Alapon

ভণ্ড-০১




তানিম ক্যামন মানুষ তা তো আর বলা লাগবে না, সবাই তো জানেন তার সম্পর্কে। নিয়মিত সকালে কুরআন হাদিস অধ্যয়ন তার একটা অভ্যেসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আজ সকালেও পড়তে বসলো। কুরআন শেষ করে হাদিস ধরার পালা। এরপরই একাডেমিক অধ্যয়ন করবে।

ইমাম নববীর( রহ) এর সংকলিত [i]রিয়াদুস সালেহীন[/i] এর তৃতীয় খন্ড খুলে বসেছে। আজকের পঠিত একটা হাদিস তার মনে ধরেছে খুব। মনে মনে ঠিক করলো আজকে এই হাদিসের ওপর ভিত্তি করে দাওয়াতি কাজ করবে, এবং তা টিএসসিতেই করবে।

যেই ভাবা সেই কাজ। ছোটো ভাই হৃদয়। বন্ধু নাবিল ও নিলয়সহ ওরা মোট পাঁচজন আজকের দাওয়াতি কাজে বের হয়েছে। এরা টিএসসি চত্বরে এসে জড়ো হয়ে দাওয়াতি কাজ করছে....

একটু পাশেই রূদ্র তার গার্লফ্রেন্ড নাসরীনসহ আরো কিছু ছেলেমেয়ে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে।

প্রত্যেকের হাতেই সিগারেট। রূদ্রের হাতে গিটারও আছে। বোঝাই যাচ্ছে আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে গিটার বাজিয়ে গানও চলে।

ছেলেগুলোর অবস্থা দাড়ি-গোঁফ-চুলে রবিনদ্রনাথ! মেয়েগুলোর চুল আবার ছোট ছোট এবং ওদের হাতে সিগারেটও। সেই সিগারেটের ধোঁয়ায় ঘিরে আছে ওরা।


এই যে সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ, এটা ওদের কাছে আবার দারুণ উপভোগ্য। এর মধ্যে রূদ্র'র গার্লফ্রেন্ড নাসরিন তো আবার নিয়মিত কোকেনও সেবন করে। ওর কাছে আছে কোকেনও!


তানিমদের এখানে দেখেই তার অনেক বন্ধু-বান্ধবও জড়ো হলো। এদের মধ্যে সুদীপ্ত সাহ এবং তার গার্লফ্রেন্ড সুস্মিতাও আছে। মানুষের আগ্রহবোধ ভালোই আছে ওদের প্রতি....


দূর থেক বিষয়টা অবলোকন করছে রুদ্ররা। রুদ্রের গার্লফ্রেন্ড নাসরীন তো তেলে-বেগুনে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে মনে হয়!


জিন্স ও টি-শার্ট পরা নাসরীন সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে বলতেছে, 'বুঝলে এরা দেশটাকে সেই পনেরো'শো বছর পিছিয়ে দিতে চায়। পিছিয়ে দিয়েই তবে ক্ষ্যান্ত হবে ওরা। এদের দৌরাত্ম বেড়েই চলছে দিনদিন। দ্যখোনা রুদ্র, ওই যে ওদের প্রত্যেকটা ছেলের মুখেই দাড়ি। ডান পাশের ছেলে দু'টোর তো গালভরা দাড়ি। প্রত্যেকটা ছেলের-ই গোড়ালির ওপর প্যান্ট ঝুলানো '......


সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে রুদ্র বললো চল্ ওদের এমন প্রগতিশীলতা বিরোধী কর্মজজ্ঞ থামাই! একথা বলে হাতের বোতল হতে কয়েক ঢোক মদ ডগডগ করে গিলতে গিলতে ওঠে দাঁড়ালো রুদ্র .....


ওপাশে সুস্মিতা বসে বসে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে এদের প্রত্যেকটা কথা শুনতে পেলো। আর ক্যামন যেনো হত-বিহ্বল হয়ে উঠেছে মনে মনে!


২.

রুদ্র-নাসরীনদের এমন মারমুখী আচরণ দেখে অনেকেরই ভয়ের বিমর্ষতায় মুখটা বিবর্ণ হয়ে গেলেও কোনো ভয়-ডর সুস্মিতাকে ছুঁয়ে যায় নি! এদের এমন দ্বিমুখী আচরণ আর কথা-বার্তায় যেনো তাঁর কলজেটা দীর্ণ-বিদীর্ণ হয়ে গেছে!

রুদ্র -নাসরীনদের চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যেই সে গলা উঁচিয়ে চিৎকার করে উঠলো। উদ্দেশ্য কিছু কথা বলা রুদ্র-নাসরীনকে। তার চিৎকারে যেনো হঠাৎ গভীর রজনীর নির্জনতা-নিরবতা নেমে এসেছে।


নিরবতা ভেঙে নাসরীন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বললো, অ্যাই মেয়ে!কী হয়েছে? কী বলতে চাও?

