Alapon

হযরত মারিয়াম আ. এবং কিছু কথা...


বর্তমান সমাজে যেখানে প্রায় প্রতিটি বাড়ি বলিউড স্টারদের নিত্যনতুন তাজা গল্পে উদ্ভাসিত, পত্রিকার বিনোদনের পাতাগুলো সরগরম থাকে তারকা-নক্ষত্রখ্যাত সেলিব্রেটিদের নিত্যদিনকার গল্প নিয়ে, সেখানে ইমানমুখর প্রদীপ্ত গল্পগুলোর বস্তাবন্দী অবস্থা। ইমানবিমুখ জীবনাচরণে অন্তরে যে প্রলেপ পরে গেছে মস্তিষ্কে ধুলরিত হয়ে পড়ে থাকা ইমানমুখর কাহিনীগুলো মাঝেসাঝে মনের কোণে উঁকি দিলেও অন্তরের প্রলেপে তা আর দাগ কাটেনা।অথচ প্রদীপ্ত একজন মহিয়সীর গল্প সেই প্রলেপকে মুছে দিতে সক্ষম কেননা আল্লাহ নিজ অনুগ্রহেই প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সম্মানের সেই স্থানটি তাকে দিয়ে দিয়েছেন।আর তাঁর স্থান ছিলো বায়তুল মুকাদ্দাস।

বায়তুল মুকাদ্দাসের ভিতরে ছোট্ট একটি রুম, যেখানে ছিলোনা কোনো নেটওয়ার্ক, ছিলোনা বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা, কিন্তু ছোট্ট সেই রুমটি দিনরাত মুখরিত ছিলো এক কিশোরীর ইবাদত-বন্দেগীতে। সেই কিশোরীর মা কিন্তু তাঁর রবের কাছে মানত করেছিলেন একটি পূত্র সন্তানের জন্য। কিন্তু আল্লাহ তাকে কন্যা সন্তান দান করলেন এবং সেই কন্যা সন্তানকে পূত্র সন্তানের চেয়েও মূল্যবান ঘোষণা দিলেন।

কিশোরীর মা কি আর জানতো, রব তাঁর কন্যা সন্তানকে পৃথিবীর নারীকূলের উপর দৃষ্টান্ত হিসেবে পাঠিয়েছেন।কেননা ছোট্ট সেই রুমে থেকেই কিশোরী বয়সেই সম্মানিত হলো মানতের সেই কন্যা সন্তান।এমনকি, কুর'আনে তাঁর নামানুসারে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হলো পূর্ণ একটি সূরা।

তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসের ইমাম ইমরানের কন্যা মারইয়াম(আঃ), একজন সম্মানিতা নারী এবং একজন সম্মানিত নবীর মা।

কুর'আনে উল্লেখ আছে,
وَ اِذۡ قَالَتِ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یٰمَرۡیَمُ اِنَّ اللّٰہَ اصۡطَفٰکِ وَ طَہَّرَکِ وَ اصۡطَفٰکِ عَلٰی نِسَآءِ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۲﴾
"আর স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলল,
হে মারইয়াম, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন ও পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন তোমাকে বিশ্বজগতের নারীদের উপর।" সূরা আল-ইমরানঃ৪২
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "সবচেয়ে উত্তম মহিলা হলেন মারইয়াম বিনতে ইমরান। অনুরুপভাবে সবচেয়ে উত্তম মহিলা হলেন খাদিজা বিনতে খুয়াইলেদ।" [বুখারীঃ ৩৪৩২, মুসলিমঃ ২৪৩০]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা লাভ করেছে। মেয়েদের মধ্যে কেবলমাত্র ফির’আউনের স্ত্রী আছিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম পূর্ণতা লাভ করেছে আর সমস্ত নারীদের উপর আয়েশার শ্রেষ্ঠত্ব যেমন সমস্ত খাবারের উপর ‘ছারীদ’-এর শ্রেষ্ঠত্ব।"[বুখারী ৩৪৩৩; মুসলিম: ২৪৩১]

