Alapon

পবিত্র প্রত্যাখ্যান



বাসায় কেউ নাই, সন্ধ্যায় আইসো
-------------------------------------◾

এরকম একটা কথা শুনলে বর্তমান সময়ে কয়জন যুবক বা যুবতী আছে যারা খুশি হয়না বলেন? এই লাইনটা পড়ে এখনো অনেকে মুচকি হেসে দিয়েছেন। বর্তমান হারাম প্রেমে এই কথাটা শোনার জন্য কত প্রেমিক যে কত কাঠ খড় পোড়ায় তা বলার মতো না।

প্রেম হলো একটা অভাববোধ। মানুষ অভাববোধ থেকেই প্রেমে জড়ায়৷ কিসের অভাব? যারা প্রেম করেন তারা ভালোই জানেন। উপমহাদেশে বেশির ভাগ ছেলেরা মেয়েদের চাইতেও বেশি একাকীত্বে ভোগে বয়স ১৮ থেকে বিয়ের আগ অব্দি। এই একাকীত্ব মেটাতেই প্রেমের সূত্রপাত ঘটে।

এই থিওরি কিছুটা মেয়েদের সাথেও যায়। বান্ধবীদের বফ আছে আমার একটা নাই। হইল কিছু? এরকম অভাববোধ থেকেও তারা প্রেম করে। কিংবা নিজের এতো রূপ আর লাবন্য সেটা নিয়ে কবিতা লিখার জন্যেও একটা প্রেমিক কবি দরকার হয়। এভাবে তারাও আশেপাশে কয়েকজন মুগ্ধ হয়ে থাকা প্রেমিক খোজেন।

এরকম আরো বহুবিধ কারনে বা অভাববোধ থেকেই আমাদের দেশের তরুন তরুনীরা প্রেমে পড়ে। মানে হারাম সম্পর্কে জড়ায়। হারাম সম্পর্কে কোন বরকত নাই। আছে গুনাহ। আছে শাস্তি। দুনিয়াতে আছে মানসিক শাস্তি আর সম্মানহানী। পরকালে আছে জাহান্নাম।

নবীজি(স) বলেছেন, “আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করার পর অবৈধভাবে কোন মহিলার সাথে সহবাস করার মত বড় পাপ আর নাই”।[আহমদ, তাবারানী]

একটা ছেলে আর একটা মেয়ে যখন হারাম সম্পর্কে থাকে তখন সেখানে আরো একজন ব্যক্তি তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। তিনি হলো ইবলিস। ইবলিস আমাদের মাঝে খুব সুক্ষ্ম ভাবে ভালো জিনিস বুঝিয়ে খারাপ টা করিয়ে নেয়। যেমন-বিয়ের আগে শারিরীক সম্পর্ক করলেও যা, পরে করলেও তা। আমিই তো বিয়ে করবো।

শিরোনামের কথাটা প্রেমিকার কাছে শুনলে কয়টা ছেলে সুযোগ টা হাত ছাড়া করবে? বাসায় গোপনে আসার সুযোগ। যারা একটু আধটু নামায পড়ে, গফ বফদের আবার শর্ত দিয়ে বাসায় আনে। শর্তটা হলো বাসায় আসলে কেবল গল্প করবো। হাতটাও ধরতে পারবা না। মানে হারাম কে একটু হালালের মোড়ক দেয়ার চেষ্টা।

শুনুন ভাই বা বোন যিনিই পড়ছেন। আমি আগেও বলেছি। বিবাহ বহির্ভূত নারী পুরুষের সম্পর্ক হারাম। বিবাহের পর অন্য নারী বা পুরুষের সাথে সম্পর্ক হারাম। নিজের স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করুন। নিজের স্ত্রীকে ভালোবাসুন। তার জন্য দুনিয়ার সেরা মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন।

নবীজি(স) বলেছেন- “পূর্ণ ঈমানদার সেই ব্যক্তি যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। আর তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।” [তিরমিযীঃ ১১৬২]

বোন আপনিও নিজেকে আপনার বরের জন্যে তুলে রাখুন। নিজেকে হিফাজাত করুন। সুযোগ থাকলেই যে কাউকে সুযোগ করে দিবেন এটা ঠিক না।

হযরত আতা (রহ) তাফসীরে বলেন, “ জাহান্নামের সাতটি দরজার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত, সবচেয়ে বেশি দুঃখে পরিপূর্ণ ও সবচেয়ে ভয়ংকর দরজা হবে যারা জেনে- শুনে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের দরজা।"

◾বাসায় কেউ নাই, সন্ধ্যায় আইসো◾
◾সুযোগ থাকা অবস্থায় এই বাক্যটিকে প্রত্যাখান করাই হলো তাকওয়া।◾


লেখাঃ সিফাত সাদেকীন চৌধুরী
-----------------------------------◾

পঠিত : ৫৬৬ বার

মন্তব্য: ০