.


সুস্মিতা বললো, আপা আমি আপনাকেই কিছু বলতে চাই। সুদীপ্ত একটু ভয় পেয়ে থামাতে চেষ্টা করলো ওকে, তার ভাবনা হয়তো এমন কিছু সুস্মিতা বলবে যাতে তার ক্লাসফ্রেন্ড তানিম-নাবিলদের মনে কষ্ট যাবে। কেউ তো আর বন্ধু-বান্ধবকে কষ্ট দিতে চায় না। কিন্তু সুস্মিতা ওর বাঁধাকে তোয়াক্কাই করলো না!


সুস্মিতা বললো আপা, আমার নাম নাম সুস্মিতা। ঢাবিতেই পড়ি। বাংলা সাহিত্য নিয়ে।


নাসরীনের চোখমুখে আনন্দের উজ্জ্বল আভা ঝলমলিয়ে উঠলো! হয়তো মনে মনে ভেবেছে, ' বাহ্! আরো একজন প্রগতিশীলা, নারীবাদী মেয়ে পেলাম আমাদের সাপোর্টার হিসেবে। কিন্তু সব সময় সবার কল্পনার কল্পিত কপোত কপালে জোটেনা.....


নাসরীন বলে উঠলো হ্যাঁ, কী বলতো চাও মন-প্রাণ খুলে কলিজায় জমানো সব কথা স্পষ্ট করে বলে যাও। তোমাদের কথা শোনার জন্যেই তো আমি, এবং আমার এতো সংগ্রাম। মৌলবাদীদের ভিড়ে তুমি তোমার মনের কথা বলতে পারবেনা। ওরা তোমার টুটি চেপে চ্যাপ্টা করে দেবে, তুমি এখানে এসো। আমার পাশে এসে দাঁড়াও!


কোনো সভা-সমাবেশে প্রধান অতিথি যেভাবে বক্তৃতার মঞ্চে যায় সেভাবেই ছাত্রজনতার ভিড় ঠেলে ঠেলে সুস্মিতা ভেতরে চলে গেলো। এক্কেবারে নাসরীনের পাশেই!


এদিকে সুদীপ্তের কলিজায় চলছে কঠিন কম্পন।
না জানি ও কী বলে তার বন্ধুদের বুকটা বিদীর্ণ করে ফেলে!


সুদীপ্তের সুগভীর ভাবনার মোহনায় ছেঁদ ঘটিয়ে সুস্মিতা বলে উঠলো, ' আপা, আপনিই তোহ্ মানবিকতা-উদারতা, মানুষের ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা এবং সমতার বুলি কপচিয়ে কপচিয়ে মুখে ফেনা তুলতেন, এবং তোলেনও!

আপনিই তো জরায়ু স্বাধীনতার দাবি করেছেন ব্যক্তি স্বাধীনতার জিগির তুলে। আপনার এ দাবির বিরোধিতা যারা করেছেন তাদের আপনি এবং আপনারা ধর্মান্ধ, মৌলবাদী ট্যাগ দিয়েছেন। এখনো দিয়ে যাচ্ছেন হরদম!

আপা আমাদের এ টিএসসি চত্ত্বরে, এদেশের সভ্যতা-সংস্কৃতির জলাজ্ঞলী দিয়ে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকার চুমো-চুমির ছবি ভাইরাল হওয়ার পর যখন দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তীক্ষ্ণ সমালোচার তীব্র ঝড় বইছিলো, তখন

এই আপনিই তো স্রোতের বিপরীত ভিন্ন এক চিন্তার স্রোত চালু করার জন্যে কলমের খোঁচায় কী অদ্ভুত এক রমরমা কারিশমা-ই না করলেন! আপনিই তো বলেছেন চুমো তো পরের বিষয়; সময় তো এখন প্রকাশ্যে সেক্স করার।

টিভি সাক্ষাতকারেই তো বললেন আপনি মেয়েদের বিয়ে-শাদী, সন্তান নেওয়া, মা হওয়া সেকেলে ধারণা, যার ইচ্ছে সে নেবে যার ইচ্ছে সে নেবে না,করবে না। মানে এসবকে কথিত ব্যক্তি স্বাধীনতার মাঝে ফেলে আমাদের এদেশেীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির যে আবেদন, তাকে নিতান্তই তুচ্ছ করে দিলেন আপনি!

অনেক বেহায়া ছেলেরা যেমন রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে ; ব্যক্তি স্বাধীনতা, উদারতা ইত্যাদির ধোঁয়া তুলে আপনিও তো তীব্র-তুমুল ঝড় তুলেছেন যে , 'মেয়েরাও যেনো রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে এবং করার স্বাধীনতা পায়!

