Alapon

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের রক্তাক্ত প্রাঙ্গণে আজ শুরু কাল্পনিক রামমন্দিরের পুনঃনির্মাণ




আজ ভারতবর্ষের মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার দিন। এই ভারতবর্ষের মুসলিমরা আজ চরম নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, নিপীড়নের শিকার। অথচ এই ভারত স্বাধীন হয়েছিল হিন্দুদের পাশাপাশি অজস্র মুসলমানদের রক্তের বিনিময়ে। জেল খাটা অজস্র মুসলমান বীরদের আত্ম বলিদান ও ফাঁসি হওয়া অসংখ্য মুসলমান বীরদের প্রাণের বিনিময়ে ভারত আজ স্বাধীন। ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ এই দীর্ঘ সময়ের লড়াইয়ে লাখো মুসলিম বীর সেনানীরা এই ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন, জেল খেটেছেন। অথচ আজ সমগ্র ভারতজুড়ে সেই মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমনকী মুসলমানদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার। মূলত এসব কিছুর পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে ভারতজুড়ে উগ্র গেরুয়া সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর উত্থান ও ভারতীয় মুসলিম সমাজকে নেতৃত্বহীন করে দেওয়া। ভারতের লোকসভায় সেদেশের মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে নিয়ে আসার হিন্দুত্ববাদী ষড়যন্ত্র বহুদিনের। সর্বশেষ ষোড়শ লোকসভা - সেখানে মুসলিম এমপি ছিলেন মাত্র ষোলোজন, যা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।
অর্থাৎ অন্যভাবে বললে, ভারতের জনসংখ্যার প্রায় পনেরো শতাংশ মুসলিম - অথচ তাদের পার্লামেন্টে তিন শতাংশ এমপি-ও নেই বা হিন্দুত্ববাদী চক্রান্তে পাঠাতে পারেননি।
মেজরিটারিয়ানিজমের স্বৈরতন্ত্র যে কী করতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের সবারই ধারণা আছে। যখন সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন চেপে বসে, তখন সমাজের একটা নির্যাতিত অংশের পার্লামেন্টে যদি প্রতিনিধিত্ব না-থাকে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ভারতের বেশির ভাগ দলেই আমরা দেখি, মুসলিম কর্মীদের একটা পর্যায়ের পর নেতৃত্বে উঠে আসাই মুশকিল - এমপি হওয়া তো অনেক দূরের কথা। আর এই আন্ডার-রিপ্রেজেন্টশনের একটা গুরুতর প্রভাবও পড়ছে সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর। ইদানীংকালে ভারতবর্ষে যেভাবে আবার সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সাম্প্রদায়িক হামলা বাড়ছে আর ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রশ্নগুলো মাথাচাড়া দিচ্ছে সেটা এই অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক স্থিতিশীলতার জন্য ভয়াবহ অশনি সংকেত। ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের রক্তাক্ত প্রাঙ্গণে অবৈধ ভাবে গায়ের জোরে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে বিজেপি আবারো সেই উস্কানীতে ইন্ধন জোগালো।

“শত শত বছর ধরে আপনি একটা ঘরে বসবাস করে আসছেন। যেই ঘরের সাথে যুগ যুগ ধরে আপনার আত্মিক বন্ধন সেখানে হঠাৎ করে আপনার প্রতিবেশী রূপকথার উপর ভিত্তি করে কোনরূপ তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সেই ঘরের মালিকানা দাবি করে বসলো।

সেই প্রতিবেশী প্রভাবশালী হওয়ায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে অর্ধসহস্র বছর পূর্বে নির্মিত আপনার পৈতৃক ভিটা হতে আপনাকেই উৎখাত করে সেখানে সম্পূর্ণ অন্যায্য ভাবে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নেওয়া হলো!”


তখন আপনার যেইরূপ অনুভূতির সঞ্চার হবে ঠিক একই অনুভূতি অনুভব করছে আমাদের পাশের দেশ ভারতের মুসলিমরা।

বাবরি মসজিদটি আজ হতে অর্ধ সহস্র বছর পূর্বে ১৫২৭ খ্রীষ্টাব্দে ভারতের প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে নির্মিত হয় এবং তার নাম অনুসারে নামাঙ্কিত হয়।
তবে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বিশ্বাস, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ভগবান রামচন্দ্র জন্মেছিলেন। তার জন্মস্থান বলে চিহ্নিত জায়গায় ষোড়শ শতকে মোগল সম্রাট বাবরের আমলে একটি মসজিদ তৈরি হয়। নাম দেওয়া হয় বাবরি মসজিদ। কিন্তু শত শত বছরেও কখনো হিন্দুরা সেখানে ‘মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ বানানো হয়েছে’ এই দাবি তোলেনি।
এর তিনশত বছর পরে ১৮৫৩ সালে এটাকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদীদের অহেতুক উস্কানিতে প্রথমবারের মত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