হাদিসে যে ক'জন সম্মানিতা নারীর নাম উল্লেখ রয়েছে তাদের মধ্যে তিনি একজন।তিনিই একমাত্র নারী যার নাম উল্লেখ করে কুর'আনে পূর্ণ একটি সূরা "সূরা মারইয়াম" নাযিল হয়েছে, তাঁর পিতার নামানুসারেও কুর'আনে নাযিল হয়েছে পূর্ণ একটি সূরা, 'সূরা আল-ইমরান'। কুর'আনে সর্বোপরি ৩৫ বার মারইয়াম(আঃ)-এর নাম উল্লেখ রয়েছে। তিনি আল্লাহর নিকট এতোই সম্মানিত ছিলেন যে আল্লাহ নিজেই তাঁর পানাহারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, নিজ কওমের কাছে যখন তাকে নিয়ে দুর্নাম ছড়ানো হয় তখন আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাকে রক্ষা করেছেন। তাঁর চমৎকার জীবনবৃত্তান্ত মুমিনকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় আল্লাহর ক্ষমতা এবং অনুগ্রহের কথা।

একটি মা পাখি তার বাচ্চা পাখিদের আদর করছে।ছোট্ট এই দৃশ্যটিই মারইয়াম(আঃ)-এর মা হান্না বিনতে ফাকূদের মনকে নাড়া দিলো। তিনি আল্লাহর কাছে মানত করলেন একটি পূত্র সন্তানের জন্য যাকে তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাইলেন। আল্লাহ তাঁর মানত কবুল করলেন কিন্তু দান করলেন কন্যা সন্তান। হান্না বিনতে ফাকূদ চিন্তায় পড়ে গেলেন। আল্লাহকে বললেন, হে আল্লাহ; এ তো কন্যা সন্তান!এ কিভাবে আপনার পবিত্র ঘরের খেদমত করবে? আল্লাহ বললেন, এ এমন-ই এক কন্যা সন্তান যার ববারব পূত্র সন্তান-ও হতে পারবেনা।

হান্না বিনতে ফাকূদ তাঁর মেয়ের নাম রাখলেন মারইয়াম এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের খাদেমা হিসেবে মারইয়াম(আঃ)-কে শিশু বয়সেই উৎসর্গ করে দিলেন।শুরু হলো মারইয়াম(আঃ)-এর ইবাদতগুজার জীবন।বায়তুল মুকাদ্দাসের ভিতরে একটি কক্ষে মারইয়াম(আঃ) একা অবস্থান করতেন। তিনি মসজিদ পরিষ্কার করতেন এবং দিন-রাত আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতেন। তাঁর কক্ষে অন্য যে কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও ঢোকার অনুমতি ছিল তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বরত হযরত যাকারিয়া(আঃ)-এর। তিনি ছিলেন তৎকালীন নবী এবং সম্পর্কে মারইয়াম(আঃ)-এর খালু মতাত্বরে বোনের স্বামী।

মারইয়াম(আঃ)-এর রুমে শীত মৌসুমে গ্রীষ্মের ফল এবং গ্রীষ্ম মৌসুমে শীতের ফলমূল শোভা পেতো।যাকারিয়া(আঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করতেন, এসব ফল তো পুরো ফিলিস্তিনের কোথায় এখন নেই, কোথায় পেলে এসব? মারইয়াম(আঃ) উত্তর দিতেন, এসব আল্লাহ তাকে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ যাকে খুশি বেহিসেব রিজিক দান করেন।আল্লাহর রহমতের এই নযির দেখে যাকারিয়া(আঃ)-এর মনেও সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা জন্মালো। বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহর দরবারে নিজ সন্তানের জন্য দুই হাত তুললেন। রবে কারীম তাকেও বৃদ্ধ বয়সে এক সন্তান দান করলেন।

মারইয়াম(আঃ) এর গর্ভধারণের বিষয়টা ছিল বিষ্ময়ে ভরা। এমনকি তাঁর এই গর্ভধারণের বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীতে খৃষ্টান ধর্মের উৎপত্তি হয়।তখন মারইয়াম(আঃ) এর বয়স কত হবে? ১৪ অথবা ১৮। তিনি মাসে একবার মসজিদের বাইরে পূর্ব দিকের কোন এক জায়গায় যেতেন। অনেক আলেমের মতে, তিনি সেখানে গিয়ে সূর্যোদয় দেখতেন এবং আল্লাহর যিকর করতেন। তিনি সেখানে মাটিতে দুটি লাঠি গেঁড়ে পর্দা টাঙিয়ে দিতেন, যেন খোলা জায়গায় মানুষ বুঝতে পারে এটা তাঁর বসার জায়গা।কেউ যেন এটার নিকটে না আসে। আর তিনি একা আল্লাহর উপাসনা করতেন।হঠাৎ জিবরাইল(আঃ) একদিন তাঁর নিকট একজন সুন্দর পুরুষের আকৃতিতে আবির্ভূত হলেন। জিবরাইল(আঃ) মুখ খুলে কিছু বলার আগেই মারইয়াম (আঃ) তাকে দেখে বললেন,
”আমি পরম করুণাময়ের কাছে তোমার থেকে আশ্রয় চাচ্ছি, যদি তোমার অন্তরে আল্লাহর কোন ভয় থেকে থাকে।”