এভাবে কতোশতো এলোমেলো এলোপাতাড়ি নোংরা চিন্তার ঝড় আপনি সমাজের পরতে পরতে চালু করবার কী মহান (!) কোশেশ-ই না করেছেন.......

আপনার কিছু সাময়িক চমকিত চটকদার আওড়ানো বুলির বিভ্রান্তিতে পড়ে পুড়ে পুড়ে মরছে কতোশতো নিষ্পাপ-নিষ্কলুষ হৃদয়! আপনার ছড়ানো বিভ্রান্তির চোরাবালিতে আঁটকে আপনার বিরাট রকমের ভক্তে পরিণত হয়ে গিয়েছিলাম আমিও...

অথচ এই আপনিই, এই যে কতো ভদ্র-নম্র ছেলেগুলো, এদের বিরুদ্ধে কী অদ্ভুত কিসিমে’র হিংসার চাষাবাদ-ই করতেছেন দীর্ঘ সময় নিয়ে, এটার বাস্তব সাক্ষী তো আমিই! আজ আপনার মুখ তো আমি দেখতে পাচ্ছি। আজ আপনার মুখোশ আলগা হয়ে গেছে আমার কাছে । আপনার স্পষ্ট হিংসার মুখ দেখতে পেয়েছি নিজ চোখেই!

আপনার হাজারো অসামাজিক-অধর্মের কার্যকলাপের স্বাধীনতা আপনি চাইলেও এদের নিতান্তই নিয়মতান্ত্রিক স্বাভাবিক ধর্মীয় কাজের টুটি চেপে ধরতে চান, ধরার উস্কানি দেন,
তাহলে আপনি সারাক্ষণ কীভাবে স্বাধীনতা স্বাধীনতা বলে ঝড় তোলেন কলমের ডগায়, জিহ্বার আগায় ?

আপনার স্বাধীনতা কি তাহলে এদেশের সভ্যতা-সংস্কৃতি আর ধর্ম বিরোধিতার মাঝেই লকলকিয়ে বেড়ে উঠে ? ইসলাম ধর্ম, এর অনুসরণকারীদের দেখলেই ক্যান্ আপনার সকল মহানুভবতা, কথিত ব্যক্তি-বাকস্বাধীনতার মতোন মহান বাণীগুলো নুইয়ে পড়ে?

বলুন, আপনার এতোসব উদারতা,মানবিকতা এবং সেসবের শ্লোগান কোথায় কী জন্যে কার ইশারায় কোন্ মতলবে মুখ থুবড়ে পড়ে?

সুস্মিতার তিক্ত-সত্য কথাগুলোর তীক্ষ্ণতা যেনো উপস্থিত প্রতিটা মানুষের কলিজাকে ভেদ করেছে! সবার মনের সুস্প প্রশ্নগুলোই যেনো সুস্মিতা হড়বড় করে কলজে থেকে বের করে দিয়েছে! দীর্ঘক্ষণের পুঞ্জীভূত দুঃখ-ক্ষোভসহ জমা হওয়া প্রশ্নগুলো উগরে দিয়ে মনে মনে বেশ স্বস্তি পাচ্ছে সে। বোনাস হিসেবে পাচ্ছে সাধারণ জনতার সাপোর্টও!

নাসরীন রাগে-ক্ষোভে গরগর করে কাঁপছে! মনে মনে ভাবছে ক্যান্ ওকে সাথে এনে দাঁড় করালাম, একেবারে দুধকলা দিয়ে সাপ পোষার মতো অবস্থা যাকে বলে আরকি!


৩.

চারদিকে ছুটোছুটি হৈ-হুল্লোড় চলছে খুব! সুস্মিতার নাক-মুখ-ঠোঁট দিয়ে বর্ষার অঝোর ধারার বৃষ্টির মতোন অবিরাম রক্তের স্রোত-ধারা বইছে। নিলয় আর নাবিলের মাথার পেছনের দিক থেকে টুপটুপ করে গরম রক্ত গড়িয়ে পড়ছে! হৃদয়-তানিমকে আগলে রাখছে টিএসসিতে উপস্থিত দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণির ছাত্রজনতা!


রুদ্র যখন সুস্মিতাকে চুলের গোছা ধরে চড়-কিল-ঘুষি দিচ্ছে ঠিক সেই সময়ই বড়ো বড়ো গোঁফওয়ালা জাফর কোত্থেকে একটা রড নিয়ে এসে তানিমকে জোরেশোরে আঘাত করেছে, নাবিল তানিমকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলেও নিজে সরতে না পারায় মাথার পেছন দিকটায় ভিষণ রকমের আঘাতের চোটে তা ফেটে গেছে।


৪.

