Alapon

আমার জান্নাত ঠেকায় কে...?


ইয়ামাহায় মুসায়ালামাতুল কাযযাবের বিরুদ্ধে সংগঠিত যুদ্ধে যায়েদ ইবনুল খাত্তাব রা শহীদ হন। তিনি খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাবে ভাই। সেই যুদ্ধে ওমর ইবনুল খাত্তাব রা তার দুই সন্তানকেও প্রেরণ করে। বহু হাফেজে কোরআন সেই যুদ্ধে শাহাদাতের অমীয় সূধা পান করেন।

যুদ্ধ শেষে ওমর রা তার সন্তান আব্দুল্লাহকে প্রশ্ন করেন, যুদ্ধের ময়দানে তোমার চাচা কেমন ভূমিকা নিয়েছিলো ? বিন ওমর রা জবাব দেন, তিনি শহীদ হওয়ার দোয়া করেই ময়দানে নেমেছিলেন, আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেছেন। হযরত ওমর রা আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা কে প্রশ্ন করেন, তুমি জীবিত ফিরলে কি করে ? তুমি যুদ্ধ করোনি ?

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা বলেন, আমি আমার সর্বশেষ দিয়ে চেষ্টা করেছি শহীদ হওয়ার জন্য কিন্তু আমার দোয়া চেষ্টা কোনটাই কবুল হয়নি। আল্লাহু আকবার। তারা মৃত্যুর জন্য মরিয়া, শাহাদাতের জন্য পাগল পাড়া। পিতা তার সন্তানের কাছে জবাবদিহী করছেন কেন সে শহীদ হলো না। এটাকে বলে ঈমানী আন্দোলন। যেখানে আদর্শই সব।

অন্যদিকে আমার আদর্শ হলো, আমার ছেলে থাকবে দুধে ভাতে, মাছি যেন গায়ে না লাগে। দুনিয়ার ক্যারিয়ার গঠনের নিমিত্তে তাকে রাখবো ভালো কোন কিন্ডার গার্ডেন বা নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে আরাম আয়াসে। আরেকটু সাধ্য থাকলে অস্ট্রেলিয়া, মালেয়শিয়া পাঠাবো থিসিস করাতে। নিজ সন্তানকে জাগতিক সুবিধায় পোয়াবারো করে দেবো, কিন্তু অন্যের সন্তানের ক্যারিয়ার নষ্ট করে হলেও জিহাদ অব্যহত রাখবো।

আদর্শিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে দাবি করে আমি অন্যের সন্তানের কাছে ঈমানের দাবি ফেরি করে বেড়াবো , কুফর আর তাগুতের বিরুদ্ধে পুর্ববর্তিদের রেখে যাওয়া সংগ্রামী জীবনের ওপরে নোট মুখস্ত করাবো। দারসের সুযোগ পেলে জিহাদের আহ্বান না মানার কুফরি সম্পর্কে নিজ অধিনস্তদের ভয়াবহ দুঃসংবাদ দেবো।

শিখাবে কীভাবে তাগুতের সাথে কুফরি করতে হয়। কিন্ত আমার সন্তানদের বেলায় আমি হিস্টোরীয়া রোগে আক্রান্ত হবো। আমার অর্থে বিত্তে দুনিয়া পুজারী একেকটা কেনানের জন্ম দেবো। কেউ কিছু বললেই নূহ আ এর উদাহারণ দিয়ে দুনিয়ার মানুষদের বেকুব বানাবো। এভাবেই আমি দ্বীন কায়েমের রোজ নামচা তৈরি করি। মানুষদের বেকুব বানিয়ে আমি ভাবি, আমার জান্নাত ঠেকায় কে ?

@Apu

পঠিত : ৪০০ বার

মন্তব্য: ০