Alapon

ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ইসরাইলের ভূমিকা এবং কিছু কথা...


ফিলিস্তিন নিয়া আসলে প্রচুর লেখালেখি হয়।তবে বেশীরভাগ লেখাগুলা কেনো জানি সিমপেথাইজড।অবশ্য এর কারণও আছে।যারা একটু রিলিজিয়াস তারা এরে ধর্মীয় ও পলিটিকাল ইস্যু মনে করে(তাই তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেশীই সিম্পেথি দেখায়)।যারা বাম অথবা লিবারেল তারা মোস্টলি পলিটিক্যাল দিক দিয়া ফিলিস্তিনের মানুষগুলারে দেখে।ফলে সিম্পেথি থাকলেও পলিটিকাল ইস্যুটা বেশী সামনে চলে আসে।

কিন্তু এই দুই ঘরনার মানুষদের একটা জায়গায় আইসা কনফ্লিক্ট দেখা দেয়।সেই জায়গাটা হইলো হামাস। হামাস নিয়ে আসলে যতগুলা লেখা দেখা যায় তার ৯০% লেখাই নেগেটিভ।ইভেন কয়েকদিন আগে ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা একটা পরিচিত গ্রুপে মেহেদী হাসানের একটা ভিডিও দিয়া এবং Newyork times,Washington post এর দুইটা রিপোর্ট দিয়া দেখাইতে চাইলেন যে হামাস পুরাপুরি ইসরাইলের ফান্ডিং-এ গড়ে উঠা সংগঠন যেটা কিনা ফাতাহর(PLO এর মিলিটারী উইং টাইপ) বিপরীতে দাড় করানো হইছে(এখানে একটা আইরনি আছে,এই একই নেতার একটা বড়সড় লেখা আছে লাতিন আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াইয়ে লাতিন কম্যুনিস্ট দলগুলার ভূমিকা এবং সংগ্রাম নিয়ে।

সেই লেখায় তিনি লিখেছেন NY times,Washington post কিংবাCNN,ABC,FOX এই মিডিয়াগুলারে লাতিন আমেরিকার প্রেক্ষাপটে যা রিপোর্ট করে তার উল্টাটা তিনি বিশ্বাস করেন।মানে সোজা কথায় আমেরিকান মিডিয়াগুলা মূলত দক্ষিণ আমেরিকায় তাদের স্বার্থানুযায়ী খবর পেশ করে।মোস্টলি ফেইক নিউজ।এখন এই একই মানুষ হামাসের বিরুদ্ধে করা এইসব মিডিয়ার রিপোর্টরে বেইজড কইরা উনি হামাসের বিরুদ্ধে লেখেন।যেখানে পলিটিকাল ইসলামিস্ট দলগুলা মূলত তাদের মতোই ফেইক নিউজের শিকার।সেটা ১৯৭৯ সালে ইরানের বিপ্লবেরও আগে থেকেই। আমার মনে আছে,যখন আরব বসন্তের বাতাস মিশরে বওয়া শুরু হলো তখন জার্মানীর ডয়চে ভেলে,আমেরিকার CNN,VOA,FOX,CNBC,ABC, ইউকে'র BBC সহ লিবারেল এবং কনজারভেটিভ মিডিয়াগুলা সমানে ব্রাদারহুড ক্ষমতায় আসলে শরীয়া প্রতিষ্ঠা করে ফেলবে,মেয়েদের ঘরের মধ্যে বন্দী করে ফেলা হবে,গনতন্ত্র ভেনিস করে ফেলা হবে,বিপক্ষ মতরে খেয়ে ফেলা হবে ইত্যাদি বলে কন্টিনুয়াস তার বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার করতে লাগলো যেখানে মিশরের নির্বাচনে ব্রাদারহুড দাড়াবে কি-না তা নিয়েই সংশয় ছিলো।

তিউনিসিয়ার আননাহদার ক্ষেত্রেও সেইম।৯২-এ আলজেরিয়ায় সালভেশন ফ্রন্ট যখন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলো তখন মিডিয়াগুলা এমনভাবে এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো শুরু করলো যে তাদের এই অপপ্রচারের কারণে এবং মার্কিন-ইইউ'র যৌথ সহায়তায় মিলিটারী ক্ষমতা দখল করে দলটার সব লিডারগুলারে একদম খাইয়া দিছিলো।এই হচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়াগুলার অবস্থা পলিটিকাল ইসলামিস্টদের ক্ষেত্রে।এখন ঐ নেতা এগুলা সম্পর্কে না জাইনা NY times আর Washington post এর বিবৃতি দিয়া হামাসরে পুরাপুরি ইসরাইলের ক্রিয়েশন বইলা চালাইয়া দিতাছে।যদিও হামাস সৃষ্টিতে ইসরাইলের *কিছু ভূমিকা আছে)।যাইহোক, হামাস নিয়ে মোটামুটি ভালো মানের কনফিউশন এবং অনেক মিসকনসেপশন আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে।সেই অনেকগুলা মিসকনসেপশনের মধ্যে সিলেক্টিভ কিছু বিষয় আর হামাস নিয়ে কিছু ভালো লাগার অনুভূতি নিয়া আলোচনা করাই যায়।

