Alapon

তবে কি উসমানী সাম্রাজ্যের পুনরুত্থান হতে যাচ্ছে...?


১২৯৯সালে আরতুগ্রুল গাজির ছেলে উসমান গাজীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় উসমানী সাম্রাজ্য।তবে এর ভিত্তি স্থাপন করেন বাবা আরতুগ্রুল গাজি।সে থেকে দীর্ঘ ৬০০বছর উসমানী খিলাফতের শাসন বিদ্যমান থাকে যাতে শাসক ছিলেন ৩৬জন।

১৯২৩সালে ১ ম বিশ্বযুদ্ধে খলিফা ভূমি রক্ষায় অক্ষ শক্তির অর্থাৎ জার্মানি,জাপান এর সমর্থন করেন।অক্ষশক্তির পরাজয়ের ফলে দীর্ঘ ৬০০বছরের শাসনামলের ফাটল ধরে।

১৯২৪ সালে তুরস্কের জাতীয়তাবাদী, সেক্যলার নেতা মোস্তফা কামালের সাথে পশ্চিমাদের সুইজারল্যান্ডের লুজান শহরে একটি চুক্তি হয়,যার পিছনে মুলত কলকাঠি নাড়ান বৃটেন,ফ্রান্স সহ ইত্যাদি অমুসলিম দেশ। এ চুক্তিতে তুরষ্কের উপর কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়।

তার কয়েকটি হল
★খিলাফত বিলুপ্ত করা
★বসফরাস প্রনালীর অধীগ্রহন হারানো।
★খনিজ সম্পদ আহরণের নিষেধাজ্ঞা সহ তুরস্কে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করা।

লুজান চুক্তির মাধ্যমে মোস্তফা কামাল পশ্চিমাদের সাথে মিলে খিলাফত ধ্বংস করেন। খিলাফতের বংশধরদের গুপ্তহত্যাসহ নানাভাবে তাদের ধ্বংস করা হয়।তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।লুজান চুক্তির মাধ্যমে তুরস্ককে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করো দেয়া হয়।সামাজিক, রাজনৈতিক, সংস্কৃতি সবকিছুতে কর্তৃত্ব হারায় তুরস্ক।

১৯৩৮সালে মোস্তফা কামাল মারা যান।এর কয়েক দশক পর তুরস্ক তাদের ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করে।১৯৯৪ রিসেফ তায়েফ এরদোয়ান ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন।মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সমগ্র ইস্তাম্বুলে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করেন।

২০০৩ সালে এরদোয়ান Justice for development নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি ২০০৪ সাল্ব প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন।রাস্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি তুরস্ককে মুসলিম ধারাী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাএ আপ্রান চেষ্টা চালান।শুরু হয় ইসলামিক নবজাগরণ। সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক দিক থেকে তুরস্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।সারা বিশ্বের মুসলমানদের নির্যাতনে তিন এগিয়ে আসেন।ফিলিস্তিনিদের রক্ষায়,ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে মসজিদুল আকসা রক্ষায়, সিরিয়ার বিছিন্নতাবাদিদের দমনে,রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তিনি এগিয়ে আসেন।

১৯২৪সালে পশ্চিমাদের সাথে করা শতবর্ষের লুজান চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হয়ে যাবে। তুরস্ক ফিরে পাবে তাদের হারানো কর্তৃত্ব। ইতোমধ্যে মুসলিমদের পুনর্জাগরণে সে দেশে সাংস্কৃতিক চর্চা শুরু হয়ে গেছে।দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজ সারাবিশ্বে প্রায় ৩৯ট ভাষায় প্রচারিত হচ্ছে।

লুজান চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে বসফরাস প্রণালির অধিকার ফিরে পাবে তুরস্ক যেটিকে বলা হয় ইউরোপের সদর দরজা। অর্থনৈতিক দিক থেকে তুরস্ক হবে সমৃদ্ধশালী। তাছাড়াও এরদোয়ান মুসলিম বিশ্বের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছেন।

ভবিষ্যত সম্পর্কে সব অনিশ্চিত, কিন্তু আমরা বলতে পারি এরদোয়ানের হাত ধরে উসমানী সাম্রাজ্যের হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে মুসলিম শাষকদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে।

- মিনহাজ সাকিল

পঠিত : ৪৬২ বার

মন্তব্য: ০