সুদীপ্ত বুক ভরা বেদনা নিয়ে বলে উঠলো , জানিস রুদ্র, তোদের নাস্তিকতায় আমার কোনো সমস্যা ছিলো না, আমি তো নিজ পৈতৃক ধর্ম যে হিন্দু ধর্ম, তাও প্রায় ছাড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছি তোদের উদারতা-মানবিকতা, কথিত ব্যক্তি স্বাধীনতার বিরাট বিরাট বুলি কপচানো দেখেই। এখন দেখি তাবৎ দুনিয়ার সকল কীটপতঙ্গ-পশুপাখির জন্যে বুক ভরা সব দরদ উপচে উপচে পড়লেও ইসলাম এবং প্র্যাকটিসিং মুসলমানদের জন্যে, এবং তাঁদের ন্যূনতম যে অধিকার সেটার বেলায়ও তোদের এতোসব চমকপ্রদ বুলিগুলো কোথায় যেনো হাওয়া হয়ে হারিয়ে যায়! তাঁদের পক্ষে ন্যায্য ও সত্য কথাগুলো, এবং তোদের সামান্যতম একটু সমালোচনা করলেও তোরা চটে যাস! তোদের বিরাট বিরাট বুলির ফাঁনুস তখন ফুঁটো হয়ে যায়! সুযোগ বুঝে তোরা তোদের আদি-আসোল রূপ প্রকাশ করোস! আচ্ছা বলতো, তোরা কীসের নাস্তিক? কীসের উদারতা আর মানবাধিকারের সবক শেখাচ্ছিস মানুষকে তোরা ? এই যে এদের রক্ত ঝরাইলি, অমূলক অযথা আর বিনা উস্কানিতে এদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করলি, আর সর্বক্ষণ ব্লগে, টিভির পর্দায়, কলমের খোঁচায় এদের বিরুদ্ধে, তাদের কুরআন নবি ইত্যাদি নিয়ে যে হিংসার চাষাবাদ করিস --এটাই কি তাহলে তোদের আসলরূপ? সঠিক স্বরূপ??


ভেতর থেকে হৃদয় বলে উঠলো, 'সুদীপ্ত দা, বাদ দাও তোহ্! ওরা কীসের নাস্তিক, আগাগোড়া ইসলাম বিদ্বেষী, এবং সেই বিদ্বেষী চক্রের সক্রিয় সদস্য '!

জানো, পবিত্র কুরআনে এদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, '' যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করো না’ ,তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী’। [সুরা বাকারাহ:-১১]

সুদীপ্ত বলে উঠলো তোদের ইসলাম-কুরআন-নবি সম্পর্কে আমিও একটু জানতে চাই!


হৃদয় ব্যাগ থেকে এক কপি কুরআনের তরজমা, ইসলাম পরিচিতি নামক একটা বই, এবং গুরুদত্ত সিংয়ের "তোমাকে ভালোবাসি হে নবি"এবং পুরুস্কার প্রাপ্ত বিশুদ্ধ সীরাহ [b]''আর রাহিকুল মাখতুম '' [/b]তুলে দিলো তার হাতে, এমন আগুন গরম উত্তপ্ত আর থমথমে পরিবেশের মধ্যেই!


ইতোমধ্যেই ' চ' টিভির সাংবাদিক সুলতানা রূপা এবং অঞ্জয় ঘোষ হাজির! ওদিকে এতোক্ষণে সুস্মিতা, নাবিল ও নিলয়দের এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে পৌঁছে গেছে!


৫.


সারাদিনের সীমাহীন হর্ষ-বিষাদ, ক্লান্তি, মানসিক চাপ, দৌড়াদৌড়ি শেষে সবাই যার যার বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছে। সুস্মিতাকেও হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা সারিয়ে নিয়ে এসেছে বাসায়। সুদীপ্ত টেলিভিশনটা চালু করে ঔষধ খুলে খুলে সুস্মিতাকে দিচ্ছে। হঠাৎ খেয়াল করতেই দেখলো রিপোর্টার সুলতানা রূপা রিপোর্ট করলো, " টিএসসিতে প্রগতিশীলদের ওপর মৌলবাদী যুবকদেরর বর্বর হামলা, তিনজন আহত, কোনো রকমে রক্ষা পেলেন নারী অধিকার কর্মী নাসরীন এবং মানবাধিকার কর্মী রুদ্র-জাফর সহ তাদের সঙ্গীরা!"

সাংবাদিকটার এই রিপোর্ট দেখে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে চক্ষুছানাবড়া করে হা করে টিভি পর্দার দিকে তাকিয়ে আছে সুদীপ্ত-সুস্মিতা! সুস্মিতা ভারি একটা নিঃশ্বাস নিয়ে মুখে মৃদু হাসির রেখা টেনে বলে উঠলো 'হায়রে ভণ্ড'!!!


।।ভণ্ড-০১।।
-রেদওয়ান রাওয়াহা

পঠিত : ৬৫৩ বার

মন্তব্য: ০