১.কেনো পিএলও'র মতো দল থাকতে হামাসের দরকার ছিলোঃ-

যদি এককথায় বলতে বলা হয় তবে বলতে হবে পিএলও ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাগুলা বাস্তবায়নে লিটারেলি কোনো কাজই করছিলো না। আর ব্রডে বলতে গেলে বলতে হবে ফাতাহ'র(ফাতাহ হলো পিএলও'র মিলিটারি শাখা) মাত্রাতিরিক্ত দুনীর্তি, পশ্চিমাদের ভন্ডামির খপ্পরে পইড়া চেতনা হারানো, ফাতাহর নেতাদের রাজার মতো লাইফস্টাইল, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবন-যাপন সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকা,ফিলিস্তিনের রিফিউজিদের(যারা ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পরে নিজেদের বাড়িঘর হারাইয়া ফকিরের হালে জীবন-যাপন করতেছে) নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া ইত্যাদি।

১ম ইন্তিফাদার অনেক আগে থেকেই ফাতাহ দুর্নীতির সঙ্গে অতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ে।যদিও জনগন ভালোভাবেই জানতো এই বিষয়টা কিন্তু এই দুর্নীতি নিয়ে করা কাজগুলার ইনস্টিটিউশনাল রূপ তখন কম ছিল। PLO'র ১৯৯৭ সালের অডিট(আগের বছরগুলার) যখন প্রকাশ করে তখন বিলিয়ন* ডলারের উপর হিসাবের গড়িমসি দেখা যায়।এটা পাবলিশ হওয়ার পরে যখন হুলস্থূল বেধে যায় তখন ইয়াসির আরাফাত বলেন যে, ভবিষ্যতে পিএলও'র আর কোনো অডিট পাবলিশ করা হবে না।এরপরেই ডোনারগুলা তদন্তে নামলে ভয়াবহ রেজাল্ট দেখা যায়। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর Time magazine 'Where's Arafath's Money?' শিরোনামে যে রিপোর্ট পেশ করে সেখানেও সেইম তথ্য দেখা যায়।এই রিপোর্টে আরো বলা হয় যে আরাফাতের বউ প্যারিসে যেরকম লাক্সারিয়াস প্যালেসে থাকতেন তাতে এখনকার মিলিওনিয়াররাও থাকার কথা ভাবেন না।২০০৩ সালে IMF এর একটা সার্ভেতে দেখা যায়(আগের বছরগুলার) ২ বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল ফান্ড উধাও হয়ে গেছে।এবং এই টাকাটা আরাফাত ও তার বউ সোহা আরাফাতের সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়।

এমনকি Times of Israel (মিডিয়াম এর একজন রিসার্চার লেখাটি লেখেন) এর তথ্য মতে Gulf war এর সময় গাদ্দাফি আরাফাতের হাতে ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটা চেক তুলে দেন যাতে ফাতাহ গাল্ফ ওয়ারে সাদ্দামরে সমর্থন করে।আশ্চর্যজনক আরেকটা বিষয় হচ্ছে আরাফাতকে গোপনে অন্যপক্ষও টাকা দিয়েছিল গাল্ফ ওয়ারের সময় তারে সাপোর্ট দেওনের লাইগা(Time,14-11-2004)। আরাফাত টাকা নিয়া পরে তাদের উল্টা দাড়াইয়া সাদ্দামের পক্ষে যুদ্ধ করছে।ফিলিস্তিনের অথরিটির যা টাকা আসতো তার বেশীরভাগই আরাফাত গংরা ভাগ কইরা নিয়া নিতো(সুতরাং ভাবার কারণ নাই যে শুধু আরাফাতই টাকা নিতো।বরং পিএলও'র সব স্তরের নেতারাই এতে ভাগ বসাতো)।

