Alapon

|| টাইম ম্যানেজমেন্ট পর্ব-(২) ||




অলস দুপুর
--------------------◾

প্রডাক্টিভ মর্নিং রুটিন করে এবার সাদেকীন সাহেব খুব স্বস্তি অনুভব করছেন। তার অলসতা মোটামুটি দূর হয়ে গেছে। আর দিনের প্রথম পোরশন যদি ইফেক্টিভ ওয়েতে শুরু করা যায় তাহলে বাকি দিন ঠিক ভাবে অতিবাহিত করার জন্য একটা উৎসাহ কাজ করে সারাদিন।

.

টাইম ম্যানেজমেন্ট এর কারনে সে এখন মাত্র কয়েক ঘন্টায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। তাহাজ্জুদ আদায় হচ্ছে। ফজর মিস হচ্ছে না। শারিরীক ও মানসিক পরিবর্তন এসেছে সকাল বেলার ব্যয়াম ও হাটাহাটির কারনে। সময় মতো নাস্তা করা হতো না আগে তার। এখন সে ঠিক সময়ে নাস্তা করার কারনে মন উৎফুল্ল থাকছে।

.

সাদেকীন সাহেব এই মুহুর্তে বেকার। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা এই সময়টাতে এখন তার কি কি কাজ বেশি জরুরি প্রথমে তার একটা লিস্ট করলো। মানে লিস্ট টা হবে প্রায়োরিটি বেসিস। কোন কাজ বেশি জরুরি এখন এই মুহুর্তে সেটা আগে করা এবং সেই কাজে বেশি গুরুত্ব দেয়া। অন্য অপ্রয়োজনীয় কাজগুলোকে বাদ দেয়া।

.

ধরুন, আপনার বয়স এখন ২২-৩০ এই সময়ে সবচেয়ে বেশি জরুরি কাজ কি? কেউ কেউ ভাববেন প্রেম করা এবং বিয়ে করা। প্রেমের জন্য নাউজুবিল্লাহ এবং বিয়ের জন্য আলহামদুলিল্লাহ বলি।

এই সময়ে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়া উচিতঃ

|| ১) পড়াশুনা ২) জীবিকার ব্যবস্থা ৩) বিয়ে করা ||

কিন্তু এই সময়টাতে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলি এমন কিছু কাজকে যা একদম উচিত নাঃ

|| ১) ফেবু/ইউটিউব ২) ঘুরাঘুরি ৩) প্রেম করা ৪) হালকার উপর ঝাপসা পড়ালেখা ||
.

সাদেকীন সাহেব বিয়ে করে ফেলেছেন। এখন তার কেবল দুইটা কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলেই হচ্ছে। আর্লি ম্যারেজ হলো টাইম ম্যানেজমেন্ট এর সবচেয়ে সফল অবদান যা আমরা অন্য কোন পর্বে পড়বো ইন শা আল্লাহ। নিজের অজান্তেই সে টাইম ম্যানেজমেন্টকে গুরুত্ব দিয়েছিলো আগে এটা ভেবে সে মহা খুশি।

.

তাহলে আপনি এখন একটা কাজ করবেন। আগামী এক বছর পর নিজেকে কিরকম বা কোন অবস্থানে দেখতে চান। একটা ভিশন সেট করুন। এরপর সেই অবস্থানে যেতে আপনাকে কি কি কাজ গুলো এখন করাটা আগে বেশি জরুরি সেগুলো লিখে ফেলুন। আর বাদ দিন সময় নষ্ট করে এমন কিছু অভ্যাস। সময় নষ্ট করা অভ্যাস গুলো কি এবং কিভাবে সেখান থেকে সরে আসা যায় তার কিছু টিপস থাকবে পরের পর্বে।

.

সাদেকীন সাহেবের দিনের রুটিন ছিলো এরকমঃ

সকাল ১০-০১ঃ প্রয়োজনীয় কাজ (পড়াশুনা,জব সার্চ)
দুপুর ০১-০২ঃ যহুরের নামাজ , লাঞ্চ
দুপুর ০২-০৩ঃ পাওয়ার ন্যাপ (৩০ মিনিট বেটার)
.

||*ইসলামীক বই/সীরাহ/হাদিস অধ্যয়নঃ আসরের আগে এক ঘন্টা। *কুরআনের নতুন নতুন সূরা মুখস্থ/ হিফজঃ আসরের পরে এক ঘন্টা। ||
(বিঃদ্রঃ চাকুরিজীবী গন এই কাজ অফিস থেকে ফিরে করতে পারেন এশার আগে ও পরে)

এভাবে করে সাদেকীন সাহেব তার সারাদিনের একটা প্ল্যান সেট করলো। এই প্ল্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে সে প্রোপার একটা টাইম ম্যানেজমেন্ট এর মধ্যে নিয়ে এসেছে নিজেকে ও তার অলস দুপুরকে।

.

অলস কাক ডাকা শহুরে দুপুরে উদাস চোখে আকাশ দেখে সময় কাটিয়ে না দিয়ে নিজেকে প্রডাক্টিভ একটা সময় উপহার দেয়া উচিত আপনার। নিজেকে নিজে আর কত ঠকাবেন। নিজেকে টাইম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে নিয়ে আসুন।

.

তাহলে একটা বছর পর আপনি আর বেকার থাকবেন না। একটা বছর পর আপনি কুরআনের অনেকগুলা সূরা মুখস্থ পারবেন। সীরাহ পাঠের মাধ্যমে আপনার লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হয়ে যাবে। ইন শা আল্লাহ।

.

|| টপিকঃ লাইফ স্টাইল পর্ব (২) ||
লেখাঃ সিফাত সাদেকীন চৌধুরী (রৌদ্র)
------------------------------------------◾

পঠিত : ৫৮৮ বার

মন্তব্য: ০