Alapon

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং কিছু কথা...



৩০ তারিখ, বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় আমেরিকার আসন্ন নির্বাচনের দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সবকিছুই আগের নিয়মে হলেও ট্রাম্প যে একরোখা তা সবারই জানা। বিতর্ক অনুষ্ঠান কেবল আনুষ্ঠানিকতাই মাত্র। কারন নির্বাচনের ফল ট্রাম্প মেনে নিবেন না সেটা তিনি আগেই বলে দিয়েছেন! এর কারন তিনি তার ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ। আর ক্ষমতা ছাড়া লাগলেও আমেরিকায় নিজের দৌরাত্ম্য কমাতে একদম নারাজ এই একরোখা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

বিতর্কে জো বাইডেনেরই জয় হয়েছে এতে সন্দেহ নেই। কারন ট্রাম্পের পিছনের ব্যর্থতা ঢাকার মত কিছুই ছিল না। না ছিল স্বাস্থ্যখাতে সফলতা, না আছে করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা, না আছে কৃষ্ণাঙ্গ শেতাঙ্গের দন্দ মোকাবিলায় কোন সফলতা। তাহলে কোন বিষয়টা নিয়ে তিনি বিতর্কে জিততে পারতেন?

এখন প্রশ্ন হলো, আপনি কাকে বেছে নিবেন? রিপাবলিকান ট্রাম্পকে নাকি ডেমোক্রাট বাইডেনকে? আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সামান্যতম যুক্ত থাকতে চাইলে আপনাকে যেকোন একজন বেছে নিতে হবেই। কারন তারাই এখনো বিশ্বের মোড়ল! আপনি যদি বলেন আমি তাদের একজনকেও পছন্দ করি না তাহলে আপনি ভুল বুঝছেন। কারন বিশ্ব রাজনীতিতে সবাইকে ঘৃনা করলে কাকে নিয়ে রাজনীতি করবেন?

এবার আপনি হয়তো প্রশ্ন করবেন, তারা কি মুসলিম বিদ্বেষী নয়? আমি বলব,অবশ্যই তারা মুসলিম বিদ্বেষী। এরপরও আপনাকে একজন বেছে নিতে হবেই। কারন আমেরিকার ইতিহাসে এমন কাউকে দেখাতে পারবেন না যিনি মুসলিম বিদ্বেষী না। আপনি হয়তো উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করবেন বারাক ওবামাকে নিয়ে। কিন্তু আপনি ভুল পথে আছেন এবং ভুল জানছেন। যদি আপনি মনে করেন বারাক ওবামা মুসলিম বিদ্বেষী ছিলেন না তাহলে আপনি আমেরিকান ডিপলোম্যাসির কিছুই বুঝেন না। আমেরিকায় যত প্রেসিডেন্ট ছিল এবং সামনে আসবে তারা প্রত্যেকেই ইসলামোফোবিয়াকে সমর্থন করেছিল এবং করবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে তখন আমার পনেরো বছর। আমি সব কিছুই তখন বুঝতে পারি। পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আমার ছোটবেলা থেকেই। আরো চার বছর আগে যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন আর ট্রাম্প নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল তখন বাংলাদেশসহ অনেক রাষ্ট্রই হিলারিকে বেছে নিয়েছিল। কারন কি জানেন?- কারন হিলারির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী! আর এতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে একটা দুর্বলতা কাজ করছিল।

নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসল তখন পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে গেল। দেখা গেল শেতাঙ্গবাদী ট্রাম্পেই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছে! এটাই হলো আমেরিকার ম্যাক্সিমাম নির্বাচনের সারমর্ম। তাহলে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি! আমি পূর্বের বিষয়ে স্পষ্ট যে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট আবারো ডোনাল্ড ট্রাম্পই হতে যাচ্ছে। এবার আপনার পথ আপনি বেছে নিবেন। কারন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনার আমার অনেক কিছুই বুঝতে কষ্ট হবে। কারন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই এখনো ঐ স্বার্থপর রাষ্ট্রটির ডিপলোম্যাসি সম্পর্কে অবহিত না।

আমাদের কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে "রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা" বইটি পড়ায় এটা সবার জানা। কিন্তু আদৌ কেউ পুরোপুরি আমেরিকা আর ব্রিটেনের রাজনীতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। এখন কথা হলো তাদের রাজনীতি বুঝলে লাভ কি?
লাভ আর লস নিয়ে না হয় আর একদিন লিখব। এখন আপনি নিজের সিদ্ধান্ত জাহির করুন। কাকে আপনি বেছে নিবেন?

আমি চাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মত আপনি ঠকে যাবেন না।
আমি প্রথম থেকেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ট্রাম্পকেই বেছে নিয়েছি।
তাহলে আপনি?
১. ডোনাল্ড ট্রাম্প (রিপাবলিকান )
২.জো বাইডেন (ডেমোক্রেটিক )

- সংগৃহিত

পঠিত : ৩৮৯ বার

মন্তব্য: ০