শুধু দুর্নীতিই নয় তাদের(ফাতাহ'র নেতাদের) লাক্সারিয়াস জীবন-যাপন দেখলে অনেক ইউরোপিয়ানরাও সেসময় লজ্জা পেতো(এখনও হয়তবা পায়)।যে জায়গায় জনগনের অবস্থা দুর্বিসহ, তাদের বাসস্থান সব উপড়িয়ে ফেলা হইছে,মানুষগুলা তাবুতে সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে সেখানে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস দেখলে যেকেউ এখনো টাসকি খায়।বলতে গেলে,পৃথিবীর কয়েকটা ব্যায়বহুল প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের মধ্যে এটা অন্যতম।শুধু এই প্যালেস না;বরং পিএলও'র টপক্লাস সব নেতারা তাদের ফ্যামিলি নিয়ে অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় জীবন-যাপন করতেন এবং এখনও করেন। বেশীরভাগ পিএলও নেতার ছেলেপেলে বিদেশে থাকে এবং তারা ভুলেও তাদের দেশের দিকে পা বাড়ায় না।তাদের প্রত্যেকের বাসায় আবার আলাদা আলাদা এলিট সিকিউরিটি ফোর্স রিজার্ভ থাকে।এই লাক্সারিয়াস জীবনযাপনের ফলে সাধারণ জনগন থেকে তাদের মধ্যে বিশাল এক দুরত্ব সৃষ্টি হয়।

ফাতাহর জন্ম হইছিলো লড়াই কইরা ফিলিস্তিনরে বিজয় করা,দখলদারিত্ব বন্ধ করা।সেখানে ৭৩ পরবর্তী সময়ে তারা তাদের সেই চেহারা ভুইলা পশ্চিমাদের প্রদর্শিত 'শান্তি'র পথে হাটার প্লান করে।সেসময় অবশ্য ফাতাহর নেতাদের পকেট ভারী হওয়া শুরু হয়।কিন্তু কুত্তামারা খায় সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।এর মধ্যে ইসরাইল ধীরে ধীরে তাদের অবৈধ দখলরে হালাল বানায়া নেয় এবং কিছু কিছু কইরা হিউজ ভূমি দখল করে নেয়।একদিকে পশ্চিমারা ইয়াসির আরাফাতের প্রতিবাদের ভাষারে ধীরে ধীরে রোমান্টিক ভাষায় রূপান্তর করায় অন্যদিকে ইসরাইলের অবৈধ সত্ত্বারে বৈধ সত্ত্বায় রূপ দিয়ে দেয়।(আরাফাত যখন এটা বুঝতে পারেন তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে গেছে।২০০১ সালের পরে যখন আরাফাত পশ্চিমাদের বাটপারি বুঝতে পারে তখন সে আবার ফাতাহ'র বিপ্লবী চেতনারে জাগানোর চেষ্টা করে।ফলস্বরূপ ২০০৪ সালে ইসরাইল গোপনে বিষপ্রয়োগ কইরা আরাফাতরে খাইয়া দেয়। Aljazeera ২০১২ সালের ইনভেস্টিগেশনে বিষপ্রয়োগে হত্যা করাটারে প্রমানিত করে)

ফলে একটা বিকল্প দলের জন্য ফিলিস্তিনিরা আসলেই অপেক্ষা করছিলো।হামাসই সেসব গ্যাপিংস গুলা পূরণ করে।ফলে হামাস হয়ে উঠে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কন্ঠস্বর।

২.হামাসের সৃষ্টি এবং ইসরাইলঃ-

এই জায়গাটা ইন্টারেস্টিং।মোটামুটি বেশীরভাগ ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার রিপোর্টই এই কথা বলে যে হামাস ইসরাইলের তৈরী করা সংগঠন।সত্যিই কি তাই??এটার নিরপেক্ষ আন্সার বের করা খানিকটা কঠিন।ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পরে পিএলও'ই ফিলিস্তিনের হর্তাকর্তা হয়ে দাড়ায়।এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে পিএলও মূলত ফিলিস্তিনের জন্য অনেক কিছু করছে।কিন্তু ৭৩ এর পর থেকে পিএলও'র কাজ কারবার ফিলিস্তিনিদের জন্য মোটেই সুখকর ছিলো না।ফলে ফিলিস্তিনিরা অন্য প্লাটফর্মের আশায় বসে ছিলো।ইসরাইলও খুব করে চাইতো নতুন কয়েকটা* প্লাটফর্ম উঠে দাড়াক।তাইলে পিএলও'র একক আধিপত্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং তারা নিজেরা ২০-২৫টা দলে ভাগ হইয়া নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না।ফলে টোটাল ফিলিস্তিন দখল করা ইসরাইলের জন্য সহজ হয়ে যাবে(অনেকটা বাংলাদেশের বাম দলগুলার মতো)।

