Alapon

করোনা সংকটের সময় আমাদের যা করণীয়...


ধীরে ধীরে সব কিছু লকডাউন হয়ে যাচ্ছে। সামনে কী ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে, সেটা গোটা বিশ্বের দিকে তাকালেই আর ব্যাখ্য করতে হবে না। এই মুহূর্তে জরুরি কিছু বিষয় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি-

১.. প্রয়োজনীয় বাজার সদাই- চাল, ডাল, তেল, আলু, টুকটাক কাঁচাবাজার, মুদি সদাই, শুকনা খাবার কিনে রাখুন। অন্তত ১৫-৩০ দিনের জন্য কিনুন, অপচয় না করে কম কম খান। অতিরিক্ত জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকি। সব বন্ধ হলেও বাজার খাবারের দোকান খোলা থাকবে৷

২. সুপার শপ থেকে বরং মুদি দোকান, সবজি বাজার, ভ্যানওয়ালা থেকে কেনাকাটা করুন। তাইলে নিম্নআয়ের মানুষগুলোর জন্য সুবিধা হবে।

৩. বাড়িওয়ালারা কয়েক মাস বাড়িভাড়া মওকুফ বা বড় অংশ ছাড় বা বাকি রাখতে পারেন। অনেকেই করছে দেখলাম। এটি এই মুহূর্তে কাজহীন হয়ে পড়া মধ্য ও নিম্নআয়ের কর্মজীবীদের জন্য বড় উপকার দিবে এবং মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করবে। তারাও প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার সুযোগ পাবে।

৪. অনেকে কাজের বুয়া, পত্রিকার হকার, দুধওয়ালাকে আসতে মানা করে দিচ্ছেন। তাদের পুরো মাসের বেতন দিয়ে দিন। অল্প টাকার জন্য মানুষগুলোর প্রতি অবিচার করবেন না৷

৫. ঢাকা-চিটাগং ফাঁকা হয়ে পড়েছে৷ অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। যাদের অফিস খোলা থাকবে, রিক্সায় চলতে গেলে তাদের পারলে অল্প কয়টা টাকা বাড়তি দেন বা তারা যে ভাড়া চায় সেটাই দিতে চেষ্টা করুন।

৬. সামর্থ্যবানরা অন্যদের সাহায্য করুন। আশপাশের দুঃস্থ মানুষ ও সামর্থহীন স্বজনদের প্রতি আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। এ ক্ষেত্রে এলাকা এলাকায় সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসতে পারে। কোনো ধরনের জনসমাগম না করে টার্গেটকৃত পরিবার প্রতি অল্প বাজার বা আর্থিক সহায়তা দিতে পারেন।

৭. নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ জ্বর, সর্দি, কাশি, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিনে রাখুন। ওরস্যালাইন, কাটাছেড়ার জন্য ডেটল বা স্যাভলন লিকুইড এগুলাও থাকা দরকার ঘরে।

৮. গৃহশিক্ষকদের এক মাসের জন্য আসতে মানা করে দিন। সম্ভব হলে তাদের পুরো মাসের নইলে অর্ধেক মাসের বেতন হইলেও দিয়ে দিন। বাচ্চাদের কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করুন।

৯. বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখুন, রাগারাগি করবেন না, সুন্দর করে বোঝান। একবার না বুঝলে ঠান্ডা একাধিকবার বোঝান, কৌশল অবলম্বন করুন। তাদের সঙ্গে গল্প করুন। তবে এর মধ্যেও আপনার বাইরে আড্ডা বয়স্কদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। ফলে সতর্ক হোন।

১০. ঘরের সদস্য ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের সবাইকে যার যার বাসায় থাকতে বলে দিন। একই এলাকায় হইলেও এই বাসা থেকে ওই বাসায় যাওয়া আসা বন্ধ করুন।

১১. সাধারণ সর্দি কাশি, সিজনাল ফ্লু হলে আতঙ্কিত হবেন না। এসব থেকে কীভাবে রেহাই পেতে হয় কমবেশি আমরা সবাই জানি। আর পরিচিত কোনো ডাক্তার বন্ধুবান্ধব থেকে ফোনে পরামর্শ নিন।

১২. সম্ভব হলে যাকাত দিয়ে দিন। বছরের যে কোনো সময় যাকাত দেয়া যায়। রমজানে দেয়া হয় এই জন্য যে, সেসময় আদায় করলে সওয়াব ও বরকত বহুগুণ বৃদ্ধি হয়। আপনার সম্পদের ওপর যাকাত ফর‍য হলে, হিসেবে করে আদায় করে ফেলুন৷ এতে কিছু অসামর্থ্যবান মানুষের বড় ধরণের উপকার হবে। আর যাকাত আদায় করতে রমজান পর্যন্ত আপনি সুযোগ নাও পেতে পারেন। হায়াত-মওত সব এখন অনিশ্চিত।

@Galib

পঠিত : ১০২৪ বার

মন্তব্য: ০