Alapon

ল্যাপটপ কেনার সময় লক্ষ্যণীয়



ল্যাপটপ পিসি কিনতে গেলে যেসব বিষয় দেখে নেবেন-

বাজেট/দাম:
সাধারণ ব্যবহার: (ব্রাউজিং, রাইটিং, স্টাডি, মাইক্রোসফট অফিস) পিসির জন্য বাজেট রাখা উচিৎ সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা
মধ্যম ব্যবহার: (ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, গেমিং ও এডিটিং) সর্বনিম্ন ৫৫ হাজার টাকা
হাই কনফিগ: (থ্রিডি মডেলিং ও অ্যানিমেশন, ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, মোশন গ্রাফিক্স, গেমিং) সর্বনিম্ন ৭৫ হাজার টাকা

ব্র্যান্ড:
সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পছন্দক্রম: Dell> Asus> Acer> HP> Lenovo (Suggested)
হাই কনফিগারেশন পিসির জন্য পছন্দক্রম: Acer> Asus> Dell> MSI (Suggested)



স্ক্রিন সাইজ:
সাধারণত বহণের জন্য ছোটো স্ক্রিনসাইজ ভালো। তবে ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং এর জন্য বড় স্ক্রিন হলে ভালো হয়।
সাধারণ ব্যবহার: 14 ইঞ্চি
হাই কনফিগ ল্যাপটপ: 15-17 ইঞ্চি

স্ক্রিন রেজল্যুশন: 1920x1080 (HD Recommended)
স্ক্রিন রেজল্যুশন যত বেশি হবে তত ভালো।

কালার: ব্ল্যাক, সিলভার, অ্যাশ
বডি মেটাল: প্লাস্টিক, কার্বন পলিমার, মেটাল ইত্যাদি ধাতুর হয়ে থাকে তবে মেটাল বডি হলে ভালো।

প্রসেসর ব্র্যান্ড: ইন্টেল এএমডি দুটোই সমান চলে এখন তবে এএমডির প্রসেসরওয়ালা ল্যাপটপগুলো দাম সাধারণত কম হয়ে থাকে।



প্রসেসর জেনারেশন: 7th-10th (Latest Recommended) জেনারেশন ভেদে একই কোরের প্রসেসর আলাদা দাম হয়ে থাকে।
প্রসেসর মডেল ভার্সন: 3600, 5300, 5400, 7500, 7900 (Latest Recommended)
প্রসেসর কোর ভার্সন: আইথ্রি, আই ফাইভ, আই সেভেন, আই নাইন (Highest Recommended)
* সাধারণ ব্যবহার কোরআই থ্রি,
* মধ্যম ব্যবহারের জন্য কোর আই ফাইভ,
* হাই কনফিগ ল্যাপটপ সর্বনিম্ন কোর আই সেভেন ৮ম জেনারেশন রেকমেন্ডেড

টোটাল প্রসেসর কোর (ফিজিক্যাল ও ভার্চুয়াল মিলিয়ে): ৬, ৮, ১২, ১৬ (Minimum 6 Core Recommended) প্রসেসরের কোর মূলত একই ফ্যাক্টরিতে আলাদা আলাদা কক্ষ থাকার মত। যত বেশি কক্ষ একই সময়ে তত বেশিসংখ্যক কাজ করার সুযোগ। আবার কক্ষগুলোর কর্মক্ষমতা বা সাইজ যত বেশি একই সময়ে তত বেশি কাজ করতে পারবে, এটাকেই গিগাহার্জ বলা যায়।

প্রসেসর গিগাহার্জ: 2.50 2.80 3.00 3.20 (Highest Recommended)
প্রসেসর ক্যাশ মেমোরি: ৫ এমবি ৮ এমবি ১০ এমবি (Highest Recommended) ক্যাশ মেমোরি মূলত প্রসেসরের নিজস্ব মেমোরি। প্রসেসরকে যদি কোম্পানির বড় অফিসার কল্পনা করি, কাজ করতে গেলে তার নিজের কাছে ফাইলপত্র রাখার জন্য তো কিছু জায়গা থাকতে হবে , সেটাই ক্যাশ মেমোরি।

প্রসেসর/বিল্ট ইন গ্রাফিক্স: সাধারণত ইন্টেলের সব প্রসেসরেই বিল্ট ইন গ্রাফিক্স দেয়া থাকে যা ভিডিও দেখা ও হালকা গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্য যথেষ্ট।

এমএমডির কিছু প্রসেসরে বিল্ট ইন গ্রাফিক্স থাকে আবার কোনোটাতে থাকে না। বিল্ট ইন গ্রাফিক্স থাকা না থাকার উপরও দাম কমবেশি হয়ে থাকে।



সাধারণ পিসির জন্য ইন্টেল এইচডি বা ইউএচডি গ্রাফিক্স থাকা দরকার (or Latest Recommended)

RAM Memory:
Random Access Memory (অস্থায়ী মেমোরি) র‌্যাম সাধারণত কাজ চালু রাখার সাময়িক ব্যবহৃত জায়গা। আপনি আপনার বাড়ির নির্মাণকাজ করতে চান অথচ সাময়িকভাবে ইট বালু সিমেন্ট রাখার নেই জায়গা নেই, বহনের পাত্র নেই, মিস্ত্রিদের চলাচলের জায়গা নেই এটা হতেই পারে না। র‌্যাম অনেকটা এরকম পাত্র বা জায়গা যেখানে সাময়িকভাবে ফাইলপত্র রেখে কাজ করে থাকে কম্পিউটার। যেমন আমরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কাজ করতেছি সেভ না করা পর্যন্ত ওটা র‌্যামে থাকে, সেভ করলে তবেই সেটা হার্ডডিস্কে স্থায়ী মেমোরিতে যায়। আমাদের ক্রোমে ব্রাউজ করা পেজটিও মূলত র‌্যামের উপর দাড়িয়ে থাকে।