এদিকে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষগুলা পরিবর্তনের আশায় বসে ছিলো।ব্রাদারহুড তখন সারা মিডলইস্টে ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে।তারা মূলত পলিটিকাল এবং স্প্রিচুয়াল ম্যাসেজরে সমন্বয় কইরা লোকেদের মাঝে নতুন স্বপ্ন দেখানো শুরু করে।ফলে টোটাল মিডলইস্টে বলতে গেলে একমাত্র আদর্শিক দল হিসাবে লোকেদের কাছে প্রাধান্য পেতে থাকে।ফিলিস্তিনও এর ব্যতিক্রম নয়।শেখ আহমদ ইয়াসীন আর আব্দুল আজিজ আল-রান্তিসিরা ফিলিস্তিনে এনজিও আকারে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে(যেটা পলিটিকাল ইসলামিস্টরা সারা পৃথিবীতেই করে থাকে)।তারা অসংখ্য স্কুল, মসজিদ, ইয়াতিমখানা, খেলার পার্ক,হাসপাতাল তৈরী করে মূলত তাদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে।

এখন ইসরাইল এই জায়গায় শেখ ইয়াসীনদের কাজের অনুমোদন দেয়(অনুমোদন না দেওয়ারও কারণ ছিলো না।শেখ ইয়াসীন নিজে একজন পঙ্গু ও প্রায় অন্ধ মানুষ ছিলেন।তিনি চাইছিলেন কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক যেগুলা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করবে।এটা ইসরাইলের কাছে কোনো থ্রেট মনে হয়নি।ফলে ইসরাইল শেখ ইয়াসীনরে অনুমোদন দিয়ে দেয়।)।এমনকি শেখ ইয়াসীন *কিছু ফান্ডিংও আনতে সমর্থ হন ইসরাইল থেকে।এইটাই হামাসবিরোধীদের যুক্তি যে হামাস ইসরাইলের ফান্ডিং-এ গড়ে উঠা সংগঠন কিংবা ইসরাইলের বি-টীম।আসলে মূল কথা হলো ইসরাইল পলিটিকাল ইসলামরে রিড* দিতে পারে নাই।শেখ ইয়াসীন সর্বোচ্চ কৌশল অবলম্বন করে তার সংগঠনরে আগায়া নিয়ে যান যেটা ইসরাইল বুঝতে পারেনি।তারা ২-৩ ধাপের নেতৃত্ব তৈরী করে রাখে যাতে ইসরাইলের দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর লিডারশীপের ঘাটতি না থাকে(বর্তমানে যার প্রভাব স্পষ্ট)।

শেখ ইয়াসীনের ছাত্ররা গোপন সুরঙ্গ করে এবং অস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখে।তারা ব্যাপক হারে তবে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে তাদের দাওয়াহ কার্যক্রম চালিয়ে যায় এবং যেহেতু তাদের কর্মসূচী মূলত ফিলিস্তিনীদেরই কর্মসূচী তাই তাদের জনসংযোগ কার্যক্রমে বেশীরভাগ ফিলিস্তিনি সাড়া দেয়। ১৯৮৪ সালে শেখ ইয়াসীন ইসরাইলিদের হাতে গ্রেপ্তার হন।গ্রেফতারের কারণ শেখ ইয়াসীন গোপনে অস্ত্র মজুদ করেন(হামাস তখনও জন্মলাভ করেনি)।ইসরাইল তাকে ধরে নিয়ে গেলে তিনি তাদের এটা বলেন যে তিনি এসব অস্ত্র মজুদ করেছেন যাতে সেকুলার পিএলও'র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করতে পারেন।এবং এটাও তাদের বলেন যে আর কোনো অস্ত্র তিনি আনাবেন না বরং চ্যারিটি কাজ নিয়ে আগাতে চান। ফলে ইসরাইল কয়েকমাস পর তাকে ছেড়ে দেয়।

তাকে ১৯৮৫ সালে ছাড়া হয়।আরেকটা বিষয় যখন শেখ ইয়াসীন গ্রেফতার হন তার কিছুদিন বাদে একজন ইসরাইলি রিলিজিয়াস অফিসিয়াল Avner Cohen সে ইসরাইলের সরকারকে চিঠি দিয়ে ইয়াসীনদের কাজ-কারবারের ব্যাপারে সতর্ক করে।সে বলেছিলো এটা তাদের জন্য পটেনশিয়াল থ্রেট হতে পারে।কিন্তু ইসরাইল সরকার এই চিঠিটাকে সম্পূর্ণ অগ্রায্য করে।তারা কোনোদিনই এসব চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক প্লাটফর্মে দাড়ানোর যুক্তিকে বিশ্বাস করেনি যেহেতু আরো অনেক চ্যারিটি অর্গানাইজেশন গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাংকে কর্মরত ছিলো।যদি শেখ ইয়াসীনের চ্যারিটিরে থ্রেট ধরা হয় তবে বাকি সব চ্যারিটিরেও থ্রেট হিসাবে ধরতে হবে যা পুরাপুরি অবাস্তবসম্মত।

