Alapon

গ্রীসের পানি সীমায় যে কারণে তুরস্কের জাহাজ...



ধরুন আপনার বাড়ির সামনের একটি খাস জমি আপনার বংশ কয়েকশ বছর ধরে ব্যবহার করছেন। এখন ৬০০ কিমি দূর থেকে এসে কেউ আপনার বাড়ির সামনের খাস জমি দাবী করছে। দখল করেছে। তাও নিজের শক্তিতে না। ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা। যখন আপনি দুর্বল তখন কি আর করবেন। কিন্তু যখন আপনার শক্তি হবে তখন কি আপনি তা মেনে নিবেন।

১ম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কে হেরে গেলে গ্রীস ও তুরস্কের মাঝখানে থাকা সবগুলো দ্বীপই গ্রীসকে দিয়ে দেয় বৃটিশরা। এমনকি তুরস্কের উপকূলের ২ কিমির মধ্যকার দ্বীপও গ্রীসকে দেয়া হয়। বৃটিশ রণতরীর সহায়তায় কয়েশত বছর তুরস্কের অধিকারে থাকা রাতারাতি হয়ে যায় গ্রীসের। আন্তর্জাতিক আইনের কোন ধার ধারে নি বৃটিশরা। প্রতিটি দেশ যেখানের তার মূল ভুখন্ডের ১২ নটিক্যাল মাইল সমুদ্রের অধিকার পায় সেখানে তুরস্কের ২/৩ কিমি পর্যন্ত গ্রীসের।

তুরস্কের মূল ভূখন্ডের সামনে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিশাল কন্টিনেন্টাল শেলফের উপর তুরস্কের কোন অধিকার দিতে রাজি নয় সম্প্রসারনবাদী গ্রীস। ১০ বর্গ কিমির ছোট্ট দ্বীপের বিপরীতে ৪০ হাজার বর্গ কিমি সমুদ্র সীমা নিজের দাবী করছে দেশটি। এই অবৈধ দখলদারিত্ব কায়েমের জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে ঢেকে অনেছে আফ্রিকার লুটেরা ফ্রান্সকে।

চাপিয়ে দেয়া লুজান চুক্তি টি ছিল ২য় ভার্সাই চুক্তির মতো জুলুমে ভরপুর। জার্মানী বহু আগেই ভার্সাই চুক্তিকে ছুড়ে ফেলেছে। তুরস্ক ২০২৩ সালের পর এই দ্বীপগুলো ও সমুদ্রসীমা পুন:বন্টনের জন্য গ্রীসকে চাপ দিচ্ছে। ইইউকে আলোচনার জন্য আহবান করছে। কিন্তু কেউ আলোচনায় বসতে রাজি না। কারণ তাহলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তুরস্ককে তার অধিকার দিতে হবে।

যেহেতু আলোচনায় বসতে রাজি নয় কেউ, তাই তুরস্ক বলেছে তারা জানে কিভাবে শক্তি প্রয়োগ করে নিজের দাবী আদায় করে নিতে হয়। তবে তুরস্ক আলোচনার জন্য সবসময় প্রস্তুত। কারণ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রায় হলে তুরস্ক তার অধিকার ফিরে পাবে।তুরস্কের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচারের কারনে আজকের উত্তেজনা।
বাংলাদেশ কি সাতক্ষীরার সামনের দ্বীপে মায়ানমারের অধিকার মানতো?

- jahidul

পঠিত : ৯৭৭ বার

মন্তব্য: ০