Alapon

সব রুখসাত প্রচারের দায়িত্ব আপনাকে কে দিল...?


বিরুদ্ধ পার্টিকে বেদয়াতী প্রমান করতে কত কিছুতে সুন্নাহ খুজঁতে গেলেন, কিন্তু নিজের খায়েশাতের বাইরে গেলে সুন্নাহ প্রীতি কই যায়?

ইল্লাল্লাহ জিকির নিয়ে এত হৈচৈ করলেন কোন যুক্তিতে? কত মানুষ জিকিরের অজিফা থেকে উপকৃত হলো, নিজ ক্বলব কে দিনরাত্রি জিকিরের অজিফায় ডুবিয়ে রাখলো। এত মানুষ উপকৃত হওয়ার পরেও জিকিরের বিরুদ্ধে কম যুদ্ধ করেন নি!

কেন ভাই? সুন্নাহ নাই, ফকীহ সাহাবাদের থেকে প্রমাণিত নয় এ কারণে? সত্যিকারের জিকির, জিকিরের চেতনা বিলুপ্ত হওয়ার সমূহ সম্ভানা আছে এ কারণে? এসব কাজের দলিল নেই এ দাবি আপনি করতে পারবেন?

মিলাদ নিয়ে তো কম বিভক্তির জন্ম দেননি! এগুলো তো কিছু লোকের জন্য উপকারী সাবেত হয়েছে! তারপরও কিছু লোক কয়েকটি হাদিস, একাধিক সাহাবার রা আমলের ভিত্তিতে মিলাদুন্নবীর কিছু আমল করছে। সেগুলো নিয়ে এত তাহক্বীক্ব করলেন কোন যুক্তিতে? সুন্নাহ নাই, ফকীহ সাহাবাদের থেকে প্রমাণিত নয় এ কারণে?

এ যদি হয় অবস্থা তাহলে কোনো আমলের হুকুম বর্ননা করতে গিয়ে সুন্নাহ তালাশ করলেন না কেন? কেন একবারও চিন্তা করতে পারলেন না যে, কোনো ফতোয়া দেওয়ার আগে সুন্নাহ দেখা হচ্ছে না কেন? সর্বোপরি উত্তমের বয়ান আগে করতে হয় এটা কী জানা নেই ! উত্তমের উপস্থিতিতে অনুত্তমের আলোচনা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করেনা!

কোরআন দেখে পড়ার কথিত জায়েজ ফতোয়া এত ঢালাও ভাবে প্রকাশ্যে বলার মাধ্যমে কোরআন হিফজ করার আগ্রহ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা একবার ভেবে দেখেছেন? মানুষ ভুল মেসেজ পাবে কিনা একবার ভেবেছেন? যে কমিউনিটিতে আপনি আছেন সেখানে এই ফতোয়া দৃষ্টিকটু হবে কিনা সেটায় মাথায় রাখলেন না কেন? আহলে হাদিসের মতো কথায় কথায় আরব দেশ কে দলিল বানান কেন? আরবের ফকহী দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে?

আমি বলছিনা আপনারা জেনে বুঝে এরকম করছেন কিন্তু ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পরে এত রিএক্টিভ হওয়ার যুক্তি কি? আপনি বলছেন আমি নিরুৎসাহিত করেছি। উৎসাহ পাবে এমন কথা বলার পরে নিষেধ করাতে কোন ফায়দা আছে? কোন ফতোয়া আম মজলিসে বলা যায়না এটা তো না জানার কথা না। ফতোয়া প্রদানের মতো জিম্মাদারী এত হালকা মনে হয় যে মঞ্চে বা লাইভে বসেই তা আদায় করা সম্ভব?

আমার ভাগিনা কর্মী বৈঠকে জেলা সভাপতি জাকারিয়া ভাইকে প্রশ্ন করলো, ফজরের পরে ঘুম ভেঙ্গেও গেলে ফজর পড়ার সিস্টেম কী? তিনি বললেন, ফজর কাজা হওয়ার ভয় অন্তরে না থাকলে এরকমই হয়। আপদকালীন একটা ব্যবস্থা আছে, পার্সোনাল ভাবে দেখা করে উত্তর নিয়েন। এটা প্রকাশ্যে বলার মতো প্রশ্ন নয়।

একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র বুঝতে পারে কোন ফতোয়া কোথায় বলা যায় কোথায় বলা যায় না। এছাড়া তিনি প্রশ্নকর্তাকে তাকওয়া এবং শরীয়াতের দাবি সম্পর্কে নসিহত করেছেন তার জন্য রক্ষিত বিশেষ রোখসাত নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেননি! অথচ আমরা রোখসত আর জায়েজের জ্ঞান এমন ভাবে ধারন করেছি যাতে শরীয়াতের প্রাণ স্বত্তার বিসর্জন দিতেও কার্পণ্য করিনা।

আল্লাহর ওয়াস্তে এসব বন্ধ করুন! ফিকহের ইমামদের জীবনি বেশি করে পড়ুন! দেখুন তারা অন্য এলাকায় গেলে নিজ ইজতিহাদ ছেড়ে দিয়ে ঐ এলাকার প্রতিষ্ঠিত ফিকহ অনুযায়ী কীভাবে আমল করতেন। তারা ফতোয়া প্রদান বা রায় নকলের আগে আগ পিছ কত কিছু ভাবতেন সেগুলো নিয়ে স্টাডি করুন।

সর্বোপরি অনুরোধ থাকবে কোনো যোগ্য আলেমের তত্বাবধান গ্রহন করুন! মুসলিম উম্মাহর ভিতরে বিভক্তির বীজ বপনের পরিনাম খুব ভয়াবহ হয়। আল্লাহ পাক আমাদের কে সিরাতুল মুস্তাকিমের ওপরে দৃঢ় রাখুন! আমিন!

@Apu

পঠিত : ৫৮৫ বার

মন্তব্য: ০