মূলত হামাসের নেতাদের কৌশল এবং গেমপ্লানই তাদের উত্থানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।এছাড়া আগেই বলছি যে জায়গায় পিএলও'র নেতারা সীমাহীন দুর্নীতির সাথে যুক্ত সে জায়গায় হামাস জনগনের আস্থার জায়গায় স্থান করে নেয়।হামাসের নেতা-কর্মীরা যেহেতু
স্প্রিচুয়ালি মোটিভেটেড ছিলো সেহেতু সেখানে দুর্নীতির প্রশ্ন তোলাই কঠিন ছিলো।হামাসের নেতারা এমনকি শেখ ইয়াসীন নিজে রিফিউজি ক্যাম্পে বড় হন এবং সেখান থেকেই দল পরিচালনা করেন ফলে তাদের লাক্সারিয়াস জীবনের কোনো চাহিদাই ছিলো না।যেহেতু নেতারা সাধারণ জনগনের মতো জীবনযাপন করতেন সেহেতু দলটাই হয়ে উঠে সাধারণ জনতার দল।

হামাস তাদের আত্মপ্রকাশ ঘটায় ১৯৮৭ সালে।১৯৮৭ সালে যখন ইসরাইলের এক ট্রাকচালক ইচ্ছাকৃতভাবে কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে তখন লাখো মানুষ এইসব অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে।ফলে শুরু হয় ১ম ইন্তিফাদা বা গণজাগরণ।এই ইন্তিফাদা মূলত হামাসেরই ক্রেডিট এবং হামাসই টোটাল এই ইন্তিফাদা পরিচালনা করে।

৩.হামাস:ইউএস,টেরোরিস্ট এবং নির্বাচন—

হামাসরে ইউএস,ইইউ,ইউএই,সৌদী আরব,মিশরসহ বেশ কয়েকটা দেশ টেরোরিস্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে (মূল কারণটা রাজনৈতিক তবে আমরা ফ্যাক্টচুয়ালি আলোচনা করবো)।এই টেরোরিস্ট ট্যাগ দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো সুইসাইড বম্বিং।হামাসের উপর অভিযোগ যে তারা সুইসাইড বম্বিং করে প্রচুর* সিভিলিয়ান হত্যা করেছে।এই 'প্রচুর' সিভিলিয়ান হত্যা নিয়ে আসলে স্ট্যাডি গুলা দেখা দরকার।২০০৭ সালের একটা রিপোর্ট অনুযায়ী যতগুলা (ইসরাইলে) সুইসাইড বম্বিং হইছে তার ৩৯.৯℅ ঘটাইছে হামাস।আর ২৬.৪% ঘটাইছে ফাতাহ।

মজার ব্যাপার হলো ফাতাহই হামাসের চেয়ে বেশী সিভিলিয়ান হত্যা করছে এই সুইসাইড বম্বিংয়ে।এই জায়গায় ফাতাহ টেরোরিস্ট না কিন্তু হামাস টেরোরিস্ট!আমি বলছি না যে সিভিলিয়ান হত্যা করা উচিত কিংবা ভালো বরং আমি এর সম্পূর্ণ বিরোধী মানুষ;কিন্তু কনটেক্সটা এই জায়গায় ম্যাটার করে।হামাস তার সুইসাইড বম্বিংয়ের ইতিহাসে ৩০০ এর কম মানুষ মারছে।হামাস প্রত্যেকটা সুইসাইড বম্বিংয়ে মূলত ইসরাইলি সেনা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনারে টার্গেট কইরা বম্বিং করছে।

