Alapon

বাংলাদেশে লক ডাউন তুলে নেওয়ার নেপথ্যে যে সব কারণ রয়েছে...


দেশের করোনা ভাইরাস কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও দেশের সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। প্রথমে সরকার গার্মেন্টসসহ বেশ কিছু কল-কারখানা খোলার অনুমতি দিল। এতে যা হল, করোনা ভাইরাসের কারণে যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল তখন মানুষ ঈদের ছুটির মত ঘর মুখে ছুটতে লাগল। এরপর আবার যখন গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হল, তখন মানুষ ঈদের ছুটির শেষে যেভাবে ঢাকায় ফেরে ঠিক সেভাবেই ফিরতে শুরু করে।

তারও আগে সরকার অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোর ইফতার বিক্রির অনুমতি দিল। তারপর সরকার সীমিত আকারে শপিং খোলার অনুমতি দিল। যেন সাধারণ মানুষ ঈদের আনন্দের জন্য শপিং করতে পারে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও যেন খেয়ে বাঁচে।

আর আজ সরকার ঘোষণা দিল আগামীকাল থেকে মসজিদগুলোতে নামাজ পড়া যাবে। কিন্তু যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ পড়তে হবে।

এসব সিদ্ধা নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। কারণ, সরকার যেখানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সামর্থ রাখে না, তখন লকডাউন তুলে দেওয়াই উত্তম।

কারণ, দেশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষ সীমিত আয়ের মানুষ। লকডাউন করার আগে এই মানুষগুলোর কথা ভাবা উচিত ছিল। যেমনটা বিশ্বের অধিকাংশ দেশই করেছে। এমনকি যে দেশটাকে আমরা উঠতে বসতে গালি দেই, যে দেশের নাম নিলে নাকি পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে, সেই পাকিস্তানের সরকারও সাধারণ মানুষের জন্য মাসিক ১২ হাজার টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। আর এই টাকা যেন ভুক্তভোগীর হাতেই পৌঁছে, দুষ্টচক্রের হাতে যেন না পড়ে সে লক্ষ্যে তারা যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েছে।

কিন্তু আমাদের সরকার তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করবে কি, ত্রানের চালগুলো ঠিকঠাক ভাবে পৌঁছাতে পারছে না। যার কারণে সাধারণ মানুষ প্রায় অভুক্ত অবস্থায় রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা না গেলেও অভুক্ত অবস্থায় মারা যেত! ফলে না খেয়ে মরার চেয়ে খানিকটা খেয়ে মরাই ভালো। আর এ কারণেই গার্মেন্টসসহ কল-কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কিছু মানুষ সবসময়ই থাকে যারা যে কোনো পরিস্থিতিতেও শপিং করতে চায়। অন্যদিকে সরকার তো করোনা ভাইরাসের টেষ্ট করাতে পারছে না, আর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা তো দূর কি বাত! তাই সরকার হয়তো চাচ্ছে মরার আগে তারা যাবতীয় শখ অর্থাৎ শপিং করার শখ পূরণ করে মরুক।

অন্যদিকে কিছু মানুষ আছেন, যারা মরার আগে আল্লাহ-রাসূলের নাম নিয়ে মরতে চায়। সরকার যেহেতু চিকিৎসা দিতে অপারগ তাই তাদের এই চাওয়া যেহেতু সামর্থের মধ্যে আছে- তাই হয়তো সরকার মসজিদ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকার আসলে কাউকেই অসন্তুষ্ট রাখতে চায় না! এমন জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার আমরা বহুবছর দেখিনি।

তাই সরকারের এসব সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। ধন্যবাদ, আওয়ামী লীগ সরকার। ধন্যবাদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পঠিত : ৪৭৯ বার

মন্তব্য: ০