Alapon

মানুষ মরে সাফ হোক, তাতে সরকারের কী...?


রংপুরের মিঠাপুকুর হাসপাতালের একজন ডাক্তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর পুরো হাসপাতাল লক ডাউন করা হয়েছে।

দিন দুয়েক আগে সরকার দলীয় নেতারা মহাসমারোহে হাসপাতালের ডাক্তারদের পিপিই প্রদান করেছিল। তারপর সেই পিপিই প্রদানের ছবিতে ফেসবুকে টিকে থাকাই দ্বায় হয়ে পড়েছিল। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে মগজ বিকিয়ে দেওয়া মূর্খের বাচ্চারা জানে না, সেগুলো ওয়ান টাইম পিপিই ছিল। সেগুলো একবার ব্যবহার করার পর দ্বিতীয় বার ব্যবহার করার কোনো উপায় থাকবে না।

মিঠাপুকুরে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগেই। প্রশাসন সেই রোগীর বাড়ি আর আশেপাশের এলাকা লক ডাউন করে দিলেও, হাসপাতালে দায়িত্বরত ডাক্তারদের প্রতিরক্ষার জন্য কোনো ব্যবস্থায়ই গ্রহণ করেনি।

আপনি নিশ্চয়ই বলবেন, ডাক্তাররা এতো টাকা আয় করে তো দুই তিন হাজার টাকার পিপিই কিনতে পারলো না?

ভাই, এটা মিঠাপুকুর! অথবা রংপুর বিভাগীয় শহরের প্রতিটা ডিসপেনসারিতে শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজলেও একটা পিপিই পাবেন না। তাহলে কি রংপুরে পিপিই-এর সরবরাহ নেই?

সরবরাহ অবশ্যই আছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাই যোগানের চেয়ে যখন চাহিদা বৃদ্ধি পায় তখন বিক্রেতা স্বাভাবিক ভাবেই দাম বাড়িয়ে দেয়। আর বাঙালি কুত্তার বাচ্চাদের স্বভাব নিশ্চয়ই আপনাদের অজানা নয়। ওয়ান টাইম ব্যবহার করা পিপিই-এর যেখানে দাম রাখতে পারতো ৫০০-৭০০ টাকা সেখানে তারা দাম রাখতে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

একজন ডাক্তার বেতনই পায় ৩৫ হাজার টাকা! প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা দিয়ে পিপিই কিনলে সেই ডাক্তার নিজে খাবে কী, আর পরিবারকে খাওয়াবে কী?

ফলে, পিপিই-এর ব্যবস্থা অবশ্যই সরকার এবং প্রশাসনকেই করতে হবে।

মিঠাপুকুরে যিনি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেই এমপি আশিকুর রহমান কোথায়?

আশিকুর রহমান সাহেব ভোট চুরির মাধ্যমে হোক আর ডাকাতির মধ্য দিয়েই হোক, তিনি এখন মিঠাপুকুরের এমপি। এই দূর্যোগের সময় তার উচিত ছিল নিজ এলাকা এবং এলাকার মানুষের খবর রাখা। কিন্ত তিনি কী করছেন?

তার গুনোধর পুত্র টকশো বয় রাশেক রহমান টিভিতে টিভিতে টকশো করে বেড়াচ্ছে, আর আশিকুর রহমান সোফায় পা দুলাতে দুলাতে সেই টকশো উপভোগ করছেন! মিঠাপুকুরের মানুষ মরে সাফ হয়ে যাক, তাতে এমপি সাহেবের কী? তিনি তো আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, ভোট চুরি করে নির্বাচিত হয়েছেন!

পঠিত : ৩৬০ বার

মন্তব্য: ০