১৯৮৯ সালে প্রথম সুইসাইড বম্বিংয়ের সূচনা ঘটায় ফিলিস্তিনের আরেকটা দল।হামাস মূলত ১৯৯৩ এর পরে থেকে সুইসাইড বম্বিং শুরু করে এবং ২০০৮ সালে এসে এটা একদম স্টপ করে।তবে হামাস ১৯৯৩-২০০০ সালের মধ্যে ২০ টারও কম সুইসাইড বম্বিং করে।এবং এতে হতাহতের সংখ্যাও কম ছিলো।২০০০-২০০৪ এর মধ্যে বেশীরভাগ(৯০%) সুইসাইড বম্বিংয়ের ঘটনা ঘটে।এই ৪ বছর মূলত ২য় ইন্তিফাদা ঘটে(যুদ্ধাবস্থা)।এই ৪ বছরের মধ্যে ইসরাইলিরা সাড়ে ৫ হাজারের বেশী ফিলিস্তিনিরে হত্যা করে এর বিপরীতে তাদের ১০০০ এর মতো সেনা মারা যায়।হামাস এই জায়গায় সুইসাইড বম্বিং করতে একপ্রকার বাধ্য হয়।যেখানে প্রতিদিন ইসরাইলিরা অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে ২০০-৩০০* সাধারণ ফিলিস্তিনিরে হত্যা করতো সেখানে হামাসের নিজের তৈরী করা কম রেঞ্জের রকেট ছাড়া অন্যকোনো উপায় ছিলো না এদের গনহত্যার জবাব দেয়ার।তারাই বোধহয় একমাত্র টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন(!) যারা কিনা অনেকবার সিভিলিয়ান হত্যার জন্য প্রকাশ্যে মাফ চাইছে।

এখন হামাসের গঠনতন্ত্র যদি দেখা হয় তবে দেখা যাবে ঐখানে কোনো অ্যান্টি-সেমেটিক টার্মই নাই।তারা ফিলিস্তিনরে নিজের করে পেতে চাইছে।আর এই চাওয়াটাই তাদের টেরোরিস্ট হওয়ার মূল কারণ।

আরেকটা বিষয় যদি আমরা টেরোরিজমের ডেফিনেশনের দিকে ফোকাস দেই তবে দেখা যাবে যে ইসরাইল এবং ইউএস টেরোরিজমের ডেফিনেশনের সকল মানদন্ড পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করে।কিন্তু তারাই এখন বিশ্ব শান্তির হর্তাকর্তা!এই কথাটা কিন্তু কোনো ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া তুলে ধরে না।সম্প্রতি ICC(Int'l Criminal Court) ইউএস এবং ইসরাইলের বিরূদ্ধে যুদ্ধপরাধ মামলার জন্য ইনভেস্টিগেশন করার কথা বললে ইউএস তাদের ফান্ডিং কাটার হুমকি দেয় এবং ঐ কোর্টের সাথে সংযুক্ত সবাইকে তার দেশে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেয়।যাইহোক,নেলশন ম্যান্ডেলা কিংবা আমাদের উপমহাদেশের ভাগাত সিংও টেরোরিস্ট ছিলো।কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থা সবাই জানেন।টেরোরিজম বিষয়টা এখন পার্টিকুলার ইন্টারেস্টের উপর বেইজ কইরা নিজেরে ডিফাইন করে।ফলে লেলিন,স্ট্যালিন,মুসোলিনি,বুশ,মাওরা টেরোরিস্ট হয় না।

তবে হামাসের একটা মারাত্মক ভুল হলো ১৯৮৮ এর চার্টারে ইসরাইলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।হামাস এই জায়গায় ইমোশন হেন্ডেল করতে পারে নাই এবং বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাই।এই একটা কারণে হামাস অন পয়েন্টে পিছিয়ে আছে।যদিও ২০১৭ সালে চার্টারে সংশোধন এনে '৬৭ এর বর্ডার মেনে নেয় তারপরও এই পয়েন্টটা হামাসরে পোড়াইছে অনেক।

যাইহোক,হামাস কিন্তু টেরোরিস্ট না হওয়ার একটি শক্তিশালী ক্রাইটেরিয়া মেনে চলে।আর সেটা হলো কোনো টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশনই গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।হামাস তার ইতিহাসে নিরপেক্ষ নির্বাচনগুলাতে অংশ নেয়(সেটা ছাত্র-সংসদ নির্বাচন হোক কিংবা ট্রেড ইউনিয়ন ইলেকশন অথবা জাতীয় নির্বাচন)।হামাস ১৯৯৫ এ ওয়েস্ট ব্যাংকের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় এবং জয়লাভ করে।এর কয়েকবছর পরে ট্রেড ইউনিয়ন নির্বাচনেও হামাস ফাতাহর প্রতিনিধিকে হারায়া দেয়।এর প্রভাব ফাতাহ এবং ইউএসের উপরও পড়ে।হামাস এই দুইটা ইলেকশন দিয়া তাদের বিশাল জনসমর্থনের জানান দেয়।এরপর থেকে ইউএস গোপনে হামাসের নেতাদের সাথে যোগাযোগ আরম্ভ করে।২০০৪ সালে Steve cohen নামে একজন US official শেখ ইয়াসীনের সাথে দেখা করতে আসেন।আমেরিকা চাইছিলো হামাস যেনো ইসরাইলের সাথে শান্তিচুক্তি কইরা আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে।কেননা,হামাস অন্যান্য টেরোরিস্ট অর্গানইজেশনের জন্যে আসলেই থ্রেট ছিলো।হামাস রাজী ছিলো ২টা শর্তের ভিত্তিতে।

