Alapon

এমন কিছু করা উচিত নয়, যার জন্য মৃত্যুর পরও আফসোস করতে হয়...



বেশ কিছুদিন আগের কথা! আমার এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের বোনের মৃত্যুর সংবাদ শুনলাম। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তার বাড়িতে গেলাম। রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা গেছে।

লাশ গোসল দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ মহিলাকে নিয়ে আসা হল। কিন্তু গোসল করাতে গিয়ে বাধল বিপত্তি। সেই মহিলা মাইয়্যাতের পরিবারকে জানাল, মেয়ের হাতে নেইল পলিশ করা। নেইল পলিশ করা থাকলে নখের ভিতরে পানি পৌঁছাবে না। ফলে গোসল সম্পন্ন হবে না। তখন মাইয়্যাতের মা বাধ্য হয়ে ব্লেড নিয়ে নখ খুঁচিয়ে পলিশ তুলতে লাগল। কিন্তু সদ্য পলিশ করা বলে তা উঠছে না। তারপর আরও কয়েকজন চেষ্টা করল কিন্তু নেইল পলিশ তোলা গেল না। অন্যদিকে আবার নেইল পলিশ তোলা না গেলে গোসল করানো যাবে না।

তখন মাইয়্যাতের বাবা বাধ্য হয়ে বলল, এভাবে তো গোসল হবে না। তখন প্লাস নিয়ে নখ তুলে ফেলল! প্লাস দিয়ে এক এক করে দশটা আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলল। তারপর মাইয়্যাতকে গোসল করানো হল!

আর একটা ঘটনা বলি। ঘটনাটা মুফতি ইসমাইল ইসমাইল মেনক-এর লেকচারে শুনেছি।

এক ভদ্রলোক মুফতি ইসমাইল মেনককে ইমেইল করেছে, ‘কিছুদিন আগে সেই ভদ্রলোকের ছোট বোন অসুস্থতা জনিত কারণে মারা যায়। মারা যাওয়ার পর দেখা যায়, তার বোন টিকটক ভিডিও করতো। বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে সে ভিডিও বানাতো এবং সেই ভিডিওগুলো বেশ ভাইরালও হয়। তখন তার ভাই তার আইডিতে ঢুকে ভিডিওগুলো ডিলেট করার চেষ্টা করে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল, সেই ভিডিওগুলো ডিলেট করা যাচ্ছিল না। তখন তিনি টিকটক অফিসে ইমেইল করেন এবং ভিডিওগুলো মুছে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু টিকটক অফিস ইমেইলের জবাবে বলে, তারা এই ভিডিওগুলো মুছতে পারবে না। ফলে, তার সেই ভিডিওগুলো এখনো অনলাইনে ঘুরে ফিরছে এবং তার ভিডিও দেখে মানুষ হাসছে!’

তৃতীয় আর একটা ঘটনা বলি।

একবার এক তরুণ রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর তার বন্ধু নিজের ইমেইল চেক করতে গিয়ে দেখে, তার মৃত বন্ধু কবর থেকে তাকে ইমেইল পাঠিয়েছে! সে ইমেইল চেক করতে গিয়ে দেখে, সেটা ছিল পর্ন ভিডিও!

মূলত সেই তরুণ একটা পর্ন সাইডের পেইড সাবক্রাইবার ছিল। সে ডলার খরচ করে সেই সাইডে ৩ বছরের জন্য অ্যাকসেস নিয়েছিল। সেই সাইডে যখন নতুন পর্ন ভিডিও আপলোড করা হতো, তখন তাকে ইমেইলের মাধ্যমে সেন্ড করা হতো। সে আবার পর্নের ভিডিওগুলো অটো পদ্ধতিতে তার বন্ধুদের কাছে ফরোয়ার্ড করতো। যার কারণে সেই পর্ন সাইড থেকে তাকে আবারও নতুন পর্ন ভিডিও ইমেইল করা হয়েছে। আর অটো সিস্টেম থাকার কারণে সেই পর্ন ভিডিও তার বন্ধুদের কাছে ফরোয়ার্ড হয়ে যাচ্ছে।

এই তিনটি ঘটনার সারমর্ম হল, জীবনে এমন করা উচিত নয়, যেগুলোর কারণে মৃত্যুর পরও আফসোস করতে হয়! আল্লাহপাক আমাদের উত্তম বুঝ দান করুন।

পঠিত : ৪৪৫ বার

মন্তব্য: ০