Alapon

করোনা ভাইরাস তারেক রহমান ও জামায়াত-শিবিরের ষড়যন্ত্র নয় তো?


বিশেষ মাধ্যম থেকে একটি তথ্য জানতে পারলাম। তথ্যটা কে দিয়েছে জানেন?

আপনাদের কি মনে আছে, বাংলাদেশে একদা একজন তথ্য বাবা ছিলেন। যিনি দেশের রাজনীতির হালচালসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রিম তথ্য পেয়ে যেতেন এবং পরবর্তিতে সেই তথ্য বিশাল জনসভায় ফাঁস করে দিতেন। আরও একটা ক্লু দেই। তিনি কিন্তু একজন ভেরি ভেরি ভিআইপির সন্তান। ভেরি ভেরি ভেরি ভিআইপি হওয়ার পরও কেবল টাকার অভাবে এমআইটিতে পড়তে পারেননি। এবার নিশ্চয়ই সেই তথ্য বাবার কথা মনে করতে পারছেন।

সেই তথ্য বাবা মারফত বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে একটি ভয়ংকর তথ্য জানতে পারলাম। আমরা সকলেই জানি, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের বিস্তার শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে আসছেন। তারপর আরও বেশ কিছু মাধ্যম দাবি করেছে এই ভাইরাস চীনই ছড়িয়েছে।

আর একথা সর্বজনবিদিত যে বিএনপির সঙ্গে চীনা দূতাবাসের একটা শীতল সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকপ যখন শুরু হবে হবে ভাব, তখন নাকি তারেক রহমান লন্ডন থেকে চীনা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে। তারেক রহমান যোগাযোগ করে বলে, এই ভাইরাসের যে এক্সট্রিম ভার্সন সেটি আমাদের দিন। এই ভাইরাস দিয়েই সরকারকে টাইম দেওয়া যাবে। আমরা করোনার এক্সট্রিম ভার্সন আওয়ামী লীগের হেভিয়েট নেতাদের বেছে বেছে সংক্রমন ঘটাবো! আর এটা আমরা একের পর এক ঘটাবো। একবারে সবাইকে সংক্রমিত করব না। যেন সরকার ঘুনাক্ষরেও বুঝতে না পারে, এটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। আর এই কাজ বাস্তবায়নে বরাবরের মতই লজিস্টিক সাপোর্ট দিবে বিএনপি আর বাস্তবায়ন করবে জামায়াত-শিবির!

সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি প্রথমেই দু-একজন মন্ত্রীর আক্রান্ত হওয়ার ভুয়া সংবাদ ভাইরাল করল, যেন বিষয়টা হালকা করা যায়। তারপর তারা প্রথমেই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মাদ নাসিমকে টার্গেট করল। তারা মোহাম্মাদ নাসিমকে করোনা ভাইরাসের এক্সট্রিম ভার্সন দিয়ে আক্রান্ত করল। ফলে নাসিম সাহেব করোনা আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে দুর্বল হয়ে পড়েন। যদিও নাসিম সাহেবের জন্য শুরু থেকেই সব উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু করোনার এক্সট্রিম ভার্সন বলে কথা! করোনা গিয়ে অ্যাটাক করল ব্রেইন-এ। তারপর সব কিছু খতম হওয়া মাত্র সময়ের ব্যাপার ছিল। পরবর্তিতে দুই বারের সফল স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমের ভাগ্যে কী ঘটেছে তাতো আপনারা জানেনই।

অন্যদিকে দেশের সমস্ত মিডিয়া এবং রাজনৈতিক অঙ্গন যখন মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন তারেক রহমানের বিশেষ কমান্ডো দল সুচারুভাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহর উপর সংক্রমণ ঘটায়। বিশেষ মাধ্যমে জানতে পারলাম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহকে কোল্ড করোনা ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত করা হয়েছিল। যার কারণে তিনি যে ভিতরে ভিতরে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলেন, তা বুঝতেই পারেননি। যখন বুঝতে পেরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ফলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহকে অনেকটা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হল।

প্রশ্ন করতে পারেন, এতো হেভিওয়েট মন্ত্রী থাকতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ কেন?