১)কোনো ফিলিস্তিনিরে আর মারা হবে না এবং ২)৬৭ এর বর্ডার ইসরাইলরে মানতে হবে এবং রিফিউজির আবাসনে ইউএস হেল্প করবে(এটা শেখ ইয়াসীনের বক্তব্য ছিলো)।জানুয়ারী ২৫,২০০৪-এ হামাসের আরেক শীর্ষ নেতা Abdel aziz al-Rantissi ১০ বছরের শান্তিচুক্তির কথা বলেন যদি ইউএন এর '৬৭র বর্ডার ইসরাইল মেনে নেয়।

বলাবাহুল্য ইউএস প্রথমদিকে রাজী হওয়ার কাছাকাছি চলে গেছিলো কিন্তু পরবর্তীতে ক্রমাগত ইসরাইলের চাপে তা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।এর কয়েকদিনের মধ্যেই ইসরাইল শেখ ইয়াসীন এবং আব্দুল আজিজ আল-রান্তিসি কে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।এবং ইউএস এই দুই শীর্ষ নেতার মৃত্যুতেও সাইলেন্ট থাকে। ফলে হামাসের সাথে ইউএসের সম্পর্কের আরো অবনতি হয়।বুশ এডমিনিস্ট্রেশন তখন হামাসের আরো পটেনশিয়াল এনিমিতে রূপান্তরিত হয়।

২০০৪-এ ইয়াসির আরাফাতকে ইসরাইল বিষপ্রয়োগে হত্যা করে।ইয়াসীর আরাফাত যখন এই অসলো চুক্তিসহ তথাকথিত শান্তিচুক্তিগুলার বাটপারী ধরতে পারেন তখন তিনি আবারও ফাতাহ'র পুরানো রুপ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারেও ইসরাইল খাইয়া দেয়।এরপরে ইউএস চাইলো একটা পাপেট প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি(PA) দাড় করাইতে।তখন আসলে ফাতাহ'র প্রতিপক্ষ একমাত্র হামাসই ছিলো।ফলে যেহেতু স্ট্রং দুইটা দল মাঠে আছে তখন ইউএস সিস্টেমেটিকালি তার ইন্টারন্যাশনাল ফেইস ধরে রাখার স্বার্থে নামেমাত্র গণতান্ত্রিক ইলেকশন দেওয়ার ঘোষনা দেয়।হামাস হিসাব-নিকাশ কষে দেখলো এটা সম্পূর্ণ একপেশে ইলেকশন হবে।ফলে ২০০৫-এ হামাস ইলেকশন বর্জন করে।যারফলে এটা নর্থ কোরিয়া মার্কা ইলেকশন হয়।এতে এই অথরিটির ইন্টারন্যাশনাল ফেইস মারা খায়।বুশ এডমিনিস্ট্রেশন তখন অথরিটিকে ২০০৬-এ আরেকটা নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দেয়ার পরামর্শ দেয় যেখানে আগের চেয়ে বেশীসংখ্যক ইন্টারন্যাশনাল পর্যবেক্ষক থাকবে।এবার হামাস হিসাব-নিকাশ কষে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে।

অবশ্য বুশ এডমিনিস্ট্রেশন কয়েকটা স্টাডি দেখে এই সিদ্ধান্তে আসে।২০০৫ এর PCC কয়েকটা জরীপ চালায় যেখানে দেখা যায় নির্বাচনে ফাতাহই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে।ইউএস এই নির্বাচনে কেন জানি একটু অদ্ভুত রকমের সব সিদ্ধান্ত নেয়।জানুয়ারী ২৭,২০০৬ তারিখে Washington post একটা রিপোর্ট করে যেখানে দেখা যায় নির্বাচনের আগে USAID ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিছিলো ফাতাহরে নির্বাচনে ব্যয় করার জন্য। বুশ নিজে তার কয়েকজন টপক্লাস অ্যাডভাইজার দিয়ে নির্বাচনের ওপর ফোকাস রাখেন।কিন্তু নির্বাচনে এই পাহাড়সম ষড়যন্ত্র আর প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এবং সকল স্ট্যাডিকে ব্যর্থ করে দিয়ে পার্লামেন্টে মেজরিটি সীট পায় হামাস। এই ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা তাদের মজলুম নেতাদের জন্য রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল করা শুরু করে।ফলাফল প্রকাশের পরপরই পুরা ইউএস সিনেটে হতাশা ভর করে।