পরবর্তীতে ব্রিটিশরা দুই ধর্মের উপাসনার জায়গা আলাদা করার উদ্দেশ্যে বেষ্টনী তৈরি করে। বেষ্টনীর ভেতরের চত্বর মুসলিমদের জন্য এবং বাইরের চত্বর হিন্দুদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়।

ব্রিটিশরা দেশভাগ করে চলে যাওয়ার মাত্র দুই বছর পর হিন্দুত্ববাদের আদর্শ ধারণ করা ভারত সরকারের শাসনামলে হঠাৎ করে উগ্র হিন্দু জঙ্গি গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতর ইশ্বর রামের মূর্তি দেখা যায় বলে গুজব ছড়ায়।
জানা যায়, হিন্দু জঙ্গিরা উস্কানিমূলক ভাবে মসজিদের ভেতর এই মূর্তিগুলো রেখে যায়।
মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায় এবং দুই পক্ষই মামলা করে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সরকার তাদের প্লান অনুযায়ী ঐ চত্বরকে বিতর্কিত জায়গা বলে ঘোষণা দেয় এবং পুরো চত্বরের দরজা বন্ধ করে দেয়!!!

পরবর্তীতে গত তিন দশক ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস, বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলি মনোহর যোশী, ঊমা ভারতীসহ হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বারংবার উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে ভারতীয় মুসলমানদের আবেগের এই স্থান কে কেন্দ্র করে অসংখ্য দাঙ্গায় হাজারো নিরীহ মুসলিম প্রাণ হারায়।

পরিশেষে ঘটনা পরম্পরায় চরম হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার আবার ক্ষমতায় এলে অবশেষে প্রথমবারের মতো ‘এককভাবে পুরো বাবরি মসজিদ এলাকায় রামমন্দির স্থাপনের রায়’ দিয়ে এই চরম স্পর্ধা দেখানোর সুযোগ পায়। বাবরি মসজিদের জায়গায় যে একসময় রামমন্দির ছিলো বা সেই মন্দির ভেঙে ওই মসজিদ তৈরী করা হযেছিলো তার প্রমাণ ভারতের সুপ্রীম কোর্ট পায়নি। তবে উগ্র হিন্দুরা অনেক আগে থেকে বিশ্বাস করতো যে ঐখানে রামের জন্ম হযেছিলো, সেই বিশ্বাসের প্রমাণ সুপ্রীম কোর্ট পেয়েছে, তা জানিয়েছে। আর সেজন্যই পুরো জায়গাটি হিন্দুদের দেয়া হবে, তার আদেশ কোর্ট দিয়েছিল। আদালতের রায়ে বলা হয়, মসজিদের নিচে স্থাপনা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এটি মন্দির কি না, তা নিশ্চিত নই! তবুও রায়ে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি হওয়ার ৪৯১ বছর পরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হিন্দুত্ববাদের একনিষ্ঠ অনুগত বিচারকরা অযৌক্তিক ও গায়ের জোরে জানালেন সেখানে রামমন্দির নির্মাণ করা হবে! বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এই রায়কে 'ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করে একে স্বাগত জানিয়েছে। রায় ঘোষণার পর এদিন সুপ্রিম কোর্টে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিয়ে হিন্দু সংগঠনগুলোর সমর্থকদের জয়ধ্বনি দিতেও দেখা গেছে।




আর অন্যদিকে ভারতের সচেতন মুসলিম সম্প্রদায় এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের অনেককে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন আটক করেছে এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করায়।

এই রায় নিয়ে চরম আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় মুসলিম সমাজের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেন (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ে বাস্তব সত্যির জয় হয়নি। আমরা আমাদের আইনি অধিকারের জন্য লড়ছি। আমাদের যে খয়রাতির পাঁচ একর জমি দিতে চাওয়া হয়েছে সেটা দরকার নেই। ভারতের মুসলমানরা চাইলে এমন অনেক জমি দিতে পারে।’
ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত এই রায় ছিল ভারতীয় মুসলিম সমাজের জন্য চরম লাঞ্ছনার।
এটা সরাসরি এই উপমহাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগের উপর আঘাত। ইসলামের উপর হিন্দুত্ববাদকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের অপচেষ্টার নামান্তর। মুসলিমদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের তীব্র ঘৃণা ও প্রতিহিংসা স্থাপনের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।

