Alapon

এরদোয়ান এর শাসন আমল এবং সেই অটোমান সাম্রাজ্যের লক্ষ্যমাত্রা...


ক্ষমতায় আসার পর সাবেক তুর্কি প্রেসিডেন্ট কামাল আতাতুর্ক এর মার্কিন ও ইউরোপ নীতিতে কাজ করতে থাকলে পর্যায় ক্রমে বর্তমান তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে চলছেন।

যখন সিরিয়ার কৌশল গত অঞ্চল ইদলিবে মার্কিন সহায়তায় ঘাটি বসাতে থাকে তুরস্ক তখন অনেকেই ২য় সালমান (সৌদি বাদশা) এর সাথে তুলনা করা শুরু করে এবং তাকে মার্কিন এজেন্ডা হিসেবেও ইঙ্গিত দিতে থাকে। যখন তুর্কি অটোমান শাসন চলে তখন এই ইদলিব ছিলো তাদেরি অঙ্গরাজ্য, আর সেই জন্যেই হয়তো ইদলিব এতোটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু দিন আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাশিয়াকে জোরালো ভাবে জানায় সিরিয়া অভিযানে জোর দিতে তখন রাশিয়ার সেনা সহ আসাদ বাহিনী সিরিয়ায় ব্যাপক ভাবে নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শুরু করে। কিন্তু দিন শেষে ইদলিব নিয়েই শুরু হয় টানাটানি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট সহ রাশিয়া অনেক বার এই নিয়ে কথা বললেও ইদলিবে যেনো হামলা না হয় সেই জন্যে বার বার রাশিয়াকে জানান দেয় তুর্কিরা। বেপার টা আসাদের মোটেও পছন্দ না হওয়ায় সে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে। তখনি এরদোয়ান একটা গেম খেলা শুরু করে, সরাসরি রাশিয়াকে হুমকি দিতে থাকে যে, ইদলিবে যদি রাশিয়া এবং আসাদ বাহিনী হামলা চালায় তাহলে তুর্কির কাছে থাকা রাশিয়ার অত্যাধুনিক এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটোকে দিয়ে দিবে বলে জানায়। রাশিয়া ভালো করেই জানতো এস ৪০০ যদি ন্যাটোর হাতে যায় তাহলে তাদের অস্ত্র ব্যাবসায় ধশ নামবে পরিশেষে বর্তমানে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় এখন যুদ্ধ বিরতি চলতেছে ইদলিবে।

অন্য দিকে তুর্কিদের নতুন লক্ষ্য এখন লিবিয়া, বর্তমানে লিবিয়ার সরকারি পক্ষের হয়ে লড়তেছে হাফতারের বিরুদ্ধে। সেখানেও প্রথম দিকে সৌদি, আমিরাত, মিশর, রাশিয়া, ইসরায়েল, ফ্রান্স এক হয়ে ভেটো দিতে থাকে। সিরিয়া নিয়ে রাশিয়া এমনিতেই চাপে আছে, তারউপর যদি তারা লিবিয়ায় যোগ দেয় তাহলে সেটা তাদের জন্য আরো বেশি প্রভাব ফেলবে। তাই হয়তোবা লিবিয়া থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া তবে বর্তমানে একমাত্র সমস্যা মিশর। তারা সৌদি এবং ইজরায়েল এর সাথে জোট হয়ে হাফতারের পক্ষে তুর্কির বিরুদ্ধে লড়তেছে।

এখানেও তুর্কী তাদের কৌশল দিয়ে মিশরকে আজারবাইজান দিয়ে চাপে রাখতে শুরু করেছে। কিন্তু সমস্যা যখন হয় তখন বড় করেই হয়।
সেই আজারবাইজানের সাথে আর্মেনিয়াকে দিয়ে সীমান্ত উত্তেজনা শুরু করেছে মিশর, ইজরায়েল ও সৌদি জোট।
বর্তমানে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ প্রস্তুতি চলতেছে। মুসলিম দেশ হিসেবে আজারবাইজানকে পূর্ণ সমর্থন দিতে চলেছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট অন্য দিকে আর্মেনিয়া খ্রিস্টান দেশটির পক্ষে মিশর, ইজরায়েল ও সৌদি জোট সমর্থন দিয়ে আসতেছে।

২০২৩ সালে তুরস্কের সেই ঘৃণ্যতম ১০০ বছরের চুক্তি শেষ হবে। তার আগেই হয়তোবা পুরোদমে সেই আগের তুর্কি ফিরে পেতে মরিয়া এরদোয়ান। ইতিমধ্যে তিনি আল আকসা স্বাধীন করার লক্ষ্যে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

- Rose

পঠিত : ৫৯২ বার

মন্তব্য: ০