সিনেটর হিলারী ক্লিনটনের যে অডিও ক্লীপ তখন ভাইরাল হয় সেটা শুনলে সেই হতাশাটা ভালোভাবে টের পাওয়া যাবে।সেখানে হিলারী বলেন এই নির্বাচন দেওয়ার দরকার ছিলো না।আমাদের পাপেট কাউকে বসিয়ে দিলেই হতো।উনি সব জরীপের ফলাফল নিয়ে মারাত্মক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।ইউএস এবং ইসরাইল ফলাফল প্রত্যাখান করে।এই নির্বাচনটা একটা ভালো মানের প্রভাব ফেলে মিডিলইস্টে।নির্বাচনের পরাজয়ের কারণ খুজতে গিয়ে NY times জনগনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে PLO এর সিনোনেইম দাড় করায়।জনগমের কাছে পিএলও তখন মূলত হয়ে দাড়ায় 'Corruption, repression,defeat and proxy US role'.

নির্বাচনের পরের দিন (৬-২-২০০৬) 'The New yorker' Shalon Hariri-যিনি ইসরাইলের একজন রিটায়ার্ড বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ছিলেন তার সাথে সাক্ষাৎ করে।তিনিই প্রথম যিনি হামাসের জনসমর্থন নিয়ে কনসার্ন ছিলেন এবং ইউএস ও ইসরাইলি অফিসিয়ালদের চিঠিও দিয়েছিলেন।কিন্তু তিনি উপেক্ষিত হয়েছিলেন।তার সাক্ষাৎকারের একটা অংশ তুলে ধরলে এই নির্বাচনের ইনফ্লুয়েন্সটা বুঝা যাবে।'The impact of the Hamas victory is not local but regional.There are growing fears not only in Israel but in Jordan,Egypt and even Syria(in the hearts of dictators).The Hamas victory is a middle east earthquake. Its shock waves will be felt in every town between Casablanca and Baghdad'.অবশ্য তার ইনটেনশন বুঝা কঠিন তবে এই বিজয়টা আসলেই টোটাল মিডলইস্টে দেখিয়ে দিয়েছিলো যে পা না চেটেও বিপ্লব সম্ভব।এটা দেখিয়ে দিয়েছিলো যে সকল প্রকার বাধা উপেক্ষা করে সাম্রাজ্যবাদকে নিজের শক্তিতে ভেঙে ফেলা সম্ভব।

বি.দ্র:- প্রথমদিকের লেখায় কেউ যেন এটা মনে করে না করেন যে CNN,BBC সহ ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াগুলা শুধু ফেইক নিউজ করে।হ্যা প্রত্যেকটা চ্যানেলই তার আইডিওলজিকাল বেসিসের উপর দাড়াইয়া নিউজ করে।এক্ষেত্রে তাদের তথ্যগুলা ওহী মনে না করে Fact-check করে রেফারেন্স দেয়াটা বাঞ্চনীয়। এবং এটা মনে না করা যে শুধু পার্টিকুলার আইডিওলজিরে এরা কাউন্টার দেয় বরং তাদের আইডিওলজিরে যারাই চ্যালেঞ্জ করবে তাদেরই* তারা কাউন্টার দিবে ( যেটা ঐ নেতা বুঝেন নাই )।

@Ruhel

পঠিত : ৬৫৪ বার

মন্তব্য: ১

২০২০-০৬-২১ ০২:৩১

User
জোহেব শাহরিয়ার

আর্টিকেলটি সত্যিই অসাধারণ বিশ্লেষণাত্বক ছিলো।
আসলে এসব কন্সপিরেসি বুঝার মতো ঘিলু যদি ভামপন্থি (বামপন্থি) ক্যাডারদের মাথায় থাকতো, তবে কি আজ সারা পৃথিবীতে তাদের আজ এই অবস্থা হতো? মূলত কোন বিষয়ে এনালাইসিস করতে হলে তাকে দেখতে হয় বিভিন্ন "পয়েন্ট অব ভিউ" থেকে। কিন্তু ভামপন্থিরা গোয়ারের মতো সব কিছুকে দেখে "মার্ক্সিজম-লেনিনিজম" আর "শ্রেণী সংগ্রাম" এর তত্ত্ব দিয়ে। যে এনালাইসিসে এসবের প্রয়োজনও নেই, সেখানেও এই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিরা এসব নিয়ে আসবে। এ আর নতুন কি?

submit