Alapon

গণস্বাস্থ্যের কীট কি নোংরা রাজনীতির কারণে গ্রহণ করা হল না...?


অতি সম্প্রতি তাজউদ্দিন সাহেবের ছেলে সোহেল তাজ ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন, ‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। এটা সংকটকালীণ অবস্থা। এখন রাজনীতি ভুলে দেশের তরে কাজ করার সময়।’

আমি সোহেল তাজের কথার সাথে একমত হয়ে বলি, এটা রাজনীতি করার সময় নয়। দেশকে বাঁচানোর সময়।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীল উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত, ‘দুঃখিত ডা. জাফরুল্লাহ, আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়’ শিরোনামের কলাম পড়ে আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল।

উপপ্রেস সচিব খোকন সাহেব তার মহামূল্যবান কলামে বলেছেন-

‘প্রগতিশীল মানুষদের নাস্তিক উপাধি দেয়া মাহমুদুর রহমানের পক্ষে তার অবস্থানও নিশ্চয় ভুলে যাবার কথা নয়? মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধিতা কারীদের আন্দোলনকে উনি ভাষা আন্দোলনের সাথে তুলনা করেছিলেন (!), তার সে বক্তব্য বেশিদিন আগের নয়। স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে অহরহ সভা সমাবেশ করা তার নিত্যদিনের কর্মসূচি। সর্বশেষ করোনা সনাক্তকরণ কিট নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে তার পাশেই ছিলেন ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি। আমাদের গর্বের সেনাবাহিনীকে নিয়েও তিনি বিতর্কিত সব মন্তব্য করেছেন, যার কারণে তিনি মাফও চেয়েছেন। আবিষ্কারকদের উদ্দেশ্য মহৎ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’ সম্পূর্ণ কলামটি পড়তে ক্লিক করুন

সোহেল তাজরা সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুক লাইভ করে জাতিকে বলে, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। কিন্তু তারা ঠিকই তাদের নোংরা রাজনীতি চলমান রেখেছে।

সোহেল তাজরা চায়, জাতির মধ্যে আই হেট পলিটিক্স জেনারেশন গড়ে উঠুক। তাতে মেধাবীরা রাজনীতির প্রতি সমস্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেলে বিরক্ত হয়ে যাবে। তার ফলে তারা আর রাজনীতির দিকে আসবে না। ফলাফলস্বরূপ দেশের রাজনীতির ময়দান চলে যাবে মূর্খ, চোর আর দূর্নীতিবাজদের দখলে। বর্তমানে তা-ই ঘটছে। প্রকৃত শিক্ষিতরা রাজনীতি থেকে জোজন জোজন দূরে অবস্থান করছে। আর সেখানে জায়গা দখল করে নিয়েছে হাসান মাহমুদ, হাসানুল হক ইনু এবং রিজভীদের মত নোংরা মানসিকতার মানুষরা।

এবার আসল কথায় ফেরা যাক, ডা. জাফরউল্লাহ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান চলতি মাসের শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছিল, তারা কীট আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। তারপর সরকারের চাহিদানুযায়ী কীট উৎপাদন করে তা সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। আনুষ্ঠানিকভাবে এই কীট সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

কিন্তু জাতিকে অবাক করে দিয়ে স্বাথ্য অধিদপ্তরের কেউ কীট গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়নি। তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত তো হয়নি, উল্টো তারা কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বলছে, এই কীট গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তারা কীট গ্রহণ করেনি।

কীট গ্রহণ না করার কারণ, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিবের কলাম পড়ে স্পষ্ট হল। কীট গ্রহণ না করার একমাত্র কারণ, ডা. জাফরউল্লাহ আওয়ামীলীগার নন। তিনি যদি আওয়ামীলীগার হতেন তাহলে এই কীট মানোত্তীর্ণ না হলেও তা গ্রহণ করা হতো। তাতে আওয়ামীলীগেরও ভাব বাড়তো এবং সরকারও হম্বি-তম্বি করতে পারতো। কিন্তু জা. জাফরউল্লাহ বিএনপি মনা হওয়ার কারণেই এই কীট গ্রহণ করা হলো না।

সোহেল তাজরা একদিকে বলবে, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। অন্যদিকে সোহেল তাজদের আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নোংরা রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়েই যাচ্ছে। অথচ দেশ এখন মহামারীর সম্মুখ্খিন।

পঠিত : ৫৩১ বার

মন্তব্য: ০