হিন্দুত্ববাদীরা দাবী করে অযোধ্যাতে ওই বাবরি মসজিদের জায়গাতেই রামের জন্ম হযেছিলো হাজার হাজার বছর আগে। এই কাল্পনিক বিশ্বাস যদি ধ্বংস করে দেয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির স্থাপনের যুক্তি হয়, তাহলে কি মোদী এখন কাঁচা মাংস খাবেন, উলঙ্গ হয়ে ঘুরবেন? কারণ উনার পূর্বপুরুষ নিশ্চিতভাবে একসময় কাঁচা মাংস খাইতো আর উলঙ্গ থাকতো।
সেই যুক্তিতে ভারত কি একটা রিপাবলিক থেকে আবার সাম্রাজ্যে রূপান্তরিত হবে? কারণ ভারত একসময় সাম্রাজ্য ছিলো। তারপরে দিল্লির মসনদে কি বৌদ্ধ বা মুসলমানদের বসাইবেন? কারণ ভারতের ইতিহাসে সম্রাটরা বেশীরভাগ সময় মুসলমানেরা ছিলো আর অল্প কিছু সময় বৌদ্ধরাও ছিলো। ইতিহাস, সভ্যতা আর ঐতিহ্য কি মালিকানার বিষয়? আর ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা কোন আইনি বিষয় ছিলোনা। স্রেফ গায়ের জোরে ভাঙা হয়েছিলো। সভ্য দেশে গায়ের জোরে কি কেউ কোন কাজ করতে পারে? গায়ের জোরে করা যেকোন কাজই বৈধ নয়। তাই বাবরি মসজিদ ভাঙাটা ছিলো অবৈধ এবং ক্রিমিন্যাল অফেন্স। সেই ক্রিমিন্যাল অফেন্সের বিচার ও শাস্তি কি হয়েছে আজ পর্যন্ত? গত ২৮ বছর ধরে ঝুলে আছে বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলা! উল্টো সে মামলার আসামীরা এখন বিজেপি সরকারের এমপি-মন্ত্রী।

এদিকে ভারতীয় মিডিয়া গুলো জানাচ্ছে, অযোধ্যায় বহুল আলোচিত শহীদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হচ্ছে আজ থেকেই। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই আজ ১০ জুন বিতর্কিত এই মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে হিন্ধুত্ববাদী মোদীর পূর্বাপর প্রতিশ্রুতির আলোকে। রাম নবমী বা অক্ষয় তৃতীয়াতে নির্মাণ শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। এবার করোনাকে সঙ্গী করেই সে কাজে নামছে ট্রাস্ট। প্রথমে শিবের আরাধনা তারপর শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ।
দিল্লি নির্বাচনের তিন দিন আগে লোকসভায় এই মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে ট্রাস্ট গঠনের কথা বলেছিলেন হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির এমপিরা সেদিন বিজয়োল্লাসে মত্ত হয়ে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি তুলেছিলেন। এদিকে বাবরি মসজিদের এই বিতর্কিত রায় হিন্দুদের পক্ষে দেওয়ায় পুরস্কৃত করা হয়েছিল বিচারকদের

এই পরিস্থিতে আমাদের করণীয় কি?

সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের ঈমানি দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যেকোনো অন্যায়কারীকে দমনে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে, যদি তা করতে না পারে তবে সে যেন মুখ দিয়ে প্রতিহত করে। যদি সে মুখ দিয়েও না পারে তাহলে যেন অন্তর দিয়ে ঘৃণা পোষণ করে; আর এটাই দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’ (বুখারি)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষ যখন কোনো অত্যাচারীকে দেখেও অন্যায় থেকে তার হাতকে প্রতিরোধ করবে না, শিগগিরই আল্লাহ তাদের সবার ওপর ব্যাপক আজাব নাজিল করবেন।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)

এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, একটা অন্যায়কে অন্য আরেকটি অন্যায় দিয়ে কখনোই ঢাকা সম্ভব নয়। ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই হতে হবে সত্য ও সুন্দরকে পুঁজি করে। চোখ কান খোলা রাখতে হবে ভারতজুড়ে গেরুয়া সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর উত্থান নিয়ে। সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই যদি সরব হয়, উচ্চকণ্ঠ হয়, সোচ্চার হয় তাহলে সমগ্র বিশ্বে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে; হতে বাধ্য। আমরা আমাদের নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সমগ্র বিশ্বের সকল অসঙ্গতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। বিশেষ করে চতুর্মুখী চক্রান্তের শিকার মজলুম মুসলমানদের পাশে দাঁড়াই।

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভাঙার অগ্রসেনানি ছিলেন বলবীর সিং, যোগেন্দ্র পাল। তারা দু’জন বাবরি মসজিদের গম্বুজের চূড়ায় উঠে দু’হাতে চালিয়েছেন শাবল। দু’জনেই এখন মুসলিম। রেখেছেন দাড়ি। বলবীর সিং মুহাম্মদ আমির নাম নিয়েছেন বলে জানা যায়। কাবা শরীফের ভিতরও একসময় মূর্তি দিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তাওহিদের একত্ববাদের সৌন্দর্যে একসময় সেগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

আসুন, সর্বপ্রথম নিজেদের ভেতরে তাওহিদের সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটাই। একদিন এই সৌন্দর্যের আলোকচ্ছটায় লক্ষ-কোটি বলবীর সিংদের হৃদয়ময় ইসলামের সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। ইনশাআল্লাহ।

পঠিত : ৭৯২ বার

মন্তব্য: ০