মানে – যদি তোমার নূন্যতম কোন শালীনতা থেকে থাকে ভাগো এখান থেকে। কোন কথা বলতে যেও না। মনে কর যে তুমি আমাকে দেখোনি বা আমার নিকট আসোনি। যাও, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। বর্তমান নারীসমাজের কাছে ফেতনা থেকে বেঁচে থাকার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ঘটনা। মুমিন বোনেরা এই আয়াতের মর্মার্থ নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে সক্ষম হলে নিষ্কলুশ ফিতনার বেড়াজাল থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারতো।সমাজে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়া ফিতনা নামক অসুখের ঔষধ আল্লাহ কুর'আনেই উল্লেখ করে দিয়েছেন।

মারইয়াম(আঃ)-এর কথা শুনে জিবরাইল(আঃ) উত্তর দিলেন, "আমি তো তোমার রব-এর দূত, তোমাকে এক পবিত্র পূত্র দান করার জন্য এসেছি।"

মারইয়াম(আঃ) অবাক হলেন। বললেন, কিভাবে সম্ভব?আমাকে কখনো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি এমনকি আমি ব্যভিচারিণীও নয়।

জিবরাইল(আঃ) বললেন, এটা তার রবের জন্য সহজ এবং এটিই আল্লাহর সিদ্ধান্ত। আল্লাহ্ তাঁর দূত জিবরাঈলকে পবিত্র ফুঁ নিয়ে পাঠালেন, যে ফুঁর মাধ্যমে মারইয়ামের গর্ভে এমন সন্তানের জন্ম হলো যিনি অত্যন্ত পবিত্র ও কল্যাণময় বিবেচিত হলেন। মহান আল্লাহ তাঁর সম্পর্কে বলেন,

“স্মরণ করুন, যখন ফিরিশতাগণ বলল,

হে মারইয়াম! নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটি কালেমার সুসংবাদ দিতেছেন।
তার নাম মসীহ মারইয়াম তনয় ‘ঈসা, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত এবং সান্নিধ্যপ্রাপ্তগণের অন্যতম হবে। সে দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে মানুষের সাথে কথা বলবে এবং সে হবে পুণ্যবানদের একজন '[সূরা আলে-ইমরান: ৪৫-৪৬]

এরপর মারইয়াম(আঃ) আল্লাহর নির্দেশে দূরবর্তী স্থান বাইত লাহ্মতে চলে যান। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সামনে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন তিনি।সেই দুঃসময়েও আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং তাওয়াক্কুলকে তিনি আঁকড়ে ধরেন।প্রসবের সময় যখন ঘনিয়ে আসছিল তখন মারইয়াম(আঃ) একটি খেঁজুর গাছের নিচে আশ্রয় নেন। তিনি ছিলেন ভীত, একা এবং পেরেশান। আল্লাহ তাকে তাঁর নিচে অবস্থিত একটি নহরের সুসংবাদ দিলেন এবং বললেন খেঁজুর গাছটি নাড়া দিলেই তাজা খেঁজুর পড়বে।

আল্লাহ কুর'আনে রিযিক অনুসন্ধানের একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আল্লাহ চাইলেই মারইয়াম(আঃ)-কে নিজ অনুগ্রহে খেঁজুর দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি মানবকূলের জন্য শিক্ষা প্রদান করেছেন যে, রিজিকের অনুসন্ধান যারা করে আল্লাহ কেবল তাদেরকেই রিজিক দান করেন,তিনি আল্লাহর কাছে সম্মানিত কোনো ব্যক্তিও হোন না কেন?