* সাধারণ পিসির জন্য ৪-৮ জিবি
* মধ্যম পিসির জন্য ৪-৮ জিবি
* হাই কনফিগ পিসির জন্য ৮-১৬ জিবি

RAM DDR ভার্সন: থ্রি, ফোর, ফাইভ, (DDR4 Recommended)
DDR এর পূর্ণরুপ Double Data Rate প্রাথমিক যুগে র‌্যামে একমুখী ডাটা প্রবাহ ছিল।অর্থাৎ রাস্তা চিকন হওয়ায় একসাথে যাওয়া আসা করা যেত না। পরে রাস্তা প্রশস্ত করায় যাওয়া আসা দুটোই করা যাচ্ছে বা ডাবল গতি পাওয়া যাচ্ছে। এর উন্নততর ভার্সনগুলোই হচ্ছে ডিডিআর২ ডিডিআর৩ ডিডিআর৪।



RAM বাস স্পিড: ১৩০০ ২৬০০ (Highest Recommended) র‌্যাম কত দ্রুত ডাটা আনা নেয়া করতে পারে সেটাই মূলত বাস স্পিড।

ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স: বিল্ট ইন গ্রাফিক্স ছাড়াও অনেক ল্যাপটপে বাড়তি গ্রাফিক্স কার্ড দেয়া থাকে সেটাকে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স বলে। সেক্ষেত্রে ল্যাপটপের ফিচারে সাধারণত Nvidia, Radeon, Vega Graphics 2 GB, 4GB, 6GB ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে। ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স থাকলে ভারী গেমিং, ডিজাইন, থ্রিডির কাজ ও ভিডিও এডিটিং স্মুথলি এবং দ্রুত করা যায় । গ্রাফিক্স কার্ডেও স্বতন্ত্র প্রসেসর ও র‌্যাম থাকে। গ্রাফিক্স কার্ডের র‌্যামকে VRAM বলে যেগুলো Gddr4, Gddr5, Gddr6 ভার্সন হিসেবে লেখা থাকে।



মধ্যম ও হাই কনফিগ পিসির জন্য (2-6 GB Graphics Recommended)

হার্ডডিস্ক ও এসএসডি:
* সাধারণ পিসির জন্য ৫০০ গিগাবাইট থেকে ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক যথেষ্ট।



* মধ্যম পিসির জন্য ১টিবি হার্ডডিস্কের পাশপাশি ১২০ জিবি এসএসডি থাকলে ভালো।
* হাই কনফিগ পিসির জন্য: ১টিবি হার্ডডিস্কের পাশপাশি ২৫০ জিবি এসএসডি থাকা প্রয়োজন।
কানেক্টর পোর্টের উপর ভিত্তি করে এসএসডি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন সাধারন হার্ডডিস্কের জায়গায় লাগানোর জন্য হলে Sata SSD



আলাদা মেমোরিকার্ডের মত পোর্টে লাগানোর জন্য হলে M.2 SSD
আবার পিসিআই পোর্টে লাগানোর জন্য হলে NVME SSD

তবে এখনকার মাদারবোর্ডগুলোর জন্য M.2 ও NVME একই পোর্ট এবং ‍এসএসডিগুলোও একই রকম হয়ে থাকে।



Connector Ports & Sensors:
ল্যাপটপে কী কী পোর্ট বা কানেক্টর আছে কতটি আছে সেটাও কেনার সময় বিবেচ্য বিষয়। যেসব পোর্ট থাকা প্রয়েোজন
VGA/HDMI : To Connect external Monitor or Projector
USB 3.0: For High Speed Data transfer
Micro USB (Optional):
USB Type C (Optional):



USB Thunderbolt (Apple Device Connector)
Memory Card slot
Headphone Jack (Mobile/Dual)
Charging Port
Built in Microphone
Webcam (HD Optional)

Network & Wireless:
LAN: To Connect Broadband Cable Directly
Wi-Fi:
Bluetooth: For wireless mouse, keyboard, joystick or presenter

Extra Features:


Keyboard backlit (Optional)
DVD Drive (Optional)
Finger Print (Optional)
Joystick (Optional)
Number PAD (Optional)

ব্যাটারি টাইপ:
Ni-cad Cell
Li-Ion (চার্জ বেশি থাকে, সবসময় চার্জার লাগিয়ে রাখা অনুচিৎ)

অপারেটিং সিস্টেম: ফ্রি অরিজিনাল উইন্ডোজ, ফ্রি ডস

অ্যাক্সেসরিজ: চার্জার, ব্যাগ, পেপারস

ওয়ারেন্টি: ৩ বছর

* আনকমন মডেল বা বিদেশ থেকে লাগেজে আনা আলাদা মডেলগুলি কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক
থাকা উচিৎ কারণ এগুলোর কোনো পার্টস নষ্ট হলে মেরামত করা কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল।

কেনার আগে দাম ও ফিচার যাচাই করতে পারবেন যেসব সাইটে
www.ryanscomputers.com
www.startech.com.bd
www.globalbrand.com.bd
smartbd.com

পঠিত : ৯৬২ বার

মন্তব্য: ০