কারণ, দেশ মাতা শেখ হাসিনার কাছে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। যার দরুন প্রধানমন্ত্রী তাকে নিজ এলাকার উন্নয়ন দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, সরকারের তিনি কত্তো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তাই তার উপর কোল্ড করোনা ভাইরাস প্রয়োগ করা হয়েছে।

তারপর তারেক রহমান টার্গেট করেন, সিলেটের সাবেক সিটি মেয়র কামরানকে। শোনা যায়, কিছু দিন আগেই নাকি কামরান লন্ডন থেকে ফিরেছেন। লন্ডনের একটি গোপন মিটিংয়ে কামরান নাকি তারেক রহমানকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায়- এমন মিটিং-ই নাকি কামরান সাহেব করে দেশে ফিরেছিলেন। আর দেশে ফিরেই সাবেক মেয়র এবং বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কামরান দেশ মাতার সাথে দেখা করেন। যার কারণে পরবর্তি টার্গেট মেয়র কামরানকে করা হয়। প্রথমে মেয়র কামরানের অসুস্থতা প্রাথমিক পর্যায়ে হলেও দিন গড়ানোর সাথে সাথে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপরই তো সব শেষ।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীণ সময়ে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সাহারা খাতুন। সেই সাহারা খাতুন এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছেন। অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশিকে আক্রান্ত করা হয়েছে। যেন চলমান সংকটে দেশের বাণিজ্যের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে সরকার বেগতিক অবস্থায় পড়ে।

আর তারেক রহমান সবচেয়ে ভয়াংক ষড়যন্ত্র করে বাজেট অধিবেশনকে ঘিরে। তারেক রহমানের নজর আগে থেকেই সংসদের কর্মচারীদের প্রতি ছিল। কিন্তু অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই তাদের নিবিড়ভাবে টেস্ট করা হয় এবং ৪০ জন্য আক্রান্তকে পাওয়া যায়। তখন তারেক রহমান ভিন্নপথে হাটে। অখ্যাত এক এমপিকে টার্গেট করে তাকে সংক্রমিত করা হয়। বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আগে তাকে পরিকল্পিতভাবে সংক্রমিত করা হয় বলে, প্রাথমিকভাবে তার শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। কিন্তু বাজেট অধিবেশন শেষেই তার মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়।

এ থেকে স্পষ্টত প্রতিয়মান হয়, তারেক রহমান আমাদের দেশ মাতাকে করোনা ভাইরাস দিয়ে হত্যা করার নীল নকশা এটেছে! আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশমাতা শেখ হাসিনার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তো শত বাধা উপেক্ষা করে কেবল দেশের কথা ভেবেই বাজেট অধিবেশনে যোগদান করেছিলেন। আর সেখানেই কিনা করোনা আক্রান্ত এমপিকে ষড়যন্ত্র করে পাঠানো হল!

গতকাল জানতে পারলাম, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটা যে প্রধানমন্ত্রীকে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি দেওয়া হল তা বুঝতে তথ্য বাবা হওয়ার প্রয়োজন নেই। অতীতে তারেক রহমান জামায়াত-শিবিরকে সাথে নিয়ে দেশ ধ্বংসের বহু চেষ্টা করেছে। এবার তারা করোনা ভাইরাস দিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করছে!

অন্যদিকে খেয়াল করে দেখুন, বিএনপির একজন নেতাও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করাতো দূরের কথা তারা আক্রান্তও হয়নি। এখনই সময় নীল নকশা ধামিয়ে দেওয়ার! বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা জাগো! বুক পেতে এগিয়ে আসো এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দাঁড়াও।

পঠিত : ৪১০ বার

মন্তব্য: ১

২০২০-০৬-২১ ০১:১৩

User
Musa

পুরোটা পরলাম,
কিন্তু দুঃখিত, বুঝতে পারলাম না তথ্য বাবাটা কে?

submit