আমরা হয়তো মনে করি আল্লাহ যা ভাগ্যে রেখেছেন তাই হবে, এই ভেবে অনেকেই হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকি। কিন্তু কুর'আনের এই আয়াত আমাদের এই শিক্ষাই দেয় যে রিজিক অন্বেষণ ছাড়া রিজিক পাওয়া সম্ভব নয়। হাত-পা গুটিয়ে না থেকে আল্লাহর রহমতের অনুসন্ধান করলেই জীবনে অভাব খুঁচানো সম্ভব। জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা এবং তাওয়াক্কুল এই দু'এর সমন্বয় থাকা জরুরী।

আল্লাহ মারইয়াম(আঃ)কে লোকেদের প্রশ্নের জবাবে মৌনতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিলেন।

মারইয়াম(আঃ) যখন সন্তান হাতে তাঁর কওমের নিকট ফিরে আসলেন তখন তারা তাঁকে দুর্নাম দিতে লাগলো।মারইয়াম(আঃ) শিশু পূত্রের দিকে ইশারা করলেন এবং শিশুপূত্র বলে উঠলো,

১. আমি আল্লাহর বান্দা
২. আল্লাহ আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং নবী বানিয়েছেন
৩. তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন
৪. যতোদিন আমি জীবিত থাকবো ততদিন আমার উপরে সালাত এবং যাকাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন
৫. আমাকে আমার মায়ের প্রতি অনুগত করেছেন
৬. আমাকে অহংকারী এবং অবাধ্য করেননি
৭. আমার জন্ম, মৃত্যু এবং পুনুরুত্থান দিবসে আমার উপর শান্তি ঘোষিত হয়েছে।

আল্লাহর কাছে সম্মানিত হওয়ার জন্য অর্থবিত্ত, সুন্দর চেহারা, পীরের সহবত কিংবা বিখ্যাত কোনো ব্যক্তির সাহচার্যের দরকার হয়না। আল্লাহর কাছে যারা সম্মানিত তারা ধৈর্য, বিনয়, তাওয়াক্কুল এবং ইবাদাতের মাধ্যমেই আল্লাহর নিকট সম্মান লাভ করেছেন। সামান্য কিছু টাকা, আরাম-আয়েশ এবং বিড়ম্বনায় পরে নিজের দুনিয়া এবং আখিরাতকে বিপদের মুখে না ফেলে নিজের জীবনকে সুন্দররূপে গুছিয়ে নেয়া উচিত। সম্মানিত ব্যক্তিদের ইমানমুখর প্রদীপ্ত জীবনাচরণ গল্পের মতন কল্পনার সাগরে স্থায়ী করে রাখলে নিজেরাই ঠকে যেতে পারি।আল্লাহর কাছে সম্মান পেতে আল্লাহর সম্মানিত বান্দাদের জীবনকে অনুসরণ করা উচিত, নিজেদের জীবনে আল্লাহর উজ্জ্বল এই দৃষ্টান্তগুলোর পূর্ণ প্রয়োগই পারে মুমিনকে আল্লাহর কাছে সম্মানিত করতে।

আর মারইয়াম(আঃ)এর ইমান, তাকওয়া এবং ধৈর্যশীলতা প্রতিটি মুমিন নারীর জন্য দৃষ্টান্ত। আল্লাহর প্রতিটি হুকুম পালনে তিনি ছিলেন সদা তৎপর। একজন মুমিন নারীর উচিত তাকে রোল মডেল হিসেবে জীবনে ধারণ করে নিজেকেও আল্লাহর রহমতের ছায়ায় বেষ্টন করে রাখা।সর্বদা আল্লাহর ইবাদাতে নিজেকে মশগুল রাখা এবং সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল রাখা।

আল্লাহ মারইয়াম(আঃ)-কে সিদ্দিকা উপাধি দিয়েছেন যার অর্থ সত্যবাদী। তিনি একাধারে একজন ইবাদাতগুজার, তাওয়াক্কুলকারী, ধৈর্যশীলা, পবিত্রা এবং সম্মানিত নারী ছিলেন। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন মহিয়সী নারী।


তথ্যসূত্রঃ
১. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া - ২য় খন্ড
২. সূরা মারিয়াম- তাফসীর আবু বকর যাকারিয়া
৩. সূরা মারিয়াম- তাফসীরে মারুফূল কোর'আন
৪. সূরা ইমরান - তাফসীর আবু বকর যাকারিয়া
৫. নুমান আলী খান বাংলা সমগ্র
৬. শায়েখ ড. মিজানুর রহমান আযহারীর লেকচার

- মাহিয়াত মিতু

পঠিত : ১১৯৯ বার

মন্তব্য: ০