Alapon

দোয়া কাবুলের জন্য করনীয়



দোয়া কবুলের জন্য করনীয়ঃ

১. সর্বপ্রথম হল সকল হারাম বাদ দেয়া, সকল হালাল গ্রহণ করা।

২. গীবত করা, গালি দেয়া, মিথ্যা বলা ত্যাগ করা। কারণ এই জিনিস মুখ অপবিত্র করে। আর অপবিত্র মুখে কোনো দোয়া কবুল হয় না।

৩. মানুষকে মাফ করে দেওয়া। কোনো কারণে মন্য- মালিন্য, ঝগড়া - বিবাদ, রাগ - অভিযোগ থাকতেই পারে তা সত্বে ও মানুষকে মাফ করে দেওয়া। কারন আমরা মানুষকে মাফ না করলে আল্লাহ ও আমাদের মাফ করবেন না।

৪. মারহাম /গায়েব মারহাম মেনে চলা।

৫. নাচ - গান থেকে বিরত থাকা। কারণ এটা সম্পনূ হারাম যা দোয়া কবুলের পথে বিশেষ বাধা সৃষ্টি করে।

৬. পর্দা করা। ছেলে - মেয়ে সকলের জন্য প্রযোজ্য।

৭. নিয়মিত নামায আদায় করা। সম্ভব হলে আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করা।

৮. সর্বদা জিকির - আযগার করা। অযথা কথায় সময় নষ্ট না করা। কারন যিকির গুনা নষ্ট করে। যার ফলে আল্লাহর নৌকট্য লাভ সহজ হয়।

৯. অথবা সর্বদা ইস্তেগফার বা আছতাগফিরুল্লা জিকির করা। এই জিকির গুনা মাফ করার সাথে আল্লাহর নৌকট্য লাভ সহজ হয়। যেহেতু গুনা মাফ করে আল্লাহর নৌকট্য লাভ করা যায় দোয়া গুলি দ্রুত কবুল হয়। যেমন: রিজিক বৃদ্ধি পায়, রোগ - বালাই দূর হয়, বিপদ - আপদ দূর হয়, বিবাহ সম্পকিত সমস্যা থাকলে সে সমস্যা দূর হয় দ্রুত বিবাহ সম্পন্ন হয়, সন্তান লাভ করা যায়।

১০. দূরুদ শরীফ পাঠ করা। হাদীস অনুযায়ী দূরদ শরীফ পাঠ না করলে কোনো দোয়াই কবুল হয় না। যে কোনো দোয়া শুরুতে দূরুদ পাঠ করলে প্রথমেই সে দোয়া ৮০% কবুল হয়ে যায়। তাই যে কোনো দোয়া শুরুতে অন্তত ৩ - ১১ বার দূরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা উচিত।

১১. কোরআনের বিশেষ কিছু আয়াত আছে যা দোয়া কবুলের জন্য পাঠ করা উচিত। যেমন :

সূরা মুমিনুনের শেষের ৪ আয়াত, আল্লাহর উপর ভরসা করে যে কোনো বৈধ বিষয়ে প্রার্থনা করলে তা অবশ্যই কবুল হবে।

আরও একটি হল সূরা বাকারার শেষের দুই আয়াত যা পাঠ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব যা দোয়া কবুলে বিশেষ ভাবে ভূমিকা পালন করে।

১২. নিয়মিত সালাতুল হাজত অথবা তাহাজ্জুত নামায পড়া। ফজর ও আছরের ওয়াক্ত বাদে যে কোনো সময় সালাতুল হাজত পড়া যায়। আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় এই নামায। অথবা মাঝরাতের তাহাজ্জুত পড়া।

১৩. দোয়া করার সময় আল্লাহর গুনোবাচক নাম ঊচচারন করা। যেমন : ইয়া রহমানু, ইয়া রাহিমু, ইয়া জব্বারু, ইয়া খালিকু, ইয়া বারিউ, ইয়া মালিকু, ইয়া ওয়াহিদু ইত্যাদি নাম উচচারন করা তার মহৎ র্বননা করা।

১৪. আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে দোয়া করার সময় বান্দার চোখের পানি। তাই দোয়া করার সময় অবশ্যই চোখের পানি ফেলতে হবে। বান্দার চোখের পানি নাক পযর্ন্ত পৌঁছনোর আগেই আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে নেয়। তিনি আমাদের মালিক তার কাছে মনের কথা বলতে চোখের পানি ফেতলে কোনো লজ্জা নাই, তাই মনখুলে তার কাছে দোয়া চাইতে হবে।

১৫. এই বিষয়টা হয়ত অনেকে যানে আবার অনেকে যানে না সেটা হল দোয়া করা সময় অব্যশই দুনিয়ার তামাম উম্মতির জন্য দোয়া করা জীবিত হোক কিংবা মৃত। সকল নবী - রাসূল, সাহাবাগন, ও তাদের সঙ্গী- সাথীগন, সকল উলামায়েকরাম, সমস্ত দুনিয়ার মুসলিম উম্মত আল্লাহর বান্দা, আপনার আমার আত্মীয় - স্বজন , পাড়া - প্রতিবেশী, জীবিত - মৃত সকলের জন্য দোয়া করতে হবে মাস্ট।

⭕ আমার স্বল্প জ্ঞানে যতুটুকু যানা ছিল সেটা সকলকে যানানো চেষ্টা মাত্র। আর কারো যদি জানার আগ্রহ থাকে আমি নিজে এগুলো পালন করি কিনা তাহলে তাদের বলছি আমি পর্দার ব্যাপারটা বাদে বাকী সবগুলি আল্লাহর ইচ্ছায় যথা সম্ভব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করি।
ধর্ম অনেক সেনসিটিভ বিষয়ে তাই কোথায় কোনো ভূল হলে ধরিয়ে দিবেন আশা করি!

???? কপি পোষ্ট

পঠিত : ১২৪৯ বার

মন্তব্য: ০