার হার কি, প্রবেবিলিটি কি এবং এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ অনুসারে বাকিরা কত জনকে সংক্রমিত করেছে।খুবই স্ট্যান্ডার্ড একাডেমিক মডেল ।)

তাই এই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
As per our model based on the assumptions
mentioned in the method section, we think that the Bangladesh epidemic started with the entry of
the primary case on February 2, 2020

মেথড সেকশনে বর্ণিত ধারনা গুলো অনুসারে আমাদের মডেল অনুসারে আমরা মনে করি, ২ ফেব্রুআরি তারিখে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী(প্রাইমারি কেস) প্রবেশ করে।
and on the day of the death of the first person from COVID19,
there were already 1,685 symptomatic cases present in the community.
এবং যে দিন কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর প্রথম মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেই দিন সারা দেশে ১৬৮৫ কভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী থাকার কথা।
According to this model, there can be 21,461 symptomatic cases by March 31.
এই মডেল অনুসারে মার্চ ৩১ তারিখে ২১,৪৬১ রোগী সংক্রমিত হওয়ার কথা।
By this date, 275 cases may need
hospitalization, 13 patients may need critical care and there can be a total of 6 deaths.
এবং ৩১ মার্চ তারিখ পর্যন্ত ২৭৫ জন রোগীর হসপিটালে চিকিৎসা নেওয়ার , ১৩ জনের ক্রিটিকাল কেয়ারের প্রয়োজনীয়তা হওয়ার এবং ৬ জনের মৃত্যু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
If no interventions aiming at mitigation or suppression are taken, people will continue to get new Corona
Virus infection till May 8, 2020.
এবং করোনার ভাইরাসের বিস্তার এবং প্রতিরোধ করতে যদি কোন ধরনের ব্যবস্থা যদি না হয় তবে, মে ৮, ২০২০ পর্যন্ত নতুন করোনা বিস্তার লাভ করতে থাকবে।
By the end of the epidemic, a total of 89,120,161 persons may
have symptomatic infections, 3,037,393 persons may need hospitalization, 696,595 persons may
need critical care in the intensive care unit and 507,442 people may die.
এবং এই মহামারীর শেষে মোট ৮৯,১২০,১৬১ ব্যক্তি করোনাতে আক্রান্ত হতে পারে।
যার মাঝে ৩,০৩৭,৩৯৩ পরিমাণ রোগীর হসপিটাল ট্রিটমেন্ট লাগতে পারে।
এবং ৬৯৬,৫৯৫ জন রোগীর আইসিও সাপোর্ট লাগতে পারে।
এবং ৫০৭,৪৪২ জন রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
---
বিঃদ্রঃ এইটা কোন গোপন রিপোর্ট না। এইটা এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ গণিত ও ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডনের অনুসিদ্ধান্ত গুলোর ভিত্তিতে তৈরি ম্যাথম্যাটিকাল মডেল যা বিভিন্ন দেশের সরকারদের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে তৈরি করা হয়।
এইটার উদ্দেশ্য হচ্ছে, পলিসি মেকাররা যেন এই এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ এবং সেই ভাবে ভাইরাসের বিস্তারের সম্ভাবনা মাথায় রেখে পলিসি গুলো গ্রহন করেন যেন এই মডেলটা সফল হতে না পারে।এবং কভিড ১৯ ভাইরাস এই মডেল অনুসারে বিস্তার লাভ করতে না পারে। তার আগে থেকেই যেন তাকে থামানো যায়।

গবেষণাটি পড়ুন এখান থেকে গবেষণাটি পড়ুন এখানে

- জিয়া হাসান

পঠিত : ৭৮৪ বার